বিবাহ/ মোহর/ নামাজ/ পর্দা - TopicsExpress



          

বিবাহ/ মোহর/ নামাজ/ পর্দা বিষয়ক মাসলা জেনেনিন। বিবাহ/ মোহর/ নামাজ/ পর্দা বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর by শায়খ মতিউর রহমান মাদানী। কোরআন ও সহীহ্ হাদিসের উপর জীবন গড়তে চান? বাংলায় বক্তা খুজে পাচ্ছেন না যে কাদের থেকে সঠিক ইসলাম শিখতে পারবেন? -তাহলে অবশ্যই হক্বানী ইসলামীক স্কলার শায়খ মতিউর রহমান মাদানীর লেকচার শুনুন! আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার, আমরা তাঁর প্রশংসা করি এবং আমরা তাঁর কাছে সাহায্য চাই এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাই এবং তাঁরই কাছে তওবা করি। তাঁরই কাছে আমাদের নফসের অমঙ্গল এবং মন্দ আমল হতে আশ্রয় চাচ্ছি। আল্লাহ তাআলা যাকে হিদায়েত দান করেন কেউ তাকে পথ ভ্রষ্ট করতে পারে না আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে কেউ হিদায়াত দিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি একক। তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা তাঁর শেষ এবং চুড়ান্ত রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবার এবং তাঁর অনুসারীদের প্রতি শান্তি ও রহমত বষর্ণ করুন। আমিন! মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেনঃ “যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎ কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?” (আল কুরআন ৪১:৩৩) “সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।”(আল ময়েদা:২) শায়খ মতিউর রহমান মাদানী বর্তমান যুগের বিশ্ব বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেমে দ্বীন এবং নির্ভীক বক্ত। বক্তার পরিচয়:- --------------- নাম : মতিউর রহমান মাদানী পিতার নাম : আব্দুল হাকীম জন্ম তারিখ : ১০ জানুয়ারী ১৯৬৭ জন্ম স্থান : মালদহ , পশ্চিমবঙ্গ , ভারত ভাষা : আরবী , বাংলা , উর্দু , হিন্দী শিক্ষা :- 1. Secondary School Diploma from Madarasa Islahul Muslimeen Bhadu, Malda, West Bengal 2. Diploma of Higher Learning Faculty from Jamia Salafia Benaras, Uttar Pradesh, India 3. B.A (Hadith), from Islamic University, Medina Monawwara, KSA শিক্ষাদান :- তিনি শিক্ষক হিসেবে সাত বছর জামিয়াতুল ইমাম আল-বুখারী , কিষাণগঞ্জ , বিহারে দায়িত্ব পালন করেছেন । দাওয়াতী কার্যক্রম : --------------------- ১২ বকছরের বেশি সময় দাওয়াতী ক্ষেত্রে কর্মরত । অনুবাদ করেছেন ২০টি বই । অসংখ্য পুস্তিকার লেখক , এবং সেগুলোকে বাংলা এবং উর্দুতে অনুবাদকারী । তার বক্তব্যের ৬০০ এরও অধিক সিডি/ডিভিডি প্রকাশিত হয়েছে । Contributed in the translation of Qu’ran in Bangla, which was published from Kuwait. শায়খ মতিউর রহমান মাদানী