বিশ্ববেপী কাফির - TopicsExpress



          

বিশ্ববেপী কাফির মুশরিকদের বিরুদ্ধে যোদ্ধরত মুজাহিদ বাহিনীর মূলে উলামায়ে দেওবন্দ ! প্রথমেই জেনে নেন বহুল আলোচিত তাহরীকে তালেবানদের পরিচয় ! কারা এই তেহরীকে তালিবান ? তেহরীকে তালিবানের ইতিহাস জানার পুর্বে আমারদেরকে পাকিস্তানের ফাটা এলাকার একটু ধারণা রাখা প্রয়োজন ।FATA এর পুর্ণরূপ হচ্ছে Federally Administered Tribal Areas , ২৭ হাজার ২২০ বর্গ কিলোমিটারের এই এলাকা ২০০০ সালের হিসেব অনুযায়ী এর জনসংখ্যা হচ্ছে ৩৩ লাখ ৪১ হাজার ৭০ জন । যার সীমান্তজুড়ে আছে পাঞ্জাব , বেলুচিস্তান এবং সীমান্ত প্রদেশ , অপরপাশে আছে আফগানিস্তান ।এই পাহাড়ি এলাকার মধ্যে দিয়েই ন্যাটোর রসদ সরবরাহ করতে হয় । পাকিস্তানের অন্যান্য চার প্রদেশের মতো এখানে মুখ্যমন্ত্রী হন না , বরং এটা সরাসরি কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় । এই এলাকার প্রধান একজন মুখ্যমন্ত্রীর মর্যাদা রাখেন । এখানেই বেড়ে উঠেছে তেহরীকে তালিবান পাকিস্তান । যদি আমরা এই এলাকার মানুষের ইতিহাস জেনে নেই , তাহলে অতি সহজেই তেহরীকে তালিবানকে চিনতে পারবো । ১৮০৩ সালে শাহ আব্দুল আযীয মোহাদ্দিসে দেহলবি রাহ. ভারতবর্ষকে দারুল হরব ঘোষণা করে যখন ফতোয়া দেন , তখন ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদের উদ্দেশ্যে আপন শিষ্য সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভি রাহ. কে রণাঙ্গনে পাঠান । সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভি রাহ. সারা ভারত সফর করে মুজাহিদ সংগ্রহ করেন । পরবর্তীতে এদেরকে নিয়ে তিনি পাকিস্তানের বর্তমান ফাটা অঞ্চলে রওয়ানা হন । সেখানে তিনি ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ গঠন করেন ।এই অঞ্চল বাছাইয়ের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যে এই অঞ্চলের মুসলমানরা ভারতবর্ষের অন্যান্য এলাকা থেকে তুলনামুলক বেশি দ্বীনদার । পরবর্তীতে এখানেই বালাকোটের লড়াই হয় , এতে শাহ সায়্যিদ আহমদ রাহ. , মাওলানা শাহ ইসমাঈল রাহ. এবং মাওলানা আব্দুল হাই রাহ. শহীদ হন । বালাকোটের যুদ্ধের পর ওই এলাকা থেকে ইমারাতে ইসলামিয়্যাহর বিলুপ্তি ঘটলেও সেখানকার মুজাহিদরা গেরিলার পথ অবলম্বন করেন । ১৯১৫ সাল পর্যন্ত সীমান্তের এই মুজাহিদরা ক্রমান্বয়ে মাওলানা ইনায়েত আলী , মাওলানা বেলায়েত আলী এবং মাওলানা আব্দুল্লাহ সাদিকপুরি রাহ. এর নেতৃত্বে ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ অব্যাহত রাখেন । রেশমী রুমাল আন্দোলনের সময় দেওবন্দের কৃতিসন্তান শায়খুল হিন্দ মাহমুদ হাসান দেওবন্দি রাহ. তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন । শায়খুল ইসলাম হোসাইন আহমদ মাদানি রাহ. তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করতেন । প্রথম বিশ্বের পর ইংরেজরা সীমান্তের এই মুজাহিদদের হামলায় ক্লান্ত হয়ে এই এলাকা ত্যাগ করে । উল্লেখ্য , ইংরেজরা যে কয়েকবার আফগানিস্তানে রামধোলাই খেয়েছে , এই বীরত্বের মুল তিলক ছিল সীমান্তের এই মুজাহিদদের কপোলে । ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় যখন ইন্ডিয়া চেয়েছিল শক্তির জোরে কাশ্মীরকে জবর দখল করতে , তখন এই মুজাহিদরা আবার জিহাদে নেমে আসেন । কাশ্মীরের যে অংশটুকু বর্তমানে পাকিস্তানের অধীনে আছে , এর উদ্ধারের জন্যে এইসব মুজাহিদরা যে পরিমান রক্ত ঝরিয়েছেন , এর অর্ধেক ঘামও পাক সেনারা ঝরায় নি । রাশিয়া যখন আফগানিস্তানে সৈন্য সমাবেশ করল তখন এরাই আফগান মুজাহিদদেরকে জান-মাল , অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছিল । তখন পাক প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের আমলে কাবায়েলি নেতা সুফি মোহাম্মদ সোয়াত এলাকায় শরীয়াহ শাসনের চুক্তিতে আবদ্ধ হন । এই চুক্তি বেনজীর ভুট্টো এবং নওয়াজ শরীফের আগেরবার আমল পর্যন্ত বলবত ছিল । কিন্তু যখন পারভেজ মোশাররফ সামরিক ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে এবং আফগানে বহুজাতিক বাহিনীর হামলার জন্যে সবধরনের ব্যবস্থা করে দেয় , তখন সুফি মোহাম্মদের জামাতা বর্তমান টিপিটি প্রধান মোল্লা ফজলুল্লাহ আফগানে জিহাদের উদ্দেশে যান , দেশের ফেরার পর তাকে মোশাররফ কারাগারে পাঠায় । এই মোশাররফই আমেরিকা চিত্ত অর্জনে ফাটা এলাকায় প্রথমবারের মতো সেনা মোতায়েন করে , যাতে আফগান মুজাহিদরা এতে আশ্রয় নিতে না পারেন , ২০০২ সালে অত্র এলাকার শরীয়াহ আদালত বন্ধ করে দেওয়া হয় । আফগান জিহাদে যাওয়া , মুজাহিদদের সহযোগিতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয় । তখন ফাটার এই মুসলমানরা বিকল্প চিন্তা করা শুরু করেন । তারা চিন্তা করে দেখলেন , পারভেজ ক্রুসেডারদেরকে সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে , তাদেরকে আফগান জিহাদে যেতে বাধা দিচ্ছে , আফগান মুজাহিদদেরকেও সহযোগিতা করতে দিচ্ছে না , তাদের শরীয়াহ আদালতও বন্ধ করে দিচ্ছে , অতএব তারা উপায়ান্তর না দেখে অস্ত্র হাতে নিলেন । এভাবে ২০০৬ সালে হঠাত আত্মপ্রকাশ ঘটে তেহরীকে তালেবান পাকিস্তানের । তারা বলে , আমাদের যুদ্ধ করার উদ্দেশ্য দুটি , এক - পাকিস্তান সরকারের আমেরিকার সঙ্গ ত্যাগ করা । দুই - পাকিস্তান শরীয়াহ আইন প্রতিষ্ঠা করা যার উপর পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠা হয়েছে , যে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ । ২০০৭ সালে যখন লাল মসজিদ ট্রাজেডি ঘটে তখন তাদের দাবির যৌক্তিকতা আরো বেড়ে যায় । ২০০৯ সালে মোল্লা ফজলুল্লাহ সোয়াতে শরীয়াহ শাসন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন । তখন পাক সরকার তাদের বিরুদ্ধে সৈন্য মোতায়েন করে এবং ঘোষণা করে ,জঙ্গিনির্মুল না করা পর্যন্ত সেনা অভিযান চলবে । কিন্তু এতে বরং পাক সরকারেরই ক্ষতি হয় , সেনাবাহিনীর উল্লেখযোগ্য অংশ তালেবানের সাথে যোগ দেয় । যাদের মধ্যে থেকে আদনান রশিদ যোগ দেন বিমানবাহিনী থেকে , আর খান সাইদ যোগ দেন নৌ-বাহিনী থেকে । অবশেষে পাক সরকার তালেবান নির্মুলে ব্যর্থ হয়ে এবং তালেবানদের উত্তরোত্তর শক্তি বৃদ্ধি দেখে তালেবানদের সাথে আলোচনা করতে মরিয়া হয়ে উঠে । তাইতো হাকিমুল্লাহর মেহসুদের শাহাদতের পর এত বিলাপ করছে পাকিস্তান সরকার By Wasim Akram Bangladeshi
Posted on: Sat, 09 Aug 2014 15:08:13 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015