পন্ডিতদের আড্ডার আসরে - TopicsExpress



          

পন্ডিতদের আড্ডার আসরে কয়েক পন্ডিত খুব জ্ঞানের বিষয়ে আলাপ আলোচনা করছে। কয়েকটা বিষয় আমার হজম না হওয়ায় আমি তাদের বিজ্ঞান সম্মতভাবে শুধায়ে দিলাম। কিন্তু আমার শুধানো ও বিজ্ঞানের বিষয়টা তাদের কাছে হজম হলো না। তারা আমাকে চ্যালেঞ্জের মতো প্রশ্ন ছুড়ে দিলো আচ্ছা তোর বিজ্ঞান এতোই যদি কিছু প্রমান করতে পারে তাহলে আত্মার existence প্রমান কর বিজ্ঞান দিয়ে। আসরে হঠাৎ নীরবতা...... আমি তাদের বললাম নাইন টেনে থাকতেই তো শক্তির সংরক্ষণ সূত্র পড়সোস। তারা বললো হ্যা আমি বললাম তাহলে তো জানারই কথা মহাবিশ্বের মোট শক্তি ধ্রুবক আর শক্তির বিনাশ বা সৃষ্টি নাই শুধু এক রূপ থেকে আরেক রূপে রূপ্যান্তর করা যায়। তারা বললো হ্যা আমি বললাম জীবিত আর মৃত মানুষের মধ্যে পার্থক্য হলো শুধু সক্রিয় ব্রেইন সিগন্যালের। আমরা যা কিছু অনুভব করছি, আমাদের পাচটা ইন্দ্রিয় সব কিছুই ইলেক্ট্রিক সিগন্যালের মাধ্যমে স্নায়ু কোষ দ্বারা মগজে পাঠায়। যা তড়িত বেগে কাজ করে যার ফলে আমরা এতো দ্রুত অনুভব করতে পারে এবং সাথে সাথে ব্রেইন থেকে পাঠানো সিগন্যাল দ্বারা শরীরে সেই ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারি। একজন সুস্থ মানুষের মগজ ঠিক ঠাক মত কাজ করতে ২০ watt এর মতো শক্তি লাগে। যা আমাদের বাসার ফ্রিজের লাইটের সমান শক্তি। এখন কথা হলো যখন একজন মানুষ মারা যায় তখন আমাদের দেহে বিদ্যমান এই অতি সল্প তড়িত শক্তি এগুলো যায় কোথায়? অতি অল্প হোক শক্তি তো শক্তিই এই কোথায় যায়? আসরে নীরবতা!! ....*** ( ফেসবুক স্ট্যাটাস পাঠকদের জন্য পরিমার্জিত) .......... .......... .......... আমি তাদের আরো কিছু প্রশ্ন করলাম তারা উত্তর দিতে না পেরে চুপ করে রইলো। তারপর আমি তাদের বললাম কিরে বিজ্ঞান দিয়া বুঝাইতে পারলাম আত্মার Existence?? তারা বললো হুম পারসোস! কিন্তু ধর্ম বইয়ে এইসব লেখা নাই। তাই যতই প্রমান দে তোর কথা আমরা মানবো না। আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না যে এতোক্ষন I was dealing with blind people. হুদাই এতো গুলা প্যাচাল পাইরা এনার্জি লস করেছি। আমি মুচকি হেসে অন্ধ পন্ডিতদের সভা ছাড়লাম আর মনে মনে ছোটবেলায় মায়ের বলা কথা মনে করলাম বিশ্বাসেই পরিত্রাণ । :) *** বায়োসেন্ট্রিজম আর কোয়ান্টাম ফিজিক্সের কয়েকটা টপিক নিয়ে বলেছিলাম।
Posted on: Thu, 31 Jul 2014 15:48:00 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015