জাস্টিস ডিলেইড জাস্টিস - TopicsExpress



          

জাস্টিস ডিলেইড জাস্টিস ডিনাইড মুহম্মদ শফিকুর রহমান বেশ ক’দিন দেশে ছিলাম না, তাই দু’সপ্তাহ লিখতে পারিনি। সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মূল বিষয় ১৫ ও ২১ আগস্টে যাওয়ার আগে ওই দু’সপ্তাহের ওপর কিছু আলোকপাত করতে চাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলাম। এই প্রথম। সেখানকার পেনসিলভিনিয়া অঙ্গরাজ্যের পিটসবার্গ শহরের ডুকেইন ইউনিভার্সিটিতে ফার্মাকোলজি নিয়ে গবেষণারত কন্যা ও কন্যাজামাতাকে দেখার জন্য। যাওয়া-আসার পথে ২+২=৪দিন বাদ দিলে ১০ দিন ছিলাম এবং এ সময়ের মধ্যে ২দিন নিউইয়র্ক, ২ দিন ওয়াশিংটন এবং বাকি ক’দিন পিটসবার্গ দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরেছি। লেখার মতো তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করার সুযোগ ছিল না। এটাই স্বাভাবিক। এত বড় একটা দেশের সমাজ জানতে হলে প্রথম একটা বড় সময় সেখানে অবস্থান করা দরকার এবং সফরটি সরকারী হতে হবে। তাই সমাজের গভীরে ভাল-মন্দ বার করতে পারিনি সত্য তবু ভাসা ভাসা যেটুকু অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছি তা সুহৃদ পাঠকের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। এই স্বল্প সময়ে যেটুকু দেখেছি তাতে করে ষাটের দশক থেকে আমরা যে স্লোগান দিয়ে চলেছি “মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস হোক, নিপাত যাক” তা এমনি এমনি দেইনি। এর পেছনে যে কারণ সেদিন ছিল আজও তা একই আছে। বরং আরও বেড়েছে। তার একটা হলো গাজায় জায়নবাদী ইসরাইল কর্তৃক নির্বিচারে বোমা-বিমান হামলায় ফিলিস্তিনীদের হত্যা, বিশেষ করে ৫ দিনের নবজাতক থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের রক্তের ওপর ভাসতে দেখে বা হাতে পায়ে মাথায় রক্তাক্ত ব্যান্ডেজ নিয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরানো শিশুকে দেখে বা শিশু সন্তান কোলে আতঙ্কিত মায়ের নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে প্রাণপণ দৌড়ানোর দৃশ্য দেখেও আমেরিকায় কোন প্রতিক্রিয়া হয়েছে বলে তেমন কোন বড় খবর শোনা যায়নি। কেবল পিটসবার্গ গিয়ে শুনেছি সেখানে ‘জু’দের একটি ছোট গ্রুপ Stop killing in Gaza” লিখে ব্যানার নিয়ে মিছিল করেছিল। সঙ্গে সঙ্গে ‘জু’দের ইসরাইলের পক্ষে পাল্টা মিছিলও বের হয় এবং তা ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক বড়। ওবামা প্রশাসন তো প্রথম থেকেই বলে চলেছে ‘ইসরাইলেরও আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে’। হ্যাঁ প্রত্যেক মানুষেরই Self defense বা আত্মরক্ষার’ অধিকার মৌলিক অধিকার কিন্তু তাতে করে শিশু-নারী তথা মানুষ হত্যার অধিকার জন্মায় না। এখন চলছে গাজা ফিলিস্তিনী নারী-শিশু-বুড়ো হত্যা, মানুষকে ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ। যেমন বাংলাদেশেও ‘আত্মরক্ষার’ নামে জামায়াত-শিবির মানুষের হাত-পা রগ কাটছে; বোমা মেরে আইনজীবী, বিচারক হত্যা করছে, রাজপথে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করছে; পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে বাসে-ট্রেনে-অটোরিক্সায় মানুষ মারছে; হিন্দুদের বাড়ি-ঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট করছে, বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করছে, ধর্ষণ করছে এবং এসব কাজের জন্য আন্তর্জাতিক তথাকথিত ইসলামী সশস্ত্র সংগঠন আল কায়েদা, মুসলিম ব্রাদারহুড, লস্কর-ই-তৈয়বা, তালেবান, আইএস প্রভৃতির আদলে বাংলাদেশ লুজি, হরকতুল মুসলিমীন, হিযবুত তাহরির, ইসলামী সমাজ, মসজিদ সমাজ, পাঠক সমাজ, আনসারুল্লাহ বাংলাভাই ইত্যাদি নামে ডজন ডজন সংগঠন বানাচ্ছে, যারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমাদের স্লোগানের দ্বিতীয় আরেকটি কারণ হল ১৯৭১ সালে আমেরিকা পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। আমাদের স্বাধীনতার পরও আমেরিকার চক্রান্ত থেমে থাকেনি। তৃতীয় বিশ্বের শান্তিকামী দেশে (যেমন এখন ফিলিস্তিনে) দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক শক্তি (বিএনপির মতো ভুয়া দেশপ্রেমিককে জাতীয়তাবাদী নয়) উৎখাত করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ওই সব দেশের তাবৎ সম্পদ লুণ্ঠন করে, দুর্ভিক্ষ লাগিয়ে পচা খাদ্য বিক্রি করে বা যুদ্ধ লাগিয়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ বিক্রি করে, দেশ একটা বানিয়েছে বটে। এদের সরাসরি হস্তক্ষেপে এবং চক্রান্তেই তাদের নিজ দেশের দেশপ্রেমিক জনপ্রিয় নেতা মার্টিন লুথার কিং বা জন এফ কেনেডি নিহত হয়েছেন। বাইরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, মহাত্মা গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী, আলেন্দে, ইয়াসির আরাফাত, সাদাত, বুমেদিন, অধুনা সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাফীকে বাঁচতে দেয়া হয়নি। গত কয়েক বছর ধরে তো ইরাক-আফগানিস্তান, সিরিয়া, ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করে চলেছে। পাকিস্তান নিজের চুলকানিতেই ধ্বংস হচ্ছে। আর ওদিকে তাদের নিজের দেশ গড়ে তুলেছে মনের মতো করে। গোটা আমেরিকাটা যেন পটে আঁকা ছবি। পিটসবার্গ শহরটা আরও সুন্দর। একে বলা হয় most livable city বা খুবই সুন্দর বাসযোগ্য শহর। Justice delayed justice denied - দীর্ঘসূত্রতা বিচারানুষ্ঠানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে- কথাটি দীর্ঘকাল ধরে শুনে আসছি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। তাও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল বলেই। তবে দীর্ঘসূত্রতার কারণে খুনীদের কয়েকজন ফাঁসির দণ্ড মাথায় নিয়ে পালিয়ে থাকতে পারছে আজও। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১০ বছর অতিক্রান্ত হলো বিচার সম্পন্ন করার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অথচ এরই মধ্যে ওঠে এসেছে খালেদা পুত্র তারেকের হাওয়া ভবনে বসে দুই দুইটি বৈঠকে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা হয়। তৎকালীন খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভার সদস্য আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মওলানা তাজুদ্দিন গ্রেনেড সরবরাহ করে। যদ্দুর শোনা যায়, এই তাজউদ্দিনকে পরে খালেদা সরকার পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেন। তার পর বিএনপি এ হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে। এমনকি এমন কথাও বলা হয় শেখ হাসিনা নাকি তার ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাই বিস্ফোরিত হয়েছিল? কিন্তু ডাহা মিথ্যা বলতে গেলে যে কোথাও না কোথাও একটা ভুল করে বসে খালেদা জিয়াও তাই করেছিলেন। একটি ভ্যানিটি ব্যাগে তো ডজনের অধিক গ্রেনেডের (যার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল) সঙ্কুলান হবে না। বরং খালেদা জিয়ার বলা উচিত ছিল ‘বাজারের ব্যাগে করে’ গ্রেনেডগুলো নেয়া হয়েছিল। আজ তো পরিষ্কার হয়ে গেছে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দেখেছি সিলেটে বোমা হামলাসহ সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী ছিল এবং শেখ হাসিনা মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন। যেহেতু জনসভার কর্মসূচী ছিল না তাই ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা মিছিলের উদ্বোধন করবেন। মিছিল বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ থেকে ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা। যথাসময় শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে উপস্থিত হন এবং তার সংক্ষিপ্ত ভাষণের শেষ মুহূর্তে গ্রেনেড হামলা হয়। তখন সমাবেশের চারপাশে প্রচুর সংখ্যক পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় তারা গ্রেনেড হামলাকারীদের ধরার পরিবর্তে অসংখ্য টিয়ারশেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাঁদের পালিয়ে যেতে পথ করে দেয়। টিয়ারে পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ছিল বলে রক্তের মধ্যে ভাসমান আহত কর্মীদেরও হাসপাতালে নিতে বিলম্ব হয়। হামলার পর নেতৃবৃন্দ ঝুঁকি নিয়ে শেখ হাসিনাকে ট্রাক থেকে নামিয়ে জীপে তুলে দেয়ার পরও তাকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো গুলি চালানো হয়। জীপটি বুলেটপ্রুফ ছিল বলে গুলি গাড়ির বডিক্রস করে ভেতরে ঢুকতে পারেনি। কিন্তু বুলেটের দাগগুলো রয়ে যায় এবং আল্লাহর কৃপায় শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও তাঁর এক কানের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুজন কর্মীর কোলে রক্তের মধ্যে ভাসমান দুই পা উড়ে যাওয়া আইভী রহমানের নিথর চাউনির দৃশ্য আজও যখন চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তখন খালেদা জিয়াকে মনে হয় সত্যি সত্যি তিনি মুক্তিযুদ্ধের মাঝে ক্যান্টনমেন্টের ছিলেন কোন জেনারেলের তত্ত্বাবধানে। নইলে আওয়ামী লীগ নিজেরাই গ্রেনেড হামলা করেছে বা জজ মিয়া নাটক সাজাবার মতো হীন এবং হিংস্র মানসিকতা কোন মানুষের হতে পারে না। আজ তো বেরিয়ে এসেছে জড়িতদের নাম। টপ অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে তারেক রহমান, হারিস চৌধুরী (খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব), লুৎফুজ্জামান বাবর (খালেদার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী), মুফতি