টেকসই উন্নয়নে - TopicsExpress



          

টেকসই উন্নয়নে স্বয়ংসম্পূর্ণ চারটি দেশ Posted by Adib Khondoker on 03 November 2013 under Sustainable Development 5 বিশ্বব্যাপী পরিবেশ ইস্যু গুলো গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ‘Save Green ,Save Environment’ কিংবা ‘গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান’ ইত্যাদি অল্প মূল্যের শ্লোগান গুলো যখন ফিকে হয়ে আসছে তখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার মধ্যেও কিছু দেশ টেকসই উন্নয়নের চেতনা ধারণ করে টেকসই উন্নয়নে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে । এমনকি শুধু উন্নত দেশ নয় বরং একটি উন্নয়নশীল দেশও এর অন্তর্গত । জেনে নিন টেকসই উন্নয়নে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ গুলোর পরিচিতি । টকেলাউ(Tokelau) : অনেকেরই নাম না জানা এই দেশটির কথা শুনে বিস্মিত হবেন। তিনটি প্রবাল দ্বীপ ,১৪০০ জনসংখ্যার এবং মাত্র ১০ বর্গকিমি আয়তনের এই দেশটিই প্রথম সৌর শক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মোট প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ শক্তির প্রায় ১৫০% প্রস্তুত হয় সৌরশক্তি ব্যবহার করে যার জন্য দেশটিতে প্রায় ৪০৩২ সোলার প্যানেল ও ১৩৪৪টি ব্যাটারি ব্যবহার করা হচ্ছে । যা একই সাথে ৯৫০ টন কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে এনেছে ।যদি ৯৫০ টন বিশ্ব স্কেলে আশানুরূপ নয় তবুও সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত দেশটির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মুক্তকরনে বিশ্ব দরবারে তাদের উদাত্ত আহ্বান প্রকাশের একটি উদাহরন । উল্লেখ্য যে পূর্বে জ্বালানির জন্য তেল আমদানি করতে দেশটির প্রায় ৫০০০০০ পাউন্ড খরচ হত যা এককালীন সৌরশক্তি প্যানেল স্থাপনের চেয়ে খরচ কম হলেও সুদুর প্রসারী তেল আমদানির খরচ কমিয়ে এনেছে অনুদানে চলা এই দেশটির । এমনকি পরিবেশ রক্ষায় তাদের কান্ড দেখে অবাক না হয়ে পারা যায় না । যেখানে সৌর শক্তির অপ্রতুলতা থাকে বা ব্যবহার করা যায় না । সেখানে নারিকেল তেল ব্যবহার করা হয় । ক্ষুদ্র এক দেশের এত্ত বড় পৃথিবী বাসযোগ্য রাখার চেতনা সব দেশের জন্যই অনুকরণীয় । লাতভিয়া(Latvia): Yale Environmental performance Index অনুযায়ী বিশ্বের দ্বিতীয় সবুজ সমারোহের দেশ এটি। ১৬০০ শতাব্দী থেকে দেশটিতে খুব শক্ত পরিবেশ আইন প্রচলিত যা কিনা বাংলাদেশে বিংশ শতাব্দীর শুরুতে পরিকল্পনা করা হয়েছে । বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও গ্রীন হাউস গ্যাস হ্রাস করার উদ্দেশ্যে দেশটিতে ৩৫০০ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে বন রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে কার্বন কে বেঁধে রাখার দায়িত্ব পালন করছে। শুধু তাই নয় যে বন্যপ্রাণীটি সমগ্র ইউরোপ থেকে বিলীন হয়ে গেছে তা শুধুমাত্র লাতভিয়াতে পাওয়া যায় তাদের সঠিক বন সংরক্ষণের কারণে ।লাতভিয়ার রাজধানী রিগা ইউরোপের অন্যতম পরিষ্কার শহর । সিঙ্গাপুর(Singapore): এশীয় দেশগুলো যদিও টেকসই উন্নয়নে তেমন প্রশংসার দাবি রাখতে পারেনি ।বিশেষ করে ভারত, চীন, জাপান সহ ইত্যাদি শিল্পসফল দেশগুলো ।তা সত্ত্বেও সিঙ্গাপুর এর ব্যতিক্রম ।৬৮২ বর্গকিমি এর এই দেশে পরিবেশ আইন অত্যন্ত কঠোর। পরিবেশ পরিকরল্পনার দিক গুলো যেমন পানি,বায়ু ব্যাবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে দেশটি অনেক যত্নবান ।এছাড়া রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং এর নামে সমস্ত বৃষ্টির পানি ধরে রাখে তারা । সুইডেন(Sweden): পরের দেশটির নাম সুইডেন যারা Robecosam’s 2013 sustainability report এ অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছে টেকসই উন্নয়নে ভুমিকা রাখার জন্য । এক্ষেত্রে রবেস্কাম যে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করে তা হল পরিবেশ আইন,নীতি,জ্বালানি শক্তির উৎস, ব্যবহার, পরিবেশ ঝুঁকিতে দেশটির সংবেদনশীলতা । সুইডেন কার্বন নিঃসরণ ও জ্বালানির ব্যবহারের বিশয়ে খুবই সচেতন ।এমনকি মলমো শহরে প্রায় তিন লাখ যানবাহন বিকল্প জ্বালানি হিসেবে বায়োফুয়েল, সৌরশক্তি ইত্যাদি ব্যবহার করছে । টেকসই উন্নয়ন সাড়া বিশ্বব্যাপী একটি মৌলিক চাহিদার নাম ।যার কোন দেশগত সীমানা নেই ।তবুও অর্থনীতির দোহাই দিয়ে প্রকৃতির প্রতি বিরুপ আচরন আমাদের ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যে ক্যান্সারসম সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে তাঁর উন্নয়নের জন্য আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে ।উপরের দেশ গুলো থেকে আমাদের শিক্ষণীয় অনেক কিছুই আছে । যা আমাদেরকে বেঁচে থাকার সুস্থ ও বাসযোগ্য দেশই নয় একটি আদর্শ ও টেকসই পৃথিবী দিতে পারে ।
Posted on: Thu, 30 Jan 2014 15:19:01 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015