হিন্দু ধর্মাবলম্বী - TopicsExpress



          

হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্রাহ্মণ্যবাদীর দল কোনো হিন্দু স্বামী মারা গেলে তার বিধবা স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলে সতী বানাতো, ইংরেজ আমলে আইন করে এ ধর্মীয় বর্বর প্রথাকে রুখতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। হিন্দু নারীরা কি স্বামীর মৃত্যুর পর স্বেচ্ছায় স্বামীর চিতায় ওঠে সহমরণে যেতেন ? মোটেই তা নয়। ঐতিহাসিকগণ জানিয়েছেন কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সদ্য বিধবা নারীকে উত্তেজক পানীয় পান করিয়ে কিংবা নেশা জাতীয় দ্রব্য শুকিয়ে অজ্ঞান করে কিংবা অর্ধচেতন অবস্থায় স্বামীর চিতায় তুলে দেওয়া হতো। বর্তমানকালের তথাকথিত মডারেট হিন্দুরা স্বীকার করতে চাইবেন না, অথবা অনেকেই জানেন না তাদের ধর্মগ্রন্থে স্বামী মারা গেলে বিধবাকে স্বামীর চিতায় আগুনে পুড়ে মরে সতী হওয়ার সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। প্রমাণ চাই তো, দেখুন ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলের ১৮নং সূক্তের ৭নং শ্লোক (১০/১৮/৭) : শ্লোকটির ইংরেজি হচ্ছে : Let these women, whose husbands are worthy and are living, enter the house with ghee (applied) as collyrium (to their eyes). Let these wives first step into the pyre, tearless without any affliction and well adorned. পরাশর সংহিতায় (৪:২৮) পাই, মানুষের শরীরে সাড়ে তিন কোটি লোম থাকে, যে নারী মৃত্যুতেও তার স্বামীকে অনুগমন করে, সে স্বামীর সঙ্গে ৩৩ বৎসরই স্বর্গবাস করে। দক্ষ সংহিতার ৪:১৮-১৯নং শ্লোকে বলা হয়েছে, A sati who dies on the funeral pyre of her husband enjoys an eternal bliss in heaven. (যে সতী নারী স্বামীর মৃত্যুর পর অগ্নিতে প্রবেশ করে সে স্বর্গে পূজা পায়)। এই দক্ষ সংহিতার পরবর্তী শ্লোকে (৫:১৬০) বলা হয়েছে, যে নারী স্বামীর চিতায় আত্মোৎসর্গ করে সে তার পিতৃকুল, স্বামীকুল উভয়কেই পবিত্র করে। ব্রহ্মপুরাণে বলা হয়েছে, যদি স্বামীর প্রবাসে মৃত্যু হয়ে থাকে তবে স্ত্রীর কর্তব্য স্বামীর পাদুকা বুকে ধরে অগ্নিপ্রবেশ করা। সত্যিই কত সুন্দর হায় ঈশ্বর তোমার বানী !! সত্যি কতই না ন্যায়পরায়ণ তুমি !! সংগৃহীত : যে সত্য বলা হয়নি ( আকাশ মালিক ) #রিপোস্ট
Posted on: Sun, 03 Aug 2014 18:06:41 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015