ডিপ্লোমা ইনজিনিয়ারদের - TopicsExpress



          

ডিপ্লোমা ইনজিনিয়ারদের অবহেলার ইতিহাস। ডিপ্লোমা ইনজিনিয়ারগণ পাকিস্থান আমল থেকে অবহেলিত। এই দেশে ইস্ট পাকিস্থান টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ড স্থাপিত হয়েছে ১৯৫৩ সালে।তখন সমগ্র পাকিস্থানে মাত্র ২ টি পলিটেকনিক স্থাপিত হয়। একটিদ ঢাকার তেজগাও তে।অন্যটি পশ্চিম পাকিস্থানের করাচীতে।তখন ডিপ্লোমা ইন ইনজিনিয়ারিং কোর্স ছিল তিন বছরের।তখন ডিপ্লোমা ইন ইনজিনিয়ারিং এর টেকনোলজী ভিত্তিক কারিকুলাম ও সিলেবাস প্রণীত হতো যুক্তরাস্ট্রের বিখ্যাত ওকালহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকরনে।তখন ডিপ্লোমা ইন ইনজিনিয়ারিং একটি কোর্স এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।এর কোন শিক্ষাগত মান ছিলনা।1965 সালে প্রবল আন্দোলনের মুখে তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইনজিনিয়ারিং কে এইচ এস সি(সাইন্স) এর সমান মান দেয়া হয়।তাদের জন্য দুই বছর মেয়াদি বি এস সি ইনজিনিয়ারিং কোর্স চালু হয় দেশের সরকারি ইনজিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে।কিন্তু অত্যাচারী,জালিম,বংশপরিচয়হীন বি এস সি ইনজিনিয়ারদের তা সহ্য হলোনা। তারা এর বিরুদ্ধে সরকারের কাছে আবেদন জানায়। সরকার কুচক্রি বি এস সি ইনজিনিয়ারদের দাবি মেনে নেয়।এর ফলে আমরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ হারিয়ে ফেলি।এর পর ১৯৯৪ সালে ডিপ্লোমা ইনজিনিয়ারদের জন্য আলাদা কলেজ স্থাপন করা হয়।এখন তা ডুয়েট নামে পরিচিত। ১৯৯৯ সালে পলিটেকনিক ছাত্ররা ডিপ্লোম ইন ইনজিনিয়ারিং কে ডিগ্রি ও চারবছর করার দাবি জানায়।এর পক্ষে ব্যাপক আন্দোলন হয়।আন্দোলনের চাপে তখনকার সরকার ডিপ্লোমা ইন ইনজিনিয়ারিং কে ২০০০ সাল থেকে চার বছর মেয়াদি করে।সরকার এই কোর্স কে চার বছর মেয়াদি করলেও আমাদের ডিগ্রি/অনার্স এর মান দেয়নি।কিন্তু কেন?আমরা তো চারবছরেডিগ্রী/অনার্স এর সমান পড়াশোনা করি।কিন্তু এর পরেও আমাদের এইচ এস সি এর সমান মান দেয়া হয়।কিন্তু কেন?আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে আমাদের মান কীভাবে এইচ এস সি এর সমান। তাহলে আপনি যেকোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যান তারা আপনাকে একটা ভর্তি তথ্য বিবরণী দিবে।সেখানে লেখা থাকবে অনার্স/ ডিগ্রি কোর্সে ভর্তির সর্বনিম্নযোগ্যতা এইচ এস সি/এইচ এস সি(বি এম)/এইচ এস সি( ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন ইনজিনিয়ারিং/ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার/ডিপ্লোমা ইন কমার্স।তাহলে বুঝতে পারছেন যে ডিপ্লোমা এর মান এইচ এস সি এর সমান।কিছু দালাল ধরণের লোক বলে থাকে যে ডিপ্লোমা এর মান কর্মক্ষেত্রে ডিগ্রি এর সমান।আমি তাদের বলছি। ডিপ্লোমা ইনজিনিয়াররা যদি ডিগ্রি এর সমান হতো তাহলে ডিপ্লোমা ইনজিনিয়াররা সরাসরি বি সি এস পরীক্ষা দিতে পারে না কেন?কেন ডিপ্লোমা ইনজিনিয়ারদের অতিরিক্ত ৫ বছর পড়া লাগে। এবার কথা বলছি ডিপ্লোমা ইনজিনিয়ারদের চাকুরীর প্রসংগে।প্রথমত আসা যাক পুলিশ বাহিনীর কথায়।থানায় তিন পদবীর পুলিশ থাকে।১ ইন্সপেক্টর ২ সাব ইন্সপেক্টর ৩ কনস্টেবল।ইন্সপেক্টর এর শিক্ষাগত যোগ্যতা মাস্টার্স।সাব ইন্সপেক্টরের ডিগ্রি/ অনার্স।ও কনস্টেবল এস এস সি/এইচ এস সি/ডিপ্লোমা ইন ইনজিনিয়ারিং/ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার। ইন্সপেক্টর প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা।সাব ইন্সপেক্টর দ্বিতীয় শ্রেণী এবং কনস্টেবল ৩য় শ্রেণীর।এবার আসা যাক সরকারি অফিসের চাকুরী প্রসংগে। বাংলাদেশে পানি উন্নয়ন বোর্ড,পল্লী উন্নয়ন বোর্ড,বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড এ শর্তসাপেক্ষে ডিপ্লোমা ইনজিনিয়ার অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়ে পরে বিবেচনার মাধ্যমে চাকুরী স্থায়ীকরণ করা হয়।তারা শর্ত দেয় যে ডিপ্লোমা ইনজিনিয়ারের কমপক্ষে ১২ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।অথচ একজন এইচ এস সি পাশ করা একজন ক্যাশিয়ার মাত্র দশবছর ওই দফতরে কাজ করে দশ বছরের মাথায় প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হয়ে যায়। অথচ একজন ডিপ্লোমা ইনজিনিয়ার পড়াশোনা শেষ হওয়ার পরে আরও ১২ বছর একশিক্ষানবিশ ইনজিনিয়ার হিসাবে কাজ করার পরে ওই দফতরে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দান করতে পারবেন।এখানে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছেসদ্য ডিপ্লোমা পাস করে রাতারাতি ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হওয়া যায়না।এজন্য অনেক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।কয়েকটি হাতে গোনা সরকারি অফিস আমাদের ২য় শ্রেণীর সম্মান দিলেও অধিকাংশ সরকারি বেসরকারি কোম্পানি আমাদের ডিপ্লোমা ইন ইনজিনিয়ারিং কে শিক্ষাগত দিক দিয়ে এইচ এস সি এর সমাম ধরে আমাদের ৩য় শ্রেণীর সম্মান দেয়।বহু বছরের অভিজ্ঞতার হলে আমাদের ২য় ও১ম শ্রেণীর কর্মকর্তার সমমান দেয়।তাই সরকারের উচিত ডিপ্লোমা ইন ইনজিনিয়ারিং কে ডিগ্রি/ অনার্স সমমান করা। এর পক্ষে ২০০১ সালে আন্দোলন হয়েছিল।কিন্তু একতার অভাবে আন্দোলন ব্যার্থ হয়। ১৯৯৯,২০০০,২০০১ সালে যারা ডিপ্লোমা পাস করেছে তাদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন। এখন আপনারা আন্দোলন করে ডিপ্লোমা ইন ইনজিনিয়ারিং কে ডিগ্রি/অনার্স এর সমমান করেন। Akib
Posted on: Tue, 16 Sep 2014 14:52:08 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015