বেশ কিছুদিন আগে টম - TopicsExpress



          

বেশ কিছুদিন আগে টম জোন্সের সামারির এ অনুবাদটা করেছিলাম ডিপার্টমেন্ট এর অন্য সিক্রেট গ্রুপটাতে। আজ এখানে সব একত্রিত করলাম শুধু। _______The History of Tom Jones, a Foundling ____Henry Fielding যে বালিশ সাইজের নভেলটার পরীক্ষা দিয়েছি অথচ এর গল্পটা পর্যন্ত জানিনা তেমন একটা কিতাব আমার জন্য হেনরি ফিল্ডিং এর – The History of Tom Jones, a Foundling – বাংলা করলে হয়_- টম জোন্স এর ইতিহাস: পরিচয়হীন কুড়িয়ে পাওয়া শিশু। বগলে চেপে এ বালিশ আমাদের জন্য নিয়ে আসতে শ্রদ্ধেয় নাজমুল হুদা স্যার। স্যার পড়াতেন, সামনের সারির কয়েকজন খুব বুঝছে, বিরাট মজা পাচ্ছে এমন স্বপ্ন স্বপ্ন চোখে স্যারের দিকে চেয়ে থাকতো। আমি বসতাম আজহারের পাশে, খাতায় কাটাকুটি খেলতাম। সে পড়াতে মনোযোগ দিতে চাইলেও তারে মণ্ত্রণা দিতাম- অত স্বপ্ন দেখিস না, দোষ হয়ে যাবে। এ কিতাবের উপর নেটে বাংলা কিছু পাইনি। উইকিপিডিয়া আর কয়েকটা সাইট ঘুরে ১৮ টি অধ্যায়ে লেখা এ বজ্জাতি ধরণের নভেলটার একটা গতি করতে চেয়েছি নিজের জন্যই। কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টেড টু নো, হোয়াট দ্যা হেভেন ওয়াজ দেয়ার। ___টম জোন্স _____টম জোন্স এট আ গ্লান্স ইংলিশ নাট্যকার এবং ঔপন্যাসিকের লেখা ‘দ্যা হিস্ট্রি অভ টম জোন্স, আ ফাউন্ডলিং’ একটি কমিক নভেল, যে বইটা আমাদের কাছে শুধু টম জোন্স নামে পরিচিত। ১৭৪৯ সালে প্রকাশিত লেখাটা ইংরেজী সাহিত্যেরই- একেবারে প্রথমদিককার নভেল। সামারসেট মম ১৯৪৮ সালে যখন “ গ্রেট নভেলিস্ট এন্ড দেয়ার নভেল্স” নামে একটা বই লেখেন সেখানে ১০জনের মধ্যে হেনরি ফিল্ডিংয়ের নাম ছিল এ ‘টম জোন্স’ এর কারণেই। ______প্লট পরিচিতি স্কয়ার আলোয়ার্থি নামে এক ধনাঢ্য, সৎ লোকের এলাকায় পরিত্যক্ত শিশু টম জোন্স কে পাওয়া গিয়েছিল। প্রাণচঞ্চল, কামুক অথচ সহৃদয়বান সুপুরুষ হিশেবে টম বেড়ে উঠেছিল।প্রতিবেশি সোফিয়া ওয়েস্টার্ণ এর প্রতি ছিল তার পেয়ার-মহব্বত। আঠারোশো শতকে রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের উপন্যাসগুলো যে কারণে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল সে সব অনুষঙ্গ ছিল নভেলটিতে। পিতৃপরিচয়হীন টমের সাথে সোফিয়ার কোনরকম আহাউহুর বিরোধিতা করেছিল আলোয়ার্থি আর সোফিয়ার বাবা। শ্রেণী সংঘাত নিয়ে এখানে কিছু একটা মেসেজ আছে লেখকের। অধিকন্তু, প্লটে পতিতাবৃত্তির সংযোজন এবং সেক্সুয়াল লদকালদকির যথেচ্ছা ব্যবহার সে সময়টা উপস্থাপন করার জন্য দরকার ছিল। মানে হল সময়টাই ছিল তখন তেমন ইংল্যান্ডে। ______নভেলের বিষয়বস্তু: দ্যা থিম মূল থিমটা হলো টম জোন্সের ভালো প্রকৃতি, সাময়িক চরিত্র স্থলন যা