কলিকাতা বাংলা ছবিতে তাপস - TopicsExpress



          

কলিকাতা বাংলা ছবিতে তাপস পাল টাইপের ধার্মিক নায়ককে ভোর বেলা ধুতি উঁচাইয়া হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে সৌরদেবের উপাসনা কত্তে অনেকেই দেখেচেন আশা করি। সৌরদেব বলতে মূলত আমাদের আকাশগঙ্গায় অবস্থিত সৌরজগতের একমাত্র নক্ষত্র সূয্যিমামাকেই ইঙ্গিত করা হয় সনাতন ধম্মমতে। সনাতন ধম্মানুসারে সূর্যকে দেবতা মানা হয় এবং ভারতসহ বিভিন্ন হিন্দুরাজ্যে কল্যানের জন্যে সৌরদেবের উপাসনাও পরিলক্ষিত হয়। একটু বিশ্লেষণ করি, যেহেতু দেবতা বলা হচ্ছে অবশ্যই দেবতা অমর। কাজেই সনাতন ধম্মে এই সূর্যকে চিরঞ্জীবীতার প্রতীক হিসেবেও গণ্য করা হয়ে থাকে। প্রাচীন বিজ্ঞানেও সূর্যদেবকে চিরস্থায়ী হিসেবেই বিবেচনা করা হত। কিন্তু সম্প্রতি বিশিষ্ট প্রতিবন্ধী এবং ল্যাঙড়া বিজ্ঞানী স্যার স্টিফান হকিংস তার A Brief History of Time এবং Blackhole and Baby Universes and Other Essays গ্রন্থদ্বয়ে উল্লেখ করেন যে, শেষ পর্যন্ত সূর্যের পারমাণবিক জ্বালানী ফুরিয়ে যাবে এবং এর জন্য আরও প্রায় পাঁচশত কোটি বছর সময় লাগবে। যে সমস্ত তারকার ভর সূর্যের ভরের চেয়ে অধিক, তারা তাদের জ্বালানী আরো দ্রুত জ্বালীয়ে শেষ করবে। তবে সূর্যের ভরের দ্বিগুনের চেয়ে কম ভর-সম্পন্ন তারকাগুলো শেষে সংকুচিত হওয়া বন্ধ করবে এবং একটা সুস্থির অবস্থায় স্থিতি লাভ করবে। এ রকম একটি অবস্থার নাম শ্বেত-বামন এবং আর একটি অবস্থার নাম নিউট্রন-তারকা। আমাদের নিহারিকায় বহু শ্বেত-বামন ও নিউট্রন-তারকা পর্যবেক্ষণ করা যায়। নিউট্রন-তারকাগুলো ১৯৬৭ সালের আগে দেখা যায়নি। যেহেতু সূর্যের জ্বালানী ধীরে ধীরে কমে আসছে, সুতরাং এর তাপ বিকিরণ তথা আলোক বিকিরণের পরিমাণও ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে অর্থাৎ সূর্যটা আস্তে আস্তে নিষ্প্রভ হয়ে আসছে। কিন্তু সূর্যের আলোর ঔজ্জ্বল্য এত বেশী যে, এই হ্রাসপ্রাপ্তি সূক্ষ্মতা বৈজ্ঞানিক গবেষণা ছাড়া খালি চোখে বা বাহ্যিকভাবে অনুভব করা যায় না। অথচ এই বিষয়টি অনেক কাল আগেই আল-কোরআনের ছোট্ট একটি আয়াতে কত সুন্দরভাবে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। আল-কোরআন:- সূরা তাকভীর-সূরা নং-৮১, আয়াত নং-১ (৮১:১) অর্থ:- যখন সূর্য জ্যোতিহীন বা নিষ্প্রভ হবে। তাছাড়া ধীরে ধীরে যে আকাশে নক্ষত্রগুলো স্তিমিত হবে ও নিভে যেতে থাকবে অর্থাৎ অসংখ্য শ্বেত-বামন ও নিউট্রন-তারকার সন্ধান পাওয়া যাবে তা আল-কোরআনে প্রদত্ত এই আয়াত দুটি থেকে বুঝে নেয়া যায় সূরা তাকভীর-সূরা নং-৮১, আয়াত নং-২ (৮১:২) অর্থ:- যখন নক্ষত্ররাজি স্তিমিত হবে এবং অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে বৃহদাকৃতির শিলায় পরিণত হবে। সূরা মুরসালাত-সূরা নং-৭৭, আয়াত নং-৮ (৭৭:৮) অর্থ:- যখন নক্ষত্ররাজি নিভে যাবে। উপরিউক্ত আলোচনায় এটুকু স্পষ্ট যে, ১৪০০ বছর পূর্বের রচিত কুরআনে সৌরদেবের অস্তিত্বের বৈজ্ঞানিক সত্যটা উল্লেখিত আছে যা প্রতিবন্ধী বিজ্ঞানী স্যার স্টিফান সম্প্রতি আবিস্কার কল্লেন। অতঃপর হিন্দুধম্মাবলম্বীরা সৌরকে দেব মানবেন কি না কিংবা উপাসনা কব্বেন কিনা তা সম্পূর্ণরূপে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা। কপিরাইট ফ্রম ভচ @ বাঁশ
Posted on: Mon, 08 Sep 2014 11:48:11 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015