রাজারবাগ দরবার শরিফঃ - TopicsExpress



          

রাজারবাগ দরবার শরিফঃ অজানা অনেক কথা ============================== [লিখেছেনঃ গোলাম দস্তগীর লিসানী বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ লেখাটি শেয়ার করার চেয়ে কপি করে স্ট্যাটাস দিলে টিকে থাকবে। কেননা, শেয়ার করলে মূল অ্যাকাউন্ট হ্যাক/রিপোর্ট হলে সব লেখাই চলে যাবে। শেয়ারের লেখা পড়াও হয় কম। এই লেখাতে রাজারবাগ দরবারের পীর সম্পর্কে এমন কোনকিছু বলা হয়নি যা তারা নিজেরা বহুবার প্রকাশ্যে দাবি করেনি। এই লেখাতে কোন প্রকার গালি দেয়া হয়নি, কমেন্টেও কোন প্রকার গালি কোথাও প্রত্যাশিত নয়। তার বিশ্বাস ও ধর্মীয় আচার সম্পর্কে বিন্দুমাত্র বিকৃতি আনা হয়নি- যেমন, তাকে জামাতি বা ওহাবী বলা হয়নি। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কোন কুৎসা রটানো হয়নি।] রাজারবাগীরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস ও প্রচার করেন, তাদের পীর দিল্লুর হলেন খলিফা আস সাফফাহ্ বা অত্যাধিক রক্তপাতকারী। এবং তিনি এমন রক্তপাত করবেন, যেমনটা ইতিহাসে খুব কম মানুষই করেছে! (Hostility) বেশ কয়েক বছর আগের কথা। মতিঝিলের বলাকা চত্ত্বরে কিছু লোক হামলে পড়ে। তারা বলাকার পা খুবলে তুলে ফেলে। একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজরের নেতৃত্বে এই লোকগুলো এসেছিল রাজারবাগ দরবার থেকে। সাথে সাথে তীব্রভাবে রাজারবাগ থেকে তা ডিনাই করা হয়। বলা হয়, হ্যা, সেই অবসরপ্রাপ্ত মেজর ঠিকই দরবারের এবং বাকীরাও দরবারের, কিন্তু এই কাজের নির্দেশ দরবার দেয়নি। আসলে কী ঘটেছিল বলাকার পা খুবলানোর মাধ্যমে? রাজারবাগের পীরসাহেব দিল্লুর রহমান মূর্তি ভাঙার সুন্নাহ আদায় করেছিলেন। তিনি নিজের মত করে সব সুন্নাহ আদায় করেন। যেমন, সুন্নতি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন খেজুর পাতার ছাউনি ও খেজুর কান্ডের বিম দিয়ে। এবং বলেন, তাঁদের মত খাস সুন্নতি মসজিদ পৃথিবীতে আর একটিও নেই। তিনি যদি বলে থাকেন তিনি আস সাফফাহ, তো আস সাফফাহ গিরি তিনি করবেনই। অন্তত সর্বান্তকরণে চেষ্টা করবেনই। লেখাটি চার বছরের নিরন্তর অনুসন্ধানের ফল। বহুবার এই লেখা লিখতে গিয়ে বিরত থাকা হয়েছে। বহুবার ড্রাফটে সাজানো হয়েছে। রাজারবাগের পীর দিল্লুর এবং তার অতি নিকটের মানুষজনের মানসিক সমস্যা আছে। না, ঠাট্টা করে বলছি না। এটা প্রকৃত মূল্যায়ন। এ মানসিকতা স্কিতজোফ্রেনিয়া ও প্যারানয়া ধরনের রোগীদের মধ্যেই শুধু দেখা যায়। দ্রুত আমরা সেই বিশ্লেষণে যাচ্ছি। তাদের ভাষার ব্যবহার জগতে বিখ্যাত। পত্রিকা, ব্লগ বা অন্যান্য লেখালেখিতে এই ভাষার ব্যবহার ইতোমধ্যে গণ- অস্বস্তিতে পরিণত হয়েছে। রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার, আল ইহসান