জিয়াকে বঙ্গবন্ধুর - TopicsExpress



          

জিয়াকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার কথা জানান অলি অগি্নগর্ভ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এবং সর্বত্র যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার খবর কর্নেল অলি আহমদই জিয়াউর রহমানকে দেন। খোদ জিয়াউর রহমান এবং পরে তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিএনপির অন্যতম নেতা মীর শওকত আলীও ১৯৭৪ সালে এটি নিশ্চিত করেছেন। সেনাবাহিনীতে থাকাকালে কর্নেল অলির বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনের (এসিআর) পঞ্চম পৃষ্ঠায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এখন অবস্থান যা-ই হোক, ২০০৮ সালে প্রকাশিত Revolution : Military Personnel and the War of Liberation in Bangladesh গ্রন্থের ২৫৮ পৃষ্ঠায় অলি আহমদ নিজেই এটি সংযুক্ত করেছেন। এই সংযুক্তির মাধ্যমে তিনি জাতিকে জানাতে চেয়েছেন, কিভাবে বীরত্বের সঙ্গে সে রাতে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। কালের কণ্ঠের হাতে আসা কর্নেল অলির বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, ব্রিগেড কমান্ডার মীর শওকত আলী নিজে বীরবিক্রম অলি আহমদ সম্পর্কে লিখেছেন- He in fact was the first officer who took risk and on his own initiatives informed Gen. Ziaur Rahman regarding declaration of Independence on night 25/26 March 71. যার অর্থ দাঁড়ায়, বস্তুত তিনিই প্রথম কর্মকর্তা যিনি ঝুঁকি নিয়ে নিজ উদ্যোগে একাত্তরের ২৫/২৬ মার্চ রাতে স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়ে জেনারেল জিয়াউর রহমানকে অবহিত করেন। মীর শওকতের এই প্রতিবেদনটি পরবর্তী সিনিয়র অফিসার হিসেবে জিয়াউর রহমান নিজেই সত্যায়িত করেছেন। প্রতিবেদনের ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে জিয়াউর রহমানের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছে, Do you support recommendations। এর পাশেই জিয়াউর রহমান হ্যাঁ সূচক উত্তর (yes) লিখেছেন। তারপর নিজ হাতের লেখায় অলি সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, An extremely loyal officer who is very brave and upright. He is very intelligent and full of initiative (তিনি খুবই অনুগত, সাহসী ও চৌকস অফিসার। তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও উদ্যমী)। জেনারেল জিয়াউর রহমানের নিজ হাতে লেখা ও স্বাক্ষরকৃত এই প্রতিবেদন স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কিত বিএনপির দাবিকে খারিজ করে দেয় বলে মনে করছেন অনেকে। অলি আহমদ তাঁর গ্রন্থে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য জানিয়েছেন। আর তা হলো, ২৬ মার্চ সকাল ১০টার দিকে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্য ও অফিসাররা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করার জন্য শপথ করেন। সৈন্যরা এই বলে শপথ করেন- মাতৃভূমি রক্ষায় আমরা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যুদ্ধ করব এবং শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুগত থাকব। অলির মতে, এই শপথবাক্য পাঠ করান জিয়াউর রহমান। নিজের পিএইচডি থিসিসে (যা পরবর্তী সময়ে গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত) অলি আরো লিখেছেন, ২৬ মার্চ নয়; ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন। তিনি জানিয়েছেন, বেলাল মহম্মদসহ কয়েকজন বেতারকর্মী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে তাঁকেসহ মেজর জিয়াকে অনুরোধ করেন স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারের জন্য। অলি আহমেদ অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার সিদ্দিক সালিকের Witness to Surrender গ্রন্থের সূত্র (reference) দিয়েছেন। কিন্তু এই বইয়ে বিবৃত বঙ্গবন্ধু কর্তৃক (আগে রেকর্ডকৃত) স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদানের বিষয়টি অলি আহমদ তাঁর গ্রন্থের মূল অংশে কোথাও ব্যবহার করেননি। অবশ্য গ্রন্থের পরিশিষ্টে তিনি তা সংযুক্ত করেছেন। তারিক হোসেন খান কালের কণ্ঠ ঢাকা, শনিবার ৩১ মার্চ ২০১২
Posted on: Fri, 14 Nov 2014 06:33:34 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015