বাংলাদেশ ছাত্রলীগের - TopicsExpress



          

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র প্রথম ভাগ (ধারা ১-১১) সংগঠন ও সাংগঠনিক কাঠামো ১। নামকরনঃ বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের এই সংগঠনের নাম “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ” ও ইংরেজিতে “Bangladesh Students League” সংক্ষেপে বাংলায় “ছাত্রলীগ” নামে ও ইংরেজিতে “B.S.L.” নামে অভিহিত হবে। এর জাতীয় ভিক্তিতে সর্বোচ্চ কমিটি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ( Central Executive Committee) সংক্ষেপে নির্বাহী সংসদ নামে অভিহিত হবে। সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক ফোরামের নাম হবে কেন্দ্রীয় কমিটি (Central Committee) (পূর্বতন জাতীয় পরিষদ) । অন্যান্য শাখাগুলার নামকরন হবে নিম্মরুপঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গোপালগঞ্জ জেলা শাখা, পঞ্চগড় ও কক্সবাজার জেলা শাখা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শাখা, ঢাকা মহানগর শাখা, নারায়ণগঞ্জ শহর শাখা, বঙ্গবন্ধু কলেজ শাখা ইত্যাদি। ২। মূলনীতিঃ সংগঠনের মূলনীতি হবে শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি। ৩। পতাকাঃ সংগঠনের পতাকা দৈর্ঘ : প্রস্থ ৪ : ৩। পতাকার জমিন সাদা (শান্তির প্রতীক)।জমিনের নীচ প্রান্তে লাল তিনটি অগ্নিশিখা ( আন্দোলন ও সংগ্রামের স্মারক)। অগ্নিশিখার উপরে ছাত্রলীগের মূলমন্ত্র শিক্ষা,শান্তি ও প্রগতির পরিচয় বহনকারী তিনটি সবুজ তারকা থাকবে। ৪। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক দিক নির্দেশনা মোতাবেক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনির সমন্বয়ে আদর্শভিক্তিক একটি সংগঠন গড়ে তোলা ও আদর্শিক পরিচর্যা অব্যাহত রাখা। দীর্ঘ সময়ের শিক্ষার সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে একটি সহজলভ্য, বৈজ্ঞানিক, গণমুখী, বৃত্তিমূলক, কারিগরি, মাতৃভাষা ভিক্তিক সর্বজনীন শিক্ষানীতি প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়নের সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়া। ৫। প্রাথমিক সদস্যঃ ক) অনূর্ধ্ব ২৭ বছর বয়সী বাংলাদেশের যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা বোর্ড কতৃক স্বীকৃত যে কোন যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র বা ছাত্রী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্য হতে পারেন। প্রতি শিক্ষাবর্ষে সদস্যপদ নবায়ন করা বাঞ্ছনীয় । খ) সদস্যপদ লাভের জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্ব স্ব জেলা শাখার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সংসদের নির্ধারিত সদস্যভুক্তির নিয়ম অনুযায়ী শপথপত্রে স্বাক্ষর করে সদস্যপদ গ্রহন করতে হবে। গ) যে কোন নিয়মিত ছাত্র ( ৫ এর ক উপ ধারা অনুযায়ী ) ছাত্রলীগের কর্মকর্তা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য হতে পারে। সরকারি চাকুরীতে নিয়োজিত কোন ছাত্র ছাত্রলীগের কর্মকর্তা হতে পারবেনা। চলতি কার্যকালের মধ্যে কারো ছাত্রজীবন ব্যত্যয় দেখা দিলে নির্বাহী সংসদ তার সদস্যপদ বাতিল বা মেয়াদ পর্যন্ত বহাল রাখতে পারে। ঘ) ছাত্রলীগের স্বার্থে বা সাধারন ছাত্রসমাজের স্বার্থে কোন সদস্য বা কর্মকর্তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কৃত অথবা কারারুদ্ধ হলে এই বিপর্যয়ের প্রমাণ সাপেক্ষে উক্ত সদস্যের বা কর্মকর্তার সদস্যত্ব বা কর্তৃত্ব দুই বছর পর্যন্ত বহাল থাকতে পারে। বহিস্কার বা কারারুদ্ধ হবার দিন থেকে এই হিসাব গননা করা হবে । তবে এই ব্যাপারে নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে । ৬। সাংগঠনিক কাঠামোঃ ক) ছাত্রলীগ সাংগঠনিক দিক থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, কেন্দ্রীয় কমিঠি, জেলা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও বিদ্যালয় শাখায় বিভক্ত । খ) দেশের প্রতেক্যটি মহাবিদ্যালয়ে মহাবিদ্যালয় শাখা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যালয় শাখা গঠিত হবে। গ) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিন, চট্টগ্রাম মহানগর, খুলনা মহানগর, রাজশাহী মহানগর, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম জেলা ( উত্তর ও দক্ষিন ) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখাসমূহ সাংগঠনিক জেলা হিসেবে গণ্য হবে। ঘ) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, প্যারামেডিকেল ও ঢাকা মহানগরের অন্যান্য চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় সহ ঢাকা মহানগরের চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ে একটি ঢাকা চিকিৎসা বিজ্ঞান শাখা নামে সাংগঠনিক কমিটি গঠিত হবে এবং ইহা জেলা শাখা নামে গণ্য হবে। ঙ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত ঢাকাস্থ আইন কলেজ সমূহকে নিয়ে ঢাকা আইন জেলা শাখা সাংগঠনিক কমিটি গঠিত হবে এবং ইহা জেলা শাখা হিসেবে গণ্য হবে। চ) সংগঠনের স্বার্থে সভাপতি,সাধারন সম্পাদক এবং ঊর্ধতন কমিটির অধস্তন যেকোনো কমিটি বাতিল করে সাংগঠনিক কমিটি গঠন করতে পারেন। উক্ত সাংগঠনিক কমিটি আহ্বায়ক কমিটি বা এডহক কমিটি রুপে গঠিত হবে। একজন আহ্বায়ক, এক বা একাদিক যুগ্ন আহ্বায়ক এবং বাকি সদস্য সমন্বয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হবে। তবে কমিটির পরিধি ৫১ জনের বেশি হবেনা। এডহক কমিটির ক্ষেত্রে একজন সভাপতি, একজন সাধারন সম্পাদক এবং ১৯ জন সদস্য সমন্বয়ে কমিটি গঠিত হবে। তবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বিশেষ বিবেচনায় সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবেন। ৭। ওয়ার্ড ও প্রাথমিক শাখাঃ ক) ওয়ার্ড শাখাঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতিত সাধারন প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে ওয়ার্ড হবে সংগঠনের নিম্মতম ইউনিট। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড শাখার কমিটি ২১ সদস্য বিশিষ্ট হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বিদ্যালয় শাখা প্রাথমিক শাখা হিসেবে অভিহিত হবে। প্রাথমিক শাখার সদস্য সংখ্যা ২১ জন। ওয়ার্ড ও প্রাথমিক শাখায় ১ জন সভাপতি, ৩ জন সহ সভাপতি, ১ জন সাধারন সম্পাদক, ২ জন যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, ২ জন সাংগঠনিক সম্পাদক, ১ জন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, ১ জন দপ্তর সম্পাদক, ১ জন সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ১ জন শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন বিজ্ঞান ও তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ৫ জন সদস্য সমন্বয়ে কমিটি গঠিত হবে। সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক বিন্যাস ইউনিয়ন কমিটির অনুরূপ হবে।এ শাখার কার্যকাল এক বছর। খ) ইউনিয়ন শাখাঃ ইউনিয়ন শাখা ৫১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি নিয়ে গঠিত হবে। ইউনিয়ন শাখার নির্বাহী সংসদ নিম্মরুপে গঠিত হবেঃ ১ জন সভাপতি, ৫ জন সহ সভাপতি, ১ জন সাধারন সম্পাদক, ২ জন যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, ২ জন সাংগঠনিক সম্পাদক, ১ জন প্রচার সম্পাদক, ১ জন দপ্তর সম্পাদক, ১ জন গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ১ জন সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ১ জন শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন সমাজসেবা সম্পাদক, ১ জন ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক,১ জন তত্ত্ব ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন আইন বিষয়ক সম্পাদক,১ জন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন বিজ্ঞান ও তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক,১ জন ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, ১০ জন সহ-সম্পাদক, ১৪ জন সদস্য সমন্বয়ে কমিটি গঠিত হবে। এ শাখার কার্যকাল এক বছর। গ) ইউনিয়ন \ মাধ্যমিক বিদ্যালয় \ মাদ্রাসা \ ওয়ার্ড ( সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলাও মর্যাদাপ্রাপ্ত পৌর শাখার ক্ষেত্রে) শাখা ১০ জন কাউন্সিলর উপজেলার শাখার সম্মেলনে প্রেরন করবেন। ৮। আঞ্চলিক শাখাঃ সংশ্লিষ্ট জেলা বা উপজেলা কেবলমাত্র সাংগঠনিক কার্যাদির সুবিধার জন্য বা সমন্বয় সাধনের জন্য অঞ্চল ভিক্তিক আঞ্চলিক শাখা গঠন করতে পারে। এ ব্যাপারে জেলা বা উপজেলা কমিটির সভায় প্রস্তাব পাশ করে তা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুমোদনের জন্য পেশ করতে হবে।আঞ্চলিক শাখার কোন প্রতিনিধি ঊর্ধ্বতন শাখার বিষয় নির্ধারণী কমিটির সভ্য হবেন না। আঞ্চলিক শাখার সাংগঠনিক বিন্যাস ইউনিয়ন কমিটির অনুরূপ হবে। ৯। উপজেলা শাখাঃ ৬১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা শাখার নির্বাহী সংসদ নিম্মরুপে গঠিত হবেঃ ক) সভাপতি ১(এক) জন, সহ সভাপতি ৭(সাত) জন, সাধারন সম্পাদক ১(এক) জন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ৩(তিন) জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ৩(তিন) জন, প্রচার সম্পাদক ১(এক) জন, দপ্তর সম্পাদক ১(এক) জন, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ১(এক) জন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১(এক) জন, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১(এক) জন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, তত্ত্ব ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, বিজ্ঞান ও তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ১(এক) জন, বিভাগীয় উপ-সম্পাদক ১৮(আঠারো) জন, সদস্য ১০(দশ) জন। খ) উপজেলা শাখার কার্যকাল এক বছর। উপজেলা শাখাকে উপরিউক্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের হাতে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে। গ) উপজেলা সম্মেলনে স্ব স্ব সাংগঠনিক উপজেলা শাখার অন্তর্ভুক্ত বেসরকারি কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয় , মাদ্রাসা ও ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক , আহ্বায়ক ও যুগ্ন-আহ্বায়ক, উপজেলা শাখার নির্বাহী সংসদের সকল কর্মকর্তার বিষয় নিরধারনি কমিটির সদস্য(নির্বাচকম ণ্ডলী) হবেন। ঘ) প্রত্যেক উপজেলা শাখা ২৫ জন কাউন্সিলর জেলা শাখার সম্মেলনে প্রেরন করবেন । কাউন্সিলরদের তালিকা উপজেলা শাখার সম্মেলনেই চুড়ান্ত করে তার কপি জেলা শাখা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে প্রেরন করা হবে। ঙ) সরকারি কলেজ, বেসরকারি কলেজ ( কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক অনুমতিসাপেক্ষে) ও জেলার মর্যাদা প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সমূহ উপজেলা শাখা হিসেবে গণ্য হবে এবং তার নির্বাহী কমিটির সদস্যরাই বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য বলে গণ্য হবেন। চ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে পৌর শাখাসমূহ উপজেলা শাখার মর্যাদা প্রাপ্ত হবে। ১০। জেলা শাখাঃ ১২১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা শাখার নির্বাহী সংসদ নিম্মরুপে গঠিত হবেঃ ক) সভাপতি ১(এক) জন, সহ সভাপতি ১৫(পনের) জন, সাধারন সম্পাদক ১(এক) জন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ৭(সাত) জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ৭(সাত) জন, প্রচার সম্পাদক ১(এক) জন, দপ্তর সম্পাদক ১(এক) জন, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ১(এক) জন, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১(এক) জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১(এক) জন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, তত্ত্ব ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন,অর্থ সম্পাদক ১(এক) জন, আইন সম্পাদক ১(এক) জন, পরিবেশ সম্পাদক ১(এক) জন, স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, বিজ্ঞান ও তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ১(এক) জন, সাহিত্য সম্পাদক ১(এক) জন, গণযোগাযোগ উন্নয়ন সম্পাদক ১(এক) জন, মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ১(এক) জন, আপ্যায়ন সম্পাদক ১(এক) জন, ছাত্র বৃত্তি সম্পাদক ১(এক) জন, বিভাগীয় উপসম্পাদক ২৩(তেইশ) জন, সহ-সম্পাদক ৭(সাত) জন, সদস্য ৩৭(সাইত্রিশ) জন। খ) জেলা শাখার কার্যকাল এক বছর। জেলা শাখাকে উপরিউক্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের হাতে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে।বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সন্সদের অনুমোদন ক্রমে ৯০ দিন সময় বৃদ্ধি করা যাবে। এই সময়ের মধ্যে সম্মেলন না হলে জেলা কমিটি বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ আহ্বায়ক বা এডহক কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নিবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে আহ্বায়ক বা এডহক কমিটি বাতিল বলে গন্য হবে এবং কেন্দ্রীয় সংসদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গ) জেলা সম্মেলনে থানা শাখার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এবং জেলা কর্মকর্তাবৃন্দ বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য হবেন। বিষয় নির্ধারণী কমিটি ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারলে গোপন ব্যালটে নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে থানা সম্মেলনে নির্বাচিত ২৫ জন কাউন্সিলরও ভোট দিবেন। জেলা শাখার অধস্থন সকল ইউনিটের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে অভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। ঘ) প্রতিটি জেলা শাখা ২৫ জন কাউন্সিলর কর্মী সম্মেলনে প্রেরন করবেন। এই কাউন্সিলরদের তালিকা জেলা সম্মেলনেই কাউন্সিল কর্তৃক তৈরি হবে। নির্বাচিত তালিকার এক কপি জেলা ও অপর দুই কপি কেন্দ্রীয় দপ্তরে প্রেরন করা হবে। ঙ) সাংগঠনিক জেলার অন্তর্ভুক্ত চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়, প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়, সরকারি মহাবিদ্যালয় , বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং জেলা শহর শাখা , উপজেলা শাখার মর্যাদা পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে হল শাখা ও উপজেলা শাখার মর্যাদা পাবে। চ) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিন , চট্টগ্রাম মহানগর , খুলনা মহানগর , রাজশাহী মহানগর , বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন , চট্টগ্রাম জেলা ( উত্তর ও দক্ষিন ) , কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিন জেলা অন্তর্গত উপজেলা ও কলেজ শাখার সভাপতি, সাধারন সম্পাদক এবং জেলা শাখার সকল কর্মকর্তা মহানগর ও জেলা সম্মেলনে বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য হবেন। বিষয় নির্ধারণী কমিটি ঐকমত্ত্যে পৌছাতে ব্যর্থ হলে গোপন ব্যালটে সভাপতি সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক উপজেলা বা উপজেলা শাখার মর্যাদা প্রাপ্ত ইউনিটের ২৫ জন কউন্সিলর ভোট দিবেন। ছ) ঢাকা মহানগর সাংগঠনিক কলেজ ইউনিট। নিম্মোক্ত কলেজ সমূহ নবগঠিত ইউনিটের সদস্য ইউনিট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেঃ ঢাকা কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী তিতুমির কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি কলেজ, কবি নজরুল সরকারী কলেজ, ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সরকারী বদরুন্নেসা কলেজ, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ও আবু জর গিফারি কলেজ। উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের ঐতিহ্য, শিক্ষার্থী সংখ্যা, সাংগঠনিক গুরুত্ব এবং কেন্দ্রীয় সংসদের নিয়িমতি কার্যক্রমকে আর বেশি শিক্ষার্থী সম্পৃক্ত করার গুরুত্ব বিবেচনা করে কলেজ সমূহকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সরাসরি সাংগঠনিক আওতায় আনা হয়েছে। উক্ত সাংগঠনিক ইউনিটটি জেলা শাখার মর্যাদা প্রাপ্ত হবে এবং কেন্দ্রীয় সম্মেলনে ২৫ জন কাউন্সিলর প্রেরন করবেন যা কেন্দ্রীয় সংসদ কর্তৃক পূর্বানহে অনুমোদিত হবে। জ) “ঢাকা চিকিৎসা বিজ্ঞান শাখা” এর অন্তর্গত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ( উপজেলার শাখার মর্যাদা প্রাপ্ত) সভাপতি, সাধারন সম্পাদক এবং জেলা কমিটির সকল সদস্য বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য হবেন। বিষয় নির্ধারণী কমিটি ঐকমত্যে পৌছাতে ব্যর্থ হলে গোপন ব্যালটে সভাপতি সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি কলেজের (থানা মর্যাদার) ২৫ জন কউন্সিলর ভোট দিবেন। ঝ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত ঢাকা মহানগর এলাকার সকল আইন কলেজের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক এবং জেলা শাখার সকল সদস্য ঢাকা আইন জেলা শাখার সম্মেলনে বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্য হবেন। বিষয় নির্ধারণী কমিটি ঐকমত্যে পৌছাতে ব্যর্থ হলে গোপন ব্যালটে সভাপতি সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি কলেজের ২৫ জন কউন্সিলর ভোট প্রদান করবেন। ঞ) জেলা সম্মেলনে ১(এক) জন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হবেন। ট) বৈদেশিক শাখাঃ প্রবাসে যেকোনো দেশে শিক্ষারত বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা (নুন্যতম ৪১ জন) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্য পদ গ্রহন করলে সে দেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করতে পারবেন। এ কমিটির মর্যাদার ব্যপারে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন। সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসরত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্য সংখ্যা, পরিবেশ , প্রবাসীদের প্রয়োজনতার দিকে লক্ষ্য করে বিশেষ বিবেচনায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের পরবর্তী সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এই কমিটির সদস্য সংখ্যা হ্রাস বৃদ্ধি করতে পারবেন । ১১। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদঃ ক) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ২৫১ সদস্য সমন্বয়ে নিম্মরুপে গঠিত হবেঃ সভাপতি ১(এক) জন, সহ সভাপতি ৪১(একচল্লিশ) জন, সাধারন সম্পাদক ১(এক) জন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ১০(১০) জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ১০(১০) জন, প্রচার সম্পাদক ১(এক) জন, দপ্তর সম্পাদক ১(এক) জন, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ১(এক) জন, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১(এক) জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১(এক) জন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, পাঠাগার সম্পাদক ১(এক) জন, তত্ত্ব ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, অর্থ সম্পাদক ১(এক) জন, আইন সম্পাদক ১(এক) জন, পরিবেশ সম্পাদক ১(এক) জন, স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ১(এক) জন,স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন, সাহিত্য