হান্নান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুজাহিদ, মওলানা তাজউদ্দিন (পাকিস্তান পলাতক), খালেদার ভাগ্নে ও প্রাইভেট সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম ডিউক ও তার ব্রাদার ইন ল’ ডিজিএফআই অফিসার লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম জোয়ারদার, ডিজিএফআই অফিসার মেজর জেনারেল এটিএম আমিন (গ্রেনেড সরবরাহকারী মওলানা তাজউদ্দিনকে জাল পাসপোর্ট দিয়ে বাদল নামে পাকিস্তানে পালাতে ব্যবস্থা করেছিল)। জানা যায়, এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৪৯১ জনকে। এরমধ্যে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ৬১ জনের এবং গত সাড়ে ৫ বছরে আরও ৩৮ মোট ৯৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এ জায়গাটায় তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের চালাকিটা ধরা পড়ে। এখানে বিচারকে দীর্ঘসূত্রতার দিকে ঠেলে দেওয়ার একটা চক্রান্ত চালানো হয়। নইলে একটি মামলায় এত সাক্ষীর কি প্রয়োজন? আইনজীবীরাও এতে অবাক হন। আমরা সাধারণ নাগরিকরা আহত হই, ক্ষুব্ধ হই। অবশ্য ডেইলি স্টারে দেখলাম সাবেক আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু“ এমপি বলেছেন, “ÒThe investigation officer made the mistake by making so many people withness”. বর্তমান আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি বলেছেন, He has recently directed the prosecution to appeal to the court to expedite the proceedings by holding more hearings every week. .... he has also asked the procession to apply to the court for recording the statements of only important witnesses” মামলার প্রধান রাষ্ট্রকৌশলী এ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেছেন, “ The target was to have the trial completed by trial court before August 21 next year. এদের কথায় জাতি আশ্বস্ত হতে পারে। কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা ভাল নয়। অতীতে বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যার মামলা ফবষধু বা দীর্ঘসূত্রতা আমরা দেখেছি। প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তির চক্রান্ত থেমে নেই। চলমান যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনালের প্রসিডিংও আমাদের কোন সুখকর অভিজ্ঞতা দিচ্ছে না। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আমরা বিচারপতিদের বারে বারে বিব্রত হতে দেখেছি। যুদ্ধাপরাধী মামলায় দেখছি এক রাজাকারের বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুদণ্ড দেয়া যাবে না বা অপর আলবদরের ব্লাড প্রেসারের কারণে আদালতে অনুপস্থিত থাকায় রায় দেয়া গেল না- এসব শঙ্কা গ্রেনেড হামলা মামলায়ও নেই বলা যাবে না। এত বড় ঘটনা ঘটল, একজন জাতীয় নেতা আইভী রহমানসহ এত মানুষ নিহত হলেন, গ্রেনেডের স্পিøন্টার শরীরে বইতে বইতে আবদুর রাজ্জাক, মুহম্মদ হানিফের মতো জনপ্রিয় জাতীয় নেতা চলে গেলেন, আরও দুই শতাধিক নেতাকর্মী আজও গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছেন, যাদের অনেকেই নারী, এই মামলায় কেন আইন, বিচার, প্রশাসন, তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট সিরিয়াস হবে না? এ প্রশ্ন কি খুবই অবান্তর? আমরা জানি শেখ হাসিনা মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ ও রাজনৈতিক নেতা statesman, তিনি আহতদের দেখছেন, চিকিৎসার ব্যবস্থাও করছেন, সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকার করে মাসে মাসে সাহায্যে করছেন। কিন্তু এই তিন হাজার টাকায় আজকাল কিছুই হয় না। এটি ২০ থেকে ২৫ হাজার করা দরকার বলে আমাদের আবেদন থাকবে। গ্রেনেড হামলার পর ২২ আগস্ট খালেদা সরকার বিচারপতি জয়নাল আবদীনকে চেয়ারম্যান করে এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল। এই কমিশনটি ছিল খালেদা-নিজামী সরকারের ধামাধরা। Eye Wash. কমিশন একটি রিপোর্ট দিয়ে বলেছিল একটি শক্তিশালী বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত। এই বিদেশী শক্তিকে বিচারপতি জয়নাল আবদীন দৈনিক প্রথম আলোকে (৪ অক্টোবর ২০০৪) বলেছেন, ওই বিদেশী শক্তি ভারত, অর্থাৎ সেদিকে তিনি ইঙ্গিত করেছেন। বিচারপতি জয়নালের তদন্ত রিপোর্ট যে খালেদা সরকারেরই decide রিপোর্ট তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এক বিচারপতি যখন এমন অপকর্ম করেন তখন তাকেও জবাবদিহির আওতায় আনার দরকার। বিচারপতি হলে সব কিছু মাফ তা হতে পারে না। লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক
Posted on: Sat, 23 Aug 2014 04:12:29 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015