জান্নাতকে আমি প্রথম দেখেছিলাম বৃষ্টির ভিতর আমাদের পাড়ার রাস্তায়, #ইউনিফম দেখে বুঝেছিলাম কলেজ থেকে ফিরছিল। মনে হচ্ছিলো ভিজা চুল গুলো উড়ছিল। মনটা খুব খারাপ ছিল। এক পলতেই মনটা ভাল হয়ে গেল। #যতদূর চোখ যায় আমি শুধু চেয়েই থাকলাম। ঘড়িতে সময়টা দেখে রাখলাম। পরের দিন ও সেই সময় ওকে এক পলক দেখার জন্য দাড়িয়ে থাকলাম same #যায়গায়। প্রায় প্রতদিন দাড়িয়ে থাকতাম। এভাবে ২ মাস চলে গেল। পারিবারিক সমস্যা ধীরে ধীরে বেড়েই চলছিল। আমি, মা-বাবা, বড় ভাই #ভাবিদের কাছে বুঝা হয়ে উঠছিলাম। আর সহ্য হচ্ছিলো না। সবে মাত্র অনার্স শেষ করেছি। চাকুরীর জন্য এদিক ওদিক ছুটছিলাম। হঠাৎ একদিন জান্নাতকে #রাস্তায় দেখলাম। মনে মনে বলছিলাম তুমি আমার জন্য না। আমার জীবন অনেক সংগ্রামের। হয়তো তুমি কখনো জানতেই পারবে না কেউ একজন তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছিল। তাই তো তোমার পথ থেকে আমি সরে পরলাম। #পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিলাম। মনে হল কেউ আমাকে ডাক দিল। ভাবলাম মনের ভূল। আবার শুনতে পেলাম। ফিরে তাকিয়ে দেখলাম জান্নাত। এতটাই অবাক হলাম, আমি চমকে গেলাম। - আআমি - হ্যাঁ - কেমন আছেন সুমন ভাইয়া? - অবাক হয়ে বললাম ভাল। আপনি আমাকে চিনেন? - আপনি আপনি করে বলছেন কেন? হ্যাঁ চিনি, আপনি #আতিয়ার স্যারের ছেলে। - না মানে এমনিই... ও। - আপনি যখন ক্লাস টেন এ পড়তেন। আমি তখন ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ছিলাম। আপনার কি মনে আছে আমি স্কুলের #সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছিলাম। আপনি আমাকে কোলে করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। খুব ভয় পেয়েছিলেন আপনি হি হি হি.... - আরে তুমি সেই মেয়ে। অনেক বড় হয়ে গেছ... - আমি তো মাঝে মাঝে আপনাদের #বাড়িতে যাই, স্যারের সাথে দেখা করতে। আন্টি আমাকে অনেক আদর করে। - তাই... - হ্যাঁ... - আপনাকে রাস্তায় দেখতাম প্রায়, কিন্তু গত কিছুদিন ধরে দেখছি না, আপনাদের বাসায় গিয়েছিলাম কিন্তু আপনাকে দেখিনি... - না এমনিতেই একটু বিজি আছি... - মুখটা একটু মলিন করে বলল জান্নাত... যত বিজিই থাকেন মাঝে মাঝে একটু দেখা দিয়েন। - মানে....? - মানেটা আপনি ও জানেন আমি ও জানি... - হ্যাঁ আমি স্বীকার করছি কিছু দিন আগে ও আমি এটাই চেয়েছিলাম কিন্তু এখন চাই না। কারন আমি কাউকে জীবন #সঙ্গীনি করবো না। আমার ভাই ভাবিদের কাছ থেকে মা-বাবা যা পাচ্ছে। - আমি জানি, আন্টি আমাকে অনেক কিছু বলে... - তাহলে তো তুমি সবটাই জান, চাই না আমার দ্বারা বাবা-মা ও ঐরকম কিছুর স্বীকার হোক। - কিন্তু - কিন্তু টুন্তু কিছু না... আমি যাই ভালো থেকো। - জান্নাতের চোখ দিয়ে পানি পরছিল... কিছুদিন পরেই আমার প্রাইভেট ব্যংকে ভাল একটা চাকুরি হয়ে গেল। ৭ বছর পর... - এই শোনছো আমাকে এক কাপ চা দিও... - চা এখন হবে না, একটু #অপেক্ষা কর... - কেন? - আগে বাবা-মাকে ঔষধ খাওয়িয়ে ঘুম পারিয়ে দিব, তারপর তোমার চা। তুমি একটু বাবুকে নিয়ে খেলা কর। আমাদের ২ বছরের একটা ছেলে আছে। সব কিছু মিলিয়ে #পরিপাটি একটা সংসার। বাবা-মা ওকে ছেলের বউ নয়। নিজের মেয়ে ভাবে। ও উনাদের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি নয়, নিজের সন্তানের মত সেববা যত্ন করে। আমি ওকে চিনতে ভূল #করেছিলাম। কিন্তু বাবা-মা ওকে ঠিকই চিনেছিল। - জান্নাত আমার চা টা কি হবে... - এই নাও তোমার চা.. বলেই পাশে বসে পড়লো। - অনেক ভালবাসি তোমাকে.. - তাই নাকি জানতাম না তো.. বলেই সুমনের বুকে মাথা গুজে দিল। আর আমি মনে মনে বলছিলাম তোমার কারনে আজ এতটা ভাল আছি... শেষ #নিঃশ্বাস পর্যন্ত শুধু তোমাকে ভালোবেসে যেতে চাই... লিখাঃ কনফিউজড ফিলিং
Posted on: Tue, 02 Dec 2014 13:29:59 +0000