৭ মার্চ শেখ মুজিব ঘোষনা - TopicsExpress



          

৭ মার্চ শেখ মুজিব ঘোষনা করেছেন, এবারের সংগ্রামের আমার মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। কেউ কেউ দাবী করেন ওটাই ছিল স্বাধীনতার ঘোষনা। কিন্তু স্বাধীন হবার পরে ডেভিড ফ্রষ্টকে দেয়া সাহ্মাত্‍কারে মুজিব এ দাবী নাকচ করে বলেছেন, ৭ মার্চ তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা দেননি। ঐ ভাষনের শেষে তিনি বলেছিলেন জয় বাংলা জয় পাকিস্তান। জয় পাকিস্তান বলে তিনি আলোচনার পথ খোলা রেখেছিলেন। সে আলোচনাই চলে ইয়াহিয়ার ২৫মার্চ পর্যন্ত। এমনকি সকলের অনুরোধ সত্ত্বেও আলোচনার দুয়ার ও সমঝোতার পথ খোলা রাখার জন্যেই তিনি বিভিষিকাময় রাতে নিজের বাসভবন ছেড়ে কোথাও যাননি। সেই রাতে আটক হওয়ার পূর্বে তিনি স্বাধীনতা ঘোষনা করেছেন এমন প্রচারনার পহ্মে কোন চাহ্মুস বা প্রত্যহ্ম কোন প্রমান বা সাহ্ম্য নেই। সেদিন রাতের ঘটনাক্রমে সন্ধ্যা ৬টায় সুপরিচিত পাকিস্তানের তারিক আলীর পিতা মাজহার আলী এবং রেহমান সোবহান শেখ মুজিবের সাথে দেখা করেন এবং তাকে জানান মিলিটারী ক্র্যাকডাউন আসন্ন। [সূএ : বাংলাদেশের অভ্যুথান এবং প্রতহ্মদশীর ভাষ্য, রেহমান সোবহান, ভোরের কাগজ প্রকাশনী ১৯৯৪]। শেখ মুজিব এরপর ইয়াহিয়ার সিদ্বান্তের অপেহ্মায় থাকেন এবং আলীগের পহ্ম থেকে ১জন সংবাদবাহক স্থানীয় এবং বিদেশী সাংবাদিকদের মাঝে প্রেসনোট বিলি করেন যেটিতে উল্লেখ করা হয় প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনা চুড়ান্ত হয়েছে এবং আমি বঙ্গুবন্ধু আশা করি প্রেসিডেন্ট তা ঘোষনা করবেন। এ প্রসঙ্গে অ্যান্থনি মাসকারেনহাস বলেন, আমার দুঃখ হয় এই নিবুদ্ধিতা সর্ম্পকে আমার মন্তব্য নেই। [সূএ : ব্লাড অফ বাংলাদেশ, অ্যান্থনি মাসকারেনহাস, অনুবাদ মাযহারুল ইসলাম ১৯৭৩, পৃষ্ঠা-১১৩]। মুজিব আটক হওয়া পর্যন্ত সাথে ছিলেন তার পত্নী ফজিলাতুন্নেসা। ১৯৭৩ সালে বেগম মুজিব এক সাহ্মাত্‍কারে সেদিনের ঘটনা সুবিস্তারে বনর্না করেছেন। ফজুলাতুন্নেসা মুজিব বলেন, রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে পাক সেনারা গুলি ছুড়তে ছুড়তে উপড়ে এলো। তারপর মাথাটা নিচু রেখে নেমে গেলেন তিনি নিচের তলায়। মাএ কয়েক মুহুর্ত আবার উঠে এলেন উপরে। মেঝো ছেলে জামাল এগিয়ে দিল হাতঘড়ি ও মানিব্যাগ। পাইপ আর তামাক হাত নিয়েই বেরিয়ে গেলেন তিনি ওদের সাথে। (দৈনিক বাংলা, ২৬মার্চ ১৯৭২)। দীর্ঘ এই সাহ্মাত্‍কারটি কোথায় বেগম মুজিব একবারও বলেননি যে সেদিন যাওয়ায় আগ পর্যন্ত শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষনা করেছেন। এমনকি আলীগের সাধারন সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমদ যুদ্ধ চলাকালে বা পরবর্তীকালে কথনই জানতেন না যে শেখ মুজিব কখনো স্বাধীনতার ঘোষনা করেছেন। বেগম মুজিবের সাহ্মাত্‍কার প্রসঙ্গে পশ্চিম বাংলার বিশিষ্ট সাংবাদিক জ্যোতি সেন গুপ্ত লিখেছেধ ২৪ তারিখে গোয়েন্দা সূএ পাক বাহিনীর আক্রমনের আগাম সংবাদ জানিয়ে দেয় আলীগকে। শেষ রাত পর্যন্ত নেতারা করনীয় সর্ম্পকে অলোচনা করেন। সিদ্ধান্ত হয় তারা আত্মগোপন করবেন এবং পালিয়ে ভারত চলে যাবেন। কিন্তু ২৫ মার্চ সন্ধা সাড়ে ৭টায় তাজউদ্দিন এসে দেখেন মুজিব তার বিছানাপত্র গুছিয়ে তৈরী হয়ে আছেন। মুজিব তাকে বললেন যে, তিনি থেকে যাবেন গ্রেপ্তার বরন করবেন। [সূএ : মাসুদুল হক, দৈনিক ইনকিলাব ২৬ মার্চ ২০০৫]। সেই রাতে আটকের পর থেকে পরবর্তী ৩দিন মুজিবের অবস্থান কার্যত ছিলো অঙ্খত। অনেকেরই ধারনা ছিলো মুজিব আত্মগোপনে থেকে মুক্তযুদ্ধ পরিচালনা করছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে ২০১১ সাল পর্যন্ত এ বিষয়ে উল্লেখ করে, Yahya khan left dacca abruptly on 25 march 1971 and tikka khan let loose his reign of terror the same night. The nest day while the whereabouts of mujib remained unknown. Major ziaur rahman announced the formation of the provisional government of bangladesh over radio chittagaon. অথ্যাত্‍ মুজিবের নিখোঁজ অবস্থায় চট্রগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়া দেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করলেন।
Posted on: Thu, 18 Dec 2014 15:49:29 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015