জামায়াতে ইসলামীর - TopicsExpress



          

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মওদূদী (র:) এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের দাতভাঙ্গা জবাবঃ (সূরা নাসর প্রসঙ্গ) যারা বলে যে, মাওলানা মওদূদী সাহেব সূরা নাসরের ব্যাখ্যায় বলেছেন রাসুল (স:) তার নবুয়তী জিন্দেগীতে দাওয়াতী কাজ ঠিকমত পালন করেন নি যার জন্য আল্লাহপাক তাকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন এর দ্বারা তিনি রাসুল (স:) এর মর্যাদাকে ছোট করেছেন(নাউযুবিল্লাহ)। তাদের এ মিথ্যাচারের মুখোশ উম্মোচনের জন্য আমি সূরা নাসরের বঙ্গানুবাদসহ তাফহীমুল কোরআনের ব্যাখ্যায় যা লেখা আছে ঠিক তাই হুবহু তুলে ধরলাম, পাঠকগন দয়া করে যাচাই করে দেখুন:-- সূরা নাসর:-- (১) যখন আল্লাহর সাহায্য এসে যায় এবং বিজয় লাভ হয় [1] (২) আর (হে নবী!)তুমি যদি দেখ যে লোকেরা দলে দলে আল্লাহর দীন গ্রহণ করছে [2] (৩) তখন তুমি তোমার রবের হামদ সহকারে তাঁর তাসবীহ পড়ো এবং তাঁর কাছে মাগফিরাত চাও৷[3] (৪) অবশ্যি তিনি বড়ই তাওবা কবুলকারী৷[4] 1. বিজয় মানে কোন একটি যুদ্ধ বিজয় নয়৷ বরং এর মানে হচ্ছে এমন একটি চূড়ান্ত বিজয় যার পরে ইসলামের সাথে সংঘর্ষ করার মতো আর কোন শক্তির অস্তিত্ব দেশের বুকে থাকবে না এবং একথাও সুস্পষ্ট হয়ে যাবে যে , বর্তমানে আরবে এ দীনটিই প্রাধান্য বিস্তার করবে৷ কোন কোন মুফাসসির এখানে বিজয় মানে করেছেন মক্কা বিজয় ৷ কিন্তু মক্কা বিজয় হয়েছে ৮ হিজরীতে এবং এ সূরাটি নাযিল হয়েছে ১০ হিজরীর শেষের দিকে৷ ভূমিকায় আমি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) ও হযরত সারাআ বিনতে নাবহানের (রা) যে হদীস বর্ণনা করেছি তা থেকে একথাই জানা যায়৷ এ ছাড়াও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা)যে একে কুরআন মজীদের সর্বশেষ সূরা বলেছেন , তাঁর এ বক্তব্যেও এ তাফসীরের বিরুদ্ধে চলে যায়৷ কারণ বিজয়ের মানে যদি মক্কা বিজয় হয় তাহলে সমগ্র সূরা তাওবা মক্কা বিজয়ের পর নাযিল হয়৷ তাহলে আন নসর কেমন করে শেষ সূরা হতে পারে ? নিসন্দেহে মক্কা বিজয় এ দিক দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় ছিল যে, তারপর আরবের মুশরিকদের সাহস ও হিম্মত নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল ৷ কিন্তু এরপরও তাদের মধ্যে যথেষ্ট শক্তি - সামর্থ ছিল৷ এরপরই অনুষ্ঠিত হয়েছিল তায়েফ ও হুনায়েনের যুদ্ধ৷ আরবে ইসলামের পূর্ণাংগ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হতে আরো প্রায় দুবছর সময় লেগেছিল৷ 2. অর্থাৎ লোকদের একজন দুজন করে ইসলাম গ্রহণ করার যুগ শেষ হয় যাবে ৷ তখন এমন এক যুগের সূচনা হবে যখন একটি গোত্রের সবাই এবং এক একটি বড় বড় এলাকার সমস্ত অধিবাসী কোন প্রকার যুদ্ধ -বিগ্রহ ও চাপ প্রয়োগ ছাড়াই স্বতষ্ফূর্তভাবে মুসলমান হয়ে যেতে থাকবে৷ নবম হিজরীর শুরু থেকে এ অবস্থার সূচনা হয়৷ এ কারণে এ বছরটিকে বলা হয় প্রতিনিধিদলের বছর ৷ এ বছর আরবের বিভিন্ন এলাকা থেকে একের পর এক প্রতিনিধি দল রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে কাছে আসতে থাকে৷ তারা ইসলাম কবুল করে তাঁর মুবারক হাতে বাইআত গ্রহণ করতে থাকে৷ এমনকি দশম হিজরীতে যখন তিনি বিদায় হজ্জ করার জন্য মক্কায় যান তখান সমগ্র আরব ভূমি ইসলামের ছাড়াতলে আশ্রয় নিয়েছিল এবং সারাদেশে কোথাও একজন মুশরিক ছিল না৷ 3. হামদ মানে মহান আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করা এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাও ৷ আর তাসবীহ মানে আল্লাহকে পাক- পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন এবং দোষ-ত্রুটিমুক্ত গণ্য করা৷ এ প্রসংগে বলা হয়েছে , যখন তুমি তোমার রবের কুদরতের এ অভিব্যক্তি দেখবে তখন তাঁর হামদ সহকারে তাঁর তাসবীহ পাঠ করবে৷ এখানে হামদ বলে একথা বুঝানো হয়েছে যে , এ মহান ও বিরাট সাফল্য সম্পর্কে তোমার মনে যেন কোন সময় নিন্দুমাত্রও ধারণা না জন্মায় যে , এসব তোমার নিজের কৃতিত্বের ফল৷ বরং একে পুরোপুরি ও সরাসরি মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ও