নীলিমা ইব্রাহীমের কাছে বাঙালি কৃতজ্ঞ, বাঙালির মানসলোকে এই নারীর আদর্শ মধ্যগগনের সূর্য। আর আমি, কিংবা আমার মতো একাত্তর উত্তর প্রজন্ম- নীলিমা ইব্রাহীমের কাছেই শিখেছি মৃক্তিযুদ্ধের নান্দীপাঠ। আমি ব্যক্তিগতভাবে নীলিমা ইব্রাহীমের ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ বইটির মাধ্যমেই জেনেছি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদানের কথা, জেনেছি সন্তান হয়ে আমরা কী করে আমাদের মায়েদের দূরে ঠেলে দিয়েছি। ১৮ জুন ছিলো নীলিমা ইব্রাহীমের প্রয়ান দিবস। এই দিনে আমি আমার বীরাঙ্গনা মায়েদের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাই। হৃদয়ের সমস্ত সত্যগুলো তাঁদের পবিত্র পায়ের নিচে এনে রেখে বলতে চাই- মা, মা গো এইবার মুখ তুলে তাকাও। ফিরে এসো এই বাঙলাদেশে। এখনো তোমার সন্তানেরা বুকে ধারণ করে আছে একাত্তরকে। তোমরা তাদের দিকে তাকাও। মা, চেয়ে দেখো- এখনও প্রতিশোধ স্পৃহায় দু চোখ জাজ্বল্যমান আমাদের। অতীত ভুলিনি মা, লাল-সবুজের পতাকা আমার চিরঞ্জীব অনুপ্রেরণা। তুমি আমার সেই অনুপ্রেরণার মধ্যলোকে দীপাবলী হবে না? আমার শাশ্বত, চিরসুধাময়ী, গর্বিত বীরাঙ্গনা মা।
Posted on: Tue, 18 Jun 2013 06:31:28 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015