সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে - TopicsExpress



          

সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে: টাইমস অব ইন্ডিয়া NCP CENTRAL DESK https://facebook/ncp.bnp?ref=hl নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে শুধু গণতন্ত্রই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। একই সঙ্গে পুরো উপমহাদেশের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি তাতে হুমকির মুখে পড়বে। গতকাল অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক অভিমতে এসব কথা বলা হয়েছে। ‘আনরেস্ট ইন ঢাকা: ফেলিউর টু কনডাক্ট পিসফুল পোলস ইন বাংলাদেশ উইল অ্যাফেক্ট রিজিওনাল সিকিউরিটি’ শীর্ষক ওই অভিমতে বলা হয়, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধী ১৮দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘণ্টার হরতাল শেষ হলো। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা এ সময় পাল্টা বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়। এতে যে রাজনৈতিক সহিংসতা দেখা দেয় তা আগামী নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন কেন এত গুরুত্বপূর্ণ তার অনেকগুলো কারণ আছে। বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫তম সংশোধনীর পর এটাই প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭২ সালের ধর্মনিরপেক্ষতার মৌলিক বিষয়গুলো প্রতিস্থাপিত হয়েছে। সামরিক শাসকরা পর্যায়ক্রমে যেসব সংশোধনী করেছিলেন তা সংশোধন করা হয়েছে। ১৫তম সংশোধনী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অনেক দূর সরিয়ে দিয়েছে। এ সরকার ব্যবস্থার দুর্ভোগের কথা তখনই বেরিয়ে আসে যখন ২০০৭ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আসে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তারা দু’ বছর স্থায়ী হয়। তারা গণতান্ত্রিক সব ব্যবস্থাকে বাতিল করে জরুরি অবস্থা জারি করে। আগামী নির্বাচন কিভাবে হবে তাতে সম্মত হতে দু’ প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে অনাস্থা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী সহ বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ গঠন ও তাদের বিচার। ফলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট কেন এতো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তা বোঝা সহজ হয়ে যায়। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে অবশ্যই রাজপথের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের ইতি ঘটাতে হবে এবং সংবিধানের অধীনে শক্তিশালী করা একটি নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে দিতে হবে। তা করতে না পারলে তাতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়বে। এতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অর্জন পশ্চাতে ধাবিত হবে। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬.২ ভাগ থেকে কমে ৫.৭ ভাগে নেমে আসবে। রাজনৈতিক সঙ্কটের ইতি না টানলে তাতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে একটি মহল। আওয়ামী লীগ শাসক গোষ্ঠী সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে দমননীতি গ্রহণ করে একটি প্রতিশ্রুত কাজ করেছে। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র তার সেনাদের প্রত্যাহার করলে তাতে সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারে। এতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়তে পারে কাবুল থেকে নেপিড পর্যন্ত। তাই বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সব মহলকে অবশ্যই আলোচনার টেবিলে আসতে হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।
Posted on: Wed, 30 Oct 2013 06:52:45 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015