প্রথম অংশ- - TopicsExpress



          

প্রথম অংশ- https://facebook/xray.report/posts/1508268692753958 তারপরে, continued- *** হায় হাসান! হায় হুসাইন! বলে ভুলে গেলাম রাসূল সাঃ বাকি দৌহিদ্রদের!**** শিয়া কুফফারদের আরেকটি সফলতা। আরেকটি ষড়যন্ত্রের সফল বাস্তবায়ন হল কারবালা কারবালা আর হাসান আর হুসাইন রাঃ এর নাম বারবার উচ্চারণ করে আমাদের ভুলিয়ে দিয়েছে রাসূল সাঃ এর রক্ত সম্পর্কীয় বাকি নাতি নাতনীদের। আমাদের সমাজের কতজন মুসলিম পাওয়া যাবে যিনি রাসূল সাঃ এর সকল মেয়ে আর সকল নাতনিদের নাম বলতে পারে? হাজার বছর ধরে শিয়ারা সারা পৃথিবীর মুসলিম জনপদে তাদের ঘৃণ্য হাতে লিখিত ঘৃণ্য ইতিহাসের ধু¤্রজালে মুসলিম উম্মাহকে ডুবিয়ে রেখেছে। আফসোস হয়, আজ যদি কোন মুসলিমকে জিজ্ঞাসা করা হয়, নবীজী সাঃ এর মেয়ে কয়জন? তারা বলবে একজন তথা হযরত ফাতিমা রাঃ। যদি বলা হয়, রাসূল সাঃ এর নাতি কয়জন? বলবে দুইজন হাসান আর হুসাইন রাঃ। শিয়ারা আমাদের রাসূল সাঃ এর নাতিদেরও আমাদের থেকে ভুলিয়ে দিয়েছে। তাদের প্রোপাগান্ডা এবং প্রচারণার কারণে আমরা শুধু হযরত হাসান আর হুসাইন রাঃ কেই রাসূল সাঃ এর নাতি বলে জানি। রাসূল সাঃ এর রক্ত সম্পর্কীয় বাকি নাতিদের ভুলে গেলাম। নবীজী সাঃ এর পরিবারকে ভুলে গেলাম? এ কেমন উম্মত আমরা? অথচ রাসূল সাঃ এর ছয়জন নাতনী এবং চারজন নাতি ছিল। হযরত জয়নবের গর্বে হযরত আলী বিন আবুল আস রাঃ। তারপর দ্বিতীয় সন্তান হযরত উমামা রাঃ, যিনি হযরত ফাতিমা রাঃ এর ইন্তেকালের পর হযরত আলী রাঃ এর দ্বিতীয় স্ত্রী হোন। তারপর আরেকজন ছেলে সন্তান ছিল যিনি নাম রাখার আগেই ইন্তেকাল করেন। তাহলে রাসূল সাঃ এর মেয়ে হযরত জয়নব রাঃ এর এ দুই ছেলে এবং এক মেয়ে কি রাসূল সাঃ নাতি নাতনি নয়? কিন্তু আমরা কেন তাদের ভুলে গেলাম। কেন তাদের নাম আমাদের সন্তানরা জানে না? কেন আমাদের বয়ানে আমাদের বক্তৃতায় নবী পরিবারের এসব সদস্যদের আলোচনা গায়েব? কেন তাদের কথা আমরা জানিই না? এ প্রশ্নের জবাব একটিই। সেটি হল শিয়ারা হাসান রাঃ আর হুসাইন রাঃ এর মোহাব্বতের স্লোগান দিয়ে আমাদের নবীজী সাঃ এর পরিবারের বাকি সদস্যদের আমাদের চোখের আড়াল করে দিয়েছে। ভুলিয়ে দিয়েছে নবীজী সাঃ এর রক্তকে। নবীজী সাঃ এর দৌহিদ্রদের। শুধু কি তাই? রাসূল সাঃ এর দ্বিতীয় মেয়ে হযরত রুকাইয়া রাঃ এর গর্ভে একজন ছেলে সন্তান হয়। যার নাম হযরত আব্দুল্লাহ বিন উসমান রাঃ। হযরত ফাতিমা রাঃ এর গর্ভে প্রথম যে