রপচর্চা ????? রূপচর্চা - TopicsExpress



          

রপচর্চা ????? রূপচর্চা মানব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।আর এ ক্ষেত্রে নারীরা যে বহুত অগ্রগামী তা বলাই বাহুল্য।শোনা যায় ক্লিওপেট্রা নাকি জীবনের বেশ বড় একটা সময় ব্যয় করেছেন রূপচর্চায়।আর বর্তমান যুগে এসে এটা যে কত ব্যাপকতা লাভ করেছে তা কল্পনাতীত!বাংলাদেশের মত গরীব দেশেও বছরে শুধু ফেস ক্রিমই উৎপাদন হয় প্রায় ২৮০ মেট্রিক টন!একসময় রূপচর্চায় মূলতঃ প্রাকৃতিক উপাদানই ব্যবহৃত হতো।শিল্প বিপ্লবের পর একে একে নানা সিনথেটিক কেমিক্যাল আবিষ্কৃত হতে থাকে।মানুষ দ্রুত এসবের উপর নির্ভরশীল হতে শুরু করে।বাদ যায়নি রূপচর্চার উপকরণও।বর্তমানে প্রায় ৮২০০০ কেমিক্যাল ব্যবহৃত হচ্ছে কসমেটিক ও পার্সোনাল কেয়ার প্রোডাক্ট উৎপাদনে।মার্কিন গবেষকদের মতে এর মধ্যে প্রায় ১০৫০০ কেমিক্যাল মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।আর এসব ক্ষতিকর কেমিক্যাল আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছে আমাদের অজ্ঞতা বা অবজ্ঞার সুযোগে।এটাকে কী রূপচর্চা বলবো না সেলফ পয়জনিং?আসুন এ বিষয়ে কিছু তথ্য জানতে চেষ্টা করিঃ ফেয়ারনেস ক্রিমে পারদঃবাংলাদেশী ললনারা তাদের গায়ের রং নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নয়।কালো ও শ্যামলা মেয়েদের যে কোন মূল্যে ফর্সা হতেই হবে।আর যারা ফর্সা তাদের আরও ফর্সা হতে বা ফর্সাভাব ধরে রাখতে ফেয়ারনেস ক্রিম চাইই চাই।আর তাদের আবেগের জায়গাটিকে কেন্দ্র করে কসমেটিক কোম্পানীগুলো মানুষের জীবনের ত্বোয়াক্কা না করে এসব ক্রিমে মিশিয়েছে পারদ বা মারকারি যাতে দ্রুত ফর্সা হওয়া যায়।পারদ একটা বিষাক্ত পদার্থ।কসমেটিকসে পারদের গ্রহণযোগ্যমাত্রা ১পিপিএম হলেও বাংলাদেশে Environment and Social Development Organization (ESDO) ২০১২ সালের এক স্টাডি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে আমাদের কিছু জনপ্রিয় ফেয়ারনেস ক্রিমে পারদের মাত্রা ছিল ৩০০০-৫০০০ পিপিএমঃ পারদের ক্ষতি কী কী?-পারদ খুব সহজেই ত্বক থেকে শোষিত হয়ে আমাদের দেহে প্রবেশ করে এবং শরীরের নানা স্থানে ধীরে ধীরে জমতে থাকে।একটা বিষয় মনে রাখা দরকার আপনি এসব ক্রিম ব্যবহার তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দিলেও শরীরে জমে থাকা পারদের কুপ্রভাব আপনাকে অনেকদিন পর্যন্ত ভোগ করতে হতে পারে।আমাদের দেহে এর প্রধান প্রধান ক্ষতিকর দিকগুলো হলোঃ ১)কিডনী নষ্ট হওয়া-এটা পারদ বিষক্রিয়ার সবচেয়ে বড় ক্ষতিকর দিক। ২)নেফ্রোটিক সিনড্রোম-এটা কিডনীর এমন একটা রোগে যাতে কিডনী দিয়ে দেহের খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন এলবুমিন বের হয়ে যায়,রক্তে এলবুমিন এর মাত্রা কমে যায়,কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় ও শরীরে পানি জমে পুরো শরীর ফুলে যায়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে জানা যায় আফ্রিকায় এক স্টাডিতে দেখা গেছে পারদযুক্ত ফেয়ারনেস ক্রিম বা সাবান ব্যবহারকারী মহিলারা যারা নেফ্রোটিক সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের প্রায় ৭৫% এ রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে গেছেন শুধুমাত্র এসব প্রসাধনী ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়ার কারণে। ৩)নিউরোটক্সিসিটিঃআমাদের স্নায়ুতন্ত্র তথা ব্রেন ও নার্ভের উপর পারদের মারাত্মক বিষক্রিয়া আছে।এর প্রভাবে অস্হির লাগা,বিষন্নতা,সাইকোসিস,হাত-পা ও মুখের চারপাশে সূঁচ দিয়ে ফুটানোর মত অনুভূত হওয়া,স্মৃতিভ্রষ্ট হওয়া,হাত-পা কাঁপা,দেখতে ও শুনতে অসুবিধা হওয়া,বাচ্চাদের ব্রেনের পরিপক্কতা বিঘ্নিত হওয়া ইত্যাদি হতে পারে।