বিদ্যুত ছিল না সারা - TopicsExpress



          

বিদ্যুত ছিল না সারা বাংলাদেশে। অনেকে বলতেছে নাটোরে বিএনপির জনসভা বন্ধ করার জন্য এই কাজ....অনেকে বলতেছে ইন্ডিয়া আমাদের লাইন অফ করে দিছে।... কিন্তু ইন্ডিয়া লাইন অফ করার কে? আমাদের প্রায় ৭০০০ মেগাওয়াট এর মাত্র ৫০০ মেগাওয়াট আসছে ইন্ডিয়া থেকে তাইলে কাহিনীটা কোথায়? মিডিয়াগুলো বলতছে মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করে তেমন কিছু জানা যায় নি। আরে তিনি কি ইন্জিনিয়ার? তার তো বোঝার কথা না। বিষয়টা হল: ইন্ডিয়া থেকে আগত লাইনটিতে কোন ফল্ট হওয়ার কারনে হটাত করে হাই ভোল্টেজ চলে আসে। নিয়ম অনুযায়ী কোন লাইনে হাই ভোল্টেজ চলে এলে বাকি অংশ ত্রুটি মুক্ত রাখার জন্য ব্রেকার ট্রিপ হয়ে যায় অর্থাত কানেশন ডিসকানেক্ট করে দেয়। ফলে যেটা হল হটাত করে ন্যাশনাল গ্রিডে ৫০০ মেগাওয়াটের ঘাটতি পড়ে গেল। এখন লোড বেশি কিন্তু উতপাদন কম। যার ফলে জেনারটরের উপর লোড বেশি পড়ল। ফলে ফ্রিকুয়েন্সি কমতে থাকে। অন্যদিকে ফ্রিকুয়েন্সি একটা নির্দিস্ট লেভেলের নিচে নেমে গেলে ওটাও ট্রিপ হয়ে যায়। ফলে যে কয়টা পাওয়ার প্লান্ট বাকি থাকে সেগুলো লোড ডিমান্ড এবং ফ্রিকুয়েন্স ঠিক রাখতে গিয়ে ট্রিপ করে যায়। একে একে সব পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ হয়ে যায়। এই গুলো নিয়ন্ত্রন করে NLDC( National Load Despatch Centre)। নরমাল অবস্থায় এরকম ঘাটতি পড়লে লোড শেডিং দিয়ে লোড ব্যলান্স করা হয়। ফলে ব্যালান্স থাকে। কিন্তু আজকের বিষয়গুলো খুব দ্রুত ঘটায় লোড কমানোর সময়ই পাওয়া যায়নি যার ফলে সব জেনারেশন বন্ধ হয়ে যায়। নরমাল একটা প্লান্ট বন্ধ হলে চালু করে গ্রিডে দিতে ৪-৫ ঘন্টা সময় লাগে। আর স্টিম হলে প্রায় ১০-১২ ঘন্টা লেগে যায়। যার জন্য এই দেরি... আশা করি বিষয়টা এখন অনেকের কাছেই ক্লিয়ার হবে... কৃতজ্ঞতা - ইঞ্জিঃ খন্দকার মারসুস ভাই ... আজ দুবার এমন ঘটনা ঘটে। প্রথমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে, এরপর বিকেল ৫ টায়। বিকেলে ৫০০-৭০০ মেগাওয়াট উৎপাদনে আসলেই আবার কলাপ্স করে যায়। ব্যাপারটা হচ্ছে, এটা নিছক দুর্ঘটনা। এমন দুর্ঘটনা যে কোন সময় ঘটতে পারতো। বর্তমানে পুরো কন্ট্রোল সিস্টেমই অটোমেটিক, তারপরও দায়িত্বে থাকা কিছু মানুষ হয়তো কিছুটা উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে । তদন্ত ছাড়া বিস্তারিত কোথায় কি হয়েছে, হয়তো বলা যাবে না। তবে, যে রকম পুর্ন সক্ষমতার সাথে ইঞ্জিনিয়াররা পুরো দেশকে দ্রুত অন্ধকারের কবল থেকে টেনে তুলতে পেরেছে, তা সত্যি প্রশংসার যোগ্য। -- যেসব এলাকায় কারেন্ট এসে আবার চলে গেছে, সেখানে নিরেট লোড শেডিং হচ্ছে। এতে আতংকিত হবার কোন কারন নেই। সব গুলো প্লান্ট চালু হবার আগ পর্যন্ত এভাবেই চলবে, তবে সেটা খুব বেশি সময় নয়। কারন, আপনি কারেন্ট পাইলেই তো হবে না ; পাশের এলাকায় ও একটু দেন না
Posted on: Sat, 01 Nov 2014 16:53:46 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015