English Version সরকারপক্ষকে মানুষ - TopicsExpress



          

English Version সরকারপক্ষকে মানুষ ভোট দেবে না: মান্নান 2013-07-03 12:44:54.0 বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন দাবিই করেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান। নবগঠিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে লড়ছেন এম এ মান্নান, যিনি এক সময় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেও গাজীপুর সদর আসনে বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত হন। ১৯৯১ সালে গাজীপুর সদর থেকে প্রথমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হয়ে বিএনপি সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মান্নান। কিন্তু সে সময় হজের বাড়ি ভাড়ার টাকা নিয়ে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ওঠার পর তার মন্ত্রণালয় বদলে দেয়া হয়। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ দুই জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই হারের মুখ দেখতে হয় তাকে। ২০০১ সালে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করায় দল থেকেও বহিষ্কৃত হন মান্নান। ২০০৪ সালে আহসানুল্লাহ মাস্টার নিহত হওয়ার পর উপ-নির্বাচন এবং সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি পরাজিত হন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মান্নানের প্রতীক টেলিভিশন। নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করলেও কর ফাঁকির অভিযোগে সম্প্রতি মান্নানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নোটিস দিয়েছে এনবিআর। ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি এ নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন না দিলেও দলের একটি অংশ কাজ করছে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মান্নানের পক্ষে। চার সিটি কর্পোরেশনে সাম্প্রতিক নির্বাচনের মতো গাজীপুরেও কাজ করছে ‘হেফাজত ইস্যু’। নির্বাচনের বিভিন্ন দিক নিয়ে সোমবার এম এ মান্নানের সঙ্গে কথা হয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের রিয়াজুল বাশার , আশিক হোসেন ও আবুল হোসেনের। সঙ্গে ছিলেন আলোকচিত্রী মুস্তাফিজ মামুন। নির্বাচনের সার্বিক অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? অবস্থা ভালো। আমার টেলিভিশনের পক্ষে বিপুল ভোট পড়বে। আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হব। আপনার এই আত্মবিশ্বাসের পেছনে বিশেষ কোনো কারণ আছে? ১৯৯১ সালে আমি এখান থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হই। তখন আমি এলাকার মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছি। এগুলো মানুষ মনে রেখেছে। তারা সৎ, যোগ্য ও নির্ভরশীল মানুষকে দায়িত্বে দিতে চায়। এজন্য তারা আমাকে বেছে নিয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতির ইস্যুগুলোও এখানে গুরুত্ব পাচ্ছে। বর্তমান সরকারের প্রশাসনের দুর্নীতি, বিশেষ করে হেফাজতের ঘটনা সারা দেশের মানুষকে একটি ঝাঁকুনি দিয়েছে। মানুষের মনে একটা ক্ষোভ আছে। এ কারণে যারা সরকারের পক্ষে প্রার্থী, তাদের মানুষ ভোট দেবে না। আপনি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় হজের বাড়ি ভাড়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এ সম্পর্কে কি বলবেন? এটা মিথ্যা অপপ্রচার। আমাকে ভোটে দুর্বল করার জন্য তারা এটা করছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগই সরকার গঠন করে। আমি দুর্নীতি করেছি কী না- সেটা তারা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছে ক্ষমতায় আসার পর। আমি কোনো দুর্নীতি করি নাই, আমি স্বচ্ছ আছি। এ নির্বাচনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির ভূমিকা আপনারা কীভাবে দেখছেন? জাতীয় পার্টি স্থানীয়ভাবে আমাদের সমর্থন দিয়েছে। অনেক নেতাকর্মী আমার জন্য নির্বাচনে প্রচার চালাচ্ছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন। গার্মেন্ট শ্রমিকদের ভোট পাওয়ার বিষয়ে আপনি কতোটুকু আশাবাদী? গার্মেন্ট শ্রমিকদের ভোট আমি পাব। সম্প্রতি আমেরিকা জিএসপি সুবিধা বাতিল করেছে। সেটার একটা প্রভাব পড়েছে শ্রমিকদের ওপরে। শ্রমিকরা আতঙ্কিত। এটা যে সরকারের ব্যর্থতার কারণেই হয়েছে, সেটা তারা ভালো করেই বোঝে। তাজরীন ফ্যাশনস, রানা প্লাজার মালিক- এরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা। অতএব তারা আওয়ামী লীগের প্রতি ক্ষুব্ধ এবং আমাকেই ভোট দেবেন। সদরের সংসদীয় আসনে গত কয়েকটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরাই জয়লাভ করেছেন। এরপরেও কি আপনি আশাবাদী? এটা হয়েছিল বিভিন্ন কারণে। যেমন আমি ২০০১ সালে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করি। আমরা দুজন নির্বাচন করায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়। অতএব এ এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরাই পাস করে- এমন বলার সুযোগ নেই। কারণ এলাকাটি বিএনপির ঘাঁটি। আহসানুল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ডের পরে তার ছেলে জয় পেয়েছে আবেগের কারণে। এসব বিভিন্ন কারণে এরকম হয়েছে। ব্যক্তি আজমত উল্লাকে (আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী) কীভাবে মুল্যায়ন করেন? তিনি ১৭ বছর টঙ্গী পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মেয়র ছিলেন ঠিকই, কিন্তু জনগণের কোনো উন্নয়ন করতে পারেননি। আজ সামান্য বৃষ্টি হলেই টঙ্গী পানির নিচে তলিয়ে যায়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খারাপ, রাস্তাঘাটের অবস্থাও খারাপ। এসব মিলিয়ে তিনি পৌরসভার দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ হয়েছেন। এবার বিজয়ী হলে এলাকার জন্য কি করবেন? আমি জিতলে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, যানজট নিরসন, শিক্ষার উন্নয়ন, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, গাজীপুরে একটি ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করব। শ্রমিকদের জন্য কমিউনিটি হাসপাতাল নির্মাণ, শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন করব।
Posted on: Thu, 04 Jul 2013 03:23:33 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015