মেহেরবানী মনে করবে ৷ এ জন্যে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে৷ মনে ও মুখে একথা স্বীকার করবে যে , এ সাফল্যের জন্য সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর প্রাপ্য৷ আর তাসবীহ মানে হচ্ছে , আল্লাহর কালেমা বুলন্দ হওয়ার বিষয়টি তোমার প্রচেষ্টা ও সাধনার ওপর নির্ভরশীল ছিল ---- এ ধরনের ধারণা থেকে তাঁকে পাক ও মুক্ত গণ্য করবে৷ বিপরীত পক্ষে তোমার মন এ দৃঢ় বিশ্বাসে পরিপূর্ণ থাকবে যে ,তোমার প্রচেষ্টা ও সাধনার সাফল্য আল্লাহর সাহায্য ও সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল ছিল৷ তিনি তাঁর যে বান্দার থেকে চান কাজ নিতে পারতেন৷ তবে তিনি তোমার খিদমত নিয়েছেন এবং তোমার সাহায্যে তাঁর দীনের ঝাণ্ডা বুলন্দ করেছেন , এটা তাঁর অনুগ্রহ ৷ এছাড়া তাসবীহ অর্থাৎ সুবহানাল্লাহ পড়ার মধ্যে বিস্ময়ের ও একটি দিক রয়েছে ৷ কোন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটলে মানুষ সুবহানাল্লাহ বলে৷ এর অর্থ হয় , আল্লাহর অসীম কুদরতে এহেন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে৷ নয়তো এমন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটাবার ক্ষমতা দুনিয়ার কোন শক্তির ছিল না৷ 4. অর্থাৎ তোমার রবের কাছে দোয়া করো৷ তিনি তোমাকে যে কাজ করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তা করতে গিয়ে তোমার যে ভুল-ত্রুটি হয়েছে তা যেন তিনি মাফ করে দেন৷ ইসলাম বান্দাকে এ আদব শিষ্টাচার শিখিয়েছে৷ কোন মানুষের দ্বারা আল্লাহর দীনের যতবড় খিদমতই সম্পন্ন হোক না কেন , তাঁর পথে সে যতই ত্যাগ স্বীকার করুক না এবং তাঁর ইবাদাত ও বন্দেগী করার ব্যাপারে যতই প্রচেষ্টা ও সাধনা চালাক না কেন , তার মনে কখনো এ ধরনের চিন্তার উদয় হওয়া উচিত নয় যে , তার ওপর তার রবের যে হক ছিল তা সে পুরোপুরি আদায় করে দিয়েছে৷ বরং সবসময় তার মনে করা উচিত যে তার হক আদায় করার ব্যাপারে যেসব দোষ-ত্রুটি সে করেছে তা মাফ করে দিয়ে যেন তিনি তার এ নগণ্য খেদমত কবুল করে নেন৷ এ আদব ও শিষ্টাচার শেখানো হয়েছে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে৷ অথচ তাঁর চেয়ে বেশী আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও সাধনাকারী আর কোন মানুষের কথা কল্পনাই করা যেতে পারে না৷ তাহলে এ ক্ষেত্রে অন্য কোন মানুষের পক্ষে তার নিজের আমলকে বড় মনে করার অবকাশ কোথায় ? আল্লাহর যে অধিকার তার ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল তা সে আদায় করে দিয়েছে এ অহংকার মত্ত হওয়ার কোন সুযোগই কি তার থাকে ? কোন সৃষ্টি আল্লাহর হক আদায় করতে সক্ষম হবে , এ ক্ষমতাই তার নেই৷ মহান আল্লাহর এ ফরমান মুসলমানদের এ শিক্ষা দিয়ে আসছে যে , নিজের কোন ইবাদাত , আধ্যাত্মিক সাধনা ও দীনি খেদমতকে বড় জিনিস মনে না করে নিজের সমগ্র প্রাণশক্তি আল্লাহর পথে নিয়োজিত ও ব্যয় করার পরও আল্লাহর হক আদায় হয়নি বলে মনে করা উচিত ৷ এভাবে যখনই তারা কোন বিজয় লাভে সমর্থ হবে তখনই এ বিজয়কে নিজেদের কোন কৃতিত্বের নয় বরং মহান আল্লাহর অনুগ্রহের ফল মনে করবে৷ এ জন্য গর্ব ও অহংকারে মত্ত না হয়ে নিজেদের রবের সামনে দীনতার সাথে মাথা নত করে হামদ , সানা ও তাসবীহ পড়তে এবং তাওবা ও ইসতিগফার করতে থাকবে৷ এখন আপনারাই বিচার করুন, এখানে মাওলানা মওদূদী সাহেব রাসুল (স:) এর মর্যাদা খাটো করে কোন বাক্যটি উচ্চারন করেছেন?? এসব মিথ্যা অপবাদের শেষ কোথায়! আরো যেসব মিথ্যারোপ করা হয়েছে পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে তার দাতভাঙ্গা জবাব দিয়ে যাব। আল্লাহপাক এসব মিথ্যারোপকারীদের হেদায়েত দান করুক, আমীন। Courtesi: Ziaul Haque Munna
Posted on: Wed, 04 Dec 2013 14:38:54 +0000

Trending Topics



style="min-height:30px;">
Weather Update 4:30pm: Isolated chance of a pop-up shower or
For a 6th consecutive year, Frantz Design Haitian Movie Award
-Out-friends-at-Brucar-are-driving-us-topic-633500063337910">Life isnt always about suits. Out friends at Brucar are driving us

Recently Viewed Topics




© 2015