নোবেল বিজয়ী - TopicsExpress



          

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদগণ এবং অর্থনীতিতে তাদের অবদান(১৯৬৯-২০১৩) শাস্ত্র হিসাবে অর্থনীতির জন্ম বেশী দিন আগে নয়। ১৭৭৬ সালে এ্যাডাম স্মিথের “An Inquiry into the Nature and Causes of the Wealth of Nations” রচনার মাধ্যমে অর্থনীতি শাস্ত্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। আর নোবেল পুরস্কার ১৯০১ সালে প্রবর্তন করা হলেও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার চালু করা হয় ১৯৬৯ সালে। এখন আমরা দেখার চেষ্টা করবো,কারা অর্থনীতিতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার পেলেন এবং কোন অবদানের জন্য পেলেন। ১৯৬৯ সালে- রাগ্নার ফ্রিশ(Ragnar Frisch),ইয়ান টিনবার্গেন(Jan Tinberjen) গবেষণার বিষয়: অর্থনৈতিক পদ্ধতিসমূহ এর বিশ্লেষণের জন্য, গতিশীল নকশা প্রণয়ন এবং এর উন্নয়ন। ১৯৭০ সালে-পল,এ স্যামুয়েলসন(Paul A. Simuelson) গবেষণার বিষয়: অর্থনীতির স্থিতিয় ও গতীয় তত্ত্ব উন্নয়নে বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম এবং অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে গবেষণা পর্যায়কে উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখার জন্য। ১৯৭১ সালে-সাইমন কুজ্নেত্স(Simon kuznets) গবেষণার বিষয়: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর তাঁর পর্যবেক্ষনমুলক ব্যাখ্যার জন্য যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামো এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নতুন ও অন্তর্নিহিত তাৎপর্য প্রকাশ করে। ১৯৭২ সালে-জন হিক্স(Jhon Hick),কেনেথ এরো(Kenneth arrow) গবেষণার বিষয়: সাধারণ অর্থনৈতিক ভারসাম্য তত্ত্ব ও কল্যাণ তত্ত্বে তাঁদের প্রাথমিক অবদানের জন্য। ১৯৭৩ সালে-ওয়াসিলি লেওন্তিয়েফ(W.W. Leontief) গবেষণার বিষয়: ইনপুট-আউটপুট মডেল উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সমস্যায় তা প্রয়োগের জন্য। ১৯৭৪ সালে-গুনার মিরদাল(Gunnar Myrdal),ফ্রিড্রিখ হায়েক(Friedrick Hayek) গবেষণার বিষয়: মুদ্রা তত্ত্ব ও অর্থনৈতিক উত্থান-পতন বিষয়ে তাঁদের প্রারম্ভিক ব্যাখ্যা এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বিষয়ে তাঁদের অনুসন্ধানমুলক গবেষণার জন্য। ১৯৭৫ সালে-লিওনিদ কান্তোরোভিচ(Leonid Kantorovich),টিয়ালিং কুপ্মান্স( Tjalling Koopmans) গবেষণার বিষয়: সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টনের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠায় তাঁদের অংশগ্রহণের জন্য। ১৯৭৬ সালে-মিল্টন ফ্রিড্ম্যান(Milton friedman) গবেষণার বিষয়: ভোগ বিশ্লেষণ, আর্থিক ইতিহাস ও তত্ত্ব ক্ষেত্রে তাঁর সাফল্য এবং স্থায়ী নীতির জটিলতায় ব্যাখ্যা প্রদর্শনের জন্য। ১৯৭৭ সালে-বের্টিল ওলিন(Bertil Ohlin),জেমস মীড(James meade) গবেষণার