হিংস্র রোগ ইবোলা ডাঃ মোঃ - TopicsExpress



          

হিংস্র রোগ ইবোলা ডাঃ মোঃ বজলুল করিম চৌধুরী সুলতান সাহেব আমাদের পাশের বাসাতেই থাকেন। বেশ গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ। রাস্তাঘাটে মাঝে মাঝে দেখা হলে সালাম ও কুশল বিনিময় হয়, এ পর্যন্তই। আমাদের বাসায় তেমন একটা আসেন টাসেন না। সেদিন তাকে আমাদের বাসায় দেখে বিষ্মিত হলাম, সেই সাথে কৌতূহলিও। ড্রইং রুমে বসে দু’চারটি সাইড কথার পর আসল কথা পাড়লেন। ভাইসাব ইদানিং একটি রোগ ইবোলা না কী যেন নাম, এটি নিয়ে বেশ হইচই শুরু হয়েছে সারা দুনিয়ায়, খবরাখবর শুনে বেশ আতংকিত হচ্ছি। বিষয়টা আসলে কি? এতক্ষণে বুঝা গেল তার আগমনের হেতু। বড় ধরনের ’কিছু একটা’ না হলে কি আর উনি আসেন! নিশ্চয়ই ভয়ের মাত্রাটা অনেক বেশিই। বললাম, আপনার মত আমিও শুনেছি রোগটির বিষয়ে, ইতোমধ্যেই কিছুটা খোঁজ খবরও নিলাম। চিন্তার কারণ কিছু যে নেই তা নয়। দেখলাম, আমার কথায় উনার মুখ কিছুটা ফ্যাকাশে হয়ে এলো, তাহলে ভাইসাব এখন উপায়? : আরে ভাই এতো ভিতু হচ্ছেন কেন। রোগটি এখনও তো আমাদের দেশে আসেইনি। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ৮/৯ টি দেশেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে হ্যাঁ, সংক্রামক বিধায় যেকোনো সময় আমাদের মাঝে যে এসে পৌঁছাবে না তা বলা যায় না। ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় আমরাও রয়েছি। : রোগটির ব্যাপারে একটু বিস্তারিত খোলেই বলুন না। সুলতান সাহেবের আঁকুতি। : তাহলে শুনুন। রোগটির নাম হলো ইবোলা হিমোরেজিক ফিভার (Ebola hemorrhagic fever)। এটি ফইলোভাইরিডি পরিবারের (Filoviridae family)এক ধরনের আরএনএ (RNA) ভাইরাস (Ebola Virus)দ্বারা সৃষ্ট একটি ভয়ংকর সংক্রামক রোগ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, রোগটি আফ্রিকা অঞ্চলের আক্রান্ত বানর জাতীয় বন্য প্রাণি, যেমন বানর, গরিলা, শিম্পাঞ্জি ইত্যাদি থেকে বাদুড়, মশা, টিকস, মাইট কিংবা অন্য কোনো নিম্ন শ্রেণির প্রাণি বা পাখির মাধ্যমে মানব দেহে সংক্রামিত হয়ে থাকতে পারে। তবে আক্রান্ত না হয়ে কারা এই ভাইরাসটি বহন করে বেড়াচ্ছে বলা মুশকিল। এমনও হতে পারে আফ্রিকার কোনো কোনো উদ্ভিদও ভাইরাসটির বাহক হওয়া বিচিত্র নয়। বর্তমানে রোগটি প্রাণিদেহ থেকে মানুষে সংক্রামিত হয়ে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে। অদ্যাবধি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গিনি, লাইবেরিয়া, সিয়েরেলিয়ন, নাইজেরিয়া, সুদান, উগান্ডা, আইভরিকোস্ট, গ্যাবন ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে প্রায় তিন সহ¯্রাধিক লোক মৃত্যুবরণ করেছেন। এধরনের ভাইরাস আক্রমণের প্রথম নজির আমরা দেখতে পাই আফ্রিকার দেশ সুদান এবং জিম্বাবুয়েতে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের দিকে। তখনও এই রোগটি ওই অঞ্চলসমূহে আউটব্রেক (Outbreak) হয়ে বেশ কিছু লোকের মৃত্যুর কারণ ঘটেছিল। তখন কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে প্রথম এই রোগটি ধরা পড়ায় সেই দেশে অবস্থিত ’ইবোলা’ নদীর নামানুসারে রোগটির নামকরণ করা হয় ’ইবোলা’। এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার শতকরা ৫০ থেকে ৯০ ভাগ পর্যন্ত হতে পারে। : রোগটি এত ভয়ংকর হবার কারণ কি ভাই? : রোগটিকে ভয়ংকর ভাবার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমতঃ রোগটির নিরাময়ক কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা কিংবা প্রতিষেধক এখনও নেই। দ্বিতীয়তঃ রোগটির সুপ্তাবস্থা (Incubation period) অনেক দীর্ঘ। অর্থাৎ দেহে ভাইরাসটি প্রবেশের পর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে সময় নেয় ২ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত। আবার এই সুপ্তাবস্থাতেও আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের অজান্তেই ভাইরাসটি অন্য সুস্থ মানুষের দেহে ছড়াতে সক্ষম। তৃতীয়তঃ ইবোলা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে যাবার বেশ ক’দিন (প্রায় সাত সপ্তাহ) পর্যন্ত এই ভাইরাসটি বহন করে বেড়ান এবং অন্যের দেহে রোগ সংক্রামণে সক্ষম থাকেন। চতুর্থতঃ আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলে তার সৎকারের সময়ও ভাইরাসটি অন্য সুস্থদেহে ছড়িয়ে পরতে পারে আবার ঠিকমত সৎকার করা না হলে মৃতব্যক্তির দেহ থেকে দীর্ঘদিন ভাইরাসটি সংক্রামিত হওয়া সম্ভব। : সাংঘাতিক ব্যাপার! ভাই এ রোগ হলো কিনা বুঝার উপায় কি? অর্থাৎ এ রোগের লক্ষণসমূহ কি হতে পারে? : প্রাথমিক পর্যায়ে ইবোলা আক্রান্ত রোগীকে সনাক্ত করা কঠিন। প্রাথমিক লক্ষণসমূহ অনেকটা সাধারণ সর্দি-কাশির মতই। যেমন জ্বর, হাঁচি, কাশি, শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করা, খাবারে অরুচি, গায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা, বমি ভাব, ডায়রিয়া, গায়ে রেশ উঠা ইত্যাদি। দ্বিতীয় ধাপে আক্রান্ত ব্যক্তির নাক, মুখ, চোখ এবং পায়ু পথ সহ দেহাভ্যন্তরে রক্ত ক্ষরণ হতে দেখা যায়। এই পর্যায়ে রোগীর অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গসমূহ (Vital organs) যেমন লিভার, কিডনি এবং হৃদযন্ত্র দুর্বল হয়ে সে ক্রমান্বয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। এ সময় ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস, হিক্কা ইত্যাদি হতে দেখা যায়। : এখন উপায়? আতংকে সুলতান সাহেবের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে এলো :রোগটি বেশ জটিল, সন্দেহ নেই। কিন্তু এখনই আপনি এত আতংকিত হবার কারণ নেই। খারাপের মাঝেও তো কিছু ভালো দিক থাকে, নাকি বলেন? ইবোলা ভাইরাসের পাঁচটি উপজাত আছে, সেগুলো হলো; ইবোলা জায়ার (Ebola-Zaire), ইবোলা সুদান (Ebola-Sudan), ইবোলা আইভরীকোস্ট (Ebola-Ivory Coast), ইবোলা রেষ্টন (Ebola-Rston) এবং ইবোলা বান্ডিবোগিও (Ebola-Bundibugyo) । এদের মধ্যে ইবোলা সুদান ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃতু্যু হার শতকরা ৫৩ ভাগ, ইবোলা বান্ডিবোগিও ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃতু্যু হার শতকরা ২৭ ভাগ এবং ইবোলা জায়ারে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হার শতকরা ৬৮ ভাগ। ইবোলা রেষ্টন অদ্যাবধি বানরের মাঝেই সীমাবদ্ধ আছে, মানুষের মাঝে এর বিস্তৃতি তেমন একটা দেখা যায়নি। ইবোলা আইভরীকোস্ট দিয়ে আজ পর্যন্ত একজন মানুষের আক্রান্ত হবার প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি জীবিত আছেন। এই তথ্যগুলো থেকে বুঝা যায় সব ধরনের ইবোলা ভাইরাসই ভয়ংকর নয়। তাছাড়া ইবোলা