হোমিওপ্যাথির - TopicsExpress



          

হোমিওপ্যাথির জনপ্রিয়তা.... মানব ইতিহাসে ঠিক এ মুহুর্তে মানুষ যতটা অসুস্থ আগে কখনও এতটা অসুস্থ ছিলনা। এই অসুস্থতাকে নিরাময় করতে কনভেনশনাল মেডিসিন (এ্যালোপ্যাথিক বা সিনথেটিক মেডিসিন) আর কোন সহায়তা করতে পারছে না বা এর পক্ষে আর সহায়তা করা সম্ভব নয়। ৬০ বছর আগে যখন ”বিগ ফার্মা” ব্যাপকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে শুরু করে তখনকার চেয়ে মানুষ আজ অনেক বেশী রুগ্ন। বিগ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীগুলো তখন অনেক রোগ নিরাময় করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করলেও তারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। রোগ নিরাময়ের বিপরীতে তারা নতুন নতুন রোগের সৃষ্টি করেছে বিশ্বব্যাপী। কারণ কনভেনশনাল মেডিসিন কখনও রোগের মুল উৎপাটন করতে পারেনা তথা রোগের কারণসমূহ দুর করেনা; তারা চেষ্টা করে রোগের ফলাফলকে যেকোন মূল্যে চাপা দিতে – তাতে রোগীর যত ক্ষতিই হোকনা কেন। ফলতঃ রোগ নিরাময় না হয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াস্বরূপ নতুন রোগের সৃষ্টি। হোমিওপ্যাথিক প্রাকটিশনার রোগের কারণ দুর করেন তথা রোগের মুল উৎপাটন করেন। রোগের কারণ না থাকলে রোগের অস্তিত্বই তো থাকেনা। কারণ না থাকলে ফলাফল বা রোগ আসে কি করে? হোমিও চিকিৎসা কনভেনশনাল মেডিসিনের চেয়ে অধিক নিরাপদ। হোমিও চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রকৃতিতে বিরাজমান পদার্থ সমূহের মধ্য হতে যেমন- নানাবিধ উদ্ভিজ্জ, খনিজ, প্রাণীজ উৎস হতে অত্যন্ত সুক্ষ্ম মাত্রায় ও উচ্চশক্তিতে তৈরীকৃত ঔষধ প্রয়োগ করা হয় যাতে করে ঐ চিকিৎসা মানবের রোগ নিরাময় ব্যবস্থাকে বেগবান করে, জীবনীশক্তিতে সাম্যাবস্থা ফিরিয়ে আনে যার দ্বারা শরীর নিজেই নিজেকে আরোগ্য করে তুলতে পারে। অন্যদিকে এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা ছেড়ে দেয়ার সাথে সাথেই রোগী আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এজন্য দেখা যায় নানাবিধ ক্রণিক রোগ যেমন – ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের সমস্যাবলী, হাপানী ইত্যাদির রোগ এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় নিরাময়ের অযোগ্য [Incurable] ঘোষণা করা হয়েছে এবং ফলতঃ এ জাতীয় রোগীদেরকে আমৃত্যু বা আজীবন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে উপদেশ দেয়া হচ্ছে যা প্রকারন্তরে রোগীর শরীর-মনে অন্যান্য মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করে ও নতুন নতুন রোগ ডেকে আনে। রোগী সুস্থ না হয়ে দিন দিন আরোও অসুস্থ হতে থাকে। আপনি কি কখনও শুনেছেন যে হাইপারএ্যাকটিভিটি বিশেষতঃ শিশুদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় বা মধু পলেন এ্যালারজি নিরাময় করতে পারে? বার বার এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার, শিশুদের টিকাদান, ষ্টেরয়েড, পেইনকিলার এর ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়াস্বরূপ সৃষ্ট অনেক রোগের চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে সম্ভব । হোমিওপ্যাথি সদৃশ পদ্ধতিতে রোগ নিরাময় করে [Like cures like] । যেমন খড় জ্বর বা Hay Fever নিরাময় করতে আমরা শক্তিকৃত ফুলের পরাগ এর শক্তিকৃত সুক্ষ্মমাত্রা প্রয়োগ করি। প্রাকৃতিক বা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার বিরুদ্ধে অনেকে গুজব ছড়াচ্ছে যে, এটি বিজ্ঞানসম্মত নয়। বাস্তবে হোমিওপ্যাথি অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা। হোমিওপ্যাথি কেবল দ্বিতীয় বৃহত্তম চিকিৎসা পদ্ধতিই নয়, এটি দ্রুতগতিতে ক্রমবর্মান ও প্রসারমান এক চিকিৎসা ব্যবস্থা। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি লোক আজ স্বীকার করছেন যে- হোমিওপ্যাথি সফলতার সাথে কাজ করছে। হোমিওপ্যাথি আমাদের শরীরের কর্মশক্তিতে ভারসাম্য বা সাম্যাবস্থা সৃষ্টি করে। আর এই সাম্যাবস্থা শরীর মনে সঞ্চালিত করে। আর এভাবে রোগীকে আরোগ্য করে। আর অন্যদিকে মানবদেহ যখন খাদ্য ও এ্যালোপ্যাথিক ঔষুধের টক্সিন বা উপবিষ দ্বারা বাধাগ্রস্থ হয়, অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক চাপ নেয়- তখনই শরীরে রোগের সৃষ্টি হয়। হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সাধারণ ভাবে কোন প্লাসিবো [Placebo - রোগীর মন রাখার জন্য প্রদত্ত ঔষধ] বা সাধারণ কোন তরল জাতীয় ঔষধ নয় যদিও এই অভিযোগই করা হয় বরাবর। বরং তা হচ্ছে সূক্ষ্ম মাত্রায় শক্তিকৃত উদ্ভিজ্জ, খনিজ, প্রাণীজ্জ্ কোন উপাদান যা অবশ্যই সুস্থ মানবদেহে কৃত্রিমভাবে একজন রোগীর রোগলক্ষণের মত সদৃশ লক্ষণ উৎপাদনে সক্ষম- যা বহুবার প্রমাণিত হয়েছে। আর এ জাতীয় লক্ষণাবলী আমরা প্রতিনিয়তই প্রত্যক্ষ করছি রোগীর মধ্যে। এজন্যই অধিকাংশ রোগী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার শুরুতে রোগের বৃদ্ধি উপলব্ধি করেন। বাস্তবতা হলো এটি প্রকৃতপ্রস্তাবে হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতির একটি অন্যতম ইতিবাচক দিক যা – রোগ আরোগ্যের প্রক্রিয়া। এ্যালোপ্যাথিতে কখনই এ জাতীয় রোগলক্ষণের গুরুত্ব না দিয়ে, রোগীর কষ্ট রোগীর মুখে বা আত্মীয় স্বজনের কাছে না শুনে যান্ত্রিক উপায়ে প্রাপ্ত রোগের ফলাফলসমূহের উপর গুরুত্ব দেয়া হয় [কারণসমূহকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে] এবং যেকোন উপায়ে রোগের ফলাফল চাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। প্রকৃতির বিরুদ্ধে গৃহীত এই ব্যবস্থাই নতুন নতুন রোগের জন্ম দিচ্ছে এবং অন্যদিকে হোমিওপ্যাথির প্রসার ঘটাতে সাহায্য করছে। পৃথিবীতে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত সফলতার সাথে গ্রহণ করেছেন। এরে মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- Queen Elizabeth II, Prince Charles, Catherine Zeta Jones, Tina Turner, Charles Dickens, David Beckham, W.B. Yeats.
Posted on: Sun, 26 Jan 2014 19:48:44 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015