পৃথিবীর আদিম সভ্যতা থেকে - TopicsExpress



          

পৃথিবীর আদিম সভ্যতা থেকে আজ পর্যন্ত যা কিছু আবিষ্কার তা মানুষেরি আবিষ্কার, আল্লাহ মোহাম্মদ একটা আলপিনও আবিষ্কার করেননি। পৃথিবীর আদিম সভ্যতা থেকে আজ পর্যন্ত যা কিছু আবিষ্কার বা মানুষের প্রয়োজনে যা কিছু ব্যবহার তা মানুষেরি আবিষ্কার। মানুষের কথা বলার ভাষা, ঘরবাড়ী, শষ্যখেত, খাদ্য,কাপড় পোষাক- পরিচ্ছদ,জুতা-কালি,সেন্ডেল,কলম -কাগজ,ঢাল -তলোয়ার,বন্দুক,- পিস্তল,অস্ত্র -শস্ত্র,ডেক – ডেকজি, হাঁড়ি -পাতিল,থালা -বাসন,দা -কোদাল,খন্তা,যা কিছু মানুষের জীবনে ব্যবহার সবি মানুষেরি সৃষ্টি মানুষেরি আবিষ্কার। মানুষ সেই জঙ্গুলে গুহা থেকেই আবিষ্কার করতে শিখেছে আর মানুষের সেই আবিষ্কার যুগযুগ ধরে বিবর্তনের ম্যাধ্যমে সঞ্চিত হতে হতে আজ আমাদের আধুনিক যুগে আমাদের দারপ্রান্তে এসে পৌছেছে। টিভি, রেডিও,মোবাইল, উড়োজাহাজও রকেট ইত্যাদি আবিষ্কার মানুষেই করেছে, আল্লাহ মোহাম্মদ করেননি। আর এইসকল আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে আজ মানুষ বন্য পশু থেকে নিজেদের জয়যাত্রা নিয়ে সভ্যতার উন্নত শিখরে এসে পৌছেছে। আর এইসকল আবিষ্কারে ধর্মান্ধ মানুষদের তেমন অবদান নেই। ধর্মান্ধ মানুষরা অথচ সেই আবিষ্কারের ফলকে নিজেদের স্বার্থে মানুষকে আরও কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রনের জন্যে ব্যবহার করেছে। মানুষ যখন জঙ্গলে ছিল তখন আদিম ধর্ম সৃষ্টিকারী ভন্ড মিথ্যাবাদী প্রতারকরা মন্ত্র পরে পরে সেই বোকা জংলি সাধারণ বন্যমানুষকে নিয়ন্ত্রণ করত,আর বুদ্ধিমান বন্য মানুষরা তখন আগুনের ব্যবহার পাথরের ব্যবহার ইত্যাদি আবিষ্কারে মত্ত থাকত,সেই বুদ্ধিমান বন্য মানুষদের আবিষ্কার ব্যবহার করেই বন্য দুষ্ট মিথ্যাবাদীরা মন্ত্র পরে বোকা বন্য মানুষগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতো। আর দুষ্ট বুদ্ধিমান বন্য মানুষগুলো সৎ বুদ্ধিমান বন্য মানুষগুলোর সৃষ্টিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতো এবং দুষ্ট বুদ্ধিমান মানুষগুলো দলে ভারী হয়ে সকল বন্য মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে ধর্ম তৈরী করতো । যে কাগজ আর কালি দিয়ে ধর্ম গ্রন্থ লিখা হয় তাও ঐসব বুদ্ধিমান মানুষদের আবিষ্কার। যে ভাষা আর শব্দ ব্যবহার করে ধর্ম গ্রন্থ লেখা হয়েছে সেই ধর্ম গ্রন্থের ভাষা শব্দ অক্ষর এমনকি একটি বিন্দুমালা পর্যন্ত সেই বুদ্ধিমান মানুষদের আবিষ্কার। আপনাদের যদি মানুষের আবিষ্কারের ইতিহাস যাছাই করে দেখেন, দেখবেন ধর্মান্ধ মানুষগুলো একটা আলপিন