স্যার এর লেকচার গুলো শুনে সঠিক ইসলাম সম্পর্কে ধারনা পেয়েছি। আমরা যারা এই লেকচারগুলো শুনে উপকৃত হয়েছি তাদের উচিত এই তথ্যটি অন্য সকলকে জানিয়ে অংশীদার করা অর্থাৎ লেকচারগুলো মানুষের মধ্যে বিতরন করে সঠিক তথ্য ছড়ায়ে দিতে সাহায্য করা। তাই আসুন আমরা ইসলাম, সহী হাদীস এবং মহা গ্রহন্ত আল কোরআনের সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জনের জন্য শেখ মতিউর রহমান মাদানি লেকচারগুলো শুনি এবং সকলকে শোনার জন্য আহবান জানাই। কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪] ভাষাগত দুর্বলতা, পীর-ফকীরদের মাধ্যমে দ্বীন শেখা, পৌত্তলিকদের/বিধর্মীদের সাহচার্যে দীর্ঘদীন অবস্হান ও তাদের দ্বারা শাসিত হওয়া সহ বিভিন্ন কারনে আমরা যখন দ্বীন ইসলামের নামে কবরপুজা, মাজার পুজা, পীরপুজা, চল্লিশা, কুলখানী, কবরে চাদর চড়ানো, পীরের নামে মুরগী জবাই(এগুলোর কিছু ভিডিও চিত্র দেখুন) youtube/watch?v=QThu1SHsM_c youtube/watch?v=sQNQYMjLCNY হাদীসের নামে জালিয়াতি, সন্তান/স্বামী বসের আমল, জন্মদিন/মিলাদের অনুষ্ঠান এবং সে অনুষ্ঠানে রাসুলুল্লাহর সাঃ জন্য খালি চেয়ার রাখা, রাসুলুল্লাহ সাঃ কবর থেকে উঠে এসে তাবলীগের শায়েখের সাথে করমর্দন করা, পীরসাহেবের জান্নাতের সার্টিফিকেরট দেওয়া, পীরের থুথু খাওয়া থেকে শুরু করে যখন ইসলামের নামে আমরা অনেক শীরক-বিদাত বা কুসংস্কারে লিপ্ত হয়ে কুরআন সুন্নাহ থেকে অনেক দুরে অবস্হান করছিলাম, তখন যে অল্পসংখ্যক বাংলাভাষী আলেম এসব শিরক/বিদাতের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে কুরআন সুন্নাহর অমীয়বানী প্রচার করেছেন বা করছেন…..শায়খ মতিউর রহমান মাদানী তাদের মধ্যে অন্যতম। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে তাকে কখনও দেখিনি বা তাকে চিনিও না এবং আমি একজন হানাফী পরিবারের মুসলিম। দ্বীন শেখার প্রচন্ড তাগিদ নিয়ে জীবনে বিভিন্ন আলেমদের বক্তব্য শুনেছি (আলহামদুলিল্লাহ)। মাওলানা দেলওয়ার হুসাইন সাঈদী, তারিক মুনাওয়ার, হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদী, জাকির নায়েক, আব্দুর রহিম গ্রীন, বিলাল ফিলিপস, ইউসুফ ইস্টেটস, তাবলীগের বয়ান থেকে শুরু করে দ্বীন শেখার জন্য যাদের কেই ভাল মনে হয়েছে তাদের বক্তব্য শুনেছি বই পড়েছি। জীবনে অনেকবার তাবলীগে গিয়েছি (আমার এই ভালবাসা ও প্রচেষ্টা শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই বরাদ্দ রেখেছিলাম, কোন মানুষ বা দলকে লিজ দিয়ে দেইনি-আলহামদুলিল্লাহ)। কিন্তু আল্লাহকে সাহ্মি রেখে বলতে পারি শায়খ মতিউর রহমান মাদানীর মত এত বিশুদ্ধ ও বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য আর কারও থেকে শুনিনি। আমি মনে করি বংলাভাষায় তার দেওয়া বিষয়ভিত্তিক বক্তব্যগুলি (৭০০ও বেশী বক্তব্য আছে) সাধারন মানুষের