শরীফ (পত্রিকা) উনার, এগুলো তো কিছুই না, এদের যে কোন একটা লম্বা লেখা পড়লে যে কোন মানুষ সহজেই বুঝতে পারে যে, এদের ভাষার গাঠনিকতা পর্যন্ত ভয়ানকভাবে পরিবর্তিত হয়ে গেছে যেটাকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা স্কিতজোফ্রেনিয়ার এক বিশেষ পর্যায় হিসাবে অভিহিত করেন- Strange use of words or way of speaking, Speech difficulties and abnormalities। (বাংলাদেশে অপর উদাহরণ- হেজবুত তওহীদ, এমাম বায়েজিদ খান পন্নী) বিশেষ করে তাদের হিংস্রতা, সাম্প্রদায়িক এবং জাতিগত বিদ্বেষ, সবার প্রতি বিকৃত নামে ডাকার মানসিকতা, সর্বক্ষণ হিংসাত্মক কথাবার্তা, এগুলো Odd statements, irrational statements, Extreme reaction to criticism, sense of rage, hatred, Depression এমন বহু স্কিতজোফ্রেনিয়া ও প্যারানয়ার স্পষ্ট প্রমাণ। যে কোন রাজারবাগী অ্যাক্টিভিস্টের দশটা পোস্ট অথবা রাজারবাগের যে কোন পত্রিকার যে কোন সংখ্যার পাঁচটা পাতার সমস্ত হেডলাইনই বোঝার জন্য যথেষ্ট। তাদের অমুসলিম-বিদ্বেষ দেখার মত। সূফিবাদী মুসলিমদের মধ্যে যা কখনোই দেখা যায় না। ধর্ম নিয়ে কঠোরতার বাড়াবাড়িও মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। যেমন- যারা বিশ্বাস করে ছবি তোলা জায়েজ তারা কাট্টা কাফের এবং চিরকাল জাহান্নামী; রাজারবাগের পীরের শিশু সন্তানের জন্মদিন পালন করা নবী দ.র জন্মদিন পালনের মতই সমস্ত জিন ও ইনসানের উপর ফরজ; শুধু ফাড়া সাদা লুঙ্গিই খাস সুন্নাহ; শুধু চারকল্লি টুপিই খাস সুন্নাহ; সাত বছরের কন্যাও সামনে আসা পর্দার খেলাফ; শিশু বয়সে বিয়ে দেয়া অত্যন্ত জরুরি; তাদের পীরের মুরিদ ছাড়া জগতের সকল মানুষ বাতিল এবং সবাইকে এসে অবশ্যই তাদের পীরের বশ্যতা স্বীকার করতে হবে- এই চরম লক্ষণগুলো rigid and maladaptive behavior, argumentative, abrupt, stubborn, self-righteous, and perfectionistic এ পড়ে। কেউ আমার ক্ষতি করতে চায়, পুরা পৃথিবী আমার ক্ষতি করতে চায়, যে কোনভাবে হোক ক্ষতি করবেই। শুধু আমি ঠিক। আমি পুরা পৃথিবী বদলাতে এসেছি, আমি ছাড়া পুরা পৃথিবীর কোন উপায় নেই। এই মনোভাব ভয়ানক মানসিক রোগ। এই রোগ যাদের হয় তাদের জ্ঞান অত্যন্ত বেশি থাকে, ভাবনাও খুব গভীর থাকে, তাদের প্রতিটা কাজের পিছনে কঠিন যুক্তি থাকে, পরিকল্পনাও মাত্রাতিরিক্ত গোছানো হয়, তাদের মতবাদ অত্যন্ত কঠোর হয়, ধর্মর দিক দিয়ে তারা অত্যন্ত কঠোর অনুসারী হয় এবং এইসবে থাকতে থাকতে তাদের আরেকটা লক্ষণ প্রকাশ পায়, সত্য থেকে ধীরে ধীরে সরে যায় এবং তা যদিও সবার চোখে স্পষ্ট হয়, তার নিজের চোখে স্পষ্ট হয় না। (দ্র. মিরপুরের ডা. রীতা ও মিতা) এবং তারা প্রচন্ড হিংস্র হয়। খুন করতে দ্বিধান্বিত হয় না। দিল্লু নিজে আলাইহিস সালাম, তার জন্মদাতা