সালটা ২০০১। ৮ই - TopicsExpress



          

সালটা ২০০১। ৮ই সেপ্টেম্বর। চলছে এসিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ। সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার টেস্টের ৩য় দিনের খেলা চলছে।বলে নেওয়া ভালো ঐ ম্যাচের ১ম ইনিংসে চামিন্দা ভাস ও মুত্তিয়াহ মুরালিধরন এর বোলিং তোপে মাত্র ৯০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।জবাবে আত্তাপাতুর ২০১, জয়াবরধনের ১৫০, জয়সুরিয়ার ৮৯ এ ভর করে শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে ৫৫৫ রান করে ডিক্লেয়ার করে। ইনিংস ব্যাবধানে হার এড়াতেই তাই লাগে ৪৬৫ রান!! ৮১ রান হতে না হতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছিলেন মেহরাব হোসেন, জাভেদ ওমর, আল শাহরিয়ার ও হাবিবুল বাশার। ক্রিজে তখন আমিনুল ইসলাম ও এই ম্যাচেই অভিষিক্ত হওয়া ১৭ বছরের এক কিশোর। মুরালিধরন ততক্ষনে ৩টি উইকেট পেয়ে গেছেন।কতটুকুই বা আর আশা করা যায়? ভরসা যা ছিলো ঐ আমিনুল কে নিয়ে। কিন্তু অভিষেকের আগেই ক্যাপ্টেন দুর্জয় কে লারার মত বড় ইনিংস খেলার স্বপ্নের কথা যিনি সাহস করে বলেছিলেন তিনি অন্যরকম ই ভেবেছিলেন। ইনিংস হার বাচানোর জন্যে চেষ্টা করেছিলেন শেষ পর্যন্ত। করেছিলেন ১১৪ রান!! আমিনুলের সাথে ১২৬ আর দুর্জয়ের সাথে ৯৬ রানের জুটি গড়েন ঐ কিশোর!! ৭ম ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন পেরেরার বলে আউট হন তখন চোখেমুখের অভিব্যাক্তি বলে দিচ্ছিলো এই রানে তিনি মোটেউ সন্তুষ্ট হননি। এতক্ষনে সবার বুঝে যাবার কথা যে আমি মোহাম্মদ আশরাফুলের কথা বলছি। ১৭ বছর ৬৩ দিনে আশরাফুলের করা ঐ সেঞ্চুরি তাকে বানিয়ে দিয়েছিলো সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান। তার এই অর্জনের কারণে ঐ ম্যাচে মুরালিধরনের পাশাপাশি তাকেউ ম্যান অব দ্যা ম্যাচ করা হয়। যদিও বাংলাদেশ হারে ইনিংস ও ১৩৭ রানে তবুও এক রত্নের দেখা পেয়েছিলো ঐ ম্যাচে বাংলাদেশ। একনজরে ঐ ইনিংসঃ রান- ১১৪ বল- ২১২ ৪- ১৬টি ৬- নেই স্ট্রাইক রেট- ৫৩.৭৭ ক্রিজে ছিলেন- ২৪৮ মিনিট। #উই_লাভ_ইউ_আশরাফুল #উই_মিস_ইউ_আশরাফুল
Posted on: Mon, 08 Sep 2014 06:29:37 +0000

Trending Topics




© 2015