বিশুদ্ধ দ্বীন শিহ্মার এক অমুল্য রিসোর্স। তার দেওয়া বক্তব্যগুলি যে কারনে আমার ভাল লেগেছে তার কতগুলি উল্লেখ না করলেই নয়: ১. তার বক্তব্যে কোন সুর/গুন্নাহ নেই। বস্তুনিষ্ঠতা ও কুরআন সুন্নাহ রেফারেন্সই তার বক্তব্যের মুল আকর্শন। তাই সুর করে মানুষকে আকৃষ্ট করার প্রয়োজন নেই। ২. তার বক্তব্যে কোন বানোয়াট কাহিনী বা জাল যয়ীফের বয়ান নেই। কোনআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের বক্তব্য দিয়েই তিনি এত সুন্দর ভাবে বিষয়গুলি বর্ননা করেন, যা অত্যন্ত শ্রুতিমধুর। তাই তার বক্তব্যে যা কিছু শুনবেন তার প্রায় সবগুলোই কুরআন বা সহীহ হাদিসে পাবেন। ৩. তিনি অন্য কারও অনুবাদের সাহায্য নেন না। আরবী ভাষার উপর অগাধ ঞ্জানের কারনে তিনি নিজেই আরবীর শাব্দিক উচ্চারন থেকে শুরু করে পুরো বিষয়ের অর্থ তুলে ধরেন। ৪. তিনি মনগড়া কুরআনের ব্যাখ্যা করেন না। বরং সংশ্লিষ্ট কুরআনের আয়াত এবং রিলেভেন্ট সহীহ হাদীসের আলোকে সলফে সালেহীনগন কি ব্যাখ্যা বুঝেছেন তা তূলে ধরেন। ৫. তিনি মানুষের মন রহ্মার জন্য বক্তব্য দেন না। যে বক্তব্যগুলি দিলে মানুষের মন গলবে মানুষ প্রশংসা করবে শুধু তাই বলেন না। বরং যা কিছু শিরক-বিদাত-কুসংস্কার থেকে মুসলিম কে মুক্ত করে বিশুদ্ধ দ্বীন পালনে সহায়তা করবে তাই তিনি নির্ভয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে বলে থাকেন। যার কয়েকটি প্রমান আমি নিচে দিলাম। এই বিষয়গুলি নিয়ে আমি এর আগে আর কারও কাছ থেকে কোন বক্তব্য শুনিনি। ক. বেরলভী আকীদা (youtube/watch?v=HcSBPL37E40) খ. শরশীনা তরীকা (youtube/watch?v=4E5olige7-c) খ. ফুলতলী তরীকা (youtube/watch?v=tcSC4INdTG4) গ. চরমোনাই তরীকা (youtube/watch?v=CXqZmrpcb4s) ঘ. দেহবন্দী তরীকা (youtube/watch?v=mIcg3OeCIVY) ঙ. তাবলীগ জামাতের কিছু ভুল (youtube/watch?v=aw_5sSWV2eE) চ. প্রচলিত বিদাত (youtube/watch?v=IIxdTCbdarI) ছ. রজব ও সাবান মাসের বিদাত (youtube/watch?v=ZEL0veyIRU4) জ. মাওলানা দেলওয়ার হুসাইন সাঈদী সাহেবের কিছু ভুল (youtube/watch?v=3lz2nal-Qwo) ঝ. সপ্নের ধর্ম (youtube/watch?v=wgnfDELzClM) অথচ এদের প্রায় সবারই রয়েছে মারাত্মক ধরনের কিছু ভুল, যা হাজার হাজার মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে এবং করছে এবং এগুলোর অনেকটিই মুসলিমের ঈমান-আকীদা ধংশ করে তাকে মুশরিক বানিয়ে ছাড়ছে, যার পরিনাম আজীবন জাহান্নাম। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও এই দ্বায়িত্ব কে নেবে? আমার প্রশ্ন এই অপ্রিয় সত্য কিন্তু দ্বীন ইসলামের জন্য অতীব জরুরী এই বিষয়গুলো কি আমাদের আলেম সমাজ জানতেন না, নাকি জেনে শুনে গোপন করেছেন? মানুষকে এই বিষয়গুলি না জানালে চিল্লা দিয়ে কি লাভ বা রাজনিতি করে কি লাভ? বাকিটা আল্লাহর কাছে সমর্পন করলাম। ৬. আরেকটি বৈশিষ্ট কোন বিষয়ের উপর ৩৬০ ডিগ্রী আলোচনা। তিনি যে বিষয়ের উপর আলোচনা করেন তার উপর কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক চতুর্মুখী আলোচনা করেন। এবং এই আলোচনা শুনার পর আপনি বলবেন বিষয়টির কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক কিছু ঞ্জান আমি জানতে পেরেছি। (আলহামদুলিল্লাহ)। যেমন নিচের লেকচার গুলির যেকোন একটি শুনুন: ক. মুসলিমের চরিত্র (youtube/watch?v=0kC_foSFG8A) খ. ইসলাম ভংগকারীর বিষয় (youtube/watch?v=uS8ectBq3kI) গ. রকমারি সাদাকাহ (youtube/watch?v=i7eJ5U1SFrY) ঘ. রুগীর পরিচর্যা (youtube/watch?v=QG2HsBx67P8) ঙ. রমজানের সত্ আমল (youtube/watch?v=ezYSeMSM-xo) ৭. ইসলামের প্রায় সকল গুরুত্বপের্ন শাখায় তার বাংলা বক্তব্য পাওয়া যায়। যা বাংলা বা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া বাঙ্গালীদের দ্বীন শিখতে খুবই গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখতে পারে। উনার বক্তব্যগুলি পাবেন নিচের লিংকে: ভিডিও: youtube/playlist?list=PLC1EE336CA2AEF148 অডিও: shorolpoth/download-audio-lecture-bangla-of-sheikh-motiur-rahman-madani-mp3/ তবে উনার বক্তব্যে যা পাবেন না: ১. সুরেলা ওয়াজ ২. সম্মিলিত মোনাজাত ৩. ইমাম আবু হানিফার ৪০ বছর এশার অযুতে ফজর পড়ার কাহিনী বা শাহজালাল হুজুরের গায়েবী ইলম দিয়ে আসামের বন থেকে ইবনে বতুতাকে রহ্মা করার কাহিনী অথবা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কবর থেকে উঠে এসে করমর্দনের কাহিনীর মত জাল যয়ীফের কাহিনী। যা কিছু বস্তুনিষ্ট এবং কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে প্রাপ্ত তার বাইরে তেমন কিছু পাবেন না। ৪. রক্তগরম করার মত কোন বক্তব্য পাবেন না ৫. পাবেন না জান্নাতের কোন সার্টিফিকেট ৬. পাবেন না মাযহাবী গোড়ামী ৭. পাবেন না শিরক-বিদাতের প্রতি নমনীয়তা তবে কেন তাকে নিয়ে এত বিতর্ক/কুতর্ক: কিন্তু এত কিছুর পরও সোনার বাংলাদেশের মত মুসলিম অধ্যুসিত ব্লগে মতিউর রহমান মাদানী সাহেব কে নিয়ে অনেক সমালোচনা মুলক পোষ্ট দেখতে পাই। পড়ার আগে আশা থাকে হয়ত গঠন মুলক ও দলিল ভিত্তিক কোন সমালোচনা দেখতে পাব যা মুসলিম উম্মার দ্বীন পালনে ভুমিকা রাখবে। কিন্তু সমালোচনা বিষয়ক প্রায় সবগুলো পোষ্ট আমাকে শুধু হতাশই করে নি বরং উনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা বোধ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দেখা যাবে অধিকাংশ হ্মেত্রেই findings এর ভয়াবহতা থেকে মন্তব্যের ভয়াবহতা অনেক বেশী। এর একটা প্রধান কারন আমাদের আনুগত্য আল্লাহ ও তার রাসুল থেকে সরে গিয়ে কোন দল বা ব্যাক্তির উপর পতিত হয়েছে। তাই তো মতিউর রহমান মাদানী সাহেব যখন বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা বা দ্বায়িত্বশীলদের মারাত্মক ভুলগুলো কুরআন সুন্নাহর আলোকে ধরিয়ে দেবার মত কঠিন কাজগুলো সাহসীকতার সাথে করে যাচ্ছেন….. তখন এই নেতাদের অন্ধঅনুসারিদের তা ভাল না লাগছে না। তাই তো তারা ব্যাক্তিগত আবেগে বশবর্তী হয়ে তাদের ঞ্জান ও ইসলামের সীমা অতিক্রম করে যা লিখছেন তা জন্য আল্লাহর কাছে কি পু্রস্কার অপেহ্মা করছে তা আল্লাহই ভাল জানেন। অবশ্য আমাদের দেশে দুটো বড় দল জামাত ও তাবলীগের ভুল নিয়ে বক্তব্য দেবার জন্য তিনি দলগুলোর অন্ধ অনুসারিদের কাছ থেকে না হলেও আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম প্রতিদান পাবেন এই আশা রাখি এবং দ্বীনই ভাই হিসাবে দোয়া করি। দলগুলোর অন্ধ অনুসারিদের কেউ কেউ এই দলগুলোকে আল্লাহ ও তার রাসুল থেকেও বেশী ভালবাসেন, যার একটি প্রমান আমি দিচ্ছি– “এই লেকচার গুলোতে বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো পীর-ফকীরের/দলের/মতের ভুলগুলো কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে কিন্তু তাদের অধিকাংশ অনুসারিই মনে করছে তারা ঠিক করছে- এমনকি কেউ পীরের নামে মুরগী জবাই করছে, তবুও মনে করছে তারা ঠিক করছে! যা শুধু মতিউর রহমান সাহেবের কাছেই নয় বরং অন্যান্ন দলের (জামাত,তাবলীগ) কাছেই শিরক বলে পরিগনিত। হয়ত সবাই বলবেন এই অন্ধ অনুসারিরা যদি একটু চিন্তা করত । ঠিক সেই একই ভাবে বড়দলের ভুল গুলো নিয়ে কি দলগুলোর অনুসারীদের একটু নিরপেহ্ম ভাবে চিন্তা করা উচিত নয়। রাসূল (সা.) বলেছেন : “ঈমানের সবচেয়ে শক্ত বন্ধন হচ্ছে আল্লাহর ওয়াস্তে আনুগত্য, আল্লাহর জন্য অন্যের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করা, আল্লাহর জন্য (কাউকে) ভালবাসা এবং আল্লাহর জন্য (কাউকে) ঘৃণা করা।” (আল তায়ালিসী, আল-হাকিম, আল-তাবারানী ইত্যাদি – আলবানীর মতে সহীহ) আর পবিত্র কোরআন বলছে: “নিশ্চয় শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় জুলুম”। (সূরা লোকমান-১৩) ‘সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা’। (আল ময়েদা:২) আর আমরা আজ শিরক ও বিদাতের প্রতি নমনীয় হয়েছি আর ব্যাক্তিগত দলীয় বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের প্রতি কঠোর হয়েছি। যারা শিরক ও বিদাতের বিরুদ্ধে লড়াই করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে নেমেছি। শায়খ মতিউর রহমান মাদানী মানুষকে ডাকছে সুধুমাত্র আল-কুরআন ও সুন্নাহর দিকে! তিনি ভন্ড-মোল্লাদের মত পীর-ফকির আর মাজারের দিকে ডাকেনাহ! সঠিক দ্বীন ইসলাম কে জানতে ও বিদাত মুক্ত জীবন গড়তে তার সাথেই থাকুন! আল্লাহপাক আমাদেরকে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাজ করার তাওফীক দান করুন।...........আমীন!
Posted on: Wed, 24 Sep 2014 09:28:58 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015