সোফিয়ার প্রতি অনুরাগের কারণে পরে ঠিক হয়ে যায় তার বিবাধ তার বৈমাত্রেয় ভাই ( হাফ-ব্রাদারের বাংলা কি? ) ব্লিফিলের কুটিলতার সাথে। অন্যান্য থিমগুলো মানুষের নানা দোষ-গুণের সাথে সংগতিপূর্ণ: যেমন স্কয়ার আলোয়ার্থির সদ্গুণ, Thwackum এর কপটতা, মিসেস ওয়ের্স্টানের নষ্টামি। এসব দোষ-গুণের মাত্রা অনুশোচনার মাপকাঠিতে মেপে দেখেছেন হেনরি ফিল্ডিং। _______নভেলের গল্পের সারাংশ ভদ্রলোক আলোয়ার্থি তার অবিবাহিত বোন ব্রিজেট এর সাথে থাকে সামারসেটশায়ারে। একবার লন্ডন থেকে ফেরার পর তিনি দেখলেন বিছানায় ফুটফুটে একটা শিশু পড়ে আছে। ছেলেটির পিতা-মাতার খোঁজে আলোয়ার্থি একটা অনুসন্ধান চালালেন- আর বুঝলেন আকামটা এলাকার জেনি জোন্স এবং তার শিক্ষক প্যাট্রিজের । তিনি জেনিকে এলাকা ছাড়া করেন আর সে সুযোগ্য হতদরিদ্র শিক্ষক স্বেচ্চায় পালান। যা হবার হয়েছে, আলোয়ার্থি ভাবেন বাচ্চাটাকে পেলে পুষে বড় করবেন। ব্রিজেটের বিয়ে হয় আলোয়ার্থির সম্পত্তির দেখভাল করে এমন একজনের সাথে যার নাম ক্যাপ্টেন ব্লিফিল। ব্লিফিল নামে তাদের একটা বাচ্চা হয় সময়ের ব্যবধানে। আলোয়ার্থির সম্পদের উত্তরাধিকারী হতে পারে টম জোন্স এজন্য ক্যাপ্টেন ব্লিফিল হিংসেয় পুড়ে খাক হতো। টাকা পয়সা নিয়ে অতিমাত্রায় চিন্তা করতে করতে ক্যাপ্টেন ব্লিফিল মারা যান ( সম্ভবত ব্রেইন হেমারেজে)। ব্লিফিল এবং টম একসাথে বেড়ে উঠে। যদিও আলোয়ার্থি ছাড়া এ দু’জনের প্রতি এখানকার মানুষের মনোভাব ভিন্ন থাকে। টম দুরন্ত হয়ে উঠে, চুরি চামারি করে অন্যদিকে ব্লিফিল হয়ে উঠে মিচকা শয়তান। (কখনো উইকিপিডিয়া, কখনো স্পার্ক নোটের দ্বারস্থ হয়েছি । অনুবাদটা জাস্ট করেই গেছি, রিভিশনের টাইম নাই। পরীক্ষাতো আর দিচ্ছিনা, ভুল হলেই বা কি) ____টম জোন্স: ৩ টম জোন্স বড় হয়, তার সময় কাটে আলোয়ার্থি’র প্রতিবেশী স্কয়ার ওয়েস্টার্ন এর সাথে কারণ টমের খেলোয়াড়সুলভ মনোভাবে সে ছিল যারপরনাই মুগ্ধ । স্কয়ার ওয়েস্টার্ন এর মেয়ে সোফিয়া ওয়েস্টার্ন টমের প্রেমে হাবুডুবু খায়, নি:শ্বাস পর্যন্ত নিতে ভুলে যায় এমন উথাল-পাতাল অনুভূতি। টম কিন্তু ইতোমধ্যেই তার কারামত দেখিয়ে ফেলেছে। ব্ল্যাক জর্জের মেয়ে মলি সিগ্রীম এর সাথে ছিল তার ইটিস-পিটিস। মলি সিগ্রীম যখন অন্ত:স্বত্তা হয়ে পড়ে টম আলোয়ার্থিকে বুঝিয়ে শুনিয়ে মলিকে এলাকা ছাড়া করতে বাঁধা দেয়, আর স্বীকার করে যে সে-ই মলির সন্তানের বাবা। টম জোন্স সোফিয়ার ব্যাপারে উদাসীন ছিল প্রথম প্রথম, মলির প্রতিই ছিল অনুগত। কিন্তু যখন আবিষ্কার করে মলির সম্পর্ক আছে অন্য কারো সাথে, তার মানে মলির সন্তানের পিতা হওয়ার গৌরব আসলে সে অর্জন করেনি, তখন সে সোফিয়ার কাছে নিজেকে অর্পণ করে। ____টম জোন্স: চার আলোয়ার্থি (নাকি উচ্চারণ অলঅর্থি ) খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে ফ্যামলির সব সদস্য, ফ্রেন্ড এবং প্রতিবেশীদের ডেকে তার উইল পড়ে শোনায়। দেখা যায়, তার বেশিরভাগ সম্পদের উত্তরাধিকারী করা হয়েছে ব্লিফিল কে, টমকে দেয়া হয়েছে সামান্যই। টম অন্তর থেকে আলোয়ার্থির সেবা যত্ন করে, তার বিছানার পাশ থেকে নড়তেই চায়না। ইতোমধ্যে মারা যায় ব্লিফিলের মা ব্রিজেট। একদিন ডাক্তার এসে ঘোষণা করে আলোয়ার্থির রোগ সেরে গেছে, আপাতত মরবেনা। টম খুব খুশি হয়ে, মদ-টদ খেয়ে উদযাপন করলে ব্লিফিল তাকে ‘বাস্টার্ড’ বলে গালি দেয়। ফলে হাতাহাতি হয়, কষে দু ঘা মারে টম। মিসেস ওয়েস্টার্ন তার মেয়েকে নিয়ে আলোয়ার্থির বাড়িতে উঠেন।টমের প্রতি সোফিয়ার দূর্বলতা গোপন রেখে সে চায় তার মেয়ে ব্লিফিলের প্রেমে পড়ুক, বিয়ে হোক। ব্লিফিল ও তলে তলে শক্ত চাল দেয়, আলোয়ার্থির কান ভারি করে এই বলে যে – টম তো বাস্টার্ড, একটা বেহেড মাতাল। ফলে টম বিতাড়িত হয় বাড়ি থেকে, যদিও সে চায়নি সোফিয়াকে ছেড়ে যেতে, পরে মনে হয় – চলে যাওয়াটাই মোটামুটি সম্মানের। টম ক’দিন ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে বেড়ায়। ব্রিস্টলে তার দেখা হয় প্যাট্রিজের সাথে, পরে যে টমের বিশ্বস্থ ভৃত্য হয়ে উঠে। একদিন সে মিসেস ওয়াটার্স কে ডাকাতের হাত থেকে বাঁচায়। কৃতজ্ঞতা জানাতে মিসেস ওয়াটার্স তাকে নিয়ে যায় ‘আবাসিক হোটেলে,’ আর চলে লেপ্টালেপ্টি চলে। ইতোমধ্যে সোফিয়া বাড়ি থেকে পালায় যেন ব্লিফিল কে বিয়ে করতে না হয়। দূর্ভাগ্যক্রমে সে গিয়ে উঠে ওই আবাসিক হোটেলেই আর দেখে ফেলে টম আর ওয়েটার্সের রসায়নটা। সে যে টম-ওয়েটার্সকে দেখে ফেলেছে সেটা টমকে জানানোর জন্য নিজের রুমালটা ফেলে যায়। টম পরে সেটা দেখেই আঁতকে উঠে, সাথে সাথে সোফিয়াকে খোঁজার জন্য লাফ দিয়ে ছোটে। সোফিয়া লন্ডনে যায় তার কাজিন হ্যারিয়েটের সাথে ( হ্যারিয়েট মেয়ে ) এবং তার আত্বীয় লেডি বেলাস্টোন এর বাড়িতে উঠে। টম আর প্যাট্রিজ উঠে মিসেস মিলার এর বাড়িতে, যার এক মেয়ের নাম ন্যান্সি। নাইটিঙ্গেল নামে এক ভদ্রলোকও ওই বাড়িতে থাকতো। সে বুঝতে পারে ন্যান্সি আর নাইটিঙ্গেলের মধ্যে চক্কর চলছে আর ন্যান্সি প্রেগনেন্ট ( এ পর্যন্ত কজন হলো) । . টম বুঝিয়ে শুনিয়ে নাইটিঙ্গেলকে পটিয়ে ফেলে যেন ন্যান্সিকে বিয়ে করে। টম সোফিয়াকে খোঁজার চোখ খোলা রাখলেও লেডি বেলাস্টোন এর সাথে উমমম-আমমম চালায়। ( পাতায় পাতায় এসব কি) যখন টমের সাথে সোফিয়ার পূনরায় দেখা হয় টম বেলাস্টোন থেকে সরে আসতে চায়। মজা পাওয়া লেডি বেলাস্টোন টমকে ছাড়তে চায়না। সোফিয়া যেহেতু তার প্রতিদন্ধী সে লর্ড ফেলামার নামে একজনকে উৎসাহিত করে সোফিয়াকে