সবচেয়ে মারাত্মক বিষয় হলো গর্ভবতী মায়েদের এসব ক্রিম ব্যবহারের কারণে তাদের গর্ভস্থ শিশুর ব্রেন ডেভেলপমেন্ট বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ৪)ত্বকের ক্ষতিঃযে ত্বকের সৌন্দর্য্যের জন্য এসব ক্রিম ব্যবহার করেন ললনারা দীর্ঘমেয়াদে তাদের ত্বকেরই সর্বনাশ করে এই পারদ।পারদের কারণে ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সহজেই ত্বকে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে।এছাড়াও ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ ও র‌্যাশ হতে পারে। স্কিন ক্রিমে পারদের ক্ষতিকর প্রভাবের ব্যাপারে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(FDA) এর বিষ বিশেষজ্ঞ মাইক বলগার ও মেডিক্যাল উপদেষ্টা চার্লস লী এর বক্তব্য আপনাদের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরা হলোঃ MIKE BOLGER’S STATEMENT--You don’t have to use the product yourself to be affected, says FDA toxicologist Mike Bolger, Ph.D. “People—particularly children—can get mercury in their bodies from breathing in mercury vapors if a member of the household uses a skin cream containing mercury.” Infants and small children can ingest mercury if they touch their parents who have used these products, get cream on their hands and then put their hands and fingers into their mouth, which they are prone to do, adds Bolger. CHARLES LEE’S STATEMENT-“Exposure to mercury can have serious health consequences,” says Charles Lee, M.D., a senior medical advisor at FDA. “It can damage the kidneys and the nervous system, and interfere with the development of the brain in unborn children and very young children.” আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে ২০১২ সালে এসডোর তথ্যমতে বাংলাদেশে উৎপাদিত মোট ফেস ক্রিমের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৮০ মেট্রিক টন!উপরে উল্লেখিত নামকরা কোম্পানীর ফেয়ারনেস ক্রিমে যে পরিমাণে পারদ পাওয়া গেছে সে বিষয়টা বিবেচনা করলে এসব ক্রিম ব্যবহারে আপনি ও আপনার সন্তান কী ভয়াবহ পারদ বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে আছেন একবার ভেবে দেখুন প্লিজ। লিপস্টিকে লেড ও ক্রোমিয়ামঃআরো দু’টি হেভী মেটাল বিষ হলো লেড (সীসা) ও ক্রোমিয়াম।লিপস্টিকে এ দুটো বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি মারাত্মক স্বাস্থ্যহানির সম্ভাব্য কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।খোদ মার্কিন বাজারের নামীদামী ব্যান্ডের লিপস্টিকে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(FDA) ভয়াবহ মাত্রায় লেড এর উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছেন।নীচে সেসব ব্র্যান্ড লিপস্টিক ও তাতে প্রাপ্ত লেডের পরিমাণ নীচে উল্লেখ করা হলোঃ ভারতের Centre for Science and Environment (CSE) ভারতের বাজারের বিভিন্ন লিপস্টিকে লেডের পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে ১৫গুণ পর্যন্ত ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি দেখতে পেয়েছেন। লেড এর ক্ষতিকর প্রভাবঃযেহেতু লেড শরীরে ধীরে ধীরে জমতে হতে থাকে তাই এর কোন নিরাপদ মাত্রা নেই।শরীরে ঢোকার পর ৫০% লেড শরীর থেকে বের হয়ে যেতে সময় লাগে ২-৬ সপ্তাহ এবং বাকী ৫০% বের হতে সময় লাগে ২৫-৩০ বছর।