ভাল - TopicsExpress



          

ভাল ছেলে ========================= _______ফেরারি ফয়সাল। . . ঠিক বোঝা যাচ্ছে না যে শেষ পর্যন্ত কি হতে পারে! সুমন বাঁচবে তো! নাকি আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে বিদায় নেবে এই যন্ত্রনাময় পৃথিবী থেকে। একটা মানুষ কতোটা কষ্ট পেলে এটা করতে পারে, তা আমি সত্যিই বুঝতে পারতাম না যদি সুমনের ব্যাপারটা না ঘটতো। কতো ভাল একটা ছেলে সুমন। কখনো কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে সেভাবে তাকায় না পর্যন্ত। সে কখনো এমন কাজ করেনি যাতে কারু বিন্দু মাত্র ক্ষতি হতে পারে। নিয়মিত পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। সুমন প্রচন্ড ধর্মভীরু একটা ছেলে। সে অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দিতো না। আজ সেই ছেলেটি এতো বড় অন্যায় কিভাবে করলো! . . কলেজে সবে মাত্র ভর্তী হয়েছি। সব নতুন মুখ। আমার স্কুল থেকে আর কেউ ভর্তী হয়নি এই কলেজটাতে। আমি আবার অনেক সহজেই সবার সাথে মিশে যেতে পারি। আর কোন গুন থাকুক আর না থাকুক এই গুনটা আল্লাহ আমায় একটু বেশিই দিয়েছেন। সবার সাথেই মেশা যায় সে ভাল হোক অথবা মন্দ। নিজে ভাল থাকতে পারলেই হল। আর যদি কাউকে ভাল বানাতে পারি তাহলে তো কথাই নেই। আমার একটা বন্ধু চাই যে আমাকে বুঝবে একদম আমার মতো করে। কয়েক দিনের মধ্যেই দু তিন জন ছেলের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেল, কিন্তু আমার সেই বন্ধুটাকে খুঁজে পাচ্ছিনা এদের মাঝে। যে আমার ভেতরটাকে পড়তে পারে নির্ভুলভাবে। . . আজ একটু বেশ তারাতারিই কলেজে এসেছি। ক্লাসের রুম গুলো এখনো খোলা হয়নি। ঝারুদার ছারা আমাদের ক্লাস রুমের সামনে আরো একটা ছেলেকে দেখতে পেলাম। হ্যা এতো সেই ছেলেটা, ক্লাসে যে সবসময় সামনের দিকের সিটের কোনায় বসে। কারো সাথে কথা বলেনা তেমন। এই কয়েকদিন ক্লাস করে যা মনে হয়েছে স্টুডেন্ট হিসেবে বেশ ভালোই হবে। প্রায় দুমাস হলো ক্লাস শুরু হয়েছে এর মধ্যে কখনো কথা বলিনি ওর সাথে। কাছে গিয়ে কথা বলা শুরু করে দিলাম। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হলো আমাদের। না ছেলেটা বেশ ভালোই কথা বলতে জানে। ওর সাথে কথা বলে জানতে পারলাম একটা সমস্যা আছে ওর। আর সেটা হলো কারো সাথে ভাল করে মিশতে পারে না ও। সবচেয়ে অবাক হলাম যখন জানতে পারলাম, ওর নাকি কোন বন্ধুই নেই! . . আজ ওকে কোনার সিটে বসতে দেইনি। সামনে থেকে দ্বিতীয় সিটে আমার পাশে বসিয়েছি। এর পর থেকে প্রতিদিন আমরা ক্লাসে একই জায়গায় বসতাম। আস্তে আস্তে ওর সাথে অনেক ভাল বন্ধুত্ব হয়ে গেল আমার। আমি যেন ওর জন্যেই অপেক্ষা করছিলাম এতোটা দিন। সে আমার ভেতরটাকে পড়তে পারে একদম আমার মতো করে। . . আমরা সব বিষয় গুলো শেয়ার করতাম। এমন কোন ঘটনা কারু সাথে ঘটেনি যা অন্যজন জানতাম না। ক্লাসের মেয়েগুলোর সাথে কথা না বললে আমার একদম শান্তি লাগেনা যেন! অন্যদিকে সুমন ছিল আমার পুরো উল্টো, কোন মেয়ের দিকে তাকাতো না পর্যন্ত। সেই সুমন একদিন জানালো সে নাকি একটা মেয়ের প্রেমে পড়ে গেছে! আর মেয়েটা নাকি আমাদের ক্লাসেরই! যখন জানতে পারলাম যে মেয়েটা অহনা পিঠ চাপরিয়ে বললাম দোস্ত পছন্দ আছে তোর। তবে সুমন মেয়েটার সাথে প্রেম করতে পারবে কিনা সে বিষয়ে আমার প্রবল সন্দেহ আছে! যে ছেলেটা এতো ধর্মভীরু আর লাজুক, মেয়েদের দিকে তাকায়না পর্যন্ত সে কিভাবে একটা মেয়েকে পটাবে! জানতে চাইলাম ওর কাছে। বললো আমি যেন হেল্প করি ওকে। সুমনকে বললাম দোস্ত তুই কোন চিন্তা করিস না তুই ওকে পছন্দ করেছিস ওর সাথে তোকে ফিট করে দেয়ার দায়িত্ব আমার। . . অহনাকে প্রথম যখন বললাম কথাটা যে সুমন তাকে পছন্দ করে সে কিছুতেই তা বিশ্বাস করতে পারছিল না যেন! ভেবেছিল আমি মনে হয় মজা করছি ওর সাথে। যাই হোক এভাবে একটা সময় ওদের মাঝে রিলেশনটা হয়েই যায়। দুজনকে দেখে মনে হতো একজোড়া কবুতর যেন। খোদা যেন নির্দিষ্ট করে ওদের দুজনকে শুধু দুজনার জন্যেই সৃষ্টি করেছেন। সুমন কখনো প্রেম করার জন্য ডেটিংয়ে কোন পার্কে যেতোনা। অহনা তাকে বেশ কয়েকবার বলার পরেও এটা করনি সে। খুব কম দিনই সে অহনার হাতের স্পর্শ নিয়েছে। একদিন ওকে বলেই ফেললাম দোস্ত এভাবে কিন্তু প্রেম টিকবে না। আমার কেন যেন ভয় হচ্ছে তোর অতি ভালোমানুষি দেখে! ওকে বললাম একদিন যেন অহনাকে একটা কিস অন্তত করে। আমার এ কথাটা শুনে ও আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়েছিল! এরপর ও আমার সাথে দু দিন কথা বলেনি পর্যন্ত! . . মাত্র চার মাসের মাথায় ওদের ব্রেক আপ হয়ে যায়। আমাকে জানানোর পর আমি অনেক চেষ্টা করেছি ওদের রিলেশনটা স্বাভাবিক করতে কিন্তু কিছুই করতে পারিনি আমি। এরপর অহনা সহ্যই করতে পারতো না সুমনকে। কি এক অজানা কারনে অহনা রিলেশন ব্রেক আপ করলো সেটাও জানে না সুমন! . . অহনাকে সে নিজের জিবনের চেয়েও বেশি ভালবাসতো। আর সেটা প্রমান করার জন্যই আজ সে অপারেশন থিয়েটারে জিবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে। . post.- J ISLAM GP
Posted on: Sat, 17 Jan 2015 03:29:35 +0000

Trending Topics



>
ALERT: THE FIRST QUARTER OF 2014 GONE!!! ARE YOU WHERE YOU WANT TO

Recently Viewed Topics




© 2015