পর্যন্ত আবিষ্কার করেনি। আল্লাহ মোহাম্মদের যদি এতই শক্তি ক্ষমতাবান তাহলে হিমালয়ে যেয়ে এভারেস্ট জয় করে সেখানে ইসলামের পতাকা উত্তোলন করতেন,তেনজিং আর হিলারিকে যেয়ে এভারেস্ট জয় করতে হত না। যুগযুগ ধরে হিন্দু ঋষিরা হিমালয়ের পাদ দেশে ধ্যান করেছেন,কিন্তু এভারেস্টের চূঁড়ায় উঠতে পারেননি। কোনো নবি বা রাসুলও এভারেস্টের চূঁড়ায় উঠতে শুনি নি কখনো। শুধু শুনেছি মহাম্মদ মুসা আল্লাহ এর সাথে দেখা করেছেন,মোহাম্মদ নাকি চতুর্থ আকাশে গিয়েছিলেন আবার তা বোরাকে চড়ে যা দেখতে অর্ধেক নারী অর্ধেক ঘোড়া।যদি মোহাম্মদ জানতে পারতেন রকেট এ চড়ে মহাশূন্যে যাওয়া যায়, তাহলে তিনি রকেটের প্রতিচ্ছবির কথাই বলতেন, যা রকেটের মত দেখতে হত অর্ধেক নারী অর্ধেক রকেট, যার নামকরণ হয়তো হত বোরাকেট।মোহাম্মদের যুগে দ্রুত গামীবস্তু ঘোড়া ছিল বলেই হয়তো ঘোড়ার প্রতিচ্ছবি তিনি ব্যবহার করেছেন, আর তিনি নারী লোভী ছিলেন বলেই বোরাকের প্রতিচ্ছবিতে পরীর মত সুন্দর নারীর প্রতিচ্ছবি তিনি ব্যবহার করেছিলেন। যে নারী-ঘোড়া প্রতিচ্ছবি তিনি ব্যবহার করেছিলেন সেই ঘোড়া ব্যাবহারের আবিষ্কারও মানুষরাই করেছিলেন।মোহাম্মদ বা আল্লাহের আবিষ্কার নয়। অথচ আল্লাহ ইশ্বর ভগবান নামধারী মিথ্যা অস্তিত্বগুলো তাদের মিথ্যা ধর্মের প্রচার করতে যেয়ে মানুষের আবিষ্কারকে বেশি ব্যবহার করেছে। যে কোরান বেদ বাইবেল এর বানী অক্ষর বর্ণমালা, বিন্দু তাদের ধর্ম গ্রন্থের পাতায় পাতায় সন্নিবেশিত করেছে তা ঐ সকল বুদ্ধিমান মানুষেরি সৃষ্টি। ভগবান আল্লাহ বা ইশ্বরের সৃষ্টি নয়। অথচ ধর্মগ্রন্থগুলো সেই বুদ্ধিমান মানুষের সৃষ্ট ভাষা শব্দ বর্ণমালা বিন্দু কাগজ কালি ব্যবহার করে ইশ্বরের বানী বলে প্রচারে ব্যাস্ত,অথচ ঐ ভাষা বর্ণমালা আল্লাহ বা ইশ্বরের সৃষ্টি নয়। ঈশ্বর যে শক্তি দেখিয়ে নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চায় তার কোনো কিছুই ইশ্বর বা আল্লাহ এর সৃষ্টি নয়। সবি বুদ্ধিমান মানুষেরি সৃষ্টি। মানুষ যখন বন্য অসভ্য ছিল তখন মানুষ ইশ্বরের সন্তুষ্টির জন্যে সমুদ্রের পাড়ে, জ্বলন্ত পুরন্ত বনের আগুনের সামনে,অথবা অজানা যে কোনো প্রকৃতির শক্তির সামনে মানুষকে জীবন্ত বলী দেয়া হত,তা যে প্রক্রিয়াতে বলী দেয়া হত না কেন তা মানুষেরি আবিষ্কারের ঢাল তলোয়ার ছুরি দড়ির বাঁধন, ইশ্বরের আবিষ্কার নয়, তা মানুষেরি আবিষ্কার ছিল। আল্লাহ ইশ্বর যদি থাকতো তাহলে আল্লাহ ইশ্বর ঐ সকল ভাষা বর্ণমালা অক্ষর ঢাল - তলোয়ার ছুরি, আল্লাহ বলতেন হও আর তা নিমিষেই সৃষ্টি হয়ে মানুষের ব্যাবহারের জন্যে উপযুক্ত হয়ে