..লাব্বাইক, - TopicsExpress



          

..লাব্বাইক, লাব্বাইক, লাব্বাইক ..... আমি উপস্থিত, আমি উপস্থিত, আমি উপস্থিত.. কেমন লাগবে যখন আপনার ডাকে মহান রব্বুল আলামীন এভাবেই সাড়া দিবেন ?? হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন, এভাবেই আল্লাহ পাক সাড়া দিতেন যখন যাকারিয়া আলাইহিস সালাম চুপেচুপে আল্লাহ তাআলাকে ডাকতেন ও তাঁর দরবারে দোআ করতেন। নিজেকে তিনি সঁপে দিয়েছেন আল্লাহর কাছে সম্পূর্ণভাবে। নিজের দুর্বলতা, সীমাবদ্ধতা, কাতরতা প্রকাশ করেছেন মহা- ক্ষমতাধর এর কাছে। একমাত্র আল্লাহ পাক ই তো দেয়ার মালিক। তাঁর (আলাইহিস সালাম) অন্তরে ছিল দৃঢ় বিশ্বাস। পূর্বের মত এবারও তাঁর হাত খালি ফিরবে না, তাই তো তিনি বলেছিলেন, তোমাকে (আল্লাহ) ডেকে আমি তো কখনো নিরাশ হই নি। পুত্র সন্তানের সুসংবাদ প্রাপ্ত হয়েও অন্তরের প্রশান্তির খোঁজে নির্দশন এর আশায় হাত পেতেছেন। আল্লাহ পাক কবুল করেছেন। এখান থেকে আমরা কি কি শিক্ষা নিতে পারি?? * একাকী চুপেচুপে দোআ করা উত্তম। সবচেয়ে উপযুক্ত সময় তাহাজ্জুদ, যখন আল্লাহ পাক স্বয়ং প্রথম আকাশে অবতীর্ন করেন এবং আহবান জানান, কে আছে তাঁর কাছ থেকে ক্ষমা চাইবে, কে আছে তার কাছে কিছু চাইবে. বান্দা যা চাইবে, তিনি তাঁর বান্দাকে দিবেন। * দোআ করার সময় মহান রব্বুল আলামীনের ক্ষমতা সম্পর্কে সুদৃঢ় জ্ঞান রাখা। তিনি ব্যতীত দোআ কবুলের মালিক আর কেউ নেই। * অন্তরে দৃঢ় আশা রাখা যে দোআ অবশ্যই কবুল হবে। আল্লাহ তাঁর বান্দার জন্য কল্যাণকর বস্তুই দান করেন। * দোআ এর শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা ও শুকরিয়া জ্ঞাপন করা। * শারীয়াহ মোতাবেক হালাল বস্তুর জন্য দোআ করা, হারাম জিনিসের দোআ করা উচিত না। * দোআ কবুলের আলামত চেয়েও আমরা দোআ করতে পারি নিজেদের অন্তরের প্রশান্তির জন্য। আল্লাহ পাক চাইলে সেটাও কবুল হবে। * দোআ শেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরুদ পড়া। ঊমার (রা) থেকে বর্ণিত আছে, বান্দা যখন দোআ করে তখন তা প্রথম আকাশে গিয়ে ঝুলে থাকে। যখন দরুদ পাঠ করা হয় তখন সেই দোআ আল্লাহ তাআলার কাছে পৌছাতে আর কোনও বাঁধা থাকে না। (1) আমরা সূরা মারিয়াম থেকে প্রাপ্ত এই পদ্ধতিকে Etiquettes of Making Dua আখ্যায়িত করতে পারি, তাই না? ঊমার (রা) থেকে আরো একটি জিনিস শিখতে পাওয়া যায় যখন তিনি বলেছিলেন, আমি দোআ কবুল হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত নই, বরং আমি দোআ করতে পারছি কিনা সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। (2) কি বুঝা গেলো এটা থেকে ??? দোআ করতে পারাও একটি বড় নিয়ামাহ। ** “কখনো কোন অবস্থাতেই দু’আ করা ছেড়ে দিবেন না এবং আপনি যা (খারাপ কাজ) করেছেন তাকেও দু’আ করার প্রতিবন্ধকতা হতে দিবেন না। কেননা নিশ্চয়ই আল্লাহ ইবলিসেরও (শয়তান) দু’আ কবুল করেছেন (যখন সে আল্লাহর কাছে চেয়েছে) এবং সে সৃষ্টিসমূহের মাঝে সবচাইতে নিকৃষ্ট।” “সে বললঃ আমাকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন। আল্লাহ বললেনঃ তোকে সময় দেয়া হল।” [সূরা, আরাফ : ১৪-১৫] — ইমাম সুফিয়ান ইবনে উনাইনাহ (রাহিমাহুল্লাহ) ** “আল্লাহ যখন আপনার জিহবাকে কিছু চাইতে উৎসাহিত করেন, জেনে নিন তিনি আপনাকে কিছু দিতে চাইছেন।” — ইবনু আতা’আল্লাহ আল ইসকান্দারি (রাহিমাহুল্লাহ) আল্লাহ পাক আমাদের অধিক হারে দোআ করার তাওফিক দান করুক এবং আমাদের দোআ সমূহ কবুল করে নিক। (আরো ভালোভাবে জানার জন্য তাফসির ইবনে কাসীর থেকে এই Soorah al-Maryam তাফসির পড়ার অনুরোধ রইলো।) (1) Umar (RA) narrated that the Prophet (SAW) said: Dua is detained between the heavens and the earth and no part of it is taken up until you send blessings upon your Prophet (SAW) ~[at-Tirmidhi: 486] (2) I am not worried about my dua’a being answered; rather I am worried about me making dua’a. If I am inspired (by Allah) to make dua’a, the response comes with it.
Posted on: Fri, 07 Nov 2014 03:08:16 +0000

Trending Topics



PVC Figure 1/7 Scale g248e4zzs.
I hope that you all will take a moment to drop by Mayor de Blasios

Recently Viewed Topics




© 2015