এমন তো কথা ছিল না।নরমাল - TopicsExpress



          

এমন তো কথা ছিল না।নরমাল হওয়াটা অনেক টাপ..অনেক বেশি। Life becomes stand still…সিফাত উল্লাহ তানিম। মুক্তি পাওয়ার পর আমার প্রতি তার মেসেজ। শাখাওয়াত মুনবীর ইমন। যে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেল। জেলের ১৫ শিকের সামনে সে শুধু বাইরে চেয়ে থাকে কেউ একজন এসে তাকে মুক্ত করে নিয়ে যাবে এ আশায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের আরিফ বার বার বলছিল..কত মহৎ একটা কাজ করতে এসেছিলাম। এই তার প্রতিদান। সবাই মিলে ভাগাভাগি করে খাওয়া। জেলখানার অভিজ্ঞতা অদ্ভূত একটা অভিজ্ঞতা। হাতে ঘড়ি থাকে না। রাত কত হয়েছে, তা বার বার কনস্টেবলকে ডেকে জিঞ্জাসা করা। কিছুক্ষন ঘুম আবার কিছুক্ষন জেগে উঠা গল্প বলা,ক্রাশ খাওয়ার গল্প, গান ধরা বেসুরা গলায়। আর মুক্তি পাওয়ার আশা। যখন রাত্রি বেলা পুলিশ এসে ছবি তুলছিল, তখন বুকের কোথায় জানি কষ্ট হচ্ছিল। সকালবেলা পুলিশ এসে জানাল, চালান করে দিবে। নাস্তা করে নিন। পুলিশ যখন হাতকড়া পড়াতে আসল,দড়ি বাঁধতে আসল..তখন নিস্পাপ দেশপ্রেমিক তরুনগুলোর মুখে একটি অনুরোধ..হাতকড়া না পড়ালে হয় না? দড়ি না বাঁধলে হয় না? পুলিশগুলোও মর্মাহত। অবশেষে হাতকড়া পড়াল, কিন্তু কোমরে দড়ি দিল না। সবার মুখে অপমান, লজ্জা। আমি তাদের দিকে ফিরে থাকিয়ে শুধু একটি কথা বললাম “আমরা কেউ অপরাধী না, আমরা সবাই নিরপরাধ। আমরা আমাদের দিক থেকে ঠিক আছি। দুনিয়া কি ভাবল এটা নিয়ে টেনশন করার কিছু নেই”। তারপর কোর্টে চালান। অপরাধ একটাই। বাংলাদেশের জন্য নি:স্বার্থভাবে কাজ করতে চেয়েছিলাম। অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে,তানিম যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিল,তখন আমার মেসেজ ছিল “That’s great idea.Go ahead..You can invite your friend,who got chance at Medical College in this present year. Because we want to spread this kinds of program at every school of Fatickchari.কাজগুলো হউক নি:স্বার্থভাবে। keep in mind, it is not for power,not for fame ,not for hand claps and not for getting anything. It is only for our mind satisfaction. If you do something for the people,Allah is seeing from the sky,only Allah can help you.We want to make a revolution all over the fatickchari.We want to make educated people with spiritual mind.Last line from a song “You may say I am a dreamer,but I am not the only one.I hope someday,you join us.শুভ কামনা।”(তারিখ:১১ ই ডিসেম্বর,২০১৪)। খুব করুণভাবে দেশের জন্য কাজ করার প্রতিদান দিতে হল। জেলের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র কোন ভেদাভেদ থাকে না। সবাই বন্ধু। মনে হয় অনেকদিনের চেনাজানা। ৩/৪ বছর জুনিয়রও আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে,আমি নিজেও ঘুমিয়ে পড়েছি। একজন আরেকজনকে চুল টেনে দিচ্ছে,ভাত খাইয়ে দিচ্ছে,যে খাবার বাইরে থেকে আসছে সবাই ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। একজন প্রবল টেনশনে সিগারেট খেতে চাইল, আমি বললাম “তুর,সিগারেট খাওয়া দেখে জুনিয়রগুলো কি শিখবে?” সে আর সিগারেট খাওয়ার নাম নিল না। আর একজন বলল “এখান থেকে বের হয়ে গাজা,সিগারেট সব খাওয়া শুর করবে, এতদিন ভাল থেকে কিইবা হল” আমি বললাম- “সিগারেট খা সমস্যা নেই,কিন্তু আমরা সামনে যাতে না পড়িস।”থানায় টেনশন ছিল চালান করবে কিনা? কোর্টের জেলে টেনশন জামিন পাব কিনা? জামিন পাওয়ার পর সে কি আনন্দ! সবাই কোলাকুলি করলাম। মহা আনন্দের কোলাকুলি। একে একে সবাই বের হল। মুক্তির আনন্দ। ধন্যবাদ ফটিকছড়ির সকল জুনিয়র,আমার সকল স্টুডেন্ট,পরিবারের সদস্য, সাংবাদিক মীর মাহাফুজ আনাম, দৈনিক আজাদীর রিপোর্টার, আহম্মদ উল্লাহ কাউসার,সে সব মুরব্বীরা যারা তাদের নিজের গায়ের শাল আমাদের দিয়ে দিয়েছেন। ইদ্রিছ আংকেল,সফি আংকেল, সাইফুলের বাবা, আমার প্রাইমারী-হাই স্কুলের স্যারেরা, খালাত ভাই শাহাদাত, বদিউল আলম(ভাইয়া), বোরহান হুজুর, শওকত ভাইয়া, দুলাভাই(ডলির স্বামী), আর আমার বাবার ছাত্ররা যারা এসে বার বার খুজছিল “একরাম স্যারের ছেলে কোনটা?, আমরা সে সব স্কুল বন্ধরা(আফাজ,আরিফ..) যারা আশ্বাস দিচ্ছিল-সাইফুল টেনশন করিস না। যে যে অবস্থান থেকে আমার জন্য টেনশন করেছিলেন/করেছিস, আমাদেরকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন।যারা জেলখানায় দেখতে গিয়েছিস।সবাইকে ধন্যবাদ। যে ডায়ালগটি কখনও ভুলার নয়- “এগার জনের চেয়ে একজন কম নিয়েও আমরা বের হব না”(ইমরান আহম্মদ চৌধুরী পিংকু)। খুশির সংবাদ ৮ই জানুয়ারী, ২০১৫ সবাই একযোগে মামলা থেকে খালাস পেলাম।
Posted on: Fri, 09 Jan 2015 05:40:35 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015