সম্পাদক ১(এক) জন, গণযোগাযোগ উন্নয়ন সম্পাদক ১(এক) জন, নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক ১(এক) জন,বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক ১(এক) জন, আপ্যায়ন সম্পাদক ১(এক) জন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা সম্পাদক ১(এক) জন, মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ১(এক) জন, ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক ১(এক) জন, কৃষি শিক্ষা সম্পাদক ১(এক) জন, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক ১(এক) জন, সহ- সম্পাদক ২৫(পঁচিশ) জন, বাকি ১৩৩ জনের মধ্য থেকে সাংগঠনিক প্রয়োজন অনুসারে বিভাগীয় উপ-সম্পাদক ও সদস্য নির্বাচিত হবেন। খ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কার্যকাল ২ বছর। উপরিক্ত সময়ের মধ্যে সম্মেলন আয়োজন করতে হবে। অন্যথায় নির্বাহী সংসদের কার্যকারিতা লোপ পাবে। গ) বিশেষ বা জরুরী অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে কমিটির কার্যকাল ৩ মাস বৃদ্ধি করা যাবে। উক্ত সভায় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ যোগ দিবেন। ঘ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কর্মসূচি ও পরিকল্পনা প্রনয়ন করে তা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। ঙ) অধস্থন শাখাসমুহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহন করবেন। তবে অধস্থন শাখাসমুহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক নির্দেশিত কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সমূহও বাস্তবায়ন করবেন। চ) বিশেষ প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ জরুরু ভিক্তিকে ৭ দিন ও সাধারন ভাবে ১৫ দিনের নোটিশে নির্বাহী সংসদের বর্ধিত সভা ডাকতে পারবেন। দ্বিতীয় ভাগ (১২-২৫) কার্যক্রম ১২। কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও ক্ষমতাঃ কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলী গঠিত হয়। তারা নিজ নিজ বিভাগীয় কার্যাবলী সম্পাদন করবেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঘোষণা মোতাবেক আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং সংগঠনের কাউন্সিল অধিবেশন, বাজেট অধিবেশন ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত সমূহ কার্যকর করার পূর্ণ দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর। কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যগণ স্ব স্ব সম্পাদকীয় কর্ম পরিকল্পনা বার্ষিক ভিক্তিতে সাধারন সম্পাদকের নিকট জমা দিবেন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে উত্থাপিত হলে কর্ম পরিকল্পনার স্বপক্ষে যুক্তি পেশ করবেন এবং অনুমোদিত কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহন করবেন। বিশেষ জরুরী অবস্থায় সাধারন সম্পাদক ও বিভাগীয় সম্পাদকগন সংগঠনের সভাপতির সাথে পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারবেন।কিন্তু নির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভায় উক্ত বিষয় সমূহ অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করতে হবে। কর্মকর্তাদের কার্যাবলী ও ক্ষমতা সভাপতিঃ তিনি সংগঠনের সর্ব প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে গন্য হবেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল অধিবেশনে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভায় ও কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং আবশ্যকবোধে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের যে কোন ধারা ব্যাখ্যা করে রুলিং দিতে পারবেন ও যে কোন ধারার ব্যাখ্যা সম্পর্কে কাউন্সিলর ও নির্বাহী সংসদের মতামত নিতে পারবেন। গঠনতান্ত্রিক