মুমিন ভাইদের জন্য বিশেষ - TopicsExpress



          

মুমিন ভাইদের জন্য বিশেষ পোষ্ট : নামাজ পড়ার ক্ষতি নিয়ে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতসহ কোথাও কোনো নাস্তিক্যবাদী বিস্তারিত কিছু লেখেননি। লেখেননি হুমায়ুন আজাদ, তসলিমা নাসরিন, প্রবীর ঘোষ, মিনা ফারাহ বা অন্য কেউ। তাই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়াশোনা করে একজন চিকিৎসক হিসেবে যতটুকু বুঝেছি, শর্ট ও লং টার্ম উভয়ের বিচারে নামাজ পড়া অত্যন্ত ক্ষতিকর। আসুন দেখে নেই - কেন ক্ষতিকর ? চিকিৎসাবিজ্ঞান ও উপযোগিতাবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে নামাজ পড়ার কুফলসমূহ চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী - ১) নামাজ পড়ার সময় মাথা ঝুকোনোর কারণে মস্তিষ্কের ওপর অতিরিক্ত প্রেশার পড়ে, মস্তিষ্কের বিভিন্ন কেমিক্যাল নিউরোট্রান্সমিটার পদার্থের ডিসপ্লেসমেন্ট ঘটে। যাদের হেমোরেজিক স্ট্রোক হয়ে গেছে, তাদের জন্য এই মাথা ঝোঁকানো অত্যন্ত ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই জন্য আপনারা বাড়িতে দেখেন, আপনাদের বয়স্ক নানীদাদীরা ডাক্তারের পরামর্শে নামাজের মূল স্টাইলে না বসে চেয়ারে বসে নামাজ পড়ছেন। একটি ইসলামিক সাইটে চেয়ারে বসে নামাজ পড়া প্রসঙ্গে বলা হয়েছে - শুধু আরামের জন্য বা মামুলি কষ্টের বাহানায় চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ নাই। একই বক্তব্য অন্যান্য সাইটেও রয়েছে। এই বক্তব্য থেকে পরিষ্কার যে চেয়ারে বসে নামাজ পড়া আরামদায়ক, নরমাল স্টাইলে আরামদায়ক নয়। অর্থাৎ নামাজ পড়ার মধ্যে আরামদায়ক কিছু নেই। সূত্রঃ al-islambd/2014-02-22-06-37-28/21-2014-02-22-08-24-26/93-2014-03-27-01-16-06 ২) আমরা জানি, বসার স্বাস্থ্যসম্মত উপায় হলো -১৩৫ ডিগ্রী কোণে বসা, ঝুঁকে বসা বা একদম সোজা হয়ে বসা দীর্ঘ সময়ের বিচারে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। নামাজ পড়লে বার বার ঝুঁকতে হয়। এতে কোমরের লাম্বার ও স্যাকরাল কশেরুকাগুলোতে অতিরিক্ত প্রেশার পড়ে। দীর্ঘ সময়ের বিচারে নামাজ পড়া ব্যক্তিদের লো ব্যাক পেইন হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, কুঁজো হয়ে চলার প্রবণতা বেড়ে যায়। সূত্রঃ news.bbc.co.uk/2/hi/6187080.stm ৩) আমরা জানি, অস্টিওআর্থরাইটিস বা হাড়ের ক্ষয়রোগ ৪০ বা তদূর্ধ্ব বয়সী নারীপুরুষদের ক্ষেত্রে একটি কমন ঘটনা। নামাজে বসার কারণে হাঁটুতে দিনে ৫ বার কমপক্ষে ১ঘন্টা অতিরিক্ত প্রেশার লাগে। এভাবে দিনের পর দিন প্রেশারে হাঁটুতে থাকা হাড় এবং তরুণাস্থির ক্ষয় হতে থাকে এবং অস্টিওআর্থরাইটিস ত্বরান্বিত হয়। ব্যক্তি হাঁটুর ব্যথায় কষ্ট পেতে থাকেন। আসুন দেখি - Repetitive stress injuries. These are usually a result of the type of job a person has. People with certain occupations that include a lot of activity that can stress the joint, such as kneeling (নামাজ সংক্রান্ত), squatting, or lifting heavy weights (55 pounds or more), are more likely to develop osteoarthritis of the knee because of the constant pressure on the joint. সূত্রঃ webmd/osteoarthritis/guide/ostearthritis-of-the-knee-degenerative-arthritis-of-the-knee ৪) আমাদের দেশের এসিডিটির সমস্যা অনেকেরই। খালি পেটে নামাজ পড়ার সময় বারবার ঝোঁকার কারণে পাকস্থলিতে সঞ্চিত এসিড ঊর্ধ্বগামী হয়ে ওঠে। ফলে সেই এসিড খাদ্যনালীতে এসে খাদ্যনালীর গাত্র পোড়ায় এবং গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ এবং হার্ট বার্ন - নামক অসুখগুলোকে ত্বরান্বিত করে। আসুন দেখি - GERD is a common condition in which the acid from the