হ্যাশ ট্যাগ কী, যে কারণে গাজাকে হ্যাশ ট্যাগ করবেন শাহেদ তাসলিম শাহাদাত কোনো শব্দ বা শব্দগুচ্ছের আগে # (হ্যাশ) চিহ্ন ব্যবহার করাকেই হ্যাশ ট্যাগ বলে। এক্ষেত্রে হ্যাশ চিহ্ন পরে ব্যবহৃত শব্দগুলোর মাঝে কোনো স্পেস থাকে না এবং হ্যাশ ট্যাগে ব্যবহৃত শব্দগুলোর প্রথম অক্ষর বড় হাতের লেখা হয়। হ্যাশ ট্যাগ সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া যেমন: ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়। এটা ব্যবহারের মাধ্যমে কোনো আলোচ্য বিষয়কে সুনির্দিষ্ট করা হয় এবং এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব সহজেই জনমত সৃষ্টি করা যায়। সম্প্রতি ফেসবুক ও টুইটারে #SupportGaza, #GazaUnderAttack, #GazaUnderFire, #FreeGaza, #FreePalestine, #IsraelUnderFire- এই হ্যাশ ট্যাগগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মিডিয়ার পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ পরিবেশনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে কার্যত এগুলোই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সারা বিশ্বে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তার দিনেও বৈশ্বিক জনমত সৃষ্টিতে এক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত টুইটারই কার্যকরি ভূমিকা রাখছে এবং টুইটার তার অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। টুইটারে হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহারের পাশাপাশি আপনি @ ট্যাগ ব্যবহার করে সহজেই আপনার মতামত, কোনো বিশেষ সংবাদ, যুদ্ধ বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের ছবি আপনি আন্তর্জাতিক নিউজ পোর্টাল, নিউজ এজেন্সি, বিশ্বনেতাসহ যাকে ইচ্ছে আপনি তার কাছে এক মুহূর্তে পৌঁছে দিতে পারেন। ইসরাইল ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর হামলা চালাচ্ছে, তাদের এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞকে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবীর মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় তুলেছে। এটা শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে সীমাবদ্ধ থাকেনি, মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে। প্রতিবাদ হয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, বাংলাদেশ, ভারত এবং তুরস্কসহ পৃথিবীর প্রায় ৭০টির বেশি দেশে। ইসরাইল গাজায় যে বর্বর অভিযান পরিচালনা করছে তা নিয়ে ইসরাইলের পক্ষে মাত্র ২ এবং ৯৮ শতাংশ মানুষই তাদের বিপক্ষে এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে মতামত দিয়েছে। এই প্রতিক্রিয়া সারা বিশ্বে হয়েছে মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে। কারণ, মুলধারার মিডিয়াগুলো সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ইসরাইল-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্বর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের খবর মানুষকে জানাচ্ছে। কিন্তু পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে। আলজাজিরার ইনসাইড স্টোরিতে ইসরাইল-গাজার যুদ্ধকে সোশ্যাল মিডিয়াতে হ্যাশ ট্যাগের যুদ্ধ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ইসরাইল-গাজার চলমান যুদ্ধে গাজাকে সমর্থন করে গাজার পক্ষে টুইটারে #GazaUnderAttack হ্যাশ ট্যাগে চার মিলিয়ন বা ৪০ লাখ টুইট হয়েছে এবং অন্যদিকে #IsraelUnderFire হ্যাশ ট্যাগে ইসরাইলের পক্ষে মাত্র ২ লাখ টুইট হয়েছে। অনলাইন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় জনমত সৃষ্টির ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিয়ে ইসরাইল ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে, তাদের পক্ষে অনলাইনে কাজ করলে বিভিন্ন দেশের ছাত্রদের উচ্চা শিক্ষার জন্য তার বৃত্তি দিবে। অতএব এখানে দেখা যাচ্ছে, ইসরাইল-গাজার সোশাল মিডিয়াতে হ্যাশ ট্যাগের যুদ্ধে গাজা পরিষ্কারভাবে এগিয়ে রয়েছে এবং এই জনমতের খবর পৌঁছে যায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে। অতএব, ফেসবুকে হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহারের পাশাপাশি যদি আপনি টুইটারেও এটা ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার মতামতও গাজার পক্ষের পরিসংখ্যানকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করবে। লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ই-মেইল: shahadat_rcp@yahoo rtnn.net/bangla//newsdetail/detail/1/6/86486#.U9OHuuOSxU4
Posted on: Sat, 26 Jul 2014 10:51:08 +0000