সত্যিকার অর্থেই, গত - TopicsExpress



          

সত্যিকার অর্থেই, গত দুইদিন ছিল আমার লাইফের অন্যতম বেস্ট দুইদিন। “Society of Surgeons of Bangladesh” (SOSB) এর আয়োজনে কনফারেন্স এর অংশ হিসেবে সারা দেশ থেকে আগত প্রায় ৫০০ বাঘা বাঘা সার্জনদের সান্নিধ্যে সারাদিন থেকে তাঁদের ফটোগ্রাফার হিসেবে ছবি তোলা আর পুরো কুয়াকাটা ভ্রমণ কভার করা আমার জন্যে চারটিখানি কথা না!! সবচেয়ে মজার বিষয় ছিল, এই পুরা সার্জন বাহিনীর মাঝে আমি সম্ভবত সর্বকনিষ্ঠ মেডিকেল ছাত্র ছিলাম। আর একমাত্র স্টুডেন্ট, যে এখনো এমবিবিএস ডিগ্রি পাশ করিনাই এখনো। আগে থেকে ছবি তোলার অভ্যাস না থাকলে হয়তো এ সুযোগ হয়তো পেতাম না। নিজেকে সবার মাঝে বেশ গাধা গাধা লাগছিল। :/ যে প্রফেসরদের ভয়ে আমরা পান হতে চুন খসাইনা, কলেজে ফর্মাল ড্রেসকোড না মানলে বা জুতায় একটু ময়লা লাগলেও যারা সমানে বকতে থাকেন, ক্লাসে একটু দেরি করে ঢুকলেই যাদের ভয়ে কান্না চলে আসে এই বয়সেও- তাঁদের সাথে পার্সোনাল লেভেলে এত ক্লোজ টাইম কাটাতে পারাটা সত্যিই সৌভাগ্যের ব্যাপার ছিল। সারাদিন থ্রি কোয়ার্টার, জার্সি, বুকখোলা শার্ট পরে উনাদের সামনে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলসি। তার উপর সবচেয়ে ভাল লেগেছে, এত ভিড়ের মাঝেও আমার প্রতি স্যারদের অমায়িক ব্যবহার দেখে। বিশেষ করে, কয়েকটি মোমেন্টের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। যেমন, আমাদের সার্জারি ডিপার্টমেন্টের হেড শ্রদ্ধেয় রুবেল স্যার যখন নিজে খুশি হয়ে ছবি তুলতে দিচ্ছিলেন, এমনকি, সেলফি তুলতে চাইলেও স্যার হেসে পোজ দিচ্ছিলেন। এরপর যতবার দেখা হয়েছে, আমি ঠিকমত খেয়েছি নাকি খোঁজ নিচ্ছিলেন। এটা ছাড়াও সার্জারি ইউনিট ২ এর হেড শ্রদ্ধেয় আনোয়ার স্যারকে নিজে হাতে কলার ঠিক করে, আমার সানগ্লাস চোখে লাগিয়ে স্যারের ছবি তোলা, সার্জারি ইউনিট ৪ এর হেড শ্রদ্ধেয় নজরুল স্যার যখন (89 abir 89 abir) বলে আমার নাম আর ক্লাস রোল ধরে ডেকে ডেকে অন্য স্যারদের সাথে ছবি তুলতে বলছিলেন, সে সব মোমেন্ট ভোলার মত না। এমনকি আমার ছবি তোলায় খুশি হয়ে অর্থোপেডিক্স ডিপার্টমেন্টের হেড শ্রদ্ধেয় ইদ্রিস স্যার আমাকে সী বিচের পাশে কাঁকড়া আর চিংড়ি খাইয়েছেন। হা হা হা :D :D এরপর আসি, জুনিয়র স্যার আর লেকচারার স্যারদের কথায়। বিশেষ করে Sami স্যার, জয় স্যারের কথা না বললেই নয়। উনারা আমাকে এ ট্যুরে যাওয়া আর কভার করার এ সুযোগ না দিলে আমার হয়ত এই অভিজ্ঞতা পাওয়া হত না। এছাড়া কামরুজ্জামান রুবেল স্যার, Biplab স্যার, Mitu ম্যাম, আজম স্যার, মামুন স্যার, আইভি ম্যাডাম, জামিল স্যার, ফয়সাল ভাইয়া, জুম্মা ভাই, সওদা আপু- সবাই যেভাবে সহযোগিতা আর আদর করেছেন বলার মত নয়। তবে, এই দুইদিনে আমার সবচেয়ে ভালো সময় কেটেছে SBMC 40 ব্যাচের ইন্টার্ণ ডক্টর ভাইয়াদের সাথে। এ দুইদিনে একটিবারের জন্যেও আমাকে আমার সমবয়সী ক্লাসমেটদের অভাব বুঝতে দেননি পুরো ট্যুর জুড়ে। বিশেষ করে ভাইয়াদের সাথে এক রুমে থাকা, আড্ডা দেয়া, সি বিচে ঘুরাঘুরি, ছবি তোলা, ভোরে মটরসাইকেলে করে সূর্যোদয় দেখতে যাওয়া- এসব ছিল অমূল্য। ধন্যবাদ Rakib ভাই, Riyadh ভাই, Robin ভাই, সুব্রত দা, রুহুল ভাই, হারুন ভাই, Sudipto দা, মানিকদা, প্রিন্স ভাই, তুষার দা, Shamim ভাই, Shamimul ভাই, Huda ভাই, সোহাগ ভাই, লিটু ভাই, আনামুর ভাই, তাসনিম ভাই, সজীব ভাই, জুয়েল ভাই, লিয়ন ভাই, DrBushra আপু, Disha আপু, Sorna আপু, Kanikaদি, লোপা আপু, মুন আপু, শুভ আপু, আনিকা আপু (আরো আপু-ভাইয়া যাদের ট্যাগ দেইনি ভুলে, মনে পড়লে ট্যাগ দিয়ে দিব। :p)- ইনারা আদর দিয়ে মাথায় তুলে দিয়েছেন একেবারে। Aneek ভাইয়াকে ধন্যবাদ, আমাকে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। তবে, আপনাকে মিস করসি। বেশ ভালো ট্যুর ছিল। আপাতত বাসে ফেরার সময় ঝাঁকুনিতে আমার সব হাড়ের জয়েন্ট ঢিলা হয়ে গেসে। সর্বাঙ্গে ব্যথা। এজন্য, আর বাড়ালাম না কথা। তবে, এই ব্যথা মধুর ব্যথা। মাঝে মাঝে এরকম ব্যথা পেয়ে হলেও এই ধরনের এক্সপেরিয়েন্সের দরকার আছে। :) পুনশ্চঃ কনফারেন্স, কালচারাল ফাংশন, কুয়াকাটা ট্যুর মিলিয়ে তিন হাজারের উপর ছবি তোলা হয়েছে প্রায়। আমার 32 GB মেমোরি কার্ড ফুল। স, ওগুলো ক্যামেরা থেকে ল্যাপটপে নিয়ে, সিলেক্ট করে, এডিট করে যথাসময়ে আপলোড দেয়া হবে। টেনসন নিয়েন না। আমি আজ টায়ার্ড সত্যিই। কাল থেকে সিলেকশন আর এডিট স্টার্ট করব। এরপর হলে আপলোড দেয়ার ট্রাই করব। হোপ ইউল পার্ডন মাই ডিলে। :(
Posted on: Sun, 07 Dec 2014 16:33:29 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015