রেপ করতে। ( আন্টি কিসিমের মানুষ ও বদমাইশ হতে পারে :( ) ______টম জোন্স: দ্যা লাস্ট সেগমেন্ট অনতিবিলম্বে স্কয়ার ওয়েস্টার্ন, মিসেস ওয়েস্টার্ন, ব্লিফিল এবং আলোয়ার্থি লন্ডনে পৌঁছে। বাংলা সিনেমা স্টাইলে স্কয়ার ওয়েস্টার্ন তার মেয়ে সোফিয়াকে রুমে বন্দী করে রাখে। আর বুড়ো হাবড়া ফিজপ্যাট্রিক নিজের বউয়ের প্রেমিক মনে করে টমকে ডুয়েল লড়তে উস্কে দেয়। আত্নরক্ষার্থে টম তলোয়ার দিয়ে আঘাত করে ফিজপ্যাট্রিককে এবং জেলে যায়। ভয়ংকর একটা সংবাদ নি্যে প্যাট্রিক টমের সাথে দেখা করতে আসে জেলে, যে- ওয়েটার্সই আসলে জেনি জোন্স, টমের মা। মিসেস ওয়েটার্স আলোয়ার্থির সাথে দেখা করে নিশ্চিত করে যে ফিজপ্যাট্রিকই ডুয়েলটার শুরু করেছিল। এও বলে যে – এক ভদ্রলোক ইন্ধন দিয়েছে এক উকিলকে যেন টমকে দোষী সাব্যস্ত করার সব চেষ্টা করা হয়। আলোয়ার্থি বুঝে যায় কে সেই ‘ভদ্রলোক’ – সেটা ছিল আসলে মিচকা শয়তান ব্লিফিল। কষ্ট পেয়ে আলোয়ার্থি সিদ্ধান্ত নেয় যে কখনো ব্লিফিলের সাথে আর কথাই বলবেন না। আমাদের নায়ক টম জোন্স যদিও ব্লিফিলকে ক্ষমা করে দেয়। মিসেস ওয়েটার্স প্রকাশ করে দেয় যে- টমের মা আসলে ব্রিজেট আলোয়ার্থি। আলোয়র্থি এও জানতে পারেন যে অসুস্থ থাকাকালীন অবস্থায় টম জোন্সই তাকে যথাসাধ্য সেবায্ত্ন করেছিল। টম জেল থেকে ছাড়া পায় এবং আলোয়ার্থির সাথে মামা-ভাগ্নে হিশেবে বাড়ি ফিরে আসে। এখন টমই স্কয়ার আলোয়ার্থির সম্পত্তির উত্তরাধিকারী। স্কয়ার ওয়েস্টার্নের ও টমের সাথে তার মেয়ের বিয়ে দিতে আর আপত্তি করেনা। সোফিয়া যদিও টমের পুরোনো প্রেমিকা, চরিত্র ইত্যাদি নিয়ে তাকে খোচাখুচি করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বিয়ে করতে রাজী হয়। ওয়েস্টার্নের এস্টেটে দুটি ছেলে মেয়ে নিয়ে তারা সুখী জীবন যাপন করে এবং উদার ও মহানুভব হিশেবে এলাকায় তাদের নাম ছড়ায়। ___ বইটার সাইজ মনে আছে? দ্যা পিলো সাইজ্ড ওয়ান। আই হ্যাড টু স্কিপ নাম্বার অভ আদার সিগনিফিক্যান্ট থিংস। তবে শেষ পর্যন্ত যে পেরেছি এজন্য নিজের পিঠ নিজে চাপড়াতে ইচ্ছে করছে। শাবাশ বেটা। কেননা, আমি সবকিছুই মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে অন্য কিছুতে ব্যস্ত হবার পাবলিক। ____ টাইম নিয়ে করলে ভালো কিছু দাঁড়াতেও পারতো। অনুবাদটা করার সময় আমি কখনো ট্রেনে ছিলাম, কখনো অফিসে। কোন ধরণের ভুল তথ্য যদি দিয়ে ফেলি প্লিজ লেট মি নো। সমালোচনায় আমি ফোস ফোস করিনা লাইক ম্যানি আদার্স । __ আবার দেখা হবে ডিপার্টমেন্টে পড়ায় এমন কোন নভেল, প্লে বা অন্য কিছু নিয়ে। হ্যাপি রিডিং। _চৌধুরী মানজার
Posted on: Wed, 05 Nov 2014 15:09:13 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015