এ ব্যাপারে আমেরিকান Centers for Disease Control and Prevention এর বক্তব্য সুস্পষ্ট-“No safe blood lead level has been identified.” The agency suggests avoiding all sources of lead exposure। ক্রমাগত স্বল্পমাত্রায় লেড বিষক্রিয়ায় অকালে গর্ভপাত,হরমোনের পরিবর্তন,বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস,অনিয়মিত মাসিক,দেরীতে সাবালক হওয়া,স্মৃতিভ্রষ্টতা,কম আই.কিউ,স্নায়ুর নানা রোগ,জয়েন্ট ও মাংসপেশীর নানা রোগ, রক্তাল্পতা,খাওয়ার অরুচী,দিন দিন শুকিয়ে যাওয়া,বিষন্নতা,উচ্চ রক্তচাপ,কিডনীর জটিলতাসহ নানা অসুখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।এছাড়াও লেডকে সম্ভাব্য ক্যান্সার সৃষ্টিকারী হিসাবে সন্দেহ করা হয়।লেডের বিষক্রিয়ার ব্যাপারে বোস্টন ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথের প্রফেসর ও বোস্টন লেড পয়জনিং প্রিভেনশান প্রোগ্রামের পরিচালক Dr. Sean Palfre ‘র দুটো খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরলামঃ “Since recent science suggests that there is truly no safe lead exposure for children and pregnant women, it is disturbing that manufacturers are allowed to continue to sell lead-containing lipsticks, said Sean Palfrey, M.D., a professor of pediatrics and public health at Boston University and the medical director of Bostons Lead Poisoning Prevention Program. “Lead is a proven neurotoxin that can cause learning, language and behavioral problems such as lowered IQ, reduced school performance and increased aggression. Pregnant women are particularly vulnerable to lead exposure, because lead easily crosses the placenta and enters the fetal brain where it can interfere with normal development,” said Dr. Palfrey. ক্রোমিয়ামের ক্ষতিকর প্রভাবঃবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনস্থ International Agency for Research on Cancer (IARC) ক্রোমিয়ামকে মানবদেহে সুনির্দিষ্টভাবে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান হিসাবে চিহ্নিত করে তাকে Group-1 carcinogen হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন। কালো মেহেদীতে পিপিডিঃPara-Phenylene-Diamine এটা জৈব রং।সকল কালো রং এর মেহেদীতে পিপিডি আছে।ন্যাচারাল মেহেদী কখনোই কালো রং এর হয়না।তাছাড়া চুলের কলপেও পিপিডি ব্যবহৃত হয়।পিপিডি মারাত্মক অ্যালার্জি তৈরী করতে পারে।নীচের ছবিতে দেখুন কালো মেহেদী লাগানোর কুফলঃ এছাড়াও পিপিডির সাথে নন হজকিন্স লিম্ফোমা,একিউট লিউকেমিয়া,মাল্টিপল মায়েলোমা ও ব্লাডার ক্যান্সারের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। হেয়ার ডাই এ কোল টারঃকোল টার(coal tar)একটি GROUP-1 CARCINOGEN।পারমানেন্ট হেয়ার ডাই এ কোল টার উপাদান অ্যারোম্যাটিক অ্যামাইন ব্যবহার করা হয়।২০০১ সালে University of Southern California’s (USC) School of Medicine এর গবেষকরা খুঁজে পান যে সব মহিলা প্রতিমাসে ১বার পারমানেন্ট হেয়ার ডাই ব্যবহার করেন তাদের মূত্রথলির ক্যান্সারের সম্ভাবনা দ্বিগুণ।ব্যস হৈ চৈ পড়ে যায় দুনিয়ায়।শুরু হয় বিশ্বব্যাপী স্টাডি ও গবেষণা।বিশ্বের ৭টি দেশের (US, Norway, Sweden, Finland, Denmark, Japan) উপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে হেয়ার ড্রেসার,নাপিত,বিউটিশিয়ান ও কসমেটোলজিস্টদের মধ্যে মূত্রথলির ক্যান্সারের ঝুঁকি সাধারণ মানুষের তুলনায় ৪০% বেশী।শুধু মূত্রথলিই নয় বরং এটি নন-হজকিন্স লিম্ফোমা,মাল্টিপল মায়েলোমা,কোলোরেকটাল ক্যান্সার এমনকি ফুসফুসের ক্যান্সারও করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।