সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড - TopicsExpress



          

সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড অ্যালেন গিন্সবার্গ কবিতার বাংলা অনুবাদ। ............................. শত শত চোখ আকাশটা দেখে, শত শত শত মানুষের দল, যশোর রোডের দুধারে বসত বাঁশের ছাউনি কাদামাটি জল। কাদামাটি মাখা মানুষের দল, গাদাগাদি করে আকাশটা দেখে, আকাশে বসত মরা ইশ্বর, নালিশ জানাবে ওরা বল কাকে। ঘরহীন ওরা ঘুম নেই চোখে, যুদ্ধে ছিন্ন ঘর বাড়ী দেশ, মাথার ভিতরে বোমারু বিমান, এই কালোরাত কবে হবে শেষ। শত শত মুখ হায় একাত্তর যশোর রোড যে কত কথা বলে, এত মরা মুখ আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা কোলকাতা চলে। সময় চলেছে রাজপথ ধরে যশোর রোডেতে মানুষ মিছিল, সেপ্টেম্বর হায় একাত্তর, গরুগাড়ী কাদা রাস্তা পিছিল লক্ষ মানুষ ভাত চেয়ে মরে, লক্ষ মানুষ শোকে ভেসে যায়, ঘরহীন ভাসে শত শত লোক লক্ষ জননী পাগলের প্রায়। রিফিউজি ঘরে খিদে পাওয়া শিশু, পেটগুলো সব ফুলে ফেঁপে ওঠে এইটুকু শিশু এতবড় চোখ দিশেহারা মা কারকাছে ছোটে। সেপ্টেম্বর হায় একাত্তর, এত এত শুধু মানুষের মুখ, যুদ্ধ মৃত্যু তবুও স্বপ্ন ফসলের মাঠ ফেলে আসা সুখ। কারকাছে বলি ভাতরূটি কথা, কাকে বলি করো, করো করো ত্রান, কাকে বলি, ওগো মৃত্যু থামাও, মরে যাওয়া বুকে এনে দাও প্রান। কাঁদো কাঁদো তুমি মানুষের দল তোমার শরীর ক্ষত দিয়ে ঢাকা, জননীর কোলে আধপেটা শিশু একেমন বাঁচা, বেঁচে মরে থাকা। ছোটো ছোটো তুমি মানুষের দল, তোমার ঘরেও মৃত্যুর ছায়া, গুলিতে ছিন্ন দেহ মন মাটি, ঘর ছেড়েছোতো মাটি মিছে মায়া। সেপ্টেম্বর হায় একাত্তর, ঘর ভেঙে গেছে যুদ্ধের ঝড়ে, যশোর রোডের দুধারে মানুষ এত এত লোক শুধু কেনো মরে। শত শত চোখ আকাশটা দেখে, শত শত শত শিশু মরে গেল, যশোর রোডের যুদ্ধ ক্ষেত্রে ছেঁড়া সংসার সব এলোমেলো কাদামাটি মাখা মানুষের দল, গাদাগাদি করে আকাশটা দেখে, আকাশে বসত মরা ইশ্বর, নালিশ জানাবে ওরা বল কাকে। ঘরহীন ওরা ঘুম নেই চোখে, যুদ্ধে ছিন্ন ঘর বাড়ী দেশ, মাথার ভিতরে বোমারু বিমান, এই কালোরাত কবে হবে শেষ। শত শত মুখ হায় একাত্তর যশোর রোড যে কত কথা বলে, এত মরা মুখ আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা কোলকাতা চলে, এত মরা মুখ আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা কোলকাতা চলে॥ Allen Ginsberg - September On Jessore Road Millions of babies watching the skies Bellies swollen, with big round eyes On Jessore Road--long bamboo huts Noplace to shit but sand channel ruts Millions of fathers in rain Millions of mothers in pain Millions of brothers in woe Millions of sisters nowhere to go One Million aunts are dying for bread One Million uncles lamenting the dead Grandfather millions homeless and sad Grandmother millions silently mad Millions of daughters walk in the mud Millions of children wash in the flood A Million girls vomit & groan Millions of families hopeless alone Millions of souls nineteenseventyone homeless on Jessore road under grey sun A million are dead, the million who can Walk toward Calcutta from East Pakistan Taxi September along Jessore Road Oxcart skeletons drag charcoal load past watery fields thru rain flood ruts Dung cakes on treetrunks, plastic-roof huts Wet processions Families walk Stunted boys big heads dont talk Look bony skulls & silent round eyes Starving black angels in human disguise Mother squats weeping & points to her sons Standing thin legged like elderly nuns small bodied hands to their mouths in prayer Five months small food since they settled there on one floor mat with small empty pot Father lifts up his hands at their lot Tears come to their mothers eye Pain makes mother Maya cry Two children together in palmroof shade Stare at me no word is said Rice ration, lentils one time a week Milk powder for warweary infants meek No vegetable money or work for the man Rice lasts four days eat while they can Then children starve three days in a row and vomit their next food unless they eat slow. On Jessore road Mother wept at my knees Bengali tongue cried mister Please Identity card torn up on the floor Husband still waits at the camp office door Baby at play I was washing the flood Now they wont give us any more food The pieces are here in my celluloid purse Innocent baby play our death curse Two policemen surrounded by thousands of boys Crowded waiting their daily bread joys Carry big whistles & long bamboo sticks to whack them in line They play hungry tricks Breaking the line and jumping in front Into the circle sneaks one skinny runt Two brothers dance forward on the mud stage Teh gaurds blow their whistles & chase them in rage Why are these infants massed in this place Laughing in play & pushing for space Why do they wait here so cheerful & dread Why this is the House where they give children bread The man in the bread door Cries & comes out Thousands of boys and girls Take up his shout Is it joy? is it prayer? No more bread today