হিজাব করার পর কখন এবং কেন - TopicsExpress



          

হিজাব করার পর কখন এবং কেন নারীদের উপর নির্যাতনের খড়গ নেমে আসতে পারে? (প্রথম পর্ব) বেশ কয়েকবছর আগের কথা। ঢাকার গাউসিয়া মার্কেটের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম নীলক্ষেতে বই কেনার জন্য। মাথায় স্কার্ফ পড়া এক দারুন সুন্দরী এক মেয়েকে দেখলাম। একটি প্রাইভেট কারের ওপাশ থেকে কেবল মাথার অংশটুকু দেখেছিলাম। গাড়ির ওপাশ থেকে আড়াল যখন সরে গেল, কিছুভাববার আগেই মোড়ক উন্মোচিত হলো। দেখলাম, স্লিভলেস ব্লাউজের মতো টি-শার্ট, জিন্সপ্যান্ট এর সাথে স্কার্ফ পড়া। দুই সেকেন্ডে দুরকম ভাবাবেগ কাজ করেছিল। ভাবুন অবস্থা এবং নিজেকে প্রশ্ন করুন, এটা কোন জাতীয় হিজাবীকরণ? এরকম স্কার্ফ পড়ার নামই কি হিজাব? পর্দার সংজ্ঞা কি? বছর দুয়েক আগে আমি হিজাব নিয়ে একটি পোস্ট করার আগে ভাবছিলাম একটি হিজাব সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়ি। গুগল মহাশয়ের মাধ্যমে সার্চ দিতেই এমন কিছু আপত্তিকর ছবি আসল আমি সাথে সাথে ঐ ট্যাবটা ডিলিট মারতে বাধ্য হলাম। একজন বলেছিল- গুগলে বাংলায় ‘মা’ লিখে সার্চ দিলেও এরকম ঘটনা ঘটে। সব পর্ণ সাইট চলে আসে। সত্যি বড়ই আশ্চর্য মানুষের মানুষিকতা। তসলিমা নাসরিন যখন আদালতে গিয়েছিলেন, তখন সে বুরকা পড়েছিল। যে বুরকা তাদের জন্য বোঝা, সেটাই তাদের পড়তে বাধ্য হয়েছিল। কি নির্মম পরিহাস। ফার্মগেটে ওভারব্রিজের নীচে বহু পতিতাকে দেখেছি, তাদের চেহারা না দেখানোর জন্য দিনে দুপুরে একটা ভ্যানিটি ব্যাগ ঝুলিয়ে খদ্দের খুঁজতে। পতিতাদের কাজের সুবিধার্থেই কি হিজাবের আয়াত নাযিল হয়েছিল? ঠান্ডা-কাশির ঔষধগুলো কি নেশা করার জন্য তৈরি হয়? [হিজাব পড়া কি মুসলমান নারীর জন্য ব্যক্তিগত ব্যপার?] আল কুর’আনের ৩৩ নম্বর সূরা আহযাবের ৩৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছেঃ “আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়।” [সূরা আহযাব, আয়াতঃ ৩৬] একজন মুসলমান নারীর জন্য হিজাবের বিধান পালন করা তাহলে কি ঐচ্ছিক ব্যপার? এটা কি আল্লাহর বিধান নয়? আল্লাহর এই হিজাবের বিধানটা কি ঐচ্ছিক পর্যায়ের বিধান? [পর-পুরুষের সাথে মিষ্টি সুরে কথা বলা] “হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে।” [সূরা আহযাব, আয়াতঃ ৩২] আমি আগে কোনো এক লেখায় বলেছিলাম- পাগল নারী ন্যাংটা হয়ে হাটে, একজন সুস্থচিত্তের মানুষ তার দিকে তাকায় না। তারপরও যদি অসুস্থ চিত্তের মানুষ হলে সে তাকাবে। তাকিয়ে তার থেকে চোখের মাধ্যমে যৌন সুখ আদায় করার চেষ্টা করবে। অথচ আমরা সিনেমা-নাটকে অর্ধনগ্ন নারীদের হরহামেশাই দেখি। দিল্লীতে যে সিরিজ ধর্ষনের ঘটনা ঘটছে বা ঘটেছে, তার জন্য পত্রিকার পাতায় দেখেছিলাম সেই দেশের সাংবাদিকগণ এর জন্য ভারতীয় চলচ্চিত্রের নায়িকাদের নগ্নতা এবং উত্তেজিত পোষাককেই দায়ী করেছেন। পুরুষ মানুষের চোখটাই পাপের সহজ রাস্তা। এটা যদি কোনো পুরুষ অস্বীকার করে তাহলে বুঝতে হবে সে মানুষ না, সে ফেরেশতা! তাই চোখ নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে পুরুষ মানুষের মননিয়ন্ত্রন করা সহজ। এখন অনেক মেয়ে বলতে পারে- ‘Dont teach me what to wear – teach your sons not to rape’ এ কথার মধ্যে অর্ধেকটা সত্য আছে, আর আছে অর্ধেকটা অবহেলা। কোনো পথচারী যদি ট্রাফিককে উদ্দেশ্য করে বলে- ‘Dont teach me use the over bridge – teach the drivers not to push’, তাহলে ঐ একই রকম শোনাবে।। অর্থাৎ এসমস্ত কথা হলো ‘কথা সত্য, মতলব খারাপ’। এখন কেউ যদি হিজাব করার পর রাস্তায় দাড়িয়ে কিংবা তার অফিসের পর-পুরুষের সাথে (তাদের মতে- ভদ্রতার খাতিরে) মিষ্টি সুরে কথা বলে, আর অন্তরের ব্যাধিগ্রস্থ পুরুষদের অন্তরে ব্যাধি তৈরি হয়, এর জন্য কি এককভাবে সেই পুরুষটি দায়ী, নাকি সেই নারীও? (চলবে. . .) লেখকঃ Samiur Rahman Piyal
Posted on: Sun, 27 Oct 2013 17:09:47 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015