জয়নালের আবেদীনের - TopicsExpress



          

জয়নালের আবেদীনের "ক্যাবলা ভাই" নামকরনের ইতিহাস--- টিউশনি লাইফে ছাত্রী পাওয়া মানে ভাগ্যের ব্যাপার। আর সেই ছাত্রী যদি হয় দূর্দান্ত সুন্দরী তাহলে তো কথাই নাই। জয়নাল আবেদীনের টিউশনি লাইফ শুরু হয়েছে তেমনি এক দূর্দান্ত সুন্দরী ছাত্রী দিয়ে। প্রথমদিন ছাত্রী পড়াতে গিয়ে জয়নালের চোখ ছানাবড়া অবস্থা। জয়নাল হা করে ছাত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। সাধারনত দেখা যায় শিক্ষকরা ছাত্র/ছাত্রীর উপর বিরক্ত থাকে। জয়নালের ব্যাপারে ঘটনা পুরোপুরো উলটা। ছাত্রী জয়নালের উপর প্রচন্ড রকম বিরক্ত। তার কেন জানি মনে হচ্ছে এই বুঝি টুপ করে কোন মশা মাছি লোকটার মুখের ভিতর ঢুকে যাবে। - ঐ মিয়া আপনের সমস্যা টা কি? এমন ক্যাবলার মত আমার দিকে চাইয়া আছেন ক্যালা? -- ইয়ে মানে। আপনি কি সবসময় এভাবেই কথা বলেন নাকি আমার সাথেই এভাবে কথা বলছেন? - আল্লাহ! বেডার মাথা দেহি পুরাই আউলাইয়া গেছে। আপনের লগে কি আমার পিরিতের সম্পর্ক নাকি যে আপনের লগে হাইসা হাইসা কথা কমু? -- নাহ মানে আপনি ঢাকাইয়া ভাষায় কথা বলছেন তো। - আপনে আমারে বার বার আপনে আপনে করতাছেন ক্যালা? আমারে কি আপনার বুড়ি মনে অয়? মনে রাখবেন আমার বয়স কিন্তু আঠারো। আপনে আমারে তুমি কইরা ডাকবেন। - আচ্ছা তাই ডাকব। আজ আমি আসি। কালকে আবার আসব। জয়নাল ঘামতে ঘামতে ছাত্রীর বাসা থেকে বের হয়েছে। মানুষের জীবনে অন্ধকার রাত নেমে আসে। কিন্তু জয়নালের জীবনে নেমে এল এক অন্ধকার সন্ধ্যা। মেয়েটার মুখের ভাষা শুনে সে প্রচন্ড আহত হয়েছে। আহা এত সুন্দর একটা মেয়ে কিন্তু কি বিচ্ছিরি করে কথা বলে। তার উপর মেয়েটা তাকে ক্যাবলা বলে ডেকেছে। আচ্ছা তার চেহারা কি আসলেই ক্যাবলার মত? ভাবতেই তার মন খারাপ হয়ে গেল। জয়নাল ঠিক করল এই টিউশনিটা ছেড়ে দিবে। শখের বসে টিউশনি করতে এসে এখন ইজ্জত নিয়ে টানাটানি। আর বেঁচে থাকতে সে কোনদিন টিউশনি করবে না। পরদিন চায়ের দোকানে বন্ধুদের আড্ডায় টিউশনির অভিজ্ঞতা শেয়ার করতেই বুলেটের গতিতে এই ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল। এবং ঐদিনের পর থেকে তার নাম হয়ে গেল “ক্যাবলা ভাই”
Posted on: Mon, 26 Aug 2013 17:59:00 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015