stomach flows up the esophagus causing irritation and inflammation. This is often felt as a burning sensation in the upper abdomen and can lead to a bad taste in the mouth and a sense of burning in the chest if the fluid rises high enough. Since the nerves in the lower esophagus are connected to the nerves in the lungs, it is common for acid reflux to trigger asthma symptoms so it is important to control the reflux as much as possible. Sleeping on several pillows with the upper body propped up to let gravity keep the fluid down may help. সূত্রঃ acaai.org/allergist/Resources/ask-allergist/Pages/asthma-gerd.aspx নামাজে ঝোঁকার বিপরীত propped up পজিশন এই রোগীদের জন্য ভালো। ৫) অসুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে খাওয়ার পর নামাজ পড়লে ঝোঁকার কারণে পাকস্থলিতে সঞ্চিত খাদ্য ঠিকমত হজম হতে পারে না এবং খাদ্যনালীর দিকে উঠে আসার কারণে অস্বস্তি সৃষ্টি হয় এবং বমি হলেও হতে পারে। সূত্রঃ https://healthunlocked/raynauds-uk/posts/194027/persistent-reflux-and-vomiting-during-the-night-x ৬) আমরা জানি শ্বাসকষ্ট বেশি হয় ঝুঁকে বসলে। কিন্তু হেলান দিয়ে বসলে অর্থাৎ propped up পজিশনে বসলে শ্বাসকষ্ট কিছুতা হলেও কমে আসে। নামাজে যেহেতু বারবার ঝোঁকা হয় সেহেতু এটি অ্যাজমায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। If a young child is having breathing difficulties, he will be more comfortable sleeping propped up with pillows. সূত্রঃ kkh.sg/HealthPedia/Pages/ChildhoodIllnessesAsthma.aspx ৭) গলা ও ঘাড় সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের নামাজ পড়লে ব্যথা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ৮) ভারসাম্যহীনতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের নামাজ পড়ে ঝোঁকার মাধ্যমে মাথা ঘুড়ে পড়ে যাওয়া ও আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ৯) হাড়ের যক্ষায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের লাম্বার ও স্যাকরাল কশেরুকা প্রায়ই যক্ষার জীবাণু খেয়ে দুর্বল করে ফেলে। তারা নামাজ পড়লে কশেরুকা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কশেরুকার সুরক্ষার জন্য এই ব্যক্তিদের লাম্বার করসেট নামক মেডিকেল বেল্ট দেওয়া হয়। ১০) মাথা বারবার ঝোঁকানো মাথা ধরা, মাথা ব্যথা, টিনিটাস, মুড ফ্ল্যাকচুয়েশনসহ বিভিন্ন নিউরোলজিক্যাল সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। উল্লেখ্য, অনেক মুসলিম নামাজকে ব্যায়াম হিসেবে প্রতিপন্ন করতে চান। নামাজ কোনো ব্যায়ামের জাতই নয়। আমরা চিকিৎসকেরা ডায়াবেটিস, হার্ট ও হাড়ের সমস্যায় খোলা ফ্রেশ বাতাসে প্রতিদিন ১-২ ঘন্টা ব্যায়াম করতে দেই। তাতেই রোগীদের অবস্থা অনেক ক্ষেত্রে ভালো হয়না। তাই নামাজ পড়ে ব্যায়াম করে শরীর ভালো রাখার দাবি হাস্যকর। নামাজ ওপেন এয়ারেও করা হয়না, ফলে অক্সিজেনেশনও হতে পারে না অথচ ব্যায়ামের জন্য ফ্রেশ অক্সিজেনেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। উপযোগিতাবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে নামাজ পড়ে যেই দীর্ঘ সময় প্রতিদিন মানুষের জীবন থেকে চলে যায়, সেই সময় পড়াশোনা, জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চা, দরকারী কাজকর্ম ও বিনোদনে ব্যয় করা যুক্তিযুক্ত। কেন আমরা অহেতুক সময় নষ্ট করবো। কথায় আছে - Time & tide wait for none। জীবনের প্রতিটি সেকেন্ড গুরুত্বপূর্ণ।
Posted on: Sat, 18 Oct 2014 06:54:27 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015