১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার সময় প্রচুর শিখ মারা গেছিল। শিখদের তীর্থ স্বর্ণমন্দিরেও আর্মিরা ঢুকেছিল জুতো পড়ে। গুলি চালিয়েছিল সেখানে। ভয়ে হাজার হাজার শিখ দাড়ি কেটে ফেলেছিল, পাগড়ি বালা খুলে ফেলেছিল। ধীরে ধীরে বেশ কিছু শিখ জঙ্গি সংগঠন তৈরি হয়েছিল যারা সন্ত্রাসীবাদী কাজকর্ম করত। ফলে দেশ ও দুনিয়ায় শিখদের একটু অন্য নজরে দেখা শুরু হয়েছিল। ঠিক তেমনি ৯/১১ এর পর সারা বিশ্বেই মুসলিমদের অন্য নজরে দেখা শুরু হয়েছিল যা আজও চলছে। অনেকেই মনে করে মুসলিম মানেই সন্ত্রাসী। বা যেকোন বিস্ফোরনই হোক তা মুসলিমরাই করেছে। অনেকে এর জন্য ইসলাম ধর্মকেও দায়ি করে। আমি মনে করি সব ধর্মই ভালো। সব ধর্মের লোকই ভালো। আর সব ধর্মেই কিছু খারাপ লোক থাকে। কিছু লোকের জন্য সমগ্র জাতিকে দায়ি করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যদি ওসামা, আফজাল গুরু, তালিবানদের জন্য ইসলাম বা মুসলিমরা দায়ি হয় তবে হিন্দু সন্ত্রাসীদের জন্য কি হিন্দুরা বা হিন্দু ধর্ম দায়ি? কখনোই নয়। কিছু উগ্রপন্থী হিন্দু সন্ত্রাসীদের দ্বারা ঘটানো কিছু বিস্ফোরণ – ☛ মালেগাও ব্লাস্ট ☛ সমঝোতা এক্সপ্রেস ব্লাস্ট ☛ মক্কা মসজিদ ব্লাস্ট ☛ আজমের শরীফ ব্লাস্ট ☛ থানে সিনেমা ব্লাস্ট ☛ Nanded Bomb Mishap ☛ Kanpur Bomb Mishap ☛ গোয়া ব্লাস্ট এসব ব্লাস্টে যারা ধরা পড়েছে তাদের বেশির ভাগই আর.এস.এস, বজরং দল মেম্বার। যেমন - ☛ সন্দীপ ডান্ডে ☛ রামজী ☛ রামচন্দ্র কলসাংগ্রা ☛ লোকেশ শর্মা ☛ সুনিল যোশি ☛ জনজাগ্রুতি সমিতি ☛ সনাতন সংস্থা ☛ রমেশ হানুমন্থ গাটকরী ☛ মাঙ্গেশ দিনকার নিগম ☛ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর ☛ লেফটানান্ট শ্রীকান্ত পুরোহিত ☛ স্বামী আমৃতানন্দ দেব এরা কি মুসলিম? মায়া কোদানী, বাবু বাজরাঙ্গী, দারা সিং এরাও মুসলিম নয়। কিন্তু এরা সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীর কোন ধর্ম নেই। সন্ত্রাসই তার ধর্ম। সন্ত্রাস বা সত্রাসবাদীদের সাথে ধর্ম বা সম্প্রদায়কে জড়ানো বন্ধ করা হোক। এটাই হবে মানবতা।
Posted on: Sun, 15 Sep 2013 09:35:37 +0000