বিষয়: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ প্রবাহের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠায় তাঁদের নিরলস অবদানের জন্য। ১৯৭৮ সালে-হার্বার্ট সাইমন(Harbert Simon ) গবেষণার বিষয়: অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের গবেষণার জন্য। ১৯৭৯ সালে-থিওডোর শুল্ট্স(Theodore Schultz),আর্থার লিউইস( Arthur Luwis) গবেষণার বিষয়: উন্নয়নশীল দেশের সমস্যার বিশেষ বিবেচনার সহিৎ অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিশ্লেষনের সম্পর্ক নিয়ে তাঁদের গবেষণার জন্য। ১৯৮০ সালে-লরেন্স ক্লাইন(Lawrence klein) গবেষণার বিষয়: ইকোনোমেট্রিক্স মডেল তৈরি এবং অর্থনৈতিক সমস্যা ও অর্থনৈতিক নীতিমালা বিশ্লেষণের ব্যবহারের জন্য। ১৯৮১সালে-জেমস টোবিন(James TObin) গবেষণার বিষয়: আর্থিক বাজার এবং ব্যয় সিদ্ধান্ত, নিয়োগ, উৎপাদন ও মূল্যের বিশ্লেষনের জন্য। ১৯৮২ সালে-জর্জ স্টিগ্লার(George Stigler) গবেষণার বিষয়: শিল্প অবকাঠামো, বাজার কার্যক্রম এবং সরকারি আইনের কারণ ও প্রভাব নিয়ে আলোচনার জন্য। ১৯৮৩ সালে-জেরার্ড দেব্রু( Gerard Debreu) গবেষণার বিষয়: অর্থনৈতিক তত্ত্বে নতুন বিশ্লেষণ পদ্ধতি সুসজ্জিতকরণ এবং সাধারণ ভারসাম্য তত্ত্বের তাঁর পুনঃসূত্রীকরণের জন্য। ১৯৮৪ সালে- রিচার্ড স্টোন(Richard stone) গবেষণার বিষয়: জাতীয় হিসাব প্রক্রিয়া উন্নয়নে তাঁর মৌলিক অবদান এবং পরীক্ষামূলক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের ভিত্তি উন্নয়নে বিশাল অবদানের জন্য। ১৯৮৫ সালে-ফ্রাংকো মোদিগ্লিয়ানি(Franco Modigliani) গবেষণার বিষয়: সঞ্চয় ও আর্থিক বাজার নিয়ে তাঁর সুচনামুলক বিশ্লেষণের জন্য। ১৮৮৬ সালে- জেমস বিউকানান জুনিয়র(James Buchanan junior) গবেষণার বিষয়:অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের তত্ত্বের ভিত্তি হিসেবে তাঁর চুক্তিভিত্তিক ও সাংবিধানিক উন্নয়নের জন্য। ১৯৮৭ সালে- রবার্ট সলো(Robert solow) গবেষণার বিষয়: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তত্ত্বে তাঁর অবদানের জন্য। ১৯৮৮ সালে- মরিস আলে(Maurice Allais) গবেষণার বিষয়: বাজার ও সম্পদের উপযোগিতা তত্ত্বে তাঁর সূচনামুলক অবদানের জন্য। ১৯৮৯ সালে- ট্রিগভে হাভেরমো (Trigve Haavelmo) গবেষণার বিষয়: ইকোনোমেট্রিক্স অবকাঠামোতে সম্ভাবনা তত্ত্ব ও সমপ্রবাহ অর্থনৈতিক গঠনের স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য। ১৯৯০ সালে-হ্যারি মার্কোউইট্স(Harry markowitz),মার্টন মিলার(Merton miller),উইলিয়াম শার্প(William sharpe) গবেষণার বিষয়: রাজস্ব অর্থনীতি তত্ত্বে অধিমৌলিক অবদানের জন্য। ১৯৯১ সালে-রোনাল্ড কোজ(Ronald coase) গবেষণার বিষয়: প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের জন্য হস্তান্তর ব্যয় ও সম্পত্তির অধিকার মূল বিষয়বস্তু ধরে তাঁর আবিস্কার ও স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য। ১৯৯২ সালে-গ্যারি বেকার(Gary becker) গবেষণার বিষয়: সামষ্টিক অর্থনীতির বিশ্লেষণের ধারাকে মানব আচরণ এবং প্রতিক্রিয়া (অবাজার আচরণ সহ ) কে বৃহৎ পরিসরে বর্ধিত আলোচনার জন্য। ১৯৯৩ সালে- রবার্ট ফোগেল(Robert Fogel),ডগলাস নর্থ(Douglas North) গবেষণার বিষয়:অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাখ্যার পরিবর্তনের জন্য অর্থনৈতিক তত্ত্ব ও পরিমাণ গত পদ্ধতি ব্যবহার অর্থনৈতিক ইতিহাসে নতুন গবেষণার জন্য। ১৯৯৪ সালে- জন হার্সান্ইয়ি(Jhon Harsanayi),জন ফর্ব্স ন্যাশ(Jhon Fobes Nash),রাইনহার্ড সেল্টেন(Reinhard Selten) গবেষণার বিষয়: অ-যৌথ ক্রীড়া তত্ত্বে ভারসাম্য বিশ্লেষণের সূচনামুলক আলোচনার জন্য। ১৯৯৫ সালে- রবার্ট লুকাস(Robert Lucas) গবেষণার বিষয়:যৌক্তিক প্রত্যাশা অনুসিদ্ধান্ত উন্নয়ন ও প্রয়োগ এবং এতে সামষ্টিক অর্থনীতি বিশ্লেষণকে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং অর্থনৈতিক নীতিমালার অনুধাবনের লক্ষ্যে গভীর পর্যবেক্ষণের জন্য। ১৯৯৬ সালে- জেমস মের্লিস(James Mirrlees), উইলিয়াম ভিক্রে(William Vickray) গবেষণার বিষয়: অর্থনীতিতে অসমানুপাত তথ্যের সুবিধা তত্ত্বে তাঁদের অবকাঠামোগত অবদানের জন্য। ১৯৯৭ সালে- রবার্ট মার্টন(Robert Merton),মাইরন শোল্স(Myron Scholes) গবেষণার বিষয়: প্রবাহমান মূল্য নির্ধারণের জন্য নতুন পদ্ধতি আবিস্কারের জন্য। ১৯৯৮ সালে-অমর্ত্য সেন(Amarta sen) গবেষণার বিষয়: কল্যাণ অর্থনীতিতে মৌলিক অবদানের জন্য। ১৯৯৯ সালে- রবার্ট মান্ডেল(Robert Mundell) গবেষণার বিষয়: বিভিন্ন বিনিময় হারের পরিসরে আর্থিক নীতি ও রাজস্ব নীতি নিয়ে তাঁর বিশ্লেষণ এবং সর্বোচ্চ সন্তুষ্টজনক মুদ্রা ক্ষেত্র নিয়ে তাঁর বিশ্লেষণের জন্য। ২০০০ সালে- জেমস হেক্ম্যান(James Heckman),ড্যানিয়েল ম্যাক্ফ্যাডেন(Daniel McFadden) গবেষণার বিষয়: নির্দিষ্ট তথ্যের বিশ্লেষণে তাঁর তত্ত্ব ও পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য। বিচ্ছিন্ন পছন্দের বিশ্লেষণে তাঁর তত্ত্ব ও পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য। ২০০১ সালে- জর্জ একারলফ (George Akerlof),মাইকেল স্পেন্স( Michael Spence),জোসেফ স্টিগ্লিট্স( Joseph Stiglitz) গবেষণার বিষয়: অসমানুপাত তথ্যের সাথে বাজার নিয়ে তাঁদের বিশ্লেষণের জন্য। ২০০২ সালে-ড্যানিয়েল কানেমান( Daniel Kahneman), ভের্নন স্মিথ( Vernon L. Smith) গবেষণার বিষয়: যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণার থেকে অন্তর্নিহিত সামঞ্জস্য বিশেষ করে অনিশ্চয়তায় মানব বিচার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকে বিবেচনা করে। পর্যবেক্ষনমুলক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে গবেষণাগার পরীক্ষাকে বিশেষ করে বিকল্প বাজার প্রভাবক শিক্ষাকে বিবেচনায় এনে একটি হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। ২০০৩ সালে-রবার্ট এঙ্গেল( Robert