বান কি-মুন এবং জন কেরিকে - TopicsExpress



          

বান কি-মুন এবং জন কেরিকে চিঠি দিচ্ছেন খালেদা জিয়া । নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সরকার তার অনড় অবস্থানে থাকায় সংলাপের আশা অনেকটা ছেড়েই দিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তবে রাজপথে আন্দোলনের পাশাপাশি এখনো বিদেশি সমর্থন আদায়ের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে দলটি। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো আরটিএনএন-কে জানায়, শিগগিরই দেশের সামগ্রিক ‘নাজুক’ পরিস্থিতি নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে চিঠি দেবেন বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পর যে কোনো সময়েই সংস্থাটির মহাসচিব বান কি-মুন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন কেরির কাছে চিঠি দেবেন খালেদা জিয়া। প্রসঙ্গত, সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দিলেও বিরোধী দলের সঙ্গে তার কোনো প্রতিনিধি আলোচনায় বসবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে দিয়েছেন। এ অবস্থায় বিএনপিও তাদের প্রতিনিধি না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র জানায়, চিঠিতে বেগম জিয়া গত এক মাসের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরার পাশাপাশি নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের মনোভাব তুলে ধরবেন। এছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিবের টেলিফোন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠির পর সরকারের মন্ত্রী এবং সরকারি দলের নেতাদের বক্তব্যের সারমর্মও তুলে ধরা হবে। খালেদা জিয়া দুজনকেই জানাবেন, তার দল যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতে প্রস্তুত। সরকার উদ্যোগ নিলেই তারা সাড়া দেবেন। পাশাপাশি নির্দলীয় সরকার পুনর্বহালে সরকারকে চাপ এবং রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ চাইবেন তিনি। এনিয়ে, গত মঙ্গলবার চেয়ারপারসন তার গুলশানের কার্যালয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ মুহূর্তে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি, সরকারের মনোভাব, সংলাপ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার জরিপ এবং আগামী দিনে বিএনপির করণীয় কী হবে তা নিয়েও তাদের মতামত নেন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা যায়, আলোচনার ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় সঙ্কট নিরসনে চিঠি দিয়ে বিশ্বের প্রভাবশালী দুজনের কাছে সহযোগিতা চাইবেন খালেদা জিয়া। বিএনপি নেতাদের আশঙ্কা, চলতি অধিবেশনে সরকার যদি সংবিধান সংশোধন না করে, তাহলে দেশে মারাত্মক সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে। সরকার জোর করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাইলেও বিএনপি তাতে অংশ নিবে না। এতে করে দেশে আরো সংকট ঘনীভূত হবে। প্রসঙ্গত, গত ২৩ আগস্ট জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করে সংলাপে বসার তাগিদ দেন। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি দুই নেত্রীকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে সংলাপে বসার পরামর্শ দেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের উদেষ্টা ড. এম ওসমান ফারুক আরটিএনএন-কে বলেন, ‘চিঠিতে আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে কথা বিশ্বনেতাদের জানাবো। তবে চিঠি কবে পাঠানো হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দলীয় ফোরামে আলোচনা পর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী আরটিএনএন-কে বলেন, ‘ওয়েট অ্যান্ড সি। সময় হলে সব জানানো হবে।’ rtnn.net//newsdetail/detail/1/1/70186#.UjLRlMbrxD4
Posted on: Fri, 13 Sep 2013 08:50:43 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015