Thousands of Children at once scream Hooray! Run home to tents where elders await Messenger children with bread from the state No bread more today! & and no place to squat Painful baby, sick shit he has got. Malnutrition skulls thousands for months Dysentery drains bowels all at once Nurse shows disease card Enterostrep Suspension is wanting or else chlorostrep Refugee camps in hospital shacks Newborn lay naked on mothers thin laps Monkeysized week old Rheumatic babe eye Gastoenteritis Blood Poison thousands must die September Jessore Road rickshaw 50,000 souls in one camp I saw Rows of bamboo huts in the flood Open drains, & wet families waiting for food Border trucks flooded, food cant get past, American Angel machine please come fast! Where is Ambassador Bunker today? Are his Helios machinegunning children at play? Where are the helicopters of U.S. AID? Smuggling dope in Bangkoks green shade. Where is Americas Air Force of Light? Bombing North Laos all day and all night? Where are the Presidents Armies of Gold? Billionaire Navies merciful Bold? Bringing us medicine food and relief? Napalming North Viet Nam and causing more grief? Where are our tears? Who weeps for the pain? Where can these families go in the rain? Jessore Roads children close their big eyes Where will we sleep when Our Father dies? Whom shall we pray to for rice and for care? Who can bring bread to this shit flood fould lair? Millions of children alone in the rain! Millions of children weeping in pain! Ring O ye tongues of the world for their woe Ring out ye voices for Love we dont know Ring out ye bells of electrical pain Ring in the conscious of America brain How many children are we who are lost Whose are these daughters we see turn to ghost? What are our souls that we have lost care? Ring out ye musics and weep if you dare-- Cries in the mud by the thatchd house sand drain Sleeps in huge pipes in the wet shit-field rain waits by the pump well, Woe to the world! whose children still starve in their mothers arms curled. Is this what I did to myself in the past? What shall I do Sunil Poet I asked? Move on and leave them without any coins? What should I care for the love of my loins? What should we care for our cities and cars? What shall we buy with our Food Stamps on Mars? How many millions sit down in New York & sup this nights table on bone & roast pork? How many millions of beer cans are tossed in Oceans of Mother? How much does She cost? Cigar gasolines and asphalt car dreams Stinking the world and dimming star beams-- Finish the war in your breast with a sigh Come tast the tears in your own Human eye Pity us millions of phantoms you see Starved in Samsara on planet TV How many millions of children die more before our Good Mothers perceive the Great Lord? How many good fathers pay tax to rebuild Armed forces that boast the children theyve killed? How many souls walk through Maya in pain How many babes in illusory pain? How many families hollow eyed lost? How many grandmothers turning to ghost? How many loves who never get bread? How many Aunts with holes in their head? How many sisters skulls on the ground? How many grandfathers make no more sound? How many fathers in woe How many sons nowhere to go? How many daughters nothing to eat? How many uncles with swollen sick feet? Millions of babies in pain Millions of mothers in rain Millions of brothers in woe Millions of children nowhere to go New York, November 14-16, 1971 স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো - নির্মলেন্দু গুণ একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে: ‘কখন আসবে কবি?’ এই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না, এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না, এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না৷ তা হলে কেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি? তা হলে কেমন ছিল শিশু পার্কে, বেঞ্চে, বৃক্ষে, ফুলের বাগানে ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হদৃয় মাঠখানি? জানি, সেদিনের সব স্মৃতি ,মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত কালো হাত৷ তাই দেখি কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ কবির বিরুদ্ধে কবি, মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ, বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল, উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান, মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ … ৷ হে অনাগত শিশু, হে আগামী দিনের কবি, শিশু পার্কের রঙিন দোলনায় দোল খেতে খেতে তুমি একদিন সব জানতে পারবে; আমি তোমাদের কথা ভেবে লিখে রেখে যাচ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প৷ সেই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর৷ না পার্ক না ফুলের বাগান, — এসবের কিছুই ছিল না, শুধু একখন্ড অখন্ড আকাশ যেরকম, সেরকম দিগন্ত প্লাবিত ধু ধু মাঠ ছিল দূর্বাদলে ঢাকা, সবুজে সবুজময়৷ আমাদের স্বাধীনতা প্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল এই ধু ধু মাঠের সবুজে৷ কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক, লাঙল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক, পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক৷ হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, করুণ কেরানী, নারী, বৃদ্ধ, বেশ্যা, ভবঘুরে আর তোমাদের মত শিশু পাতা-কুড়ানীরা দল বেঁধে৷ একটি কবিতা পড়া হবে, তার জন্যে কী ব্যাকুল প্রতীক্ষা মানুষের: “কখন আসবে কবি?’ “কখন আসবে কবি?’ শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে, রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন৷ তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল, হদৃয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার সকল দুয়ার খোলা৷ কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী? গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি: ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম৷’ সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের৷ স্বাধীনতা, উলঙ্গ কিশোর - নির্মলেন্দু গুণ জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উল্ঙ্গ শিশুর মত বেরিয়ে এসেছো পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবী হও। তোমার পরমায়ু বৃদ্ধি পাক আমার অস্তিত্বে, স্বপ্নে, প্রাত্যহিক বাহুর পেশীতে, জীবনের রাজপথে, মিছিলে মিছিলে; তুমি বেঁচে থাকো, তুমি দীর্ঘজীবী হও। তোমার হা-করা মুখে প্রতিদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত অবধি হরতাল ছিল একদিন, ছিল ধর্মঘট, ছিলো কারখানার ধুলো। তুমি বেঁচেছিলে মানুষের কলকোলাহলে, জননীর নাভিমূলে ক্ষতচিহ্ন রেখে যে তুমি উল্ঙ্গ শিশু রাজপথে বেরিয়ে এসেছো, সে-ই তুমি আর কতদিন ‘স্বাধীনতা, স্বাধীনতা’ বলে ঘুরবে উলঙ্গ হয়ে পথে পথে সম্রাটের মতো? জননীর নাভিমূল থেকে ক্ষতচিহ্ন মুছে দিয়ে উদ্ধত হাতের মুঠোয় নেচে ওঠা, বেঁচে থাকা হে আমার দূঃখ, স্বাধীনতা, তুমিও পোশাক পরো; ক্ষান্ত করো উলঙ্গ ভ্রমণ, নয়তো আমারো শরীরি থেকে ছিঁড়ে ফেলো স্বাধীনতা নামের পতাকা। বলো উলঙ্গতা স্বাধীনতা নয়, বলো দূঃখ কোনো স্বাধীনতা নয়, বলো ক্ষুধা কোন স্বাধীনতা নয়, বলো ঘৃণা কোন স্বাধীনতা নয়। জননীর নাভিমূল ছিন্ন-করা রক্তজ কিশোর তুমি স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবী হও। তুমি বেঁচে থাকো আমার অস্তিত্বে, স্বপ্নে, প্রেমে, বল পেন্সিলের যথেচ্ছ অক্ষরে, শব্দে, যৌবনে, কবিতায়। স্বাধীনতা তুমি - শামসুর রাহমান স্বাধীনতা তুমি রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান। স্বাধীনতা তুমি কাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো মহান পুরুষ, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা- স্বাধীনতা তুমি শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা স্বাধীনতা তুমি পতাকা-শোভিত শ্লোগান-মুখর ঝাঁঝালো মিছিল। স্বাধীনতা তুমি ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি। স্বাধীনতা তুমি রোদেলা দুপুরে মধ্যপুকুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার। স্বাধীনতা তুমি মজুর যুবার রোদে ঝলসিত দক্ষ বাহুর গ্রন্থিল পেশী। স্বাধীনতা তুমি অন্ধকারের খাঁ খাঁ সীমান্তে মুক্তিসেনার চোখের ঝিলিক। স্বাধীনতা তুমি বটের ছায়ায় তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর শানিত কথার ঝলসানি-লাগা সতেজ ভাষণ। স্বাধীনতা তুমি চা-খানায় আর মাঠে-ময়দানে ঝোড়ো সংলাপ। স্বাধীনতা তুমি কালবোশেখীর দিগন্তজোড়া মত্ত ঝাপটা। স্বাধীনতা তুমি শ্রাবণে অকূল মেঘনার বুক স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন। স্বাধীনতা তুমি উঠানে ছড়ানো মায়ের শুভ্র শাড়ির কাঁপন। স্বাধীনতা তুমি বোনের হাতের নম্র পাতায় মেহেদীর রঙ। স্বাধীনতা তুমি বন্ধুর হাতে তারার মতন জ্বলজ্বলে এক রাঙা পোস্টার। স্বাধীনতা তুমি গৃহিণীর ঘন খোলা কালো চুল, হাওয়ায় হাওয়ায় বুনো উদ্দাম। স্বাধীনতা তুমি খোকার গায়ের রঙিন কোর্তা, খুকীর অমন তুলতুলে গালে রৌদ্রের খেলা। স্বাধীনতা তুমি বাগানের ঘর, কোকিলের গান, বয়েসী বটের ঝিলিমিলি পাতা, যেমন ইচ্ছে লেখার আমার কবিতার খাতা। বন্দী শিবির থেকে - শামসুর রাহমান ঈর্ষাতুর নই, তবু আমি তোমাদের আজ বড় ঈর্ষা করি। তোমরা সুন্দর জামা পরো, পার্কের বেঞ্চিতে বসে আলাপ জমাও, কখনো সেজন্যে নয়। ভালো খাও দাও, ফুর্তি করো সবান্ধব সেজন্যেও নয়। বন্ধুরা তোমরা যারা কবি, স্বাধীন দেশের কবি, তাদের সৌভাগ্যে আমি বড়ো ঈর্ষান্বিত আজ। যখন যা খুশি মনের মতো শব্দ কী সহজে করো ব্যবহার তোমরা সবাই। যখন যে শব্দ চাও, এসে গেলে সাজাও পয়ারে, কখনো অমিত্রাক্ষরে, ক্ষিপ্র মাত্রাবৃত্তে কখনো-বা। সেসব কবিতাবলী, যেন রাজহাঁস দৃপ্ত ভঙ্গিমায় মানুষের অত্যন্ত নিকটে যায়, কুড়ায় আদর। অথচ এদেশে আমি আজ দমবদ্ধ এ বন্দী-শিবিরে মাথা খুঁড়ে মরলেও পারি না করতে উচ্চারণ মনের মতন শব্দ কোনো। মনের মতন সব কবিতা লেখার অধিকার ওরা করেছে হরণ। প্রকাশ্য রাস্তায় যদি তারস্বরে চাঁদ, ফুল, পাখি এমনকি নারী ইত্যাকার শব্দাবলী করি উচ্চারণ, কেউ করবে না বারণ কখনো। কিন্তু কিছু শব্দকে করেছে বেআইনী ওরা ভয়ানক বিস্ফোরক ভেবে। স্বাধীনতা নামক শব্দটি ভরাট গলায় দীপ্ত উচ্চারণ করে বারবার তৃপ্তি পেতে চাই। শহরের আনাচে কানাচে প্রতিটি রাস্তায় অলিতে-গলিতে, রঙিন সাইনবোর্ড, প্রত্যেক বাড়িতে স্বাধীনতা নামক শব্দটি আমি লিখে দিতে চাই বিশাল অক্ষরে। স্বাধীনতা শব্দ এত প্রিয় যে আমার কখনো জানিনি আগে। উঁচিয়ে বন্দুক, স্বাধীনতা, বাংলাদেশ- এই মতো শব্দ থেকে ওরা আমাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখছে সর্বদা। অথচ জানেনা ওরা কেউ গাছের পাতায়, ফুটপাতে পাখির পালকে কিংবা নারীর দু’চোখে পথের ধুলায় বস্তির দুরন্ত ছেলেটার হাতের মুঠোয় সর্বদাই দেখি জ্বলে স্বাধীনতা নামক শব্দটি। তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা - শামসুর রাহমান তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা, তোমাকে পাওয়ার জন্যে আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ? আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ? তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা, সাকিনা বিবির কপাল ভাঙলো, সিঁথির সিঁদুর গেল হরিদাসীর। তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা, শহরের বুকে জলপাইয়ের রঙের ট্যাঙ্ক এলো দানবের মত চিত্কার করতে করতে তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা, ছাত্রাবাস বস্তি উজাড় হলো। রিকয়েললেস রাইফেল আর মেশিনগান খই ফোটালো যত্রতত্র। তুমি আসবে ব’লে, ছাই হলো গ্রামের পর গ্রাম। তুমি আসবে ব’লে, বিধ্বস্ত পাড়ায় প্রভূর বাস্তুভিটার ভগ্নস্তূপে দাঁড়িয়ে একটানা আর্তনাদ করলো একটা কুকুর। তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা, অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিলো পিতামাতার লাশের উপর। তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা, তোমাকে পাওয়ার জন্যে আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ? আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ? স্বাধীনতা, তোমার জন্যে এক থুত্থুরে বুড়ো উদাস দাওয়ায় ব’সে আছেন – তাঁর চোখের নিচে অপরাহ্ণের দুর্বল আলোর ঝিলিক, বাতাসে নড়ছে চুল। স্বাধীনতা, তোমার জন্যে মোল্লাবাড়ির এক বিধবা দাঁড়িয়ে আছে নড়বড়ে খুঁটি ধ’রে দগ্ধ ঘরের। স্বাধীনতা, তোমার জন্যে হাড্ডিসার এক অনাথ কিশোরী শূন্য থালা হাতে বসে আছে পথের ধারে। তোমার জন্যে, সগীর আলী, শাহবাজপুরের সেই জোয়ান কৃষক, কেষ্ট দাস, জেলেপাড়ার সবচেয়ে সাহসী লোকটা, মতলব মিয়া, মেঘনা নদীর দক্ষ মাঝি, গাজী গাজী ব’লে নৌকা চালায় উদ্দান ঝড়ে রুস্তম শেখ, ঢাকার রিকশাওয়ালা, যার ফুসফুস এখন পোকার দখলে আর রাইফেল কাঁধে বনে জঙ্গলে ঘুড়ে বেড়ানো সেই তেজী তরুণ যার পদভারে একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হ’তে চলেছে – সবাই অধীর প্রতীক্ষা করছে তোমার জন্যে, হে স্বাধীনতা। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জলন্ত ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে, মতুন নিশান উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক এই বাংলায় তোমাকেই আসতে হবে, হে স্বাধীনতা। উচ্চারণগুলি শোকের - আবুল হাসান লক্ষি বউটিকে আমি আজ আর কোথাও দেখিনা, হাটি হাটি শিশুটিকে কোথাও দেখিনা, কতগুলি রাজহাঁস দেখি নরম শরীর ভরা রাজহাঁস দেখি, কতগুলি মুখস্থ মানুষ দেখি, বউটিকে কোথাও দেখিনা শিশুটিকে কোথাও দেখিনা ! তবে কি বউটি রাজহাঁস ? তবে কি শিশুটি আজ সবুজ মাঠের সূর্য, সবুজ আকাশ ? অনেক রক্ত যুদ্ধ গেলো, অনেক রক্ত গেলো, শিমুল তুলোর মতো সোনারূপো ছড়ালো বাতাস । ছোটো ভাইটিকে আমি কোথাও দেখিনা, নরোম নোলক পরা বোনটিকে আজ আর কোথাও দেখিনা ! কেবল পতাকা দেখি, কেল উৎসব দেখি , স্বাধীনতা দেখি, তবে কি আমার ভাই আজ ঐ স্বাধীন পাতাকা ? তবে কি আমার বোন, তিমিরের বেদীতে উৎসব ? কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প - রুদ্র মুহান্মদ শহীদুল্লাহ তাঁর চোখ বাঁধা হলো। বুটের প্রথম লাথি রক্তাক্ত করলো তার মুখ। থ্যাতলানো ঠোঁটজোড়া লালা-রক্তে একাকার হলো, জিভ নাড়তেই দুটো ভাঙা দাঁত ঝওে পড়লো কংক্রিটে। মা….মাগো….চেঁচিয়ে উঠলো সে। পাঁচশো পঞ্চান্নো মার্কা আধ খাওয়া একটা সিগারেট প্রথমে স্পর্শ করলো তার বুক। পোড়া মাংসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়লো ঘরের বাতাসে। জ্বলন্ত সিগারেটের স্পর্শ আমারা কথা বলবো। লাঠিচার্জ আমাদের ফেরাতে পারেনি কাঁদানে গ্যাস আমাদের ফেরাতে পারেনি র্ইাফেল আমাদের ফেরাতে পারেনি মেশিন গান আমাদের ফেরাতে পারেনি - আমারা এসেছি, আমারা আমাদের গৃহহীনতার কথা বলবো। কৃষক তোমাদের পক্ষে যাবে না শ্রমিক তোমাদের পক্ষে যাবে না ছাত্র তোমাদের পক্ষে যাবে না সুন্দর তোমাদের পক্ষে যাবে না স্বপ্ন তোমাদের পক্ষে যাবে না - তারা সকলেই কষ্টে আছে তারা সকলেই অনটনে আছে তারা সকলেই বিক্ষোভের হাত তুলেছে। তোমাদের পক্ষে যাবে কুকুর তোমাদের পক্ষে যাবে সুবিধাভোগী তোমাদের পক্ষে যাবে বিত্তবান নেকড়েরা। বৃক্ষ তোমাদের অভিশাপ দিচ্ছে শস্য তোমাদের অভিশাপ দিচ্ছে রক্ত তোমাদের অভিশাপ দিচ্ছে তোমাদের অভিশাপ দিচ্ছে পৃথিবীর সমস্ত শিশুরা। লক্ষ মৃত্যু আমাদের ফেরাতে পারেনি আমারা এসেছি। আমারা আমাদের শিক্ষাহীনতার কথা বলবো আমারা আমাদের চিকিৎসাহীনতার কথা বলবো আমারা আমাদের গৃহহীনতার কথা বলবো আমারা আমাদের বস্ত্রহীনতার কথা বলবো আমারা আমাদের ক্ষুধা ও মৃত্যুর কথা বলবো। আমরা তিতুমিরের বাঁশের কেল্লা থেকে এসেছি আমরা সিপাহী আন্দোলনের দুর্গ থেকে এসেছি আমরা তেভাগার কৃষক, নাচোলের যোদ্ধা আমরা চটকলের শ্রমিক, আমরা সূর্যসেনের ভাই আমরা একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধ থেকে এসেছি কাঁধে স্টেন, কোমরে কার্তুজ, হাতে উন্মত্ত গ্রেনেড - আমরা এসেছি। একটি পতাকা পেলে – হেলাল হাফিজ কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে আমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে ভজন গায়িকা সেই সন্ন্যাসিনী সবিতা মিস্ট্রেস ব্যর্থ চল্লিশে বসে বলবেন,–’পেয়েছি, পেয়েছি’। কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে পাতা কুড়োনির মেয়ে শীতের সকালে ওম নেবে জাতীয় সংগীত শুনে পাতার মর্মরে। কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে ভূমিহীন মনুমিয়া গাইবে তৃপ্তির গান জ্যৈষ্ঠে-বোশেখে, বাঁচবে যুদ্ধের শিশু সসন্মানে সাদা দুতে-ভাতে। কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে আমাদের সব দুঃখ জমা দেবো যৌথ-খামারে, সম্মিলিত বৈজ্ঞানিক চাষাবাদে সমান সুখের ভাগ সকলেই নিয়ে যাবো নিজের সংসারে। অস্ত্র সমর্পণ – হেলাল হাফিজ মারণাস্ত্র মনে রেখো ভালোবাসা তোমার আমার। নয় মাস বন্ধু বলে জেনেছি তোমাকে, কেবল তোমাকে। বিরোধী নিধন শেষে কতোদিন অকারণে তাঁবুর ভেতরে ঢুকে দেখেছি তোমাকে বারবার কতোবার। মনে আছে, আমার জ্বালার বুক তোমার কঠিন বুকে লাগাতেই গর্জে উঠে তুমি বিস্ফোরণে প্রকম্পিত করতে আকাশ, আমাদের ভালবাসা মুহূর্তেই লুফে নিত অত্যাচারী শত্রুর নি:শ্বাস। মনে পড়ে তোমার কঠিন নলে তন্দ্রাতুর কপালের মধ্যভাগ রেখে, বুকে রেখে হাত কেটে গেছে আমাদের জঙ্গলের কতো কালো রাত! মনে আছে, মনে রেখো আমাদের সেই সব প্রেম-ইতিহাস। অথচ তোমাকে আজ সেই আমি কারাগারে সমর্পণ করে, ফিরে যাচ্ছি ঘরে মানুষকে ভালোবাসা ভালোবাসি বলে। যদি কোনোদিন আসে আবার দুর্দিন, যেদিন ফুরাবে প্রেম অথবা হবে না প্রেম মানুষে মানুষে ভেঙে সেই কালো কারাগার আবার প্রণয় হবে মারণাস্ত্র তোমার আমার। এ লাশ আমরা রাখবো কোথায় - হুমায়ুন আজাদ এ লাশ আমরা রাখবো কোথায় ? তেমন যোগ্য সমাধি কই ? মৃত্তিকা বলো, পর্বত বলো অথবা সুনীল-সাগর-জল- সব কিছু ছেঁদো, তুচ্ছ শুধুই ! তাইতো রাখি না এ লাশ আজ মাটিতে পাহাড়ে কিম্বা সাগরে, হৃদয়ে হৃদয়ে দিয়েছি ঠাঁই। অভিশাপ দিচ্ছি - হুমায়ুন আজাদ আজ এখানে দাড়িয়ে এই রক্ত গোধূলিতে অভিশাপ দিচ্ছি। আমাদের বুকের ভেতর যারা ভয়ানক কৃষ্ঞপক্ষ দিয়েছিলো সেঁটে, মগজের কোষে কোষে যারা পুতেছিলো আমাদেরই আপনজনের লাশ দগ্ধ, রক্তাপ্লুত, যারা গনহত্যা করেছে শহরে গ্রামে টিলায় নদীতে ক্ষেত ও খামারে আমি অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়েও অধিক পশু সেই সব পশুদের। ফায়ারিং স্কোয়াডে ওদের সারিবদ্ধ দাঁড় করিয়ে নিমিষে ঝা ঝা বুলেটের বৃষ্টি ঝরালেই সব চুকে বুকে যাবে তা আমি মানি না। হত্যাকে উতসব ভেবে যারা পার্কে মাঠে ক্যাম্পাসে বাজারে বিষাক্ত গ্যাসের মতো মৃত্যুর বীভতস গন্ধ দিয়েছে ছড়িয়ে, আমি তো তাদের জন্য অমন সহজ মৃত্যু করি না কামনা। আমাকে করেছে বাধ্য যারা আমার জনক জননীর রক্তে পা ডুবিয়ে দ্রুত সিড়ি ভেন্গে যেতে আসতে নদীতে আর বনবাদাড়ে শয্যা পেতে নিতে অভিশাপ দিচ্ছি আজ সেইখানে দজ্জালদের। চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া – রফিক আজাদ স্পর্শকাতরতাময় এই নাম উচ্চারণমাত্র যেন ভেঙে যাবে, অন্তর্হিত হবে তার প্রকৃত মহিমা,- চুনিয়া একটি গ্রাম, ছোট্ট কিন্তু ভেতরে-ভেতরে খুব শক্তিশালী মারণাস্ত্রময় সভ্যতার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। মধ্যরাতে চুনিয়া নীরব। চুনিয়া তো ভালোবাসে শান্তস্নিগ্ধ পূর্ণিমার চাঁদ, চুনিয়া প্রকৃত বৌদ্ধ-স্বভাবের নিরিবিলি সবুজ প্রকৃতি; চুনিয়া যোজনব্যাপী মনোরম আদিবাসী ভূমি। চুনিয়া কখনো কোনো হিংস্রতা দ্যাখেনি। চুনিয়া গুলির শব্দে আঁতকে উঠে কি? প্রতিটি গাছের পাতা মনুষ্যপশুর হিংস্রতা দেখে না-না ক’রে ওঠে? - চুনিয়া মানুষ ভালোবাসে। বৃক্ষদের সাহচার্যে চুনিয়াবাসীরা প্রকৃত প্রস্তাবে খুব সুখে আছে। চুনিয়া এখনো আছে এই সভ্যসমাজের কারু-কারু মনে, কেউ-কেউ এখনো তো পোষে বুকের নিভৃতে এক নিবিড় চুনিয়া। চুনিয়া শুশ্রুষা জানে, চুনিয়া ব্যান্ডেজ জানে, চুনিয়া সান্ত্বনা শুধু- চুনিয়া কখনো জানি কারুকেই আঘাত করে না; চুনিয়া সবুজ খুব, শান্তিপ্রিয়- শান্তি ভালোবাসে, কাঠুরের প্রতি তাই স্পষ্টতই তীব্র ঘৃণা হানে। চুনিয়া গুলির শব্দ পছন্দ করে না। রক্তপাত, সিংহাসন প্রভৃতি বিষয়ে চুনিয়া ভীষণ অজ্ঞ; চুনিয়া তো সর্বদাই মানুষের আবিষ্কৃত মারণাস্ত্রগুলো ভূমধ্যসাগরে ফেলে দিতে বলে। চুনিয়া তো চায় মানুষের তিনভাগ জলে রক্তমাখা হাত ধুয়ে তার দীক্ষা নিক্। চুনিয়া সর্বদা বলে পৃথিবীর কুরুক্ষেত্রগুলি সুগন্ধি ফুলের চাষে ভ’রে তোলা হোক। চুনিয়ারও অভিমান আছে, শিশু ও নারীর প্রতি চুনিয়ার পক্ষপাত আছে; শিশুহত্যা, নারীহত্যা দেখে-দেখে সেও মানবিক সভ্যতার প্রতি খুব বিরূপ হয়েছে। চুনিয়া নৈরাশ্যবাদী নয়, চুনিয়া তো মনেপ্রাণে নিশিদিন আশার পিদ্দিম জ্বেলে রাখে। চুনিয়া বিশ্বাস করে: শেষাবধি মানুষেরা হিংসা-দ্বেষ ভুলে পরস্পর সৎপ্রতিবেশী হবে।। রিপোর্ট ১৯৭১ – আসাদ চৌধুরী প্রাচ্যের গানের মতো শোকাহত, কম্পিত, চঞ্চল বেগবতী তটিনীর মতো স্নিগ্ধ, মনোরম আমাদের নারীদের কথা বলি, শোনো। এ-সব রহস্যময়ী রমণীরা পুরুষের কণ্ঠস্বর শুনে বৃক্ষের আড়ালে স’রে যায়- বেড়ার ফোঁকড় দিয়ে নিজের রন্ধনে তৃপ্ত অতিথির প্রসন্ন ভোজন দেখে শুধু মুখ টিপে হাসে। প্রথম পোয়াতী লজ্জায় অনন্ত হ’য়ে কোঁচরে ভরেন অনুজের সংগৃহীত কাঁচা আম, পেয়ারা, চালিতা- সূর্য্যকেও পর্দা করে এ-সব রমণী। অথচ যোহরা ছিলো নির্মম শিকার সকৃতজ্ঞ লম্পটেরা সঙ্গীনের সুতীব্র চুম্বন গেঁথে গেছে- আমি তার