মেয়ে সন্তান হয়, তার নাম হযরত ফাতিমা রাঃ বড় বোনের নামে নাম রাখেন জয়নব। আরেক মেয়ে হলে দ্বিতীয় বোনের নাম রাখেন রুকাইয়া। তৃতীয় মেয়ে হলে নাম রাখেন উম্মে কুলসুম। চতুর্থ হলেন ছেলে হযরত হাসান রাঃ। পঞ্চম হলেন হযরত হুসাইন রাঃ, ছষ্ঠ হলেন হযরত মুহসিন রাঃ। এই আব্দুল্লাহ বিন উসমান রাঃ, এই মুহসিন রাঃ, এ জয়নব, রুকাইয়া ও উম্মে কুলসুম রাঃ কি রাসূল সাঃ এর দৌহিদ্র নয়। নয় রাসূল সাঃ এর রক্ত? তাহলে কেন তাদের নাম আমরা ভুলে গেলাম? কেন তাদের নাম আমাদের জানা নেই? কেন তাদের কথা আমাদের বয়ান, বক্তৃতা, লিখনী থেকে গায়েব? কেন তাদের নাম জানে না আমাদের মুসলিম সমাজ? জানেনা শিশুরা? কে ভুলিয়েছে নবী পরিবারের এসব সদস্যদের? কে ইতিহাসের ধু¤্রজালে হারিয়ে দিয়েছে নবী পরিবারের এসব সদস্যদের? রাসূল সাঃ এর আহলে বাইতদের? কারা এত মারাত্মক দুশমন আহলে বাইতের? ওরা তারাই যারা আজ আহলে বাইতের মেকি মোহাব্বতের নামে নাটক করে বেড়ায়। যারা আহলে বাইতের মোহাব্বতের নামে লোক দেখানো অশ্রু বিসর্জনের ড্রামা মঞ্চস্ত করে। এসব শিয়ারাই রাসূল সাঃ এর আহলে বাইতের এত বিশাল তালিকাকে আমাদের চোখের সামনে আসতে দেইনি। দেইনি তাদের নাম জানতে। মুসলিম উম্মাহের চোখকে ঘুরিয়ে দিয়েছে শুধু দুইজনের দিকে। বাকিদের হারিয়ে দিয়েছে ইতিহাসের ঘুর্ণাবর্তে। নবী পরিবারকে ভুলিয়ে দেয়ার নাম আহলে বাইতের মোহাব্বত? নবীর আহলে বাইতের কথা বিস্মৃত করে দেয়ার নাম নবী পরিবারের অনুসারী? ধিক এ শিয়াদের! ধিক তাদের এ জঘন্য কার্যক্রমের। ৩- কারবালা কারবালা চিৎকারে ভুলে গেছি ইসলামের বুনিয়াদ প্রতিষ্ঠাকারী শহীদদের! হায় মুসলমান! হায় মুসলিম উম্মাহ! আমাদের ছেলেদের যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তুমি কি জান ইসলামের ইতিহাসে কারা শহীদ হয়েছে? কাদের রক্তের উপর প্রতিষ্ঠিত আজকের ইসলাম। কাদের শরীরের টুকরার উপর সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে আমার ইসলাম? জানি অধিকাংশ ছেলেরাই জবাব দিবে হুসাইন রাঃ। আমাদের জপ হয়ে গেছে ইসলামের শহীদ একজন। শুধুই হুসাইন রাঃ। অথচ এ ইসলাম নামক বৃক্ষটির শিকড়ে প্রথম রক্ত ঢেলেছেন জায়েদ বিন আবী আলা রাঃ, রক্ত ঢেলেছেন হযরত সুমাইয়া, শহীদ হয়েছেন খুবাইব বিন আদী, হযরত আতেকা, হযরত সাদ বিন রাবী, জাফরে তাইয়্যার, আমর বিন জুমু, তারিক বিন যিয়াদ, হুজাইফা সুহামী, সাঈদ বিন জুবায়েরের খুনে রাঙ্গা হয়েছে ইসলামী রাষ্ট্রের মাটি। শুহাদায়ে