সঙ্কট দেখা দিলে সভাপতি নির্বাহী সংসদের সভা আহ্বান করবেন। সভাপতি যদি স্বয়ং গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি কাজ করেন , তবে নির্বাহী সংসদ গঠনতন্ত্র রক্ষার ব্যপারে সভাপতিকে বাধ্য করবেন। সভাপতির স্বাক্ষর ব্যেতিরেকে কোন প্রস্তাবই বিবেচিত হবেনা। তবে গঠনতান্ত্রিক ব্যত্যয় দেখা না দিলে তিনি নির্বাহী সংসদ কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাব অনুমোদন করবেন। তিনি সংগঠনের ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় অংশগ্রহণ করবেন। সভা সমিতিতে অধিকাংশ সদস্যের মতামতের উপর সিদ্ধান্ত নির্ভর করে। সমতা দেখা দিলে সভাপতি casting vote প্রধান করতে পারবেন। কেবলমাত্র সভা সমিতির নিয়মানুবর্তিতা রক্ষার জন্য সাধারন সম্পাদকের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সংসদ সদস্যদের মনোভাব একান্ত বিবেচনার পর তিনি ইচ্ছা করলে বিশেষ ক্ষমতাবলী প্রয়োগ করতে পারবেন। সহ-সভাপতিঃ সভাপতির অনুপস্থিতিতে নির্বাহী সংসদের অনুমোদনক্রমে যে কোন একজন সহ সভাপতি সভাপতির পদমর্যাদা ও ক্ষমতা ব্যবহার করবেন এবং কার্যকরী সভাপতি বলে গন্য হবেন।সাধারনভাবে সহ সভাপতিগণ সাধারন কার্যবিধি পরিচালনায় সহায়তা করবেন। সাধারন সম্পাদকঃ সাধারন সম্পাদক সংগঠনের প্রধান কর্মসচিব বলে পরিগণিত হবেন। তিনি বিভাগীয় সম্পাদকগণকে তাদের বিভাগীয় কার্যাবলী সম্পাদন করার জন্য উপদেশ ও নির্দেশ দিবেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের বিভিন্ন নির্দেশ যাতে বিভিন্ন বিভাগের মারফত কার্যকারী হয় তার বিধি ব্যবস্থা করবেন। সাধারন সম্পাদক বিভাগীয় সম্পাদকের স্ব স্ব বিভাগের বরাদ্দকৃত খরচে অনুমোদন স্বাক্ষর ডান করবেন। তিনি সংগঠনের ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় অংশগ্রহণ করবেন। সাধারন সম্পাদক কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সাথে আলোচনা করে বাজেট পেশ করবেন।সভাপতির সাথে পরামর্শ করে অন্তত মাসে একবার তিনি কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সভা আহ্বান করবনে, বিষয়সূচি নির্ধারণ করবেন এবং আলোচ্য বিষয়ের উপর আলোকপাত করবেন। বিভিন্ন ছাত্র প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে প্রকাশিত প্রচারপত্র,বিবৃতি ইত্যাদিতে সভাপতির সাথে যুক্তভাবে স্বাক্ষর ডান করবেন। প্রত্যেক সম্পাদকীয় বিভাগের বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে উপস্থাপন করবেন এবং অনুমোদন সাপেক্ষে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহন করবেন। সম্পাদকীয় বিভাগ সমূহের কর্ম পরিকল্পনাঃ সাধারন সম্পাদক সম্পাদকীয় বিভাগ সমূহের স্ব স্ব বার্ষিক সম্পাদকীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করবেনএবং সংশ্লিষ্ট সম্পাদক এবং ক্ষেত্র বিশেষে উক্ত বিষয়ে গঠিত উপকমিটির সাথে পরামর্শক্রমে নির্বাহী সংসদের সভায় উপস্থাপন করার ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। যুগ্ন-সাধারন সম্পাদকঃ সাধারন সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী সংসদের অনুমোদন সাপেক্ষে যে কোন একজন যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক সাধারন সম্পাদকের পদ মর্যাদা ও ক্ষমতা গ্রহন করবেন এবং তিনি কার্যকরী সাধারন সম্পাদক হিসেবে গন্য হবেন। সাধারনভাবে যুগ্ন-সাধারন সম্পাদকগন সাধারন সম্পাদকের কার্য পরিচালনায় সহায়তা করবেন। সাংগঠনিক সম্পাদকঃ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংগঠন গড়ে তোলার ব্যাপারে বেবস্থা গ্রহন ও অনুরূপ কার্যাদি সম্পাদন করা সাংগঠনিক সম্পাদকগণের দায়িত্ব। স্ব স্ব আওতাভুক্ত সাংগঠনিক এলাকার সংগঠন গড়ে তোলার ব্যাপারে সাংগঠনিক সম্পাদকগণ দায়িত্ব পালন করবেন।hi
Posted on: Sat, 13 Sep 2014 11:42:50 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015