সাধারণ মানুষ, সরল - TopicsExpress



          

সাধারণ মানুষ, সরল চিন্তা। আমাদের, আমার ছাত্রলীগ; সমসাময়িক কিছু বিষয় ও আমার ভাবনা। ----------------------------------------------- সালমান সিয়াদ পরাগ (দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অস্ট্রেলিয়া।) [Firstly, please pardon my mistakes; do not take anything as an offence and I am requesting you to think my humble words with your valueable thoughts. If I have made any mistake please ADVISE me. I need it and I do mean it. Thank you.] রাজনীতির দুটো ধারা থাকা প্রয়োজন। একটি হল মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি, অপরটি হলো অবকাঠামো কেন্দ্রিক রাজনীতি। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে এ দুটোর গুরুত্বই সমান। এটা নিয়ে তর্ক অনেকটা শৈশবের চকলেট ভাগাভাগি নিয়ে ঝগড়া করবার মত ব্যপারই হয়ে যাবে। সেনাবাহিনীতে যেমন একজন ডাক্তার ক্যাপ্টেন এর ভূমিকা মহা গুরুত্ববহ তেমনি একটি ট্রুপ-এর ক্যাপ্টেনেরও, কিন্তু আমাদের সমসাময়িক বা সামন্ত বাঙালিয়ানা চিন্তাধারায় এটি আশ্চর্যজনক ভাবে ব্যতিক্রম! আমারা ক্যাপ্টেন বলতে বুঝি শুধু বন্দুকধারী যোদ্ধাকেই(!), কিন্তু একজন যোদ্ধা গুলিবিদ্ধ হলে বা শত্রুর আঘাতে বিক্ষত হলে কে তত্খনাত তার অপারেশন করবে তা বেমালুম ভুলে যাই! তাকে তো আর ঐ সময়ে পাশ্ববর্তী ক্লিনিকে নেয়া যায়্না! নাকি যায়? না। অনুরোধ করি, দয়া করে এই ক্ষুদ্রকে ভুল বুঝবেন না। আমাদের রাজনীতিতে এখন ঐ ডাক্তারের যে বড়ই অভাব! সবাই সৈনিক কিন্তু তাদের দর্শন চিকিত্সার যে কেও নেই! তেমনি সরকার পর্যায়েও আমাদের অনেক উপদেষ্টাগণ চরম ব্যর্থ ও অদক্ষ্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমার অনুরোধ এই যে, সরকার তথা দলের অবকাঠামোগত দিকসমূহ, যেগুলো মূলত চিন্তাবোধ ও দর্শনবোধের সাথে সম্পৃক্ত সে দিকগুলোতে তাঁর নিজস্ব তত্ত্বাবধান প্রয়োজন। আমি উদাহরণ হিসেবে বলব, মন্ত্রী লতিফের কথা। উনি থাকতে কি আর চক্রান্তের কোন দরকার আছে? এমন আরও অনেক ভুল আমরা করেছি, করেই চলেছি কিন্তু আর করতে চাই না। সে যাগগে, এবার আমাদের কথায় আসি, ছাত্রলীগের কথায় আসি। আমাদের সকল মহামান্য নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমাদের প্রচুর সৈনিক আছেন, আছেন যোদ্ধা ক্যাপ্টেন, কিন্তু আমাদের কোন ডাক্তার আছেন কি? ডাক্তার বলতে আমি চিন্তাবোধের চর্চা ও পরিচর্চাকারীদের কথা বলছি। আমাদের সংগঠনের যত বদনাম হয়েছে তা হয়েছে আশির দশকের শুরু থেকে শুরু, কারণ তখন থেকেই প্রান্তিক কর্মীদের তথা মাঠপর্যায়ে দর্শন চিন্তার বিলুপ্তি শুরু হয়! সুতরাং এই ব্যপারটি খুব গুরুত্ব দিয়ে ভাবা দরকার। নয়তো, আজকালের মত প্রচুর এ+ প্রাপ্ত ছাত্র বের হবে কিন্তু জনবল হবে মেধাশূন্য! ওহ্ ভাল কথা, লতিফ সাহেবের মত লোকেরা কোথায় কোথায় ঘাপটি মেরে আছে কে জানে? আমার মনেহয় কেও চাইছেই যে এমনটা