গবেষকরা ২০% নন-হজকিন্স লিম্ফোমা ক্যান্সারের সাথে হেয়ার ডাইয়ের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। প্রসাধনীতে প্যারাবেনঃপ্রিজারভেটিভ হিসাবে প্যারাবেন ব্যাপক হারে বডি লোশন,বডি স্প্রে,পারফিউম,ক্রিম,শাম্পু, মেক-আপসহ নানাবিধ প্রসাধনে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।মেয়েদের স্তন ক্যান্সারের প্রায় ৬০% ক্ষেত্রে কেবলমাত্র স্তনের বগলের নিকটবর্তী অংশে কেন হয় এ উত্তর খুঁজতে গিয়ে University of Reading,UK এর গবেষক ও বিজ্ঞানী Dr. Philippa Darbre বিষ্ময়ের সাথে স্তন ক্যান্সারে প্যারাবেনের উপস্থিতি লক্ষ্য করেন।২০০৪ সালে তিনি এ পর্যবেক্ষণটি the Journal of Applied Toxicology তে প্রকাশ করলে হৈ চৈ পড়ে যায়।ঐ বছরই Northwestern University’র ইমিউনোলজিস্ট Dr. Kris McGrath বগলে ঘন ঘন ডিওডোরেন্ট স্প্রে করার সাথে স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক অবস্থার সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পান। এছাড়াও প্যারাবেন অতিবেগুনী রশ্মি(বি টাইপ)র সাথে বিক্রিয়া করে ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ ফেলে এবং ত্বকের কোষের ডিএনএ’র ক্ষতি করে। প্রসাধনে ফরমালডিহাইডঃফরমালডিহাইড মানবদেহের নাকের ভিতরের অংশে ক্যান্সার তৈরী করতে পারে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনস্থ International Agency for Research on Cancer (IARC) ফরমালডিহাইডকে Group-1 carcinogen হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন।অসাধু কসমেটিক ব্যবসায়ীরা প্রিজারভেটিভ ও সলভেন্ট হিসাবে এখন অনেকক্ষেত্রে সরাসরি ফরমালডিহাইড ব্যবহার না করে ফরমালডিহাউড-রিলিজার ব্যবহার করছেন যা থেকে ফরমালডিহাইড বের হয়ে আসে।কসমেটিকসে বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি ফরমালডিহাউড-রিলিজার হলো Methylene glycol,DMDM hydantoin, diazolidinyl urea, imidazolidinyl urea, methenamine,quarternium-15 etc. এসব কেমিক্যাল ও ফরমালডিহাইডের ক্ষতিকর প্রভাব কার্যত একই।এসব প্রসাধন উৎপাদনে জড়িত শ্রমিক,ব্যবহারকারী বিশেষতঃ বিউটি পার্লারের কর্মী ও বিউটিসিয়ানরা বিরাট স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। মেক-আপে বিষঃআজকাল মেক-আপ ছাড়া মেয়েদের চলেইনা।নানা কারণে নানা অনুষ্ঠানে মেক-আপ করা এখন রীতিমত সর্বনিম্ন রূপচর্চা হিসাবে গণ্য।অথচ মেক-আপের বিভিন্ন উপকরণ প্রসাধনীতে আছে আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম,বেরিলিয়াম,লেড,নিকেল,পারদ ও থ্যালিয়ামের মত বিষ।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনস্থ International Agency for Research on Cancer (IARC) আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম,বেরিলিয়াম ও নিকেলকে মানবদেহে সুনির্দিষ্টভাবে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান হিসাবে চিহ্নিত করে তাদের Group-1 carcinogen হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন।কানাডীয় প্রতিষ্ঠান environmental defence এর এক স্টাডিতে মেক-আপের বিভিন্ন উপাদানে প্রাপ্ত কয়েকটি হেভী মেটাল পয়জনের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলোঃ স্টেরয়েড যখন প্রসাধনীঃচিকিৎসাশাস্ত্রে মুখের ত্বকে হাইড্রোকর্টিসনের চেয়ে শক্তিশালী কোন স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহারের সাধারণ নির্দেশনা না থাকলেও অসাধু প্রসাধন ব্যবসায়ীরা ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম ও মেছতা দূর করার ক্রিমে বিটামেথাসনের মত অত্যন্ত শক্তিশালী স্টেরয়েড মিশাচ্ছেন দ্রুত ফল পেতে।