সুরকার- তার রক্তে স্বরলিপি লিখি। মরিয়ম, যীশুর জননী নয় অবুঝ কিশোরী গরীবের চৌমুহনী বেথেলহেম নয় মগরেবের নামাজের শেষে মায়ে-ঝিয়ে খোদার কালামে শান্তি খুঁজেছিলো, অস্ফুট গোলাপ-কলি লহুতে রঞ্জিত হ’লে কার কী বা আসে যায়। বিপন্ন বিস্ময়ে কোরানের বাঁকা-বাঁকা পবিত্র হরফ বোবা হ’য়ে চেয়ে দ্যাখে লম্পটের ক্ষুধা, মায়ের স্নেহার্ত দেহ ঢেকে রাখে পশুদের পাপ। পোষা বেড়ালের বাচ্চা চেয়ে-চেয়ে নিবিড় আদর সারারাত কেঁদেছিলো তাহাদের লাশের ওপর। এদেশে যে ঈশ্বর আছেন তিনি নাকি অন্ধ আর বোবা এই ব’লে তিন কোটি মহিলারা বেচারাকে গালাগালি করে। জনাব ফ্রয়েড, এমন কি খোয়াবেও প্রেমিকারা আসে না সহজ পায়ে চপল চরণে। জনাব ফ্রয়েড, মহিলারা কামুকের, প্রেমিকের, শৃঙ্গারের সংজ্ঞা ভুলে গ্যাছে। রকেটের প্রেমে পড়ে ঝ’রে গ্যাছে ভিক্টোরিয়া পার্কের গীর্জার ঘড়ি, মুসল্লীর সেজদায় আনত মাথা নিরপেক্ষ বুলেটের অন্তিম আজানে স্থবির হয়েছে। বুদ্ধের ক্ষমার মূর্তি ভাঁড়ের মতন ভ্যাবাচেকা খেয়ে প’ড়ে আছে, তাঁর মাথার ওপরে এক ডজন শকুন মৈত্রী মৈত্রী ক’রে হয়তো বা উঠেছিলো কেঁদে। শহীদদের প্রতি – আসাদ চৌধুরী তোমাদের যা বলার ছিল বলছে কি তা বাংলাদেশ ? শেষ কথাটি সুখের ছিল ? ঘৃণার ছিল ? নাকি ক্রোধের, প্রতিশোধের, কোনটা ছিল ? নাকি কোনো সুখের নাকি মনে তৃপ্তি ছিল এই যাওয়াটাই সুখের। তোমরা গেলে, বাতাস যেমন যায় গভীর নদী যেমন বাঁকা স্রোতটিকে লুকায় যেমন পাখির ডানার ঝলক গগনে মিলায়। সাঁঝে যখন কোকিল ডাকে কারনিসে কি ধুসর শাখে বারুদেরই গন্ধস্মৃতি ভুবন ফেলে ছেয়ে ফুলের গন্ধ পরাজিত স্লোগান আসে ধেয়ে। তোমার যা বলার ছিল বলছে কি তা বাংলাদেশ ? দুটি বিখ্যাত গান Bangla Desh George Harrison My friend came to me, with sadness in his eyes He told me that he wanted help Before his country dies Although I couldnt feel the pain, I knew I had to try Now Im asking all of you To help us save some lives Bangla Desh, Bangla Desh Where so many people are dying fast And it sure looks like a mess Ive never seen such distress Now wont you lend your hand and understand Relieve the people of Bangla Desh Bangla Desh, Bangla Desh Such a great disaster - I dont understand But it sure looks like a mess Ive never known such distress Now please dont turn away, I want to hear you say Relieve the people of Bangla Desh Relieve Bangla Desh Bangla Desh, Bangla Desh Now it may seem so far from where we all are Its something we cant neglect Its something I cant neglect Now wont you give some bread to get the starving fed Weve got to relieve Bangla Desh Relieve the people of Bangla Desh Weve got to relieve Bangla Desh Relieve the people of Bangla Desh SONG OF BANGLADESH -Joan Baez. Bangladesh, Bangladesh Bangladesh, Bangladesh When the sun sinks in the west Die a million people of the Bangladesh The story of Bangladesh Is an ancient one again made fresh By blind men who carry out commands Which flow out of the laws upon which nation stands Which is to sacrifice a people for a land Bangladesh, Bangladesh Bangladesh, Bangladesh When the sun sinks in the west Die a million people of the Bangladesh Once again we stand aside And watch the families crucified See a teenage mothers vacant eyes As she watches her feeble baby try To fight the monsoon rains and the cholera flies And the students at the university Asleep at night quite peacefully The soldiers came and shot them in their beds And terror took the dorm awakening shrieks of dread And silent frozen forms and pillows drenched in red Bangladesh, Bangladesh Bangladesh, Bangladesh When the sun sinks in the west Die a million people of the Bangladesh Did you read about the army officers plea For donors blood? It was given willingly By boys who took the needles in their veins And from their bodies every drop of blood was drained No time to comprehend and there was little pain And so the story of Bangladesh Is an ancient one again made fresh By all who carry out commands Which flow out of the laws upon which nations stand Which say to sacrifice a people for a land Bangladesh, Bangladesh Bangladesh, Bangladesh When the sun sinks in the west Die a million people of the Bangladesh SONG OF BANGLADESH গানটি সংগ্রহ করে দেয়ার জন কৃতজ্ঞতা জানাই ব্লগার মামুন হতভাগা ভাইকে লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): মুক্তিযুদ্ধের কবিতা ; প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৩ | বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর... ২১৫১ বার পঠিত ২৫৪৯২৩ মন্তব্য দেখা না গেলে - CTRL+F5 বাট্ন চাপুন। অথবা ক্যাশ পরিষ্কার করুন। ক্যাশ পরিষ্কার করার জন্য এই লিঙ্ক গুলো দেখুন ফায়ারফক্স, ক্রোম, অপেরা, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। ৫০টি মন্তব্য ১-২৬ ১. ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৫ ইল্যুশনিস্ট বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে................. ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৯ লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ২. ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৭ যেড ফ্রম এ বলেছেন: আমাদের সাহিত্য ভান্ডার কি প্রাচুর্যময়, কত সমৃদ্ধ :) ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪০ লেখক বলেছেন: অনেক সমৃদ্ধ ৩. ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৬ নষ্ট কবি বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৫ লেখক বলেছেন: :) :) ৪. ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০০ মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: সংগ্রহে রাখার মত একটা পোস্ট ধন্যবাদ ভাই ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৬ লেখক বলেছেন: আপনাকেও :) :) ৫. ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১০ পীরসাহেব বলেছেন: তোফা! চমৎকার! ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৬ লেখক বলেছেন: :) :) ৬. ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৫ মামুণ বলেছেন: চমৎকার । প্লাস । ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৭ লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ৭. ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫১ াহো বলেছেন: প্লাস । ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৭ লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ৮. ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৭ নিশাচর ভবঘুরে বলেছেন: +++++++++++++++ প্রিয়তে নিলাম। আর আপনারে মাইনাস। সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড নিয়ে একটা পোষ্ট দেয়ার ইচ্ছে ছিলো। আপনি দিয়ে দিলেন! :( ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৮ লেখক বলেছেন: কষ্ট পাইলাম ৯. ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:২৭ শয়ন কুমার বলেছেন: ১৯৭১ সালের ইতিহাস জানতে চান ,তাহলে রাজাকারগো তৎকালীন প্রধান মুখপাত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার তখনকার নিউজ পইড়েন সব জানতে পারবেন ।ধর্মের নাম ব্যবহার করে কারা শান্তি কমিটি গঠন করেছিল, গনহত্যায় পাকসেনাদের ইনফরমেশন দিয়েছিল, আমাদের মেয়েদের ধরে নিয়ে খানসেনাদের হাতে তুলে দিয়েছিল শান্তি কমিটি , সেই সব বদমায়েশদের চিনতে পারবেন ওদেরই পত্রিকা দৈনিক সংগ্রাম এর তৎকালীন নিউজ থেকে। আজকাল অনেকেই বলে, তৎকালীন শান্তি কমিটি, ছাত্র সংঘের নেতারা হত্যা-রেপ ইত্যাদি কুকাজের দায়ে দায়ী নয়, কারন নেতারা তো আর নিজে যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে খানসেনাদের সাথে ওসব অপকর্ম করেনি ।তাহলে তো ভাই প্রেসিডেন্ট বুশও ইরাক, আবগানিস্থানের যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে নিজ হাতে একটাও খুন করেন নি , তাই বলে কি বুশ ইরাক-আবগানিস্থানের গনহত্যার দায় থেকে মুক্ত ? সম্মানিত পাঠক আপনাগো বিবেকের কাছে এই প্রশ্ন রইলো ? ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৮ লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ১০. ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩২ সায়েম মুন বলেছেন: প্রথম কবিতাটা বাদে বাকীগুলোর বেশীর ভাগই কমন পরেছে। চমতকার পোষ্ট। ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০০ লেখক বলেছেন: প্রথম কবিতাটা কমন না পড়ার জন্য দুঃখিত :( :( :( ১১. ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৭ কাউন্সেলর বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে বলেছিলাম যে, আপনি কি সাহিত্য রত্নের দস্যু?! আসলেই আপনি তাই। অসাধারণ আপনার শেয়ার করা, আমি শেয়ার নিলাম ভাই শুভ কামনা রাশি রাশি। ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৩ লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । ভালোবাসা এবং শুভকামনা রইলো ১২. ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৪ ছাইরাছ হেলাল বলেছেন: প্লাস আগেই দিছি । অসুখ কেমন ? ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩০ লেখক বলেছেন: প্রিয় হেলাল ভাই , অসুখ এখনো কমেনি বরং বৃদ্ধ পাচ্ছে :( :( ১৩. ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৫ জিসান শা ইকরাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দারুন স্বাধীনতা কয়েকটি প্রিয় কবিতা এখানে নিয়ে এসেছেন বলে...... শুভকামনা আপনার জন্য....... ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩২ লেখক বলেছেন: জিসান ভাই আপনার জন্যও .শুভকামনা ১৪. ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫২ মির্জাইমরান০০৭ বলেছেন: :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৩ লেখক বলেছেন: B:-) B:-) B:-) ১৫. ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৫ অনবদ্য অনিন্দ্য বলেছেন: অসম্বব সুন্দর একটা পোষ্ট । যশোর রোডের বাংলা অনুবাদটি কার করা ?? নিজের চোখের সামনে যুদ্ধের বিভীষিকা ফুটে উঠল মনে হলো !! কাদামাটি মাখা মানুষের দল, গাদাগাদি করে আকাশটা দেখে, আকাশে বসত মরা ইশ্বর, নালিশ জানাবে ওরা বল কাকে। এই দুইটি লাইনে বুঝা যায় আসলে আমরা কত নির্যাতিত হয়েছিলাম । এই পোষ্ট অবশ্যই প্রিয়তে । অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । আপনার এইরকম দস্যুপনাকে সবসময় দেখার জন্য আপনাকে অনুসরণ করছি । ভালো থাকবেন আপনি । ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৭ লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । কবিতাটির অনুবাদকের নাম খঁুজে পাইনি , এটি প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকী থেকে সংগ্রহ করেছি কিন্তু অনুবাদকের নাম দেয়া ছিলনা । তবু চেষ্টা করছি অনুবাদকের নাম খুঁজে পাওয়া যায় কিনা ১৬. ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৯ লেডি বার্ড বলেছেন: ++ নিজের ঘরে রেখে দিলাম। ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৮ লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ :) :) :) ১৭. ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:০১ ছাইরাছ হেলাল বলেছেন: দস্যু রত্নাকর সাহেব আপনি কেমন আছেন ? ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩২ লেখক বলেছেন: হেলাল ভাই , ভাল আছি । আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো ১৮. ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৮ ঘুমন্ত আমি বলেছেন: অসাধারন সব কবিতা ।পড়ে ভালো লাগলো আপনার ব্লগের সবগুলো কবিতা পোষ্ট ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৮ লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । ভালো থাকবেন ১৯. ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৭ মামুন হতভাগা বলেছেন: কবিতা না হলেও এটা যোগ করতে পারেন,আমার খুব প্রিয় একটা গান SONG OF BANGLADESH -Joan Baez. Bangladesh, Bangladesh Bangladesh, Bangladesh When the sun sinks in the west Die a million people of the Bangladesh The story of Bangladesh Is an ancient one again made fresh By blind men who carry out commands Which flow out of the laws upon which nation stands Which is to sacrifice a people for a land Bangladesh, Bangladesh Bangladesh, Bangladesh When the sun sinks in the west Die a million people of the Bangladesh Once again we stand aside And watch the families crucified See a teenage mothers vacant eyes As she watches her feeble baby try To fight the monsoon rains and the cholera flies And the students at the university Asleep at night quite peacefully The soldiers came and shot them in their beds And terror took the dorm awakening shrieks of dread And silent frozen forms and pillows drenched in red Bangladesh, Bangladesh Bangladesh, Bangladesh When the sun sinks in the west Die a million people of the Bangladesh Did you read about the army officers plea For donors blood? It was given willingly By boys who took the needles in their veins And from their bodies every drop of blood was drained No time to comprehend and there was little pain And so the story of Bangladesh Is an ancient one again made fresh By all who carry out commands Which flow out of the laws upon which nations stand Which say to sacrifice a people for a land Bangladesh, Bangladesh Bangladesh, Bangladesh When the sun sinks in the west Die a million people of the Bangladesh মহান মুক্তিযুদ্ধ আর ভুলে যাওয়া একজন Joan Baez আর তার গান SONG OF BANGLADESH :( :( ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩১ লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ । আপনার দেয়া SONG OF BANGLADESH গানটি পোস্টে যোগ করে দিয়েছি । ভাল থাকবেন ২০. ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৫ মাহী ফ্লোরা বলেছেন: এত্ত এত্ত এত্ত থ্যংকস! :) ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৩ লেখক বলেছেন: অনেক অনেক অনেক অনেক :) :) :) ২১. ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৪ রেজওয়ান মাহবুব তানিম বলেছেন: খুব ভাল পোস্ট । বেশ লাগল । আপনার কি ধরণের অসুস্থতা ?? আশা রাখি সুস্থ হয়ে উঠবেন ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৬ লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । অসুস্হতা তেমন কিছু না । আশা করি ঠিক হয়ে যাবে ২২. ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২০ কাঠুরিয়া. বলেছেন: অসাধারণ!!!!!!! ফে বু তে লিঙ্ক দিলুম (অনুমতি ছাড়াই) ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৮ লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ । অনুমতি নেয়ার কোন দরকার নেই ২৩. ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১৬ মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আচ্ছা সেপ্টেমবর অন যশোর রোডের অনুবাদ কার করা? মৌসুমী ভৌমিকের গানটা সেদিন শুনছিলাম। ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:০৬ লেখক বলেছেন: মাহী আপু আমি অনুবাদটি প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকী থেকে সংগ্রহ করেছিলাম , সেখানে অনুবাদকের নাম দেয়া ছিলনা । তাই সঠিকভাবে বলতে পারছি না ২৪. ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৪ ফারজুল আরেফিন বলেছেন: গতকাল প্লাস দিয়েছিলাম একটা। :) আপনার এই অসাধারণ পোস্টটি আমার ছোট আর্কাইভ পোস্টে রেখেছি। ধন্যবাদ আপনাকে। ২৫. ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৮ তুষার আহাসান বলেছেন: + সহ প্রিয় তে ২৬. ১৬ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৬ একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ++++++++++++ আপনার মন্তব্য লিখতে লগইন করুন ।
Posted on: Mon, 08 Dec 2014 08:19:08 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015