উঠতো। তাহলে আল্লাহ এর আবিষ্কার কি? আল্লাহ এমন কি আবিষ্কার করেছেন তা মানুষের কল্যাণে, আল্লাহ তো নিজেই মানুষের আবিষ্কারকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। আজ পর্যন্ত এমন কোনো সৃষ্টি কি আছে যা আল্লাহ বা মোহাম্মদ আবিষ্কার করেছে মানুষের কল্যাণে? যে মসজিদ মাদ্রাসা, কাবাঘর আল্লাহ এর ঘর বলে দাবী করা হয় তার প্রতি ইঞ্চি ইট বালু সিমেন্টের নির্মাণ আস্তরণ তা মানুষেরি আবিষ্কারের ফসল। আল্লাহ এর সৃষ্টি কোথায়? যে টুপি,পাঞ্জাবি,সালোয়ার কামিজ শাড়ী তার প্রতিটি বিন্দুর অস্তিত্ব তো মানুষেরি তৈরী। আল্লাহ এর সৃষ্টি কোথায়? মানুষ তো এইসব সৃষ্টি একদিনে করেননি, যুগ যুগ ধরে তাদের বুদ্ধি জ্ঞানকে একটু একটু উন্নত করতে করতে বিবর্তনের ম্যাধ্যমে আজকের এই আধুনিক যুগে আমাদের দুয়ার প্রান্তে এনে পৌঁছে দিয়েছেন, আর আল্লাহ মোহাম্মদ মানুষের সেই আবিষ্কারক নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে আল্লাহের নিজের সম্পদ বলে দাবী করছেন। যে উড়োজাহাজে চরে মুসলমানেরা মক্কায় হজে যায় তাও মানুষের সৃষ্টি, যে ঢাল তলোয়ার দিয়ে আল্লাহ মোহাম্মদ বদরের যুদ্ধ উহুদের যুদ্ধ ইত্যাদি যুদ্ধ করেছেন তাও মানুষেরি সৃষ্টি। আসলে সমাজে কিছু মানুষ থাকে নিজে সৃষ্টি না করে অন্যের সৃষ্টি উপভোগ করে বেঁচে থাকে তেমনি আল্লাহ নিজে সৃষ্টি না করে মানুষের সৃষ্টি ভোগ করে বেঁচে আছে পরগাছার মত। যে আল্লাহ নিজে কিছু সৃষ্টি করতে পারেন না,সেই আল্লাহকে আমরা কেন সর্ব শক্তিমান বলে পূজো করবো? যদিও ধর্মান্ধ মানুষরা বলে থাকবেন আল্লাহ পৃথিবী ,আকাশ সুর্য চন্দ্র নক্ষত্র শাত আসমান আট জমিন সৃষ্টি করেছেন। তা শুধু কথার কথা মাত্র,যারা জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চা করেন না,যারা বিজ্ঞানের একটা তত্ত্বও বোঝেন না, যারা e= mc2 এর মত একটা নিছক ক্ষুদ্র একটা অংকও বোঝেন না তারাই হয়তো এমন করে ভাবেন যে আল্লাহ আকাশ চন্দ্র সুর্য সৃষ্টি করেছেন। তাদের মাথায় শুধু এই ভাবে কাজ করে যে আল্লাহ যেমনি বলে হও তেমনি তা হয়ে যায়। অথচ মোহাম্মদকে মৃত্যু পর্যন্ত অমুসলিমদের সাথে রক্তপাত করে যুদ্ধ করতে হয়েছিল।মোহাম্মদকে কেন যুদ্ধ করতে হয়েছিল? আল্লাহ হও বললেই তো যুদ্ধে জয় হয়ে যেতো, যুদ্ধ করার কি দরকার ছিল? কেন মোহাম্মদ, আলী,ওসমান,ওমর ইত্যাদি মোহাম্মদের সঙ্গীদের নিজ হাতে মানুষ হত্যা মানুষের মাথা কাটতে হয়েছিল, আল্লাহ হও বললেই তো সেই মানুষটির মৃত্যু হত অথবা জবাই হয়ে যেতো। মোহাম্মদ, আলী ওমার ওসমানদের কেন কষ্ট করে একটা মানুষকে জবাই করতে হয়েছিল? তাহলে