পিতা, মাতা, তার স্ত্রী, তার পুত্র, তার কন্যাদ্বয়, তার কন্যাদের জামাতাদ্বয় এবং তার পীর ও দাদা পীর সকলে আলাইহিস সালাম। উল্লেখ্য, ইসলামে আলাইহিস সালাম শুধু নবী ও রাসূল দ. গণকে বলা হয়। কোন সাহাবা রা. কেও আলাইহিস সালাম বলা হয় না। শিয়া মতবাদে বারোজন ইমামকে আলাইহিস সালাম বলা হলেও তারা ইতোমধ্যে চলে গেছেন। গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকেও তার অনুসারীরা আলাইহিস সালাম ও ইমাম মাহদি দাবি করে থাকে। উপরন্তু কাদিয়ানের অনুসারীরা তাকে নবীও দাবি করে থাকেন। তার সুস্পষ্ট টাইটেলের সংখ্যা ৯০ টিরও উপরে এবং তার বাচ্চা ছেলেটার বেলায়ও একই কঠিন কঠিন এবং দুষ্প্রাপ্য টাইটেল ব্যবহার করা হয়। এবং এই পীরসাহেবের নাম নিলেই সাথে সাথে দরুদ পড়তে হবে, এমনটা দাবি করা হয়। তার পরিবারকে রাসূল দ.র আদলে আহলে বাইত বলা হয়। কষ্টকর ব্যাপার হল, এই রোগ যাদের হয়, তাদের মনোভাব নিকটজনের মধ্যে সংক্রমিত হয় এবং তারাও কালক্রমে মনোরোগী হয়ে পড়ে। এই লক্ষণের উপর আরো কিছু উদাহরণ (রোগলক্ষণগুলো কিওয়ার্ড আকারে সর্বত্র দেয়া হল, যেন সহজেই তা গুগল করার সাথে সাথে মিলিয়ে দেখা যায়।) - ----------------------------------------------------------- ১. দিল্লুর বাসা থেকে (রাজারবাগ দরবার কমপ্লেক্স) কখনো কোন অবস্থাতে বেরোয় না। এটা এই রোগীদের প্রধান লক্ষণ। (Social withdrawal) সে অত্যন্ত কম ঘুমায় (দুই তিন ঘন্টার বেশি না) এবং সর্বক্ষণ প্রস্তুতি নিতে থাকে। (insomnia, fear of being deceived or taken advantage of, inability to relax) ২. দিল্লুরের ছেলেকে কেউ কখনো দেখে না। কোন অবস্থাতেই না। অথচ এই ছেলে ওই রাজারবাগ দরবার কমপ্লেক্সেই থাকে। ওই কমপ্লেক্সের মুরিদরাও দেখে না, খাস খাদেমরাও দেখে না। সবাই জামাতে নামাজ পড়ে সেখানে। কিন্তু কোন ওয়াক্তে এমনকি জুমার সময়ও দিল্লুর থাকা অবস্থায় তার ছেলে আর দুই জামাই নামাজে মসজিদে আসে না। (Social withdrawal,) ৩. দিল্লুরের ছেলের বয়স হবে বড়জোর আঠারো। এই ছেলে বছরে মাত্র তিনদিন বেরোয়। কালো রঙের আলখেল্লা পরে হাতে তলোয়ার নিয়ে নেমে আসে। তার সামনে গরু ছাগল শোয়ানো থাকে। সে এসে একে একে জবাই দেয়। কুরবানীর ঈদে। তখন মুরিদরা সালাম করে। নিচে থাকে না। জবাই দিয়েই উঠে যায়। আবার পশু শোয়ানো হলে জবাই দেয়ার জন্য একইভাবে নেমে আসে। বছরে মাত্র তিনবার দেখা পাওয়া এই রূপ কী ধরনের ভয়ানক উন্মাদের কাজ হতে পারে? (Hostility, suspiciousness, Social withdrawal) ৪. সবাই জানেন, দিল্লুর এবং তার নিকটজনরা কিছুতেই নিজেদের ছবি তুলতে দেয় না। শরঈ বিষয় বাদ রাখলাম। এটা ওই পাগলামির লক্ষণ। ৫. দিল্লুর অ্যান্ড কোং কিছুতেই বাইরের খাবার খায় না। তারা খাবার খায় শুধু তাদের উৎপাদিত এবং পরীক্ষিতটা। অথচ রাসূল