রেষ্টন ছাড়া অন্য সকল ধরনের ইবোলা ভাইরাস সাধারণ সর্দি-কাশির মত বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় না। এরা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত কিংবা রক্তজাত কোনো দ্রব্য যেমন, লালা, কফ, থুথু, বীর্য অথবা মল-মূত্রের সরাসরি সংস্পর্শে এলে ছড়াতে পারে। ইবোলা রেষ্টন বায়ু বাহিত একটি রোগ হলেও এটা তেমন একটা ক্ষতিকর নয়। তাই বোঝাই যাচ্ছে যে, এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার একটি উপায় হলো আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। : তাহলে কি রোগীর সেবা শুশ্রুষাও করা যাবে না? : অবশ্যই করা যাবে, তবে তা হতে হবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে। : ভয়ংকর এই রোগটি থেকে রক্ষা পাবার উপায় কি? : আমার এতক্ষণের আলোচনা থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে, ইবোলা থেকে রক্ষা পাবার প্রধান উপায় হলো আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত বা রক্তজাত সামগ্রীর সরাসরি সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা এবং তার জন্য যা করণীয় তা অতি সাবধানতার সাথে পালন করা। ইবোলা আক্রান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তামূলক বিশেষ পোষাক পরিধান করা। জীবাণুমুক্ত দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করা। হাতে গ্লাব্স পরিধান করা। ইবোলা ভাইরাসের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, এটি ডিটারজেন্ট সহিষ্ণু নয়, তাই কোনো ধরনের সন্দেহের অবকাশ থাকলে সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে নিতে হবে। বাদুড় বা পাখির মাধ্যমে এই রোগটি ছড়াতে পারে বিধায় কাঁচা ফল কিংবা সব্জি খাবার ব্যাপারেও যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। অর্থাৎ বাদুড় বা পাখি খাওয়া কোনো কিছু সরাসরি খাওয়া উচিৎ হবে না। খাবার দাবার ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে। এছাড়াও ইবোলা সন্দেহ হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাথে সাথে আলাদা করে বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে হবে এবং তা সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা দপ্তরে সাথে সাথে রিপোর্ট করতে হবে। ইবোলা আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হলে বিশেষ সাবধানতায় তার শেষকৃত্য সম্পাদন করতে হবে। : কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে কি ইবোলা রোগ নির্ণয় করা যায় না? : ইবোলা রোগ নির্ণয়ের জন্য সহজ তেমন কোনো পরীক্ষা নেই তবে ল্যাবরেটরীতে যে সমস্ত পরীক্ষাগুলো করা যেতে পারে তা হলো Antigen-capture enzyme-linked immunosorbent assay (ELISA), IgM ELISA test, Polymerase Chain Reaction (PCR)- - একটি DNA পরীক্ষা যা জানা ইবোলা আক্রান্ত রোগীর DNA-র সাথে ম্যাচ (Match) করে করা হয়। এসব পরীক্ষাসমূহ রোগের লক্ষণ প্রকাশের কিছুদিনের মধ্যে করা যেতে পারে। এছাড়াও আরো যে সমস্ত পরীক্ষাসমূহ করা সম্ভব তা হলো Test for IgM and IgG antibodies, Immunohistochemistry testing, Virus সনাক্তকরণ, PCR। এছাড়াও বিশেষ ব্যবস্থায় কোষের ভিতর ভাইরাস কালচার করা যেতে পারে। : ইবোলা আক্রান্ত ব্যক্তির কোনোই কি চিকিৎসা নেই ভাই? আবারও