নৌবাহিনীর Preliminary Medical Test এর কিছু #Uncut অভিজ্ঞতা... :-D আমি Naval Officer Recruitment (Long Course), 2011 (A) Batch, 2nd Group এর একজন Candidate ছিলাম। সময়টা 2010 সালের জানুয়ারী মাস। HSC পরীক্ষা তখনো দেই নি। তবে মনোবাসনা পূরণের লক্ষ্যে টেস্টের পরপর Preliminaryর জন্য প্রস্তুত হলাম। আবেদন করার প্রায় তিন সপ্তাহ পর ডাকযোগে Preliminary Exam এর Call Up Letter আসল। ভেন্যূঃ BN College, Mirpur-14, Dhaka সময়ঃ 0800 ঘটিকা আমি তখন আমার স্ত্রী নাদিরার খিলক্ষেতের (পিঙ্ক সিটি) বাসায় থাকতাম। তো ওখান থেকে ক্যান্টনমেন্ট, কঁচুক্ষেত হয়ে BN College, Dhaka পৌঁছলাম। দেখলাম কয়েশত প্রার্থী দাড়িয়ে আছে। বেশকিছু মেয়েও আছে। খুব খুব পুলকিত পুলকিত লাগছিল। :-D তবে নাদিরা বারংবার নিষেধ, কোন মেয়ের দিকে তাকাবা না মনে পড়তেই নিজেকে সামলে নিলাম। তারপর এককোণে একা গিয়ে বসলাম। লম্বা সিরিয়াল। মাত্র 30 জন করে ডাকা হচ্ছে, 20 জন ছেলে আর 10 ছন মেয়ে। একেকটা ব্যাচের বের হয়ে আসতে ঘন্টা খানেক লেগেই যাচ্ছে। আমার Call Up Serial No. ছিল 716. তাই ডাক পেতে পেতে সকাল 9:45 মিনিট বাজল ঘড়ির কাঁটায়। ভেতরে ঢুকলাম। সময়টা ছিল শীতকাল। শীতের শেষের দিক হলেও শীতের প্রকোপ কমেনি। সবাইকে বারন্দায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। আর সেই সময়ে আমাদের নির্দেশ দেয়া হল- #জাঙ্গিয়া বাদে সব খুলে লাইনে দাঁড়াতে। :-D শীতে কাঁপতে কাঁপতে প্রায় #ন্যাংটা হয়ে সবাই নির্বিকার দাড়িয়ে রইলাম। কেমন বিব্রত একটা অনুভূতি! :-p মেয়ে পদপ্রার্থীদের 10 জনকে আমাদের 5 গজ দূরত্বে, একপ্রস্থ ভারী Navy Blue কাপড় দ্বারা ছেলেদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হল। তবে দুদিকের কথোপোকথন স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল। তবে তাদের কাপড়-চোপড় খুলতে বলা হয় নি। মেয়েরা আমাদের কাপড়-চোপড় খোলার বিষয়টা শুনে হেসে উঠল। ছেলেদের আত্মসম্মানে লাগলেও কিছুই করার ছিল না। কিছুক্ষণ পর ছেলেদের সবাইকে একটা করে Call Slip (Report Tocken) দেয়া হল আর বলা হল একটা বলবেন এবং Slip টা যেন কোমরে গুঁজে রাখি। আমরা তাই করলাম। মেয়েদেরও তাই বলা হল। তবে ওরা বিবস্র নয়। হালকা-চাপা কন্ঠে সবাই ফিসফিস করতে লাগল। আমি পূর্বদিকে মুখ করে উত্তরদিকের লাইনে সবার সামনে দাঁড়িয়ে। পাঁচ মিনিটের মাথায় লক্ষ্য করে দেখলাম যে মেয়েদের দিক থেকে একাধিক বলপেন মাথা ব্যবধানের কাপড়টাকে কয়েকটা ফুঁটো করে দিল। তারপর সেই ফুঁটো দিয়ে ছেলেদের দেখে মেয়ে চাপাচাপা হাসছে। মাথা গরম হবার উত্তম কারণ ছিল। ছেলেদের মান-ইজ্জত এভাবে লুটোপুটি খাচ্ছে- মানা গেল না। তাই ছেলেদের সবাইকে বিষয়টা জানালাম। এডজুট্যিন্ট উপস্থিত ছিলেন। তাই অপেক্ষা করলাম মিনিট দুয়েক। উনি চলে যেতেই আমরা ছেলেরা পাল্টা উত্তর দিতে আরো দশ-বারোটা ফুঁটো করলাম। আর সেই ফুঁটো দিয়ে আমরা ছেলেরা পর্যায়ক্রমে, বায়োস্কোপ দেখার মত মেয়েগুলার কার্যকলাপ দেখতে শুরু করলাম। দেখলাম- মেয়েদের সালোয়ার-কামিজ রেখে জামা খুলতে হয়েছে। আর তার ফলে তাদের #ব্রাসমেত উন্মুক্ত বক্ষ খোলামেলা। এসব দেখে আমরা ছেলেরা সেই লেভেলের মজা লুটে যাচ্ছিলাম। ফলাফলঃ মুহূর্তে মেয়েদের মাঝে চিল্লা-ফাল্লা শুরু হয়ে গেল। সবশেষে ফলাফলটা ইর মজা করার মত থাকল না যখন দুজন এডজুট্যান্ট, একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা JCO (Junior Commissioned Officer) চলে আসলেন। এসে পুরো বিষয়টা আবিষ্কার করলেন। আর আমাদের মত #প্রগতিশীলদের কর্মকান্ড তারা বেশ চমকে গেলেন। এতটাই চমকে গিয়েছিলেন যে বললেন, আমার চাকরী জীবনে এমনটা কখনোই দেখি নি। ছেলে আর মেয়েদের পরষ্পর দোষারূপের কিছুক্ষণের মধ্যেই Preliminary Board এর Deputy President চলে আসলেন। আমার কর্মকান্ডে এতটাই ক্ষেপেছেন যে সিদ্ধান্ত নিলেন আমাদের সবাইকে Preliminary থেকে বহিষ্কার করা হবে! এবং আর এই 30 জন যেন আর কখনোই সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে না পারে সেই পদক্ষেপও নেয়া হবে!! স্বপ্নের শুরুতেই শেষ বুঝতে পেরে দোষারূপ বাদ দিয়ে, ছেলে-মেয়ে আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে ক্ষমা চাইলাম। Deputy President কিছুটা নরম হলেন। তবে Punishment বাদ গেল না। 20 জন ছেলের সবাইকে #পুরোপুরি_ন্যাংটা করে এবং 10 জন মেয়েকে #সালোয়ার_কামিজ সমেত আলাদা কক্ষে #আধাঘন্টা মুরগী বানিয়ে রাখা হল। :-p :-p :-p - গোলাম আযম গালিব #1108116
Posted on: Mon, 29 Dec 2014 13:48:31 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015