বদর, শুহাদায়ে ওহুদ, শুহাদায়ে খন্দক, শুহাদায়ে বনীর মুস্তালিক, শুহাদায়ে মুতা, শুহাদায়ে বনী লিহয়ান, শুহাদায়ে খায়বার, শুহাদায়ে সুলাহে হুদাইবিয়া, শুহাদায়ে হুনাইন, শুহাদায়ে ইয়ারমুকসহ রাসূল সাঃ এর জীবদ্দশায় শহীদ হওয়া ২৫৬জন। হযরত আবু বকর রাঃ এর জমানায় শহীদ হওয়া দেড় হাজার সাহাবী। হযরত উমর রাঃ এর জমানায় শহীদ হয়েছেন চৌদ্দ হাজার সাহাবী। হযরত উসমান রাঃ এর জমানায় শহীদ হয়েছে ষোল হাজার সাহাবী, হযরত আলী রাঃ এর জমানায় বিভিন্ন জিহাদের শহীদ হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার সাহাবী ও তাবেয়ী। যাদের রক্তের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইসলাম। যারা নিজেদের সন্তান এতিম করে, স্ত্রীকে বিধবা করে, নিজের জীবন উৎসর্গ করে কায়েম করেছেন কারবালার সেই দীপ্ত শহীদের প্লাটফর্ম। যে আজমতের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে হকের জন্য, সত্যের জন্য, দ্বীনের জন্য বুক উঁচু করে শাহাদাতের পেয়ালা পান করেছেন হযরত হুসাইন রাঃ। আমরা সেসব শহীদদের কিভাবে ভুলে গেলাম? কিভাবে ভুলে গেলাম যিনি রাসূল সাঃ এর জায়নামাযে শহীদ হয়েছে? কেন শহীদের আলোচনার সময় সেই শহীদের নাম নেই না যিনি শহীদ হয়েছেন নবীজী সাঃ এর মদীনায়? কেন বলি না সেই শহীদের কথা যাকে আমার নবী তার পাক জবানে বলেছেন সাইয়্যিদুশ শুহাদা? দুই শহীদের নাম নিয়ে বাকি শহীদের কথা না বলা কি সেসব শহীদদের অপমান করা হচ্ছে না? শহীদদের আলোচনা অনুষ্ঠানে শুধু কারবালার শহীদের আলোচনা করার দ্বারা কি আমরা একথা প্রমাণ করছি না যে, ইসলামে শহীদ শুধু দুইজন? আর কেউ শহীদ হয়নি? হযরত হুসাইন রাঃ শহীদ হয়েছেন এতে আমরা মর্মাহত আবার গর্বিত। তিনি সত্যের জন্য শহীদ হয়েছেন। দ্বীনের জন্য জান কুরবান দিয়েছেন। তিনি অসত্য আর জুলুমের আস্ফালন রুখার জন্য জান কুরবান করেছেন। এটি নবীজী সাঃ এর শিক্ষা। দ্বীনের জন্য নিজের জানের নজরানা পেশ করা। এটি গর্বের বিষয়। মাতমের বিষয় কিছুতেই নয়। কিন্তু শিয়াদের প্রোপাগান্ডা আর প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে আমরা কি করে নবীজী সাঃ এর সাথে শহীদ হওয়া সাহাবাদের ভুলে গেলাম? কি করে শুহাদাদের আলোচনায় তাদের কথা না বলে চুপ করে থাকি? কি করে ঐ শহীদের নাম আলোচনায় আনি না, যাকে নবীজী সাঃ বলেছেন যিনি দুনিয়ার সমস্ত শহীদদের সর্দার হবেন সেই হযরতে হামজা রাঃ কে? হে মুসলিম ভাইরা! এ কেমন জুলুম করছি