সংগ্রামী নেত্রী খালেদা - TopicsExpress



          

সংগ্রামী নেত্রী খালেদা জিয়া আমেরিকার প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ফোর্বস (Forbes) ২০০৬ এ বিশ্বের ১০০ সর্বাধিক শক্তিশালী নারীর লিস্টে ৩৩ নাম্বার স্থানে চিহ্নিত করেছিল ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে। সে বছরেই আমেরিকার আরেকটি প্রভাবশালী ম্যাগাজিন টাইম (Time) ১০ এপৃল ২০০৬-এর কভারে খালেদা জিয়ার ছবি ছেপে ভেতরের ছয় পৃষ্ঠা জুড়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রূপে তার সাফল্যের একটি বিস্তারিত রিপোর্ট ছেপেছিল। একই বছরে বিশ্বের প্রাচীনতম রবিবাসরীয় পত্রিকা লন্ডনের দি অবজার্ভার (The Observer, ০২.০৪.২০০৬) বিশ্বের ছয়টি দেশের নারী নেত্রীদের ওপর দুই পৃষ্ঠা জুড়ে একটি স্পেশাল রিপোর্ট লিখেছিল, আততায়ীদের হাতে নিহত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী কিভাবে সব প্রতিকূল অবস্থার মোকাবেলা করে বালাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত খালেদা জিয়া দুইবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং তৃতীয়বার তিনি ছিলেন ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত। বর্তমানে তিনি তার প্রয়াত স্বামীর প্রতিষ্ঠিত বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, Bangladesh Nationalist Party)-র চেয়ারপারসন এবং পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী (The Leader of the Opposition)। জানুয়ারি ১৯৯১, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬, জুন ১৯৯৬ এবং অক্টোবর ২০০১-এর সাধারন নির্বাচনের সময়ে এমপি পদের জন্য পাচটি নির্বাচনী আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যেত। এই চারটি নির্বাচনেই খালেদা জিয়া পাচটি বিভিন্ন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওয়ান-ইলেভেনে (১১.০১.২০০৭) সামরিক ক্যু-র পরে নির্বাচনী আইন বদলে সর্বোচ্চ তিনটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিধান করা হয়। এরপর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ডিসেম্বর ২০০৮-এর নির্বাচনে খালেদা তিনটি আসনে দাড়িয়ে তিনটিতেই বিজয়ী হয়। অর্থাৎ, জানুয়ারি ১৯৯১ থেকে ডিসেম্বর ২০০৮-এ সুদীর্ঘ ১৮ বছরে মোট পাচটি সাধারণ নির্বাচনে যে সর্বোচ্চ ২৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব ছিল তার সব কয়টিতেই খালেদা জিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং সব কয়টিতেই বিজয়ী হন। বাংলাদেশের অন্য কোনো পলিটিশিয়ান এই সাফল্যের ধারেকাছেও যেতে পারেননি। সম্ভবত মোট ২৩টি আসনে তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা একটি বিশ্ব রেকর্ডও বটে!
Posted on: Wed, 10 Sep 2014 17:57:23 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015