ঔষধের দোকানে যে বেটনোভেট ক্রিম প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করার কথা নয় সেই বেটনোভেট ক্রিম দেদারসে বিক্রি হচ্ছে কসমেটিকসের দোকানে।মুখের ত্বকে এ স্টেরয়েডের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের কুফল ভয়াবহ!ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া,ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ পড়া,ব্রন বেড়ে যাওয়া,মুখে অবাঞ্চিত লোম গজানোসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়।যারা স্টেরয়েডযুক্ত ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করছেন তারা ক্রিম ব্যবহার বন্ধ করে দিলেই ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ দেখতে পাবেন যা দূর করতে পুনরায় আপনাকে এ ক্রিম ব্যবহার করে যেতে হবে।কী দুষ্ট চক্রে জড়িয়ে দিয়েছে আপনাকে এসব নরপিশাচরা!ত্বকে শক্তিশালী স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহারের কতিপয় কুফল দেখুনঃ পারফিউমে ক্ষতিকর উপাদানঃকানাডীয় প্রতিষ্ঠান environmental defence কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্টের বাজারে পাওয়া যায় এমন ১৭টি নামকরা ব্র্যান্ডের পারফিউম ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখতে পান গড়ে প্রতিটি পারফিউমে রয়েছে ১৪টি গোপন উপাদান যা লেবেলে উল্লেখ নেই,গড়ে ১০টি উপাদান রয়েছে যেগুলো মাথাব্যথা,শ্বাসকষ্ট,হাঁপানী ও ত্বকে অ্যালার্জি করতে পারে এবং গড়ে ৭টি উপাদান রয়েছে যারা থাইরয়েডসহ অন্যন্য হরমোনের কার্যকারিতায় বিঘ্ন ঘটায়। সর্বনাশা পেট্রোলিয়াম জেলীঃপেট্রোলিয়াম জেলী বা ভ্যাসলিন একটি বহুল ব্যবহৃত প্রসাধনী।এই পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট উৎপাদনকালে প্রায়শঃই পলিসাইক্লিক-অ্যারোম্যাটিক-হাইড্রোকার্বন (PAHs) দ্বারা দূষিত হয়।যেহেতু PAH একটি চিহ্নিত মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান তাই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০০৪ সাল থেকে পেট্রোলিয়াম জেলীকে কারসিনোজেন হিসাবে গন্য করে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।তবে যদি এর উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সুনিশ্চিত তথ্য ও PAH মিশ্রিত নয় মর্মে নিশ্চয়তা প্রদানপূর্বক তথ্য ও প্রমাণ সন্নিবেশিত থাকে তবে সেক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। সম্মানিত পাঠকদের ধৈর্য্যচ্যুতির বিষয়টা মাথায় রেখে এ তালিকা আর দীর্ঘ করলাম না,তবে আরও বেশকিছু ক্ষতিকর কেমিক্যাল রয়েছে যা হরহামেশা কমমেটিকসে ব্যবহৃত হচ্ছে অথচ এদের কুফল সম্পর্কে আমরা যথেষ্ঠ সচেতন না হওয়ায় অজ্ঞাতে এর সর্বনাশা পরিণতি ভোগ করছি। উপরের আলোচনা থেকে একটা জিনিস নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কষ্টার্জিত টাকা খরচ করে এসব বিষযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করে আপনি কতটা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছেন নিজেকে।বিশ্বব্যাপী প্রসাধন ব্যবসায়ীদের দাপট ও চটকদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে নিজেকে এভাবে অসুন্দরের জালে আটকে ফেলা কী ঠিক হচ্ছে?রূপচর্চার নামে নিজেকে সেলফ পয়জনিং এর মাধ্যমে এভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া কী বুদ্ধিমানের কাজ?আশা করি বিষয়টা গভীরভাবে ভেবে দেখবেন প্লিজ। জনস্বার্থে কপি পেষ্ট
Posted on: Wed, 13 Aug 2014 07:58:53 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015