কি আল্লাহ নেই, আল্লাহ তাদের কোনো সাহায্যই করতে পারেন নি। নাকি আল্লাহ একটা মিথ্যাচারের শব্দ ? মুসলমানেরা এই পর্যন্ত ৫০০ মিলিয়ন অমুসলিমকে হত্যা করতে হয়েছিল আল্লাহের নামে, সেই হত্যাগুলো কি আল্লাহ করেছেন নিজ হাতে নাকি মুসলিম নামক পশু মানুষরাই সেই হত্যা কাণ্ড ঘটিয়েছে মানুষেরি সৃষ্ট ঢাল তলোয়ার দিয়ে, যা আল্লাহ এর সৃষ্ট নয়। তাহলে কি আল্লাহ এর নামে মানুষের সকল সৃষ্ট যদি মানুষের সৃষ্টি হয়, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ নামক শব্দ বা আল্লাহ নামক মিথ্যা অস্তিত্ব মানুষেরি সৃষ্টি। যে মাইক টিভি কাগজ কালী কলম আর মুখের ভাষা দিয়ে আল্লাহের প্রচার করা হয় তার প্রতি অস্তিত্ব মানুষেরি সৃষ্টি, তাহলে আল্লাহ অস্তিত্ব মানুষের সৃষ্টি। আল্লাহ শব্দ ব্যাবহারের জন্যে যে বর্ণমালা,জের জবুর গ্রামার অংক, বিজ্ঞান ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় তাও মানুষের সৃষ্টি। মোহাম্মদ আল্লাহ এর অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছিলেন। কিন্তু যুদ্ধের ঢাল তলোয়ার ছারা মানবতার জন্যে একটা আলপিন বা কোনো যন্ত্রের গাড়িও আবিষ্কার করে যাননি যা দিয়ে মরুভূমি পাড়ি দেয়া যায়। কাবা ঘর যে গালিচা দিয়ে আবৃতকরে রাখে সেই গালিচাও মানুষেরি আবিষ্কার। কাবাঘর যে পাথর দিয়ে তৈরী ঐ পাথরও মানুষ কেটে কেটে কাবা ঘর বানিয়েছে। আল্লাহ বা মোহাম্মদের আবিষ্কার কোথায়? আল্লাহ বা মোহাম্মদ মানুষের আবিষ্কার দিয়েই নিজেদের মিথ্যা আবিষ্কারকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এই জগৎপৃথিবী মানুষ বিগ ব্যাং আর বিবর্তনের ধারাবাহিকতাতেই সৃষ্টি। মোহাম্মদ আল্লাহ আর শয়তান মানুষেরি সৃষ্টি। তাহলে কোরান বাইবেল তোরাহ বেদ ইতাদি ধর্ম গ্রন্থের প্রতিটি পাতা প্রতি অক্ষর প্রতিটি বর্ণমালা ভাষা কাগজ কালি সবি মানুষের সৃষ্টি আল্লাহ বা মোহাম্মদের সৃষ্ট নয়, অতএব কোরান বা ধর্ম গ্রন্থগুলো মানুষেরি সৃষ্টি আল্লাহের সৃষ্ট নয়। তাই বিদ্রোহী কবি নজরুলের মানুষ কবিতার শেষ অংশের মত আমাকেও বলতে হয়:- ও কারা কোরান, বেদ বাইবেল চুম্বিছে মরি মরি ? ও মুখ হইতে-কেতাব গ্রন্থ নাও জোর করে কেড়ে, যাহারা আনিল গ্রন্থ কেতাব সেই মানুষেরে মেরে । পূজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল ! মূর্খরা সব শোনো, মানুষ এনেছে গ্রন্থ- গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো। en.wikipedia.org/wiki/Invention
Posted on: Fri, 14 Nov 2014 22:17:04 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015