হোক! এরাই ছদ্দবেশে দলে ও সরকারে মিশে আছে সরষের ভূত হয়ে আমাদের সর্বনাশ করতে; এরা আছে এমনকি উপদেষ্টা মহলেও। এটিও হতে পারে সুনির্দিষ্ট কোন চক্রান্তেরই অংশ! এটা যে অবশ্যই ভাববার বিষয়। বর্তমান ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মহাদয়গণকে আমার অনুরোধ রইল। তাঁদের আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, তাঁরা নিশ্চয় এটি ভাবছেন বা ভেবে দেখবেন। মাননীয় নেত্রীও নিশ্চয় এতে দৃষ্টিপাত করবেন। প্রসঙ্গে আসি; ৫২,৬৯,৭১-এর ছাত্রলীগ আমাদের প্রেরণা, শেখ মুজিব আমাদের রাজনৈতিক চেতনা। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে মুজিব একজনই ছিলেন, একই সাথে দর্শনবোধ সম্পন্ন সংগঠক, সৈনিক, উপদেষ্টা, নেতা ও পথিকৃত কিন্তু একজন মুজিব হতে হাজার বছর লাগে বলেই যে তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী। তিনি সেই মানুষ যিনি নিজের কবর দেখেও লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল। এই স্বাধীন বাংলাই ছিল তাঁর স্বপ্ন, তাঁর লক্ষ্য; কিন্তু যে দালালদের জন্য তাঁর মত মানুষকেও নিতে হয়েছে নির্লজ্জ বুলেটের আঘাত ও নির্মম মৃত্যু, আমরা ওদের উদ্দেশ্য কি পূরণ হতে দিতে পারি? সেই সাথে মর্যাদাপূর্ণ এক বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে আকাঙ্খা শেখ সাহেব করেছিলেন সেটি পূরণ করাটা আমাদেরই নৈতিক দায়িত্ব। আর সে জন্যই আমি আমার সংগঠনের সর্বোচ্চ নেতাদের অনুরোধ করছি আমাদের অবকাঠামো ও চিন্তাবোধের রাজনীতিতে গুরুত্বারোপ করা হোক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিনীতভাবে এ ব্যপারে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানাই। আমরা তো পাশে আছিই, থাকবও। আমি চাই মানুষ আমাদের নিয়ে গর্ব করুক। আমরা দৃষ্টান্ত হতে চাই যেমন বিদ্রোহের তেমনি শিক্ষার, শান্তির, প্রগতির, দর্শনের, চেতনার ও এই বাংলাদেশ মহাকাব্যের নতুন সূচনার। দুর্নিতীর কাছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হেরে যেতে পারেনা, আওয়ামিলীগ হেরে যেতে পারে না। আমরাই হতে চাই একবিংশ শতাব্দীর নতুন বাংলাদেশ রূপকথার ফিনিক্স- যা অঙ্গার থেকে ঊড়ে যায় আকাশে, নতুন প্রাণের বার্তা নিয়ে। সবশেষে, পুনরায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৮তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে। কামনা করি তাঁর হাত ধরেই পূরণ হবে জাতি পিতার সেই সোনালী স্বপ্ন, একটি সোনার বাংলার স্বপ্ন। একই সাথে আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগমনী-বার্তা জানিয়ে আমি শেষ করছি। দোয়া করবেন। আস্সালামুওয়ালাইকুম। জয় বাংলা, জয় শেখ মুজিব, জয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সালমান সিয়াদ পরাগ দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অস্ট্রেলিয়া।
Posted on: Wed, 01 Oct 2014 16:05:10 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015