পঞ্চপান্ডবের জন্ম - TopicsExpress



          

পঞ্চপান্ডবের জন্ম কাহিনি : মাতা একজন-পিতা পাচ দেবতা। ভোজ রাজার কন্যা কুন্তি দেবী বিয়ের আগে একবার দুর্বাসা মুনির সেবা করে এক বর লাভ করেন যাতে তিনি যে কোন দেবতাকে সঙ্গমে আহ্বান করতে পারতেন এবং সন্তান লাভ করতে পারতেন। এইভাবে পাওয়া সন্তান সেই দেবতার সব গুনাবলি লাভ করবেন। → প্রথমবার ভুলে স্বয়ং সুর্যদেব চলে আসেন সঙ্গমে। সেই সুবাদে জন্ম নেন মহাবীর শ্রী কর্ণ। যেহেতু তখন কুন্তি দেবী কুমারী ছিলেন, তিনি লোকলজ্জার ভয়ে ঐ সন্তানকে স্বীকার করতে চাননি। তবে সুর্যদেব তাকে অভয় দিয়ে বলেন এতে তার কুমারিত্ব থাকবে আর তার ঐ পুত্র ভুবনবিখ্যাত বীর হবেন। তবু লোকলজ্জার ভয়ে কুন্তি দেবী ঐ পুত্রকে গংগাতে ভাসিয়ে দেন। পরে ঐ পুত্র অধিরথ নামে এক সারথীর বাড়ীতে বড় হন এবং দানবীর কর্ণ হিনেবে ইতিহাস বিখ্যাত হন। কিছুকাল পর কুন্তি দেবীর বিয়ে হল হস্তিনার মহারাজা পান্ডুর সাথে। কিছুকাল পরে মহারাজা পান্ডু মদ্ররাজার কন্যা মাদ্রী দেবীকে বিয়ে করেন। মহারাজ পান্ডু একবার শিকারে গিয়ে ভুল বশত হরিন মারতে গিয়ে মিলনরত এক সাধুকে মেরে ফেলেন। মৃত্যুর আগে সাধু তাকে অভিশাপ দেন মহারাজা জীবনে আর কোনদিন স্ত্রীর সাথে মিলিত হতে পারবেননা। মনের দু:খে মহারাজা বনে চলে যান। তখন তার স্ত্রী কুন্তি দেবী রাজাকে তার দুর্বাসা মুনি থেকে পাওয়া দেবতাদের সঙ্গমে আহ্বান করে সন্তান পাবার ক্ষমতার কথা বললেন। তারপর তারা দুজনে মিলে ঠিক করলেন দেবতাদের থেকে তারা সন্তান নিবেন। → প্রথমে একটি ধার্মিক সত পুত্র চাইলেন এবং সেই মোতাবেক ধর্ম দেবতাকে সঙ্গমে আহ্বান করলেন। ধর্মদেবতার সাথে সঙ্গমের মাধ্যমে জন্ম নিলেন যুধিণ্ঠির, যাকে জগতজোড়া মানুষ ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির হিসাবে জানে। এখন ধার্মিক ছেলে তো হল, এবার দরকার একজন মহা শক্তিশালী পুত্র। দেবতাদের মধ্যে সবচাইতে শক্তিশালী হলেন পবন দেব বা বায়ু দেব। → কুন্তির আহ্বানে সঙ্গমে আসলেন পবন দেব, জস্ম নিলেন ভীম, মহাপরাক্রমশালী ভীম। তিনি গদাযুদ্ধে বিখ্যাত ছিলেন। মহারাজা পান্ডু আর কুন্তি দেবী এবার ভাবলেন তাদের ধার্মিক পুত্র হল শক্তিশালী পুত্র হল এবার দরকার সর্বগুনে গুনান্বিত একটি পুত্র। দেবতাদের মধ্যে সর্বগুনের অধিকারী হলেন দেবরাজ ইন্দ্র। → ইন্দ্রকে সঙ্গমে আহ্বান করা হল, আর জস্ম নিলেন ত্রিভূবনখ্যাত মহাবীর অর্জুন যাকে পার্থ, গান্ডিবি, সব্যসাচী ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়। এদিকে তাদের তিন পুত্র সন্তান হওয়াতে মহারাজার অপর রানী মাদ্রী দেবী বললেন তারও পুত্র সন্তান চাই, আর তাকেও বর ব্যাবহার করতে দিতে হবে। তখন কুন্তি দেবী মাদ্রী দেবীকে ঐ বরটা একবার মাত্র ব্যাবহার করার অনুমতি দেন। → রানী মাদ্রী ভাবলেন একবারে একটিই পুত্র হবে, তবে অশ্বিনী কুমার ভ্রাতৃদ্বয় হলেন একের মধ্যেই দুইজন। অর্থাত তারা আনলে দুটি পুত্র পাবেন। সেই মোতাবেক তাদেরই ডাকা হল আর জস্ম নিলেন দুই পুত্র নকুল আর সহদেব। এই হল পন্চ পান্ডবের জন্মকাহিনী। লুচ্চামি শিরায় শিরায়। মানুষের সাথে সঙ্গম করলে হয় পরকিয়া আর দেবতার সাথে হয় বর।।।।।। #কেমন দেবতা যে তারা মর্ত্যের এক নারীকে ভোগ করতে চলে আসে।
Posted on: Sun, 18 Aug 2013 09:14:43 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015