স্রষ্টার অস্তিত্বে - TopicsExpress



          

স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস না করলে যে কেউ নাস্তিক হতে পারে। নাস্তিক যেকোনো পরিবারেই জন্মনিতে পারে। পরিবারটা হিন্দু হতে পারে, মুসলিম হতে পারে, খ্রিস্টান হতে পারে। তবে আলোচিত হিট নাস্তিক হওয়া আজকাল আরো সহজ। সেটার জন্য স্পেসিফিকভাবে ইসলাম ধর্ম নিয়ে আজেবাজে বলতে হবে। অহেতুক, অকারণে। উদ্দেশ্য, সস্তা আলোচনায় আসা। আলোচিত হওয়া। সেইসাথে প্রগতিশীলতার ভাব নেয়াটাও হয়ে যায়। নিকট অতীতের একটা কাহিনী বলি। আশির দশকের শেষদিকে ইংল্যান্ডের পেঙ্গুইন প্রকাশনী থেকে একখানা বই বের হল, নাম The Satanic Verses লেখক, ভারতীয় মুসলিম বংশোদ্ভূত সালমান রুশদী। তাঁর এই বইটির পেক্ষাপট কিন্তু একালের দুই যুবকের কাহিনী। তাঁরা এক বিমান দুর্ঘটনার পড়ে... সেখান থেকে ঘটনা চলতে থাকে... বেশ মোটা বই... সুক্ষ মেটাফোরের আড়ালে বইটিতে মহানবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করা শুরু হয় কাল্পনিক চরিত্রগুলোর আড়ালে। অনেকে হয়ত পড়ে খেয়ালও করবে না বিষয়টা। কিন্তু একটু চিন্তা করলে ধরতে পারবে সমগ্র ব্যাপার স্যাপার। তো ইরানের শিয়া নেতা ইমাম খামেনি হঠাৎ সালমান রুশদির মরনের ফতোয়া দিলো এই বইয়ের কারণে। যদিও তিনি এই বই নিজে পড়েন নি। শুনেছেন অন্যের কাছে। এরপর সারা দুনিয়াতে হইচই শুরু হয়ে গেলো। তখন আমেরিকার সাথে ইরানের চলছে সাপে নেউলে সম্পর্ক। খামেনী তখন বিশ্বরাজনীতিতে চরম আলোচিত। সুতরাং খামেনী যার মরনের ফতোয়া দিয়েছে তাঁকে নিয়ে তো আলোচনা হবেই। এবং হল। সে এক ভয়াবহ ব্যাপার। ভারত, ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্য তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো। খামেনি ফতোয়া না দিলে দুনিয়ার বহু মানুষই হয়ত সালমান রুশদির নামও জানতো না। কিন্তু যেই না খামেনি ফতোয়া দিলো, সে হয়ে গেলো তখন সমগ্র বিশ্বে আলোচিত নাম। ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে পাইকারি হারে satanic verses কিনে আগুনে পোড়ালো মুসলমানরা। ফলাফল, বিবিসির এক অনুষ্ঠানে সালমান রুশদী বিক্ষোভকারীদের ব্যঙ্গ করে বললেন, thanks for buying the book before burning সত্যি সত্যিই সে বছর ওই বইটি হয়ে গেলো worldwide best seller, ব্রিটিশ সরকারের কাছে সালমান হয়ে গেলো রাজণীতির ব্যাপার। শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু, টাইপের পলিসি ধরল ব্রিটিশরা। সালমান রুশদীকে কড়া নিরাপত্তা দিলো। পরে তো নাইট হুড উপাধিও দিয়েছে তাঁকে ধর্মের ব্যাপারে মুসলিমরা ইমোশোন্যাল। এটা খুব ভালোভাবে জানে এক শ্রেণীর মানুষ। আর আলোচিত হতে তাঁরা এই ইমোশনে সুযোগ বুঝে আগুন ঢালে। খুবই সুপরিকল্পিত ভাবে। Michael Baigent, Henry Lincoln, Richard Leigh-রা অন্যদিকে যীশু খিস্ট্রের চরিত্র ও খিস্ট্রান ধর্ম নিয়ে উল্টাপাল্টা বলে আলোচিত হতে পারেন নি সালমান রুশদির মত। তাঁরা যীশু খ্রিস্টের বৌ ছিলো, মেয়ে ছিলো, টাইপের তত্ত্ব দিয়েছিলো। খ্রিস্টানরা পাত্তাই দেয় নি। ফলে তাঁরা সালমান রুশদির মত এতো আলোচিত পরিচিত হতে পারে নি। By the way, ইমাম খামিনি ছিলেন শিয়া। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে ১২০ টির উপর ধর্ম ভিক্তিক চ্যানেল আছে। শিয়াদের চ্যানেলগুলোতে তাঁরা সারাদিন মহানবীকে নিয়ে যেসব অশ্লীল কথা বলে, মহানবীর স্ত্রী হজরত আয়েশাকে যেভাবে গালাগালি করে, আবু বকর বা খলিফা ওমর (রাঃ)কে শিয়ারা যেভাবে গালাগালি করে,সেটা মধ্যপ্রাচ্যের এই তীব্র শিয়া সুন্নির বিরোধীর অন্যতম নিয়ামক। ভবিষ্যতে সীমাহীন রক্তপাতই হয়ত হবে এর পরিনতি। এজন্য আইসিসের মত কিছু একটা তৈরি হওয়া সময়েরই ব্যাপার ছিলো মাত্র। মধ্যপ্রাচ্যে শিয়া সুন্নির এই বিভেদ দেখবেন এই ডকূমেন্টারিতে। রীতিমত ভয়াবহ...
Posted on: Wed, 01 Oct 2014 15:16:24 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015