বাংলাদেশ ওলী আল্লাহদের - TopicsExpress



          

বাংলাদেশ ওলী আল্লাহদের দেশ। ৯৭% মুসলমানদের দেশ। ইসলামের অন্যতম আবাদ ভূমি এই বাংলা। পৃথিবীর অনেক বড় বড় ওলী আল্লাহ এই দেশে এসে এদেশের জমিন থেকে মূর্তি পুজা সহ বিভিন্ন শিরিক কার্য দূর করে পরিপূর্ণ সুন্নত এবং ইসলাম কায়েম করেছেন। অথচ আজ অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বর্তমান বাংলাদেশে হিন্দু তোষনের মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারই চরম ভাবে খর্ব হচ্ছে। ধর্মনিরপেক্ষতা নামক কুফরী মতবাদ ছড়িয়ে দেশকে ইসলামের কালচার থেকে সড়িয়ে দিয়ে পুজা পার্বনের দিকে ঝুঁকিয়ে দেয়া হয়েছে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার নামক কুফরী বাক্য মানুষের মস্তিষ্কে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়েছে। আজ মুসলমানরা নিজেকে মুসলমান দাবি করার পরও হিন্দুদের পুজায় যায়, পুজায় সাহায্য সহযোগিতা করে, পুজা করার জন্য জায়গা করে দেয়। নাউযুবিল্লাহ ! যখন জানতে পারি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গনে স্বরস্বতী পূজা করার জন্য অনুমতি প্রাপ্ত হয়েছে তখন বিষ্ময়ের চুড়ান্ত সীমায় পৌঁছাতে হয়। মনের কোনায় প্রশ্ন উদিত হয়, আমরা কি মুসলমান দেশে বাস করি ?? একজন মুসলমান কি করে শিরিক কুফরী কাজ করতে পারে এবং এ কাজে সাহায্য করতে পারে ? অথচ আল্লাহ পাক বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করে, মহান আল্লাহ পাক তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন। ( সূরা মায়েদা ৭২) আল্লাহ পাক আরো বলেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তাঁর সাথে শরীক করার গুনাহ ক্ষমা করবেন না ( খালিছ তওবা ব্যতীত) । এছাড়া অন্যান্য গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন। ( সূরা নিসা ৪৮) হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাকের সাথে শিরিক করে মৃত্যুবরণ করলো সে জাহান্নামী। ( মুসলিম শরীফ ) শিরিক কত ভয়াবহ গুনাহ এটা বুঝাতে হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশিষ্ট সাহাবী হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে লক্ষ্য করে বলেন, হে মুয়াজ বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! আপনি কখনো শিরিক করবেন না। যদিও আপনাকে হত্যা করা হয় অথবা জ্বালিয়ে দেয়া হয়। ( বুখারী শরীফ ) অর্থাৎ কাউকে যদি শিরিক কাজ করার জন্য বাধ্য করে হত্যা অথবা আগুনে জ্বালানো হয় সে ব্যক্তি যেন তথাপিও কোন শিরিক না করে। কারন শিরিক হচ্ছে ভয়াবহ এক গুনাহ। এ তওবা না করে মারা গেলে তার জন্য জান্নাত চিরদিনের জন্য হারাম হয়ে যাবে অনন্তকাল মুশরিক হয়ে জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করতে হবে। এত ভয়বহ গুনাহ জানার পরও কি করে মুসলমান আজ পুজার মত শিরিক কাজে উৎসাহ বোধ করে ? জাতীয় সংসদের মত স্থানে পুজার জন্য অনুমতি প্রদান করা হয় ? স্কুল কলেজে প্রধান শিক্ষকরা কি করে পুজার জন্য অনুমতি প্রদান করে ? আমরা মুসলমান জাতি, আমাদের দেশ মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ। এই দেশের সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম লেখা থাকার পরও কি করে ইসলাম বিরোধি শিরিক পুজাতে অনুমতি দেয়া হয় ? এ দেশ যদি প্রকৃতই মুসলমান দেশ হয় এবং আপনারা যদি সত্যি মুসলমান হন, এবং মৃত্যুর পর যদি জাহান্নামের ভয় থাকে তবে , - এখনি বাংলাদেশ থেকে মুসলমান পৃষ্ঠপোষকতায় স্বরস্বতি পুজা সহ সকল পুজা বন্ধ করা হোক। - সংসদ প্রঙ্গনে পুজা অনুষ্ঠানের অনুমতি প্রত্যাহার করা হোক। - স্কুল কলেজ সহ সকল প্রতিষ্ঠানে পুজার অনুষ্ঠানে সাহায্য এবং আয়োজন বন্ধ করা হোক। - পুজার ব্যাপারে সকল অনুদান বন্ধ করা হোক। - মুসলমানদের সকল পুজা অনুষ্ঠানে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হোক। হিন্দুরা তাদের পুজা তাদের অনুষ্ঠান তাদের নিজেদের হিন্দু পাড়ায় করবে। মুসলমানদের এলাকায় বা প্রতিষ্ঠানে কোন রূপ পুজা সংশ্লিষ্ট কাজ তারা করতে পারবে না। মহান আল্লাহ পাক বলেন, তোমরা নেকী এবং পরহেজগারীতে সাহায্য কর। পাপের কাজে সাহায্য করো না। ( সূরা মায়িদা ) এখন চিন্তা করুন সবচাইতে ভয়াবহ পাপ পুজা নামক শিরিক কাজে কি করে সাহায্য করা যেতে পারে ? আল্লাহ পাক তো নিজেই সেটা নিষেধ করেছেন। আল্লাহ পাকের নিষেধ অমান্য করে কেউ কি ঈমানদার থাকতে পারে ?
Posted on: Thu, 22 Jan 2015 11:21:22 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015