দক্ষিণ তালপট্টি - TopicsExpress



          

দক্ষিণ তালপট্টি বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে এ দ্বীপ ভারতের মালিকানায় চলে গেছে। জনপ্রিয় গুগল আর্থেও দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের অস্তিত্ব রয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। ২০১০ সাল পর্যন্ত এ দ্বীপের অস্তিত্বের কথা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আলোচিত হয়। সার্ভে অব ইন্ডিয়াও এ দ্বীপ বাংলাদেশকে হস্তান্তরের জন্য ১৯৯৬ সালে এ দ্বীপে জরিপকার্য চালায়। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী আই কে গুজরাল সরকার ১৯৯৭ সালের শেষ দিকে কীভাবে তালপট্টি বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা হবে এ নিয়ে সরকারের মধ্যে আলোচনা করে। ১৯৮০ সালে এ দ্বীপ দখল করে ভারত সেখানে সীমান্তরক্ষীদের ঘাঁটি গেড়েছিল। পরে বাংলাদেশের আপত্তির মুখে দক্ষিণ তালপট্টি থেকে সেনা সরিয়ে নেয়। এরপর আলোচনা করে। সাম্প্রতিককালে ভারত বিভিন্নভাবে এ দ্বীপকে ভেঙে দেবার চেষ্টার অভিযোগের কথাও বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বলেছেন, সমুদ্রে তালপট্টি দ্বীপের কোনো অস্তিত্ব নেই। তবে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ বলছেন, দক্ষিণ তালপট্টি আমাদের সার্বভোম অংশ। সরকারের অনীহায় এটা হাতছাড়া হয়েছে। এছাড়া বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার এলাকার পুরোটাই বাংলাদেশের ছিল। আন্তর্জাতিক সালিশী আদালতের রায়ের মাধ্যমে ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার ভারতকে ছেড়ে দেয়ায় বাংলাদেশের স্থলসীমানা সাড়ে চার কিলোমিটার পূর্বদিকে সরে এসেছে। এতে বাংলাদেশের স্থলসীমানার আয়তনও কমে গেছে। ২০১০ সালের ২৪ মার্চ এসোসিয়েট প্রেসের ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন পত্রিকা ডেইলি নিউজ। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরোধপূর্ণ সুন্দরবনের এ দ্বীপটি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ডুবে যাচ্ছে। এতে বলা হয় ভারতে দ্বীপটিতে ১৯৮১ সালে আধা-সামরিক বাহিনীর সৈন্য প্রেরণ করে তার পতাকা উত্তোলন করে। সংবাদের লিঙ্কটি হলো,nydailynews/news/world/global-warming-resolves-30-year-land-dispute-india-bangladesh-coveted-island-sinks-article-1.164043 এছাড়া ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর ইউসি সান্তা বারবারার ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশের বিস্তীর্ন এলাকা ডুবে যাবে এমন তথ্য দিয়ে সেখানে দক্ণি তালপট্টির ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। লিঙ্কটি হলো,geog.ucsb.edu/events/department-news/1126/to-be-or-not-to-be-the-pacific-ocean-loses-an-island-it-never-had/ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্রসীমা ইউনিটের সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম জানান, তিনি দক্ষিণ তালপট্টির জন্য লড়াই করেছেন। তিনি বলেন, ১৯৮০ সালে আমি নৌবাহিনীর লে. কমান্ডার ছিলাম। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে আমি ১৩০ টনের একটি গানবোট নিয়ে গিয়েছিলাম। অন্যদিকে ভারত পাঠিয়েছিল এক হাজার ১০০ টনের চারটি জাহাজ। খুরশেদ আলম বলেন, আমরা দ্বীপের প্রায় আধা মাইল কাছাকাছি গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের আগেই ভারত সেখানে অবতরণ করেছিল। ভারত সেখানে তাদের পতাকা উড়িয়েছিল। ঘর তুলেছিল। গাড়ী এনেছিল। আমাদের সাথে বেতারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। কোনো গোলা বিনিময় হয়নি। ১৯৯৭ সালের ৩রা জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার ‘তালপট্টি সমস্যার সমাধান আসন্ন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “তালপট্টি নিয়ে সার্ভে অব ইন্ডিয়ার ১৯৯৬ সালে চালানো এক জরিপের পর সরকারকে জানানো হয় ‘দক্ষিণ তালপট্টি বাংলাদেশের অংশ। প্রধানমন্ত্রী আই কে গুজরাল সরকারের ভেতরে এমন আলোচনাও হয় কীভাবে তালপট্টি বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা হবে। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয় ১৯৯৭ সালের শেষ দিকে তালপট্টি হস্তান্তরের আগে আরেকটি দ্বিপাক্ষিক জরিপ চালানো হবে।” ১৯৮০ সালের ২০ আগস্ট বাংলাদেশ টাইমস পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত মরহুম রিয়ার এডমিরাল এম এইচ খানের তালপট্টির মালিকানা সংক্রান্ত বক্তব্যের অনুবাদ এ রকম : “দক্ষিণ তালপট্টি আমাদের : এম এইচ খান”। প্রতিবেদনে বলা হয় সাবেক উপ-সামরিক আইন প্রশাসক ও চিফ অব নাভাল স্টাফ রিয়ার এডমিরাল (অব.) এম এইচ খান মঙ্গলবার বলেন, ‘দক্ষিণ তালপট্টি বাংলাদেশের, কারণ ওটা হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর পূর্বদিকে অবস্থিত।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘সরকার আমাদের প্রতিপক্ষকে সুযোগ করে দিচ্ছে তারা যেন আমাদেরকে কৌশলগতভাবে হারিয়ে আমাদের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করতে পারে।’ তালপট্টি আমাদেরই, এতে কোনো জরিপের দরকার নেই।’
Posted on: Fri, 11 Jul 2014 13:22:55 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015