F. Engle), ক্লাইভ গ্রেঞ্জার( Clive Granger) গবেষণার বিষয়:সময় পার্থক্যের বিভিন্নতা বা সাধারণ গতিধারারা সাথে অর্থনৈতিক কালীন সারি বিশ্লেষণ পদ্ধতি তৈরির জন্য। ২০০৪ সালে- ফিন কিড্ল্যান্ড নরওয়ে(Finn Kydland),এডওয়ার্ড প্রেস্কট( Edward Prescott) গবেষণার বিষয়: গতীয় সামষ্টিক অর্থনীতিতে তাঁদের অবদানের জন্যঃ অর্থনৈতিক নীতিমালার সময় গভীরতা এবং বাণিজ্য চক্রের পিছনে চালকের শক্তি। ২০০৫ সালে-রবার্ট আউমান( Robert Aumann),টমাস শেলিং( Thomas Schelling) গবেষণার বিষয়: ক্রীড়া তত্ত্ব বিশ্লেষণের সাহায্যে জটিলতা ও সমবায়ের বোধগম্যতাকে উৎসাহিত করার জন্য। ২০০৬ সালে-এডমণ্ড ফেল্পস( Edmund Phelps) গবেষণার বিষয়: সামষ্টিক অর্থনীতি নীতিমালাতে আন্তঃবাণিজ্য ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করার জন্য। ২০০৭ সালে-লিওনিদ হারউইচ( Leonid Hurwicz),এরিক মাসকিন( Eric Maskin),রজার মায়ারসন( Roger Myerson) গবেষণার বিষয়: চলক সজ্জিত তত্ত্বের অবকাঠামো গঠনের জন্য। ২০০৮ সালে-পল ক্রুগম্যান( Paul Krugman) গবেষণার বিষয়: বাণিজ্য প্যাটার্ণ এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপের উপর্যুক্ত পরিবেশের উপর বিশ্লেষণের জন্য। (“for his analysis of trade patterns and location of economic activity) ২০০৯ সালে- এলিনর অস্ট্রম (Elinor Ostrom),অলিভার উইলিয়ামসন( Oliver Williamson) গবেষণার বিষয়: অর্থনীতির পরিচালন প্রক্রিয়া, বিশেষত এজমালি সম্পত্তিতে, বিশ্লেষনের জন্য।(for her analysis of economic governance, especially the commons) ২০১০ সালে- পিটার আর্থার ডায়মন্ড( Peter A. Diamond),ডেল টমাস মর্টেনসেন( Dale T. Mortensen),ক্রিষ্টফার এ পিসারাইডস(Christopher A. Pissarides) গবেষণার বিষয়: “বাজার বিশ্লেষণে চাকরি অনুসন্ধানের বিবাদ” তত্ত্বে তাঁদের অবদানের জন্য। (for their analysis of markets with search frictions) ২০১১ সালে- টমাস জন সার্জেন্ট( Thomas J. Sargent), ক্রিস্টোফার আলবার্ট সিমস( Christopher A. Sims) গবেষণার বিষয়: সামষ্টিক অর্থনীতিতে কারণ এবং পরিণতির উপর প্রায়োগিক গবেষণার জন্য। ২০১২ সালে- অলভিন রোথ( Alvin Roth),লয়েড শ্যাপলে( Lloyd Shapley) গবেষণার বিষয়: “সুস্থিত বন্টন ও বাজারের রূপরেখায় প্রয়োগ” তত্ত্বের জন্য। ২০১৩ সালে-লারস পিটার হ্যান্সেন (Lars Peter Hansen),রবার্ট জেমস শিলার( Robert J. Shiller), ইগুইন এফ ফামা ( Eugene F. Fama) গবেষণার বিষয়: পুঁজিবাজারের গতিবিধি বিশ্লেষণে অবদানের জন্য। আগামীর দিনগুলো অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে গবেষণার জন্য বাংলাদেশীরা অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাক। এই দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠুক। এই হোক আমাদের কামনা।
Posted on: Fri, 31 Jan 2014 13:47:46 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015