দ. ইহুদির নজরানা খাদ্যও খেতেন। এটা এই পাগলামির চরম লক্ষণ। ৬. এরা চিকিৎসা, শিক্ষা, পোশাক, বাসস্থান- বাকী এই চার মৌলিক চাহিদাও সম্পূর্ণরূপে নিজেদের কমপ্লেক্সের ভিতরে মিটায়। প্রায় অসম্ভব একটা কথা। অথচ এই অসম্ভবকেও সম্ভব করেছে। এটা শুধু প্যারানয়া আর স্কিতজোফ্রেনিয়ার রোগীদের পক্ষে সম্ভব। ( intense and irrational mistrust or suspicion, Deterioration of personal hygiene) ৭. দিল্লুরের পরিবারের কেউ যদি কখনো কোন কারণে নামে, তবে কালো গ্লাসের বড় গাড়িতে নামে। এবং নামার সময় এদের কাউকে কোন মুরিদও দেখতে পায় না। না পুরুষদের, না নারীদের। ৮. দিল্লুর দরবারে যে-কেউ গেলে তাকে খুবই ব্যাপকভাবে আধুনিক জিজ্ঞাসাবাদের পদ্ধতিতে জিজ্ঞাসা করা হয়। এই জিজ্ঞাসাবাদের পদ্ধতি সম্পূর্ণ গোয়েন্দা বাহিনীর আন্তর্জাতিক পদ্ধতি। (mistrust, taking offense easily, difficulty with forgiveness, defensive attitude in response to imagined criticism,) ৯. সে নিজেকে ছাড়া পৃথিবীর সমস্ত দরবারকে তার অধীন মনে করে। এমনকি বড়পীর সাহেব গাউসুল আজম জিলানী বাগদাদী রা. সহ সকলকে তার নিচে মনে করে। সে মূলত আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল দ. কে নিজের মত করে মানে এবং বাকী কোন ওয়ালীকে ছাড়েনি। এমনকি সিদ্দিকে আকবর রা. ও ফারুকে আযম রা. কেও লকব ও সম্মানের দিক দিয়ে ছাড়েনি। সে নিজে বারো ইমামের এক ইমাম, তার ধারায় পূর্বপুরুষ সৌদ আহমদ হলেন হল আরেক ইমাম, তার ছেলে হল আরেক ইমাম, তার নাতি হবে শেষ ইমাম ইমাম মাহদী। এরা সবাই আলাইহিস সালাম। তার অভিশাপেই জগতে যত দুর্ঘটনা সব ঘটছে। প্রত্যেকদিন এ নিয়ে ফলাও হচ্ছে। তার সাথে রাসূলপাক দ.র অহরহ সব সময় যোগাযোগ। তার মুরিদদের সাথেও। এমনকি এরা জিব্রাঈল আ. সহ আরো অনেক নবী-রাসূল-ফেরেশতা-জ্বিনের সাথে অলটাইম ওঠাবসা করে। কিন্তু তারা ছাড়া কেউ এই ধরনের বিষয় দেখতে ও পেতে পারে না। যদি কেউ দাবি করে তবে সে মিথ্যা দাবী করেছে। এটা এই রোগীদের নিজেকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করা এবং হ্যালুসিলেশনের সাথে সম্পূর্ণ মেলে। (Hallucinations) ১০. তার খিলাফাতের রাজধানী হবে বাংলাদেশ। সে মক্কায় যাবে। সাথে সাথে তিনশো ষাট মূর্তির মত তিনশো ষাট ক্যামেরা খটাখট বন্ধ হয়ে যাবে। তার তিন হাজার মুরিদের মধ্যে সুলতানুল আযকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মোট দশ হাজারের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সাথে সাথে অটো খিলাফাত কায়েম হবে।