সুলতান সাহেবের কৌতূহল। : এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা না থাকলেও লক্ষণ অনুযায়ী (Symptometic treatment) রোগীর চিকিৎসাতো অবশ্যই দেয়া সম্ভব। যেমন জ্বর কমানোর জন্য জ্বর নিবারক ঔষধ ((Anti-pyretic)) দিতে হবে। রোগী ’শকে’ (shock) চলে গেলে তার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহ রক্ত কিংবা রক্তজাত সামগ্রী রোগীর দেহে সঞ্চালন করা যেতে পারে। তবে সব চিকিৎসা সেবাই প্রদান করতে হবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে। : ইবোলা চিকিৎসার ব্যাপারে বিজ্ঞানিরা কিছু করছেন কি? যদি কিছু করে থাকেন তবে এর কোনো অগ্রগতি সম্বন্ধে আপনার কোনো ধারণা আছে কি? : অবশ্যই গবেষকরা বসে নেই। গবেষণা চলছে চিকিৎসা ব্যবস্থা উদ্ভাবনের পাশাপাশি ইবোলার বিরুদ্ধে প্রতিষেধক টিকা উদ্ভাবনেরও। অতি সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেশ কিছু আশার বাণী শুনিয়েছেন ইবোলা চিকিৎসার ব্যাপারে। বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন ইবোলা আক্রান্ত বেঁচে যাওয়া রোগীর রক্ত আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে সঞ্চালনের মাধ্যমে ইবোলা চিকিৎসা সম্ভব। বেঁচে যাওয়া ইবোলা রোগীর রক্তে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি হয়। সেই এন্টিবডি ইবোলা ভাইরাস ধ্বংস করে রোগীকে সারিয়ে তুলতে সক্ষম। এছাড়াও অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে ইবোলা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা উদ্ভাবনের ব্যাপারেও বিজ্ঞানীরা আশাবাদী। : যাক, তবুও কিছুটা আশার বাণী শুনালেন ভাই। কিছুটা আশ্বস্থ হওয়া গেল। আচ্ছা, রোগটিতো এখনও আমাদের অঞ্চলে আসেনি। এর আমদানি রোধে কি কি করণীয় আছে? তাছাড়া সরকারইবা কি করছে এর জন্য? : হ্যাঁ, আমরা এখনও সেফ আছি বটে তবে আমাদের অনেক সৈনিক জাতিসংঘ মিশনে ওই সমস্ত ইবোলা ঝুঁকিপূর্ণ দেশে কর্মরত আছেন। সুতরাং এই দিকটা কিছুটা চিন্তার বই কি। তাদের কারো মাধ্যমে না রোগটি আবার এ দেশে ঢুকে পড়ে। অবশ্য এ ব্যাপারে সরকারও যথেষ্ট সচেতন। আমার জানা মতে ওই সমস্ত ইবোলা আক্রান্ত দেশ থেকে আগত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আলাদা করে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেই সাথে স্থল বন্দর, নৌ বন্দর ও বিমান বন্দরসমূহেও নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। তবে একটি বিষয় আমাকে বেশ চিন্তিত করে তুলছে, তা হলো আসন্ন হজ্বের সময় সারা দুনিয়ার মানুষ এসে জড়ো হবেন সৌদি আরবে। সেখানে ইবোলা আক্রান্ত কারো মাধ্যমে ভাইরাসটি না আবার ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য এ ব্যাপারে আমার চেয়ে কর্তাব্যক্তিদের চিন্তা অনেক বেশিই হবার কথা। সুতরাং ভরসা রাখছি তারা এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত সাবধানতা গ্রহণ করেছেন। এতোসব ব্যবস্থার পরও ইবোলা যদি এসেই যায় তবে আতংকিত না হয়ে সাহসিকতার সাথে এর মোকাবেলা করতে হবে। সুতরাং ফড়হ’: Don’t worry. : যাক, আপনার সব শেষ কথাগুলো মনে যথেষ্ট সাহস এনে দিল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইসাব। এখন উঠা যাক।
Posted on: Thu, 09 Oct 2014 18:00:56 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015