জীবন বাঁচাতে কপালে তৈরি - TopicsExpress



          

জীবন বাঁচাতে কপালে তৈরি করা হলো নাক! বাংলা বাগধারাতে আছে চোখ কপালে ওঠার কথা। আর চীনের জিওলিয়ান (Xiolian) নামক ভদ্রলোকের চেহারা দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠে যেতে বাধ্য। কারণ তাঁর নাকের অবস্থান তার ঠোঁটের উপর নয়, কপালে! ২ বছরের এই ছেলেটি এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন, ফলে তার নাকের ভয়াবহ ক্ষতিসাধন হয়। শুধু তাই নয়, এর ফলে তার নাকে সংক্রমণ শুরু হয়। এজন্য তার নাকের কার্টিলেজ বা নরম টিস্যুগুলো নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে। লোকটির জীবন বাঁচানোর জন্য চিকিৎসকরা তার নাক প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে কপালে তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে চিকিৎসকরা লোকটির কপালের নিচে টিস্যু সম্প্রসারণকারী যন্ত্র স্থাপন করলেন। যাতে লোকটির কপালের চামড়া কিছুটা প্রশস্ত করা যায়। এরপর এটিকে মোটামুটি নাকের আকৃতি দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এরপর তার বক্ষ পিঞ্জরের বাঁকা হাড় থেকে কার্টিলেজ টিস্যু এনে কপালের উপর নতুন নাকের ত্বকের নিচে বসানো হয়। নাকটি যখন পুরোপুরি কার্যক্ষম হয়ে উঠবে তখন চিকিৎসকরা লোকটির শ্বাস- প্রশ্বাস নেয়ার ব্যপারটি এমনভাবে পুনর্বিন্যাস্ত করবেন যাতে রক্ত কণিকাচলাচল থেকে সবকিছুই এই নতুন স্থাপিত নাক দিয়ে চলাচল করে। সম্প্রতি চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের ফজহু হাসপাতালে অভিনব এ সার্জারি সম্পন্ন হয়। তবে কপালে নাক তৈরির বিষয়টি অদ্ভুত হলেও প্লাস্টিক সার্জারি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। ম্যানহাটনের Lenox Hill Hospital ও নিউ ইয়োর্কের Eye Ear and Throat Hospital. এর প্লাস্টিক সার্জন ড.ডেভিড ক্যাঞ্জেলো বলেন, “ আমরা স্বাভাবিক ভাবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে অঙ্গ প্রতিস্থাপন, পুনরায় নির্মাণ করে থাকি। কিন্তু জীবন বাঁচানোর জন্য আমাদের সেই নতুন অঙ্গের আকৃতির সাথে সাথে এটি যেন ভালভাবে কাজ করতে পারে সেটির দিকেও খেয়াল রাখতে হয়।“ প্রশ্ন উঠতে পারে, কোন রোগীর জন্য যদি প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে যথাস্থানে নাক তৈরি করা সম্ভব হয়, তবে কেন কপালেই সেটা করতে হবে? কপালে নাক তৈরির সুবিধা হচ্ছে এর কপালের ত্বকে প্রচুর রক্ত কণিকা থাকে যা নতুন নাকটিকে দ্রত এর সঠিক কাঠামো পেতে সহায়তা করে।
Posted on: Fri, 27 Sep 2013 06:54:51 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015