আমরা? শিয়াদের মত দুই শহীদের নাম নিয়ে সব শহীদকে ভুলে যাবেন না। ভুলে যাবেন না ইসলামের ইতিহাসের পাতায় পাতায় রক্তের ছুপ ছুপ দাগের কথা। ভুলে যাবেন না আমার নবীর দান্দানও শহীদ হয়েছিল। রক্তাক্ত হয়েছিল আমার নবীর সারা শরীরও। আমাদের ইতিহাসের গলিতে গলিতে শহীদ। শুধু দুই শহীদের কথা বলে এসব শহীদদের অপমান করবেন না। শিয়াদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে অপমান করবেন না ইসলামের বাকি মহান শহীদদের। *** হুসাইন রাঃ এর শাহাদতের উপর মাতম মর্সিয়া শাহাদতকে অপমান করা হচ্ছে!*** একবার ভেবে দেখুন! কারা ষড়যন্ত্র করে ইসলামের এ মহান শহীদ হুসাইন রাঃ এর মুবারক শাহাদতকে অপমান করছে? কারা শাহাদতের এ মহান মর্যাদাকে ভুলণ্ঠিত করছে? ইংরেজদের থেকে এ উপমহাদেশে রক্ষা করার জন্য আমাদের মর্দে মুজাহিদরা লড়াই করেছেন। জানের নজরানা পেশ করেছেন। শহীদ হয়েছেন। ১৯৫২ তে ভাষার জন্য আমাদের বীররা শহীদ হয়েছে। শহীদ হয়েছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে। শহীদদের জন্য আমরা গর্ব করি। বীরত্ব প্রকাশ করি। তাদের ইজ্জত দেই। তাদের বীর গাঁথা শুনাই। কিন্তু নবী পরিবারের উপর একি জুলুম করা হচ্ছে? তাদের রক্ত দান কি দেশের জন্য রক্ত দানের চেয়েও খারাপ হয়ে গেল? তাদের বীরত্ব কি দেশের জন্য ভাষার জন্য জান দেয়ার চেয়েও নিম্নমানের হয়ে গেল? শহীদ হওয়াতো গর্বের বিষয় ছিল। এটিতের অহংকারের বিষয় ছিল। এটাতো প্রতিটি মুসলিমের মনের তামান্না ছিল। এটাতো খোদ রাসূল সাঃ এর আকাংখা ছিল। তাহলে এ মর্যাদাপূর্ণ শাহাদতকে মর্সিয়া মাতম দিয়ে কেন অপমান করা হচ্ছে? কেন তাদের শহীদ হবার উপর আফসোস করা হয়? কেন তাদের রক্তকে অপমান করা হয়? কেন তাদের শাহাদতের উপর গর্ব প্রকাশ করা হয় না? কেন এভাবে দ্বীনের জন্য আরো শহীদ হবার প্রতি মুসলিম উম্মাহকে উৎসাহ প্রদান করা হয় না? কেন আমাদের হিম্মতহীন বানানোর জন্য মর্সিয়া মাতমের নাটক সাজানো হয়? কেন আমাদের যুবকদের দ্বীনের জন্য শহীদ হবার প্রতি বীতশ্রদ্ধ করে দেয়া হয়? কার ইশারায় এসব করা হয়? কারা চায় মুসলিম যুবকদের মাঝে শহীদ হবার তামান্না খতম হয়ে যাক? কারা চায় ইসলামের জন্য শহীদ হবার মানসিকতা মুসলমানদের মাঝে না থাকুক? কারা চায় মুসলিম যুবক ভীত হয়ে ঘরে বসে থাকুক? ওরা কারা? একবার ভেবে দেখার সময় কি এখনো আসেনি? (চলবে) ...
Posted on: Sun, 02 Nov 2014 11:00:29 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015