তার শাসনামলে অমুসলিম এবং বাতিল ফের্কারা মুসলিম ও বিনাশ হয়ে যাবে এবং যারা থাকবে তাদের এতই বদহাল হবে যে, নর্দমায় ডাস্টবিনে কুকুর বিড়ালের সাথে খাওয়াদাওয়া করবে। যারা রাসূল দ. কে নূরুল্লাহ (আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা নূর) মানে তারা মুশরিক এবং মুশরিকদের কবর না দিয়ে কুকুর বিড়ালের খাবার করার জন্য ফেলে রাখা হবে। অর্থাৎ সকল প্রকার সূফিতাত্ত্বিক ও অনুসারীদের। সমঝদারের জন্য ইশারা: তার রাজত্ব কায়েম হওয়ার আগেই তার কারামতে ওলামায়ে ছু (!) রা সব শেষ হতে থাকবে। (preoccupation with hidden motives,) আরও কিছু ঘটনার সামঞ্জস্যতাঃ ------------------------------- আসলে ধ্যানী/ধার্মিক/গুরু/ কাল্ট মতবাদী এমন বহু মনোরোগী পৃথিবীতে আগেও এসেছে ভবিষ্যতেও আসবে। এদেরকে টিকতে দিলে অতীতেও বহু দুর্ঘটনা হয়েছে ভবিষ্যতেও হবে। এরা কল্যাণের (?) জন্য অন্যকে মারে, কল্যাণের জন্য নিজে মরে, কল্যাণের জন্য আত্মহত্যা করে, গণহত্যা করে, অথচ এদের জ্ঞানের-বুদ্ধির- মেধার-প্রজ্ঞার-পরিকল্পনার অভাব নেই। আল কায়েদা, বোকো হারাম, মওদুদী, আইএস, কার্ল মার্কস ও মাও-লেনিন তেমনি কয়েকজন। এদেরকে কখনো কোনভাবেই বুঝিয়ে সহাবস্থান করা যায়নি, যায় না। সব সময় এদের সাথে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির তৈরি হয়। আমেরিকার ওয়াকোর এমনি সাধন-সংঘ নেতা ডেভিড কোরেশ ৭৬ জন অনুসারীকে নিয়ে পুড়ে মারা যায়। খুবই গোঁড়া মনোভাবের একমুখী সংঘ (যাকে কাল্ট বা ক্লোজড দরবার বলা যায়) প্রায়শই পুরো সংঘ নিয়ে ভয়ানক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এমনকি গণ-মানসিক অসুস্থতা ও বিকৃতি তৈরি করে। কিওয়ার্ড- cults and mental illness/disorders, Mass psychogenic illness. এমন কেইস ইতিহাসে অণ্তত পঞ্চাশটি আমরা দেখেছি। আশংকার কথা হল, বাংলাদেশ খুবই ঘন বসতির দেশ এবং আবেগী মানুষের দেশ যেখানে ইসলাম বললেই সব রফা। এখানে জনসংখ্যা এবং জনসমর্থন কোনদিনই কোন সমস্যা ছিল না। টোকিওর মাটির নিচের এই রেল স্টেশনেই ২০ মার্চ ১৯৯৫ রাত সাতটা থেকে আটটা দশ মিনিটে সেরেন গ্যাস মেরে ১২ জনকে নিহত এবং ৬,২৫২ জনকে আহত করে ওম শিনরিকিও নামে একটা গুপ্ত সংগঠন। এর নেতা শোকো আশাহারার মতে, এই রেলস্টেশনে যারাই ছিল, তারা সবাই পাপী, তাই তাদের মরণ অনিবার্য। এরা পাপী কারণ এরা বেখেয়াল। সম্পদের মোহে ছুটছে। তার মতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলে এসেছিল, পারমাণবিক বিষ্ফোরণে পুরো পৃথিবী ধ্বংস হতে যাচ্ছে। পৃথিবীর সকলের পাপ সে ধারণ করবে এবং সবাইকে ক্ষমা করে দিবে। আশাহারা কিন্তু সৎ ছিল। মানুষের কল্যাণ চেয়েছিল। খুবই মহাধ্যানী ছিল, খুবই ধার্মিক ছিল। জীবন কাটিয়েছে সাধনায়। কিন্তু তার মনের গঠনটা বদলে গিয়েছিল যা তার কাল্টের (দরবারের) কেউ ধরতেও পারেনি।
Posted on: Sun, 23 Nov 2014 01:57:29 +0000

Trending Topics




Stop the poaching. Stop the orphaning. From DSWT: One to

Recently Viewed Topics




© 2015