প্রথমে তারা সাধারন শিক্ষার্থীদের নাম দিয়ে তাদের ব্যানারে অবরোধের ডাক দিলো। উপস্থিতি একটু কমলেও ঠিক মতই ক্লাস হতে থাকলো অনেক ডিপার্টমেন্টে। এবার তারা শাটল ট্রেনে যাওয়া সেই সাধারন শিক্ষার্থীদের উপরই ককটেল মারলো ক্লাসে যাওয়ার অপরাধে! মোবাইলে মেসেজ দিয়ে ক্লাসে না আসার হুমকি দিলো! তারপরও ক্লাস চললো। যেমন কালকেও Journalism এ সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ক্লাস হইলো। আজ শেষ পর্যন্ত তারা শিক্ষকদের বাসেই হামলা করে বসলো! আহত করলো তাদেরকেই যাদের ছাড়া নিজেদের শিক্ষার্থী হওয়াই হয়ে উঠতো না। নির্লজ্জতারও মনে হয় একটা সীমা থাকে, এদের এই সীমাটাও নাই। বিকেলে গেলাম চট্টগ্রাম মেডিকেলে। কারো কানে স্প্রিন্টারের আঘাত তো কারো পিঠে। লজ্জায়, অপমানে কিছু বলার ছিলনা। জী তাদেরকে আমরা শিবির নামে চিনি। অনেকে আদর করে দুর্বৃত্ত বলে ডাকে। এরপরও বসে থাকা মানায় না। প্রিয় শিক্ষকদের উপর হামলা হচ্ছে আমরা তো কিছুই না ওদের কাছে। আগামিকাল বেশ কয়েকটা প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ, মানববন্ধন আছে ক্যাম্পাসে। এসব মিছিলের স্রোত গিয়ে মিশবে শিক্ষকদের ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ করছি সেটা শুরু হবে সকাল সাড়ে এগারোটায়, শহীদ মিনারের সামনে। শেষে আমরা শিক্ষকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ স্বরূপ তাদের সাথে যোগ দিব। আর কে যাচ্ছে না যাচ্ছে জানি না, আমি যাবো। কখনও কখনও সময় আসে পাশের জন কি করবে, বন্ধুরা কখন নড়বে, দল কি সিদ্ধান্ত দেবে তার অপেক্ষায় থাকা পোষায় না। পরিস্থিতি দাবি জানায় প্রতিক্রিয়ার।
Posted on: Wed, 10 Sep 2014 16:15:00 +0000