ঐশী ১ লাখ টাকা মাসপ্রতি হাত খরচা কোথা থেকে পেত। দয়া করে মৃত Inspector সাহেবকে Interrogate করুন। ওনার সন্তান ওনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, কিন্তু বস্তুতঃ কোনো বিশ্বাস রক্ষার শপথ সে নেয়নি। কিন্তু রহমান সাহেব তো দেশ মাতার সেবার শপথ গ্রহন করেছিলেন। যার মাসিক বেতন কোনোভাবেই কুড়ি হাজার টাকার বেশি হবার কথা নয়, তিনি মাত্র একজন সন্তানকেই কিভাবে ১ লক্ষ টাকা হাত খরচ দিতেন। হে আল্লাহ, দেশের সকল গাদ্দার তাদের কলিজার টুকরার হাতে এভাবেই শাস্তি পাক। একজন মানুষের মৃত্যু আমার কাছে অনেক মর্মবেদনার, কিন্তু একজন দেশদ্রোহী, হারামখোরের এর চেয়ে চরম নির্মম মৃত্যু শ্রেয়, আর সে হারামখোর যদি আমার বাবাও হয়, আলহামদুলিল্লাহ, তারও একই পরিনতি হোক। যারা হারামখোর, তারা অবশ্যি আরেক হারামখোরের মৃত্যুতে ব্যথিত হবে, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু যারা ঘাম ঝরিয়ে, যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে রোজগার করেন - মনে রাখবেন, এই হারামখোরেরা আপনার জীবনকে প্রতিদিন দূর্বিসহ করে রাখে। কারণ এই চরম হারামখোর জানোয়ারদের জন্যে দেশে মূল্যস্ফিতি ঘটে। কতদিন বাজারে গিয়ে ইলিশ কিনতে চেয়েছি - কোনও এক হারামখোর এসে অবিবেচকের মতো দাম বাড়িয়ে দিয়ে চলে যেত। ইলিশ আমার কাছে অধরা-ই থেকে যায়। প্রভু হে, আমি দূর্বল, আমি অসহায়, আমার মত আরও অনেক ভাইয়ের তুমিই রক্ষাকর্তা। এখনও অনেক হারামখোর সমাজে বহাল তবিয়তে আছে - হয় তারা তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে আমাদের সব সম্পদ দিয়ে দিক, না হলে তারা মিরনের মতো বিনা মেঘে বজ্রপাত হয়ে মারা যাক। প্রভু হে, তোমার ন্যায়ের ধ্বজা তুমি উর্ধ্বে তুলে ধর, যারা সীমা লঙ্ঘন করতে দ্বিধা করে, তারা অবশ্য-ই তোমাকে সম্মান করে, তুমি-ই তাদের রক্ষাকর্তা। যারা তাদের সম্পদ লুন্ঠণ করে, তুমি তাদের চেন ও জানো। তুমি পার্থিব ও অপার্থিব - উভ জগতে তাদের বিচারের ব্যবস্থা কর। যারা সৃষ্টির অধিকার লংঘন করে, তুমি বলেছ, তুমি তাদের ক্ষমা করবে না, যতক্ষন না পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষমা না করে। প্রভু হে, আমি এ দেশের নাগরিক, আমি আর সবার মত সমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। সবাই ক্ষমা করলেও, আমি এদেরকে কোনোদিন ক্ষমা করবনা, কারণ এরা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সাথে চরম বেঈমানি করেছে। যারা এদের মতো হারামখোর, দয়াকরে আমাকে গালি দেবেন। আর দয়াকরে, কোনো হারামখোর এই পোষ্টে Like দেবেন না বা Share করবেন না।
Posted on: Wed, 21 Aug 2013 01:15:28 +0000