হাদীস শরীফে আছে, আখেরী - TopicsExpress



          

হাদীস শরীফে আছে, আখেরী যামানার কিছু মিথ্যাবাদী দাজ্জালের চেলা বের হবে। এরা এমন সব কথা বলবে তোমরাও শোন নাই তোমাদের বাপ দাদাও শোনে নাই। তাদের থেকে দূরে থাকো এবং তাদেরকে দূরে রাখো। তাহলে তারা তোমাদের ফিৎনায় ফেলতে পারবে না গোমরাহ করতে পারবে না। দলীল- √ সহীহ মুসলিম শরীফ। √ মিশকাত শরীফ। আমরা সেই আখেরী যামানায় অবস্থান করছি। এমন অদ্ভুত কথা আমরা এখন হরহামেশায় শুনছি যা আমাদের বাপ দাদা কেউ শোনে নাই। আজকের পোস্টে তেমনি একটি বিষয় নিয়েই আপনাদের সামনে আলোকপাত করবো ইনশাআল্লাহ !!! সমগ্র দুনিয়ার সকল শ্রেনীর লোক মাত্রই জানে ধুমপান করা একটি খারাপ কাজ, এটা শারীরিক, মানসিক, আর্থিক এবং ধর্মীয়ভাবেও ক্ষতিকর। এখন যদি হঠাৎ করে শোনেন কোন সাধারণ মানুষ নয়, কোন এনজিও নয় স্বয়ং কোন মৌলবী শ্রেনীর মানুষ ধুমপান করে এবং সবাইকে করতে উৎসাহিত করে তবে বিষয়টা শুনতে আপনার কাছে কেমন লাগবে ? হ্যা পাঠাক তেমনি একটা বিষয় আজ আমি আপনাদের সম্মুখে উপস্থাপন করবো। আপনারা সবাই সুন্নী নামধারী রেজাখানী ফির্কার নাম শুনেছেন। যদিও এরা মোটেও কোন সুন্নী নয়। তারাই এমন বক্তব্যের অবতারনা করেছে। দেখুন তাদের গুরুদের কিতাব থেকেই - রেজবীদের আলা হযরত আহামদ রেজা খার হুক্কাপ্রীতি : সাক্ষাৎকারীরা তাদের প্রয়োজন উপস্থাপন করতো, আর তাদের প্রয়োজন পূর্ণ করে দেয়া হতো। হুক্কা ও পান দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করা হতো। দলীল- √ হায়াতে আলা হযরত ১/১২৬ আরো বর্নিত আছে- আমার পীর ও মুর্শীদ আলা হযরতের হুক্কা খাওয়ার খুব আগ্রহ ছিল। কোথাও গেলে সাথে হুক্কা নিয়ে যেতেন। দলীল- √ তাযাল্লিয়াতে ইমাম আহমদ রেজা-৭৭ রেজা খা নিজেই বলে- হুক্কা খাওয়ার সময় আমি বিসমিল্লাহ পড়তাম না। দলীল- √মালফুযাত-২/২২১, আহমদ রেজা শুধু কি তাই ? এরা হুক্কার পানি দিয়ে ওযু করাও ফযিলতের মনে করে। দেখুন তাদের কিতাবে কি লেখা আছে- حقه كا پاني پاك پے اگرچه اس كے رنگ وبو مزے مين تغير اجاءے اس سے وضو جاءز پے بقدر كفايت اسكے بوتے بوءے تيمم جاءز نہی অর্থ : হুক্কার পানি পাক। যদিও তার রং গন্ধ ও স্বাদের মধ্যে পরিবর্তন ঘটে। তথাপি তার দ্বারা ওযু জায়িয। জরুরত আন্দাজ পানি (হুক্কার পানি) থাকতে তায়াম্মুম জায়িয নেই। দলীল- √ বাহরে শরীয়ত ২য় খন্ড ৩৮ পৃষ্ঠা। রেজাখানীদের পত্রিকা মাসিক তরমুজান সিগারেট বা ধুমপানের প্রতি এক প্রকারের উৎসাহ দিয়ে বলা হয়েছে- সিগারেট বা ধুমপান করে ভালোভাবে কুলি করে নেবে যাতে মুখের মধ্যে ধুমপানের দুর্গন্ধ না থাকে। কেননা দুর্গন্ধাঅস্থায় নামাজ মাকরূহ হয়। সূত্র : মাসিক তরমুজান, জানুয়ারী ২০০০, ডিসেম্বর ৯৯ সংখ্যা । অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আজকল মুসলমান নামধারী কিছু ব্যক্তি যারা নিজের আলেম,মাশায়েখ,বূজুর্গ দাবি করে তারা সিগারেট / হুক্কা / তামাক ইত্যাদি সেবন করাকে বৈধ ফতোয়া দিচ্ছে। শুধু তাই নয় বিড়ি /সিগারেট / তামাক বিক্রি করাকে জায়িয বলছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে অনেক আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার অনুসারী ভাইয়েরা বারবার অনুরোধ করছিলেন এ বিষয়ে পবিত্র শরীয়ত উনার আলোকে জবাব দিতে। সাধারণ মানুষ যাতে ওই ধরনের বিভ্রান্তিকর ফতোয়ায় নেশাখোর না হয়ে যায় এ কারনে এর জবাব লিখছি। আসলে ওই সকল নীম মোল্লাদের শরীয়ত সম্পর্কে কোন ধারনাই নাই। যে কারনে তারা ধুমপানের মত একটি নাজায়িয এবং মারাত্মক ক্ষতিকর বিষয়কে জায়িয বলে। মজার জিনিস খেয়াল করুন, যারা সিগারেট উৎপাদনকারী তারাই প্যাকেটের গায়ে লিখে দেয়-- সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ! ধুমপান শরীরের জন্য ক্ষতিকর/মৃত্যুর কারন ! দেখুন উৎপাদনকারীরাই বলে দিচ্ছে এটা মৃত্যুর কারন, অথচ এমন এক ভয়াবহ জিনিস কে ওই নাদান মৌলবীরা জায়িয বলে। আফসোস তাদের ইলমের দৌরত্ব দেখে। এবার আসুন আমরা এ ব্যাপারে শরীয়তের ফয়সালা জেনে নিই। আমেরিকার পাশে কিউবা নামক দেশে তামাকের চাষ হতো। সেখান থেকে বাদশাহ জাহাঙ্গীরের আমলে জনৈক রাষ্ট্রদূত ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম তামাক নিয়ে আসে। তখন থেকে এ উপমহাদেশে ধূমপানের সূত্রপাত ঘটে। তামাকের ইতিহাস সম্পর্কে হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ফিক্বাহের কিতাব সমূহে উল্লেখ আছে- تنبا كو جو نو پيد ايش بی اور اسكس پيدا سش دمشق شام ميی ايك بزار ١٠ سال بجری میی بوای অর্থ: তামাক নতুন উৎপাদন আর এর উৎপাদন হয়েছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ১০১৫ হিজরী সালে। দলীল- √ গায়াতুল আওতার ৪র্থ খন্ড ২৬৮ পৃষ্ঠা। √ দুররুল মুখতার। আর এই তামাক সম্পর্কে সর্বপ্রথম ফতোয়া প্রদান করেন দ্বাদশ শতকের মুজাদ্দিদ হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত দূররে সামীন কিতাবে। সেখানে তিনি পরিস্কার ভাবে মাকরুহ তাহরীমী ফতোয়া প্রদান করেন। পরবর্তীতে উনার সুযোগ্য আওলাদ হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনিও উনার বিখ্যাত ফতোয়ায়ে আযীযী কিতাবে এবিষয়ে ফতোয়া প্রদান করেন,এর পরবর্তীতে শায়েখ ইমাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি হাদীয়াতুল ইমাদী কিতাবে ধুমপানকে মাকরূহ ফতোয়া দেন। এ ফতোয়া ছহীহ হাদীস শরীফ থেকে ক্বিয়াস করে প্রদান করা হয়েছে, এবং সকল উলামায়ে কি রাম এ ফতোয়ার ব্যাপারে একমত। হাদীস শরীফে বর্নিত আছে-- হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দুটি বস্তু অর্থাৎ পিয়াজ ও রসূন খেতে নিষেধ করেছেন। এবং বলেছেন, যে ব্যক্তি তা খায় সে যেন মসজিদের নিকটেও না আসে। দলীল- √ সুনানে ইবনে মাজাহ ২৫৯ পৃষ্ঠা। √ সহীহ মুসলিম শরীফ ২০৯ পৃষ্ঠা। √ তিরমীযি শরীফ ২/৩। √ মিরকাত শরীফ ৮/ ১৯৫। √ শরহে নববী ২/১৩০। উক্ত হাদীস শরীফ এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে সকল দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু দ্বারা মানুষের কষ্ট হয়, তা দ্বারা হযরত ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও কষ্ট হয়। দলীল- √ মুযাহিরে হক্ব শরহে মিশকাত। কাঁচা পিয়াজ, রসূন, মূলা ইত্যাতি যে সকল খাদ্য যা খেলে মুখ দূর্গন্ধ হয় সেগুলা মাকরূর ফতোয়া দেয়া হয়েছে। এই মাসালার উপর ক্বিয়াস করে ধুমপান করা এবং ধুমপান করে মসজিদে যাওয়া হারাম ফতোয়া দেয়া হয়েছে। কারন ধূমপানের দুর্গন্ধ মূলত কাঁচা রসূন, পিয়াজের চাইতেও ভয়াবহ। ধুমপান মাকরূহ তাহরীমি এ প্রসঙ্গে সর্বজনমান্য এবং বিখ্যাত ফিক্বাহ ও ফতোয়ার কিতাব থেকে দলীল দেয়া হলো- (১) বিখ্যাত ফিকাহের কিতাবে বলা হয়েছে- تنباكو كه بمارے استاذ عمادي نہ اپنہ رسوله هدية العمادي ميی مكروه كہا بہ اس كو لہسن پياز كہ ساتھ بطريق اولي ملحق كر كہ سو اسکو غور كرے অর্থ: আমাদের উস্তায হযরত ইমাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁরা হাদীয়াতুল মাহদী কিতাবে তামাককে রসূম পিঁয়াজের সাথে ক্বিয়াস করে তামাককে মাকরূহ তাহরীমি বলেছেন। দলীল - √ গায়তুল আওতার ৪র্থ খন্ড ২৬৯ পৃষ্ঠা। (২) শায়েখ আব্দুল আযীয রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন- حقه كي حلت وحمت ميی اختلاف بہ رياده صحيح يه كه مكروه تحريمي هے অর্থ: হুক্কা পান করা হালাল হারাম এ ব্যাপারে ইখতিলাফ আছে, তবে অধিকতর বিশুদ্ধ মত হলো হুক্কা পান করা মাকরূহ তাহরীমী। দলীল- √ ফতোয়ায়ে আযীযী ৫৯৬ পৃষ্ঠা । (৩) হানাফী মাজহাবের অন্যতম ফতোয়ার কিতাবে উল্লেখ আছে-- ظاهر كلام العمادي انه مكروه تحريما অর্থ: সুস্পষ্ট বর্ণনা মতে, ধুমপান করা মাকরূহ তাহরীমী। দলীল- √ ফতোয়ায়ে শামী ৬ষ্ঠ খন্ড ৪৬০ পৃষ্ঠা। (৪) উক্ত কিতাবে আরো বলা হয়েছে- وبعضهم قال بحرمته অর্থ: কেউ কেউ ধুমপান হারাম ফতোয়া দিয়েছেন। দলীল- √ ফতোয়ায়ে শামী ৬ষ্ঠ খন্ড ৪৫৯ পৃষ্ঠা । (৫) ফতোয়ায়ে শামীতে আরো বলা হয়েছে- وقد أفتي بالمنع من شربه অর্থ: আমাদের মাশায়িখে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগন ফতোয়া দিয়েছেন যে, ধুমপান করা নিষিদ্ধ। দলীল- √ ফতোয়ায়ে শামী ৬ষ্ঠ খন্ড ৪৫৯ পৃষ্ঠা। (৬) হানাফী অন্যতম ফিকাহের নির্ভরযোগ্য কিতাবে ফতোয়া দেয়া হয়েছে- وقد كرهه شيخنا العمادي في هديته الحاقا له بالثوم والبصل অর্থ: আমাদের শায়েখ হযরত ইমাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর হাদীয়া কিতাবে রসূন ও পিঁয়াজের সাথে ক্বিয়াস করে তামাক মাকরূহ তাহরীমী বলেছেন। দলীল- √ ফতোয়ায়ে দুররুল মুখতার। (৭) অন্য আরো কিতাবে বলা হয়েছে- সিগারেট পান করা হুক্কা পান করার মতই মাকরূহ তাহরীমী। দলীল- √ ফতোয়ায়ে আব্দুল হাই লক্ষনৌবী ৫০৮ পৃষ্ঠা । এছাড়াও ধুমপান নিষিদ্ধ হওয়ার পিছনে আরো অনেক কারন রয়েছে। কারন সমূহ নিম্নরূপ- (১) বিড়ি, সিগারেটে নিকোটিন রয়েছে। নিকোটিন একটি ভয়াবহ বিষ। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, এটা পানের আর বিষ পানের কোন পার্থক্য নেই। তাহলে যারা ধুমপান জায়িয বলে তাদের নিকট প্রশ্ন হচ্ছে ইসলাম কি বিষ পান সমর্থন করে ? (২) ধুমপানে আর্থিক অপচয় হয়। কুরআন শরীফে বলা হয়েছে- অপচয়কারী শয়তানের ভাই।( সূরা বনি ইস্রাঈল ২৭)। (৩) ধুমপানে আগুনের ধোঁয়া মুখের ভিতর প্রবেশ করানো হয়, যা জাহান্নামের সাদৃশ্য । (৪) ধুমপান বিধর্মীদের প্রচলিত অভ্যাস। (৫) ধুমপানের দুর্গন্ধ মানুষ ও ফেরেশতাগনকে কষ্ট দেয়। হাদীস শরীফে আছে- মুসলমান উনাদের কষ্ট দেয়া কুফরী। (৬) ধুমপানে নেশার সৃষ্টি হয়। হাদীস শরীফে আছে, সর্বপ্রকার নেশা জাতীয় দ্রব্য হারাম। (৭) ধুমপান করার ফলে নিজের এবং আশে পাশের সবার শারীরিক ক্ষতি হয়। সূতরাং কি করে এমন ভয়াবহ ক্ষতিকারক জিনিস ধুমপানকে বৈধ ফতোয়া দেয়া যেতে পারে ? এমন হারাম জিনিসকে বৈধ ফতোয়া দিলে ঈমান থাকে কিনা সেটাই প্রশ্ন .... তারা আরো বলেছে, বিড়ি/সিগারেট/তামাক ক্রয় বিক্রয় জায়িয । নাউযুবিল্লাহ!!! দেখুন এ ব্যাপারে কি ফতোয়া দেয়া হয়েছে- ويمنع من بيع الدخان وشربه অর্থ: ধুমপানের ক্রয় বিক্রয় উভয়ই নিষেধ। দলীল- √ ফতয়োয়ে শামী ৬ষ্ঠ খন্ড ৪৫৯ পৃষ্ঠা। এরকম স্পষ্ট দলীলের পরও যারা ধুমপানকে জায়িয এবং এর ক্রয় বিক্রয়কে জায়িয বলবে তাদের মুসলমানিত্ব নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। আপনি রাস্তায় একজন সাধারণ ধুমপায়িকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, ভাই আপনি এই যে ধুমপান করছেন এইটা কি ঠিক ? এটা কি জায়িয ? সে লোক নিঃসন্দেহে বলবে, ভাই এই কাজতো মোটেও জায়িয না। আমি যা করছি সে গুনাহ করছি। দোয়া কইরেন যাতে এই বদ নেশা ত্যাগ করতে পারি। দেখেন একজন সাধারণ ধুমপায়ী লোকের যে কমনসেন্সটা আছে সেটা এই হুক্কা প্রিয় রেজাখানীদের নাই..। এরা ধুমপান করে কুলি করে মসজিদদে যেতে বলে, এরা হুক্কার পানি দিয়ে ওযু করতে বলে। কত নিকৃষ্ট, অসুস্থ মানসিকতার লোক এরা ফিকিরের বিষয়। আর সবচেয়ে বড় কথা আপনি কি জানেন যারা শহীদে বালাকোট, হযরত আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরোধিতা করে তারা সবাই হুক্কা খোর, সিগারেট, বিড়ি খোর। আল্লাহ পাক উনার কি লানত দেখেন পৃথিবীর যমীনে এরাই একমাত্র হুক্কা, বিড়ি খাওয়া জায়িয মনে করে। যারা নাপাক হারাম হুক্কা, বিড়ি খায় তাদের মুখ থেকেতো ওলী আল্লাহ উনাদের প্রতি বিদ্বেষ বের হবেই এটাই স্বাভাবিক। কারন নাপাক থেকে নাপাকিই বের হয়। কোন হুক্কা খোর, বিড়ি খোর নেশাখোর মানুষ ছাড়া কারো পক্ষেই একজন আওলাদে রসূল ওলী আল্লাহ হযরত আহমদ শহীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরোধিতা করা কি সম্ভব? আল্লাহ পাক আমাদের এসকল হুক্কা খোর , বিড়ি খোর নাপাক লোকদের ফিৎনা থেকে হিফাজত করুন। আমীন।
Posted on: Thu, 20 Nov 2014 11:15:38 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015