ধোঁকার দুনিয়ায় গা - TopicsExpress



          

ধোঁকার দুনিয়ায় গা বাঁচিয়ে চলার উপায়ঃ ১। সোজা কথা, মা- বাবা ছাড়া কাউকেই শতভাগ বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু কাউকে বুঝতে দেবেন না যে, আপনি তাকে বিশ্বাস করেন না। যদি ধরা খান তাহলে মনোমালিন্য হবার সভাবনা শতভাগ। ২। কাউকে একবার যদি সন্দেহ হয় তাহলে সাথে সাথেই তার সাথে এই ব্যাপারে সরাসরি জিজ্ঞাসা করুন, উত্তর সন্তুোসজনক হলে ভুলে যান। যদি দুইবার সন্দেহ হয় তাহলে কোন কথা ছাড়া সত্যতা যাচাই করুন। কারন মানুষ বড়ই বিস্ময়কর প্রাণী, তাকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দিলে মাথায় উঠে হিসু করবেই। সবসময় মনে রাখবেন, জীবন কিন্তু সবাইকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয়না তবে যারা পায় তারা খুব ভাগ্যবান হয়। ৩। কোন কাজ করার আগে আপনার নীতি- নৈতিকতার জ্ঞান দিয়ে ভাবুন। নিজের আদর্শের বাইরে কারো অনুরোধে কখনোই কিছু করতে যাবেন না। নিজের পারসোনালিটি বজায় রাখবেন। ৪। লোকে কি ভাববে এই বলে বারবার আপনার ইচ্ছাকে কখনোই গলা টিপে মারবেন না। একটা ব্যাপার চিন্তা করে দেখুন, জীবনের অর্ধেক সময়ই কিন্তু আপনি তারা কি ভাববে সেই কথা ভাবতে ভাবতে পার করতে পারেন না। জীবন একটাই। নিজের ব্যাসার্ধের মধ্যে থেকে স্বাধীনতার সুখ নিন। ৫। আপনার ভালবাসার মানুষকে যদি সন্দেহ হয় এবং যাচাই করে যদি ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান তাহলে তাকে কিছুই জানাবেন না, জিজ্ঞেসও করবেন না। কিছুদিন বুঝতে দেবেন না আপনি তাকে আর বিশ্বাস করেন না, এমন ভাবে থাকবেন যে আপনি তাকে ছাড়া অচল। এই সময়ের মধ্যে আপনি সমস্ত প্রমান সংগ্রহ করতে থাকুন, আর তার নোংরামির কথাগুলো ভেবে তাকে ছাড়ার জন্য নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন। তারপর সময় সুযোগ বুঝে তাকে আকাশের উপর তুলে সোজা মাটিতে নামিয়ে ফেলুন। সে ব্যাপক শকড হবে। শুধরেও যেতে পারে কিন্তু ঐযে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়ার ভুল করবেন না। ৬। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বেশী ফালাফালি করবেন না। যাকে আপনার সবচাইতে ভাল বন্ধু মনে হয় তাকে এই কথা কখনো জানাবেন না। বন্ধু- বান্ধবের সংখ্যা সীমিত রাখুন। আর নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করে কোনভাবেই বন্ধুর সাথে আড্ডা দিতে যাবেন না। ৭। যে আপনার আবেগ- অনুভূতি নিয়ে উপহাস করে তার থেকে দূরে থাকুন সম্ভব হলে লাইফ থেকে ব্লক করে দিন। যে আপনার অনুভূতি বুঝেনা তাকে আপনার বুঝার দরকার নাই। ৮। প্রথম পরিচয়ে কাউকে ভাললাগতে পারে, তার মানে এই না যে এটাকে চরম বিশ্বাসে পরিনত করবেন। সবার আগে ভাববেন তাকে আপনার কি কাজে লাগানো যায়, তার সাথে আপনার সম্পর্কে কতটুকু উপকার হবে। তাকে ব্যাবহার করবেন কিন্তু অবশ্যই তার ক্ষতি করে নয়। আপনি যেমন উপকৃত হবেন তেমনি চেষ্টা করবেন তারও উপকার করতে। সবসময় একতরফা আপনি দিয়ে যাবেন না, সম্পর্কে ব্যাল্যান্স রাখা জরুরি। নাহলে সেই আপনাকে নোংরাভাবে ব্যাবহার করতে পিছপা হবেনা। ৯। বড়লোক হলে উদার হবার চেষ্টা করুন। মধ্যবিত্ত হলে যেসব পাবলিক ফুটানি দেখায় তাদের এড়িয়ে চলুন। একদম পাত্তা দিবেন না। একটা কথা মনে রাখবেন, সে আপনার টাকায় চলেনা কিংবা আপনি তার টাকায় চলেন না। সো নো হাঙ্কি পাঙ্কি। তোর ভাব তোর লগে আমার ভাব আমার লগে। নিম্নবিত্তের কথা নাহয় নাইবা বললাম। ১০। কারো জন্য কিছু করার আগে ভাবুন, আপনি যার জন্য গলা পর্যন্ত নামছেন সে আপনার জন্য মিনিমাম হাঁটু পর্যন্ত নামতে রাজি আছে কিনা। যদি দেখেন যে সমীকরণ মিলছে না, তাহলে আর আগাবেন না। ১১। না বলতে শিখুন। সবাই না বলতে পারেনা। এটা অনেক বড় গুন। কিছু মানুষ আছে যারা কাউকে সরাসরি না বলতে পারেনা। বাধ্য হয়েই অনেক সময় কিছু কাজ করতে হয়। খবরদার সবার সব কথায় কখনোই রাজি হবেন না। হলে আপনার দাম কমে যাবে। নিজের মূল্য বুঝতে শিখুন। ১২। নিজের গোপন কথা কাউকেই বলবেন না। সম্ভবত, হযরত আলী (রঃ) একটা কথা বলেছিলেন,যতক্ষণ তুমি কাউকে তোমার গোপন কথা বলছনা ততক্ষন সে তোমার কাছে বন্দী। যখনি তুমি তাকে সেই কথা বলে দিয়েছ তখনি তুমি তার কাছে বন্দী হয়ে গেলে। সো, খুব খিয়াল করবেন। ১৩। সবচাইতে, জরুরি নিজের উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখুন। লাইফে ধরা খাবেন, কিন্তু হার মানবেন না। তবে জীবনে বড় হওয়ার জন্য কিছু ছোটখাটো কিছু ব্যাপার এড়িয়ে যেতে হয়। দেরিতে হলেও জয় আপনার হবেই। ১৪। সবার আগে অবশ্যই নিজ নিজ ধর্মের অনুশাসন মেনে চলুন। পুনশ্চঃ মা- বাবা ছাড়া কাউকেই শতভাগ বিশ্বাস করবেন